ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

শাহি আইটেমে পাকিস্তানি ইফতার

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

এক ভিন্ন ধরনের আবহ নিয়ে শুরু হয় রমজান মাস। রমজানকে ঘিরে নানা আমেজ বিরাজ করে সব এলাকার মানুষের মধ্যেই। ধর্মীয় আচার ও সাংস্কৃতিক রীতি মেনে রমজান উদযাপন করাটা বেশ জনপ্রিয়।

ইফতারের আগে আগেই পুরুষরা বেরিয়ে যান মসজিদের উদ্দেশ্যে, আর বাহারি রকম শাহী খাবারের পসরা সাজিয়ে নারীরা একত্রিত হন বাড়ির উঠানে। এভাবে ইফতার করা তাদের প্রথাগত ঐতিহ্য। ঠিকই ভেবেছেন বলছি, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের অন্যতম দেশ পাকিস্তানের কথা। 

বাংলা ইনসাইডার আয়োজিত 'ইনসাইড রমজান' ধারাবাহিক এর আজকের পর্বে আমরা জানবো পাকিস্তানি মুসলিমদের রমজান ও ইফতার সংস্কৃতি-  

পবিত্র এই রমজান মাসে ইফতার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চিকেন স্যুপ, আলুর পাকোড়া, ফলের কাস্টার্ড পাকিস্তানের প্রচলিত স্বাস্থ্যসম্মত ইফতারের উল্লেখযোগ্য উপকরণ। ছোট-বড় সবাই মিলে বেশ আনন্দ-ফূর্তিতে যাপন করেন ইফতার-মুহূর্ত।

পাকিস্তানে ইফতার আয়োজনে পানি এবং খেজুর তো থাকেই তবে সেখানে প্রাধান্য পেতে দেখা যায় মাংস ও রুটির মতো সেখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো। নানা ধরনের কাবাব, তান্দুরি, কাটলেট, টিক্কার উপস্থিতি প্রায় প্রতিদিনের ইফতারেই রেখে থাকেন বড় অংশের পাকিস্তানি।

পাকিস্তানের ইফতার আয়োজন হয় করা হয় বেশ বাহারি ও উৎসবমুখর ভাবে। সাধারণত ইফতারের তিন-চার ঘন্টা আগে থেকেই এখানে  শুরু হয় ইফতার তৈরির দীর্ঘ  প্রক্রিয়া। পাকিস্তানে ইফতারের খাবার সাধারণত ভারী হয়। তবে মিষ্টি ও মুখরোচক খাবার প্রাধান্য পায় তাদের কাছে। যদিও, এ অঞ্চলের ইফতারে মাংসের পদ বেশি থাকে। 

পাকিস্তানের মরু অঞ্চলে বিশেষ করে  আফগান-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মাংসই প্রোটিনের প্রধান উৎস। পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের ইফতারের আইটেমে অবশ্যই রুটি ও মাংস থাকবে। এটা তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার। 

এছাড়াও এখানকার জনপ্রিয় ইফতার আইটেমগুলো হলো- জালেবি, সমোসা, চানা চাট, পাকোড়া, হালিম, দহি বড়া, চিকেন তন্দুরি, চিকেন টিক্কা, ঘিলোটি কাবাব, কড়হাই মাটন, পেশোয়ারি মাংসের পদ, শামি কাবাব, রেশা কাবাব, চাপালি কাবাব, বিরিয়ানি, ফলের সালাদ, ফালুদা, জুস, বাদাম ও দুধের নানান শরবত ইত্যাদি। 

এদের মধ্যে, পাঞ্জাবি, সিন্ধি এবং মোহাজির পরিবারে ইফতারের পর অন্যান্য সময়ের মতো রাতের খাবারও খাওয়া হয়। অন্যদিকে, পশতুন, বেলুচি এবং তাজিকসহ উত্তর ও পশ্চিমের লোকেরা রাতের খাবার এবং ইফতার একসাথে করে। চিত্রাল এবং গিলগিটের কিছু অংশে ইফতারের প্রধান খাবার হলো লাগমান স্যুপ (নুডল স্যুপ, কিছুটা রামেনের মতো), স্থানীয়ভাবে এটি কাল্লি নামেও পরিচিত। 

চাঁদ রাতের উৎসবে ব্যতিক্রম

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর রমজান ও ঈদের ঐতিহ্যের মধ্যে থাকলেও পাকিস্তানের চাঁদ রাতের উৎসবে কিছুটা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। এখানে রমজানের শেষ দিনে অর্থাৎ চাঁদ রাতে ইফতারের পর পাকিস্তানের কিশোরী, তরুণী, যুবতী, নারী সবাই বাজারে ছোটে ঈদের কেনাকাটা করতে। চুড়ি, মালা, ফিতা, সালোয়ার-কামিজ আর অবশ্যই মেহেদি। মেহেদিতে হাত রাঙানো পাকিস্তানি নারীদের প্রিয় কাজ। বাড়িতে ফিরে রয়েছে ঈদের বিশেষ রান্নার ব্যস্ততা। এসব কারণে পাকিস্তানি নারীরা বাজার করতে করতেই হাতে মেহেদির নকশা করে থাকে। এই একটি ব্যাপারই পাকিস্তানের চাঁদ রাতকে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চাঁদ রাত থেকে আলাদা করেছে। 


রমজান   ইফতার   সংস্কৃতি   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

দোষী সাব্যস্ত হলে ছেলেকে ক্ষমা করবেন না বাইডেন

প্রকাশ: ০২:০৬ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং আদালতে সাজা হলে ছেলে হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করবেন না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। 

শুক্রবার (৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আগ্নেয়াস্ত্র-সংক্রান্ত ফেডারেল অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তিনি তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করবেন না।

বাইডেনের কাছে এবিসির সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী ডেভিড মুইর জানতে চান, হান্টার বাইডেনকে ক্ষমা করার বিষয়টি তিনি (বাইডেন) অস্বীকার করবেন কিনা, জবাবে মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হ্যাঁ।’

সিএনএন বলছে, বর্তমানে ডেলাওয়্যারে হান্টার বাইডেনের বিচার চলছে এবং এই বিচারের ফলাফল তিনি মেনে নেবেন বলে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিশ্চিত করেছেন।

মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বা আসক্ত হওয়ার পাশাপাশি বেআইনিভাবে বন্দুক কেনা এবং সেটি নিজের কাছে রাখার অভিযোগ রয়েছে, যা মার্কিন ফেডারেল আইনের লঙ্ঘন।

৫৪ বছর বয়সী হান্টার বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দ্বিতীয় সন্তান। বাইডেনের প্রথম স্ত্রী নেইলি হান্টারের গর্ভে জন্মেছিলেন তিনি।


মার্কিন প্রেসিডেন্ট   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানসহ ৫ দেশ

প্রকাশ: ০১:২৮ পিএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানসহ পাঁচটি দেশ জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হয়েছে। বার্তা সংস্থা এপি শুক্রবার (০৭ জুন) জানিয়েছে, দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছে দেশগুলো। ২০২৫ সালের প্রথম দিন থেকে দায়িত্ব পালন করবে এই পাঁচ রাষ্ট্র।

পাকিস্তান বাদে নির্বাচিত দেশগুলা হচ্ছে- সোমালিয়া, পানামা, ডেনমার্ক ও গ্রিস। দেশগুলো জাপান, ইকুয়েডর, মাল্টা, মোজাম্বিক ও সুইজারল্যান্ডের স্থলাভিষিক্ত হলো। এশিয়া আসনে জাপানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে পাকিস্তান। এশিয়া আসনে জাপানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে পাকিস্তান।

মঙ্গলবার ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন সদস্য নির্বাচনে ভোটাভুটি হয়। ডেনমার্ক পায় ১৮৪ ভোট, পানামা ১৮৩ ভোট, গ্রিস ও পাকিস্তান ১৮২ ভোট এবং সোমালিয়া পেয়েছে ১৭৯ ভোট।

নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য হলো যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র; যাদের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। বাকি ১০ অস্থায়ী সদস্য ভোটাভুটিতে দুই বছরের জন্য নির্বাচিত হয়।


জাতিসংঘ   নিরাপত্তা পরিষদ   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

জোট সরকার গঠন করে দেশশাসন করতে পারবেন তো মোদি?

প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

এবার ভাটা পড়ল নরেন্দ্র মোদির একক আধিপত্যে। লোকসভা নির্বাচনে জিতেও তিনি নিজের মতো করে দেশ শাসন করতে পারবেন না। পরপর দুবার দেশ শাসনে যে দাপট দেখিয়েছিলেন এবার আর সেটা সম্ভব হবে না। উঁচু গলা কিছুটা হলেও নিচু করতে হবে তাকে। 

কেননা এবার জোট সরকার গঠন করতে হবে মোদিকে। মোদির দল ভারতীয় জনতা পার্টি নিজেদেরকে নতুন ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে দাবি করে আসছে। এমনকি কংগ্রেসকে ইঙ্গিত করে তারা বলছে তাদের হাতে বর্তমান ভারত নাকি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিমুক্ত। যদিও মোদী শাসনের বিপরীতে আছে ফ্যাসিবাদ, বেকারত্ব সমস্যা, হিন্দুত্ববাদী নীতি ও মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব সহ আরো অনেক অনেক অভিযোগ।

এবার নির্বাচনে বুথফেরত জরিপেও আশাহত হয়েছিলেন বিজেপি। কেননা ফলাফলে মোদির হ্যাটট্রিক জয়ের কথা থাকলেও তিনি পেয়েছেন মাত্র ২৪০ টি আসন। যদিও এবারের নির্বাচনে এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন কিন্তু এককভাবে সরকার গঠনের জন্য দরকার ছিল ২৭২ টি আসন। যেটি কোন দলই পায়নি। আর এ কারণেই জোট শরীকদের কাঁধে ভর করা ছাড়া এখন বিজেপির হাতে আর কোন উপায় নেই। 

বিজেপির নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সাথে জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শরিক হিসেবে থাকবে অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর দল টিডিপি এবং বিহারের নীতিশ কুমারের দল জেডিইউ। এছাড়াও, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) ও একনাথে শিন্ধের শিবসেনাসহ এমডিএ দলের ছোট ছোট দশটি শরিক দল রয়েছে।

ফলাফল প্রকাশের পর শরীকদের সাথে সরকার গঠনের জন্য মোদি সবরকম তোরজোর চালাচ্ছে। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলগুলোতে আলোচনা চলছে- এককভাবে দেশ শাসন করা মোদি এখন শরিকদের কাঁধে ভর করে দেশ শাসন করতে পারবেন কিনা!

কারন, শরিকদের সাথে জোট সরকার গঠন করলে মোদীর সামনে থাকবে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ। এর আগে, পরপর দুবার বিজেপির নেতৃত্বাধীন মোদি তার শাসনামলে নিজের সাম্প্রদায়িক উগ্র হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারা সাধারণ মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। আর এখন সেই মোদিকেই কোন সিদ্ধান্তের জন্য নির্ভর করতে হবে জোট সরকারের ওপর। যা মোদির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


জোট সরকার   নরেন্দ্র মোদি   লোকসভা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতে সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি হয়েছে: রাহুল

প্রকাশ: ০৯:৫৫ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে সবচেয়ে বড় শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন রাহুল গান্ধী। 

সেখানে তিনি বলেন, 'প্রথমবার দেখলাম প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা শেয়ার বাজার এবং সেখানে বিনিয়োগ করা নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু কেন পাঁচ কোটি বিনিয়োগকারীকে শেয়ার কেনা র পরামর্শ দিলেন তারা? বিনিয়োগ নিয়ে পরামর্শ দেওয়া তো তাদের কাজ নয়।'

এর ঘটনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জড়িত বলে ইঙ্গিত দিয়ে এ বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি যৌথ পার্লামেন্টারি কমিটি (জেপিসি) গঠনের দাবি জানিয়েছেন রাহুল।

ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই এক্সিট পোলের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরই লাফ দিয়ে বেড়েছিল শেয়ার বাজার। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই শেয়ারের রেকর্ড পতন ঘটে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ইঙ্গিত মেলার পরই শেয়ার বাজারে বড়সড় পতন ঘটে।  

৪ জুন ভারতে লোকসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণা করা হয়। এর আগে পয়লা জুন শেষ হয় সাত দফায় ভোট গ্রহণ। সে দিনই ভোটের বুথফেরত জরিপ প্রকাশ করে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সংস্থা। তাতে আভাস দেওয়া হয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি লোকসভায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। তবে প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেয়ে জোট সরকার গঠনের পথে হাঁটতে হচ্ছে দলটিকে।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি চার শতাধিক আসন পাবে-এমন আশার কথা শুনিয়ে আসছিলেন মোদিও। নির্বাচন চলাকালে গত ২৩ মে নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে ৪ জুন বিজেপি রেকর্ডসংখ্যক আসন পাবে। আর শেয়ারবাজারের সূচকও রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছাবে।

এর আগে, ১৩ মে অমিত শাহ এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'আমার মতে, ৪ জুনের আগে (শেয়ার) কিনুন। শেয়ারবাজারের সূচক (এর পরে) বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।'

শেয়ারবাজারের এই কেলেঙ্কারিতে ভারতের বিনিয়োগকারীরা ৩০ লাখ কোটি রুপি হারিয়েছেন দাবি করে রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপি, ভুয়া বুথফেরত জরিপকারী ও সন্দেহজনক বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যকার সম্পর্কটা কী? এসব বিদেশি বিনিয়োগকারী বুথফেরত জরিপ ঘোষণার এক দিন আগে বিনিয়োগ করেছিল এবং পাঁচ কোটি পরিবারের ক্ষতি করে বিপুল মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছে। জেপিসিকে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।


ভারত   শেয়ারবাজার   রাহুল গান্ধী  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় চলছে ইসরায়েলের লাগামহীন হামলা, আরও এক মেয়র নিহত

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ০৭ জুন, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহত হয়েছেন আরও এক মেয়র। নিহত ওই মেয়রের নাম ইয়াদ আল-মাগারি। তিনি গাজার নুসেইরাতের মেয়র ছিলেন।

এদিকে গাজা ভূখণ্ডজুড়ে ইসরায়েলের লাগামহীন হামলা অব্যাহত রয়েছে। এসব হামলায় ঘটছে প্রাণহানির ঘটনাও। শুক্রবার (৭ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, মধ্য গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে পাঁচজন নিহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে নুসেইরাতের জনপ্রিয় মেয়র ইয়াদ আল-মাগারিও রয়েছেন। পৌরসভা দপ্তরে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে তারা প্রাণ হারান। 

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের চেয়ারম্যান রামি আবদুল নিহত আল-মাগারিকে ‘গাজা উপত্যকার সবচেয়ে সক্রিয় মেয়রদের একজন’ বলে অভিহিত করেছেন।

এছাড়া গাজার মিডিয়া অফিস নুসেইরাতের মেয়রকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। প্রেস অফিস এক বিবৃতিতে নুসেইরাতের মেয়র ইয়াদ আহমেদ আল-মাগারির হত্যাকাণ্ডকে ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির লক্ষ্যে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-মাগারি ‘নিজের দায়িত্ব ও কাজের প্রতি অনুগত ও নিবেদিত’ ছিলেন এবং যুদ্ধের শুরু থেকে পুরোটা সময়জুড়ে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের লোকদের সহায়তায় নিযুক্ত ছিলেন।

এর আগে ইসরায়েলি হামলায় দক্ষিণাঞ্চলীয় আজ-জাহরা এবং মধ্য গাজার মাগাজি পৌরসভার মেয়রও নিহত হয়েছিলেন। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজাজুড়ে বেশ কয়েকটি পৌরসভার সদর দপ্তরও ধ্বংস হয়ে গেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি হামলায় নিহত মেয়ররা ছিলেন পরিশ্রমী ও বিরতিহীন সেবার বিশ্বস্ত উদাহরণ।’

এদিকে মধ্য গাজার মাগাজি শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় চারজন নিহত এবং আরও ছয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।

অন্যদিকে গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৬৫৪ জনে পৌঁছেছে বলে বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৩ হাজার ৩০৯ জন আহত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৬৮ জন নিহত হয়েছেন বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।


গাজা   ইসরায়েল   হামলা   নিহত  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন