ইনসাইড বাংলাদেশ

হাত বদলেই দাম দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারে সাধারণ মরিয়ম খেজুরের দাম ৪৪০ টাকা। সেই খেজুর কারওয়ান বাজারে দ্বিগুণের বেশি, আর রামপুরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন গুণের বেশি দামে। মহাখালীতে এই খেজুরের দাম পৌঁছেছে এক লাফে চার গুণে। বাদামতলী বাজারের ১৮০ টাকা কেজির লাল আপেল কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। শুধু খেজুর ও লাল আপেলই নয়, এভাবেই হাত বদল হয়ে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ থেকে চার গুণ হয়ে যায় ফলের দাম। রমজানকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পকেট কাটছে ক্রেতার। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ফল। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বাদামতলী, যাত্রাবাড়ীর পাইকারি বাজার এবং কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মিরপুর-১০ ও মিরপুর সাড়ে এগারো খুচরা বাজার ঘুরে তুলে এনেছেন ফলের দামের এই আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

গতকাল বাদামতলী পাইকারি বাজারে লাল আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮০ টাকায়। সেই লাল আপেল কারওয়ানবাজারে ৩২০ টাকা, রামপুরা বাজারে ২৯০ টাকা, মিরপুরে ৩০০ টাকা, মহাখালী কাঁচাবাজারে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ও বাদামতলী বাজারে ৫-৭ কেজি ওজনের ২০০ টাকার তরমুজ অন্যান্য বাজার ও অলিগলিতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। বাদামতলীতে মাল্টা বিক্রি হতে দেখা যায় ২১২ টাকা। সেই মাল্টা রামপুরায় ৩৪০-৩৬০, মহাখালী কাঁচা বাজারে ৩২০-৩৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে ৩৪০, মিরপুরে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এসব ফলের বেশি চাহিদা থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া তরমুজ, মাল্টা, আঙ্গুর, আনার, আনারস, বরই, পেয়ারা, কলা, লেবু, পেঁপে, বেল, কমলা, নাশপাতিসহ বিভিন্ন ফলের দাম দ্বিগুণ থেকে চার গুণ বিক্রি হতে দেখা যায়।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে তরমুজের দামের পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী জানান, ‘একটি তরমুজ আড়ত থেকে দোকান পর্যন্ত পৌঁছতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হয়। সে ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার তরমুজ খুচরা বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি পিসে ৭০ টাকা লাভ থাকে। এর চেয়ে বেশি লাভ করা ক্রেতাদের সঙ্গে জুলুম করার সমান।’ রামপুরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মোকামে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তাছাড়া ভ্যান ভাড়া, কর্মচারীর বিল, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। সে কারণে ফলের দাম খুচরা বাজারে একটু বেশি।’

বাদামতলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাল আপেল ২০ কেজির দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি প্রায় ১৮০ টাকা। ভুটানের কমলা ৯ কেজির দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১০ টাকা। বড় সাইজের ১০ কেজি চায়না কমলা ২ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ২১০ টাকা। মাল্টা ১৬ কেজির ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১২ টাকা। দেশি কমলা ২৮ কেজির দাম ৪৮০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ১৭২ টাকা। সবুজ আপেল ১৮ কেজি ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৭৫ টাকা। নাশপাতি ৯ কেজি ২ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২২ টাকা। সবুজ আঙ্গুর ২০ কেজির দাম ৪ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২৫ টাকা। কালো আঙ্গুর ১০ কেজি ৩ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৩৪০ টাকা। পেয়ারা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। বড় আনার ২০ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। সফেদা বড় সাইজের ৭০ টাকা কেজি। তরমুজ মাঝারি সাইজের ১০০ পিস ২৫ হাজার টাকা। আর প্রতি পিসের দাম হয় ২৫০ টাকা। বড় সাইজের তরমুজ ১০০ পিসের দাম ৩৫ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি পিসের দাম প্রায় ৩৫০ টাকা। বাদামতলী খেজুরের বাজারে দেখা যায়, বস্তা খেজুর ৪০ কেজি ৬ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা। দাবাস ১০ কেজির খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। নাগাল ৫ কেজির দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। মরিয়ম ৫ কেজির দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। ছড়া খেজুর ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মাসরুক ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। চুক্কারি ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজির ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মেডজুল ৫ কেজি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম হয় ১৫০০ টাকা। বড় মরিয়ম ৫ কেজি ৪ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯২০ টাকা। মাসদুর ৫ কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৮৪০ টাকা। কালনী ৩ কেজি ২ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯০০ টাকা। আজোয়া ৫ কেজি ৫ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৬০ টাকা করে। মাব্রুম ৫ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। বারনি খেজুর ১০ কেজি ৩ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩১০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজি ২ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা। কালমি ৫ কেজি ৪ হাজার ৭০০ টাকা প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা। জিহাদি ১০ কেজি ২ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। লুলু ৫ কেজি ৩ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৯০ টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি কেজি ৪৬০ টাকা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ৮ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা পিস। ৫ থেকে ৮ কেজি ওজনের মাঝারি তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এই বাজারে ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের ছোট তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এই আড়তের মক্কা-মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ে একই ধরনের দাম দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ীর এই পাইকারি ফলবাজারে আনারস আকার ভেদে ২০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখানকার রিজভী ফল ভান্ডারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে গতকাল। এ ছাড়া পেঁপে আকার ভেদে ৭০ থেকে ১২০ কেজি, বাঙ্গি আকার ভেদে ৮০ থেকে ১২০ পিস এবং বেল আকার ভেদে ২০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস দরে পাইকারি বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা হিসেবে সাধারণ মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, লাল আপেল ২৫০, মাল্টা ৩৬০, সবুজ আপেল ৩৪০, দেশি কমলা ২৮০, আনার ৩৬০, আঙ্গুর ২৫০ ও পেয়ারা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। পাকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। দেড় কেজির বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রাঙামাটি থেকে আনা মাঝারি আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস হিসেবে। বড়মানের প্রতিটি বেল বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি ডজন চাম্পা কলা ৭৫ টাকা, সবরি ১২০ টাকা, বাংলা ১০০ টাকা ও সাগর কলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। বড় মানের বরই পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেয়ারা ১২০ টাকা, বড় ড্রাগন ৫০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩০০ টাকা, লাল (গালা) আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি কমলা পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। দক্ষিণ আফ্রিকার কমলা ২৮০ টাকায় কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাল্টা ৩২০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ৩৮০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ভালোমানের (কাশ্মীরি) ডালিম ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায় (বড় সাইজ)। মেডজুল মাঝারি সাইজ ১ হাজার ৪০০ টাকা, আম্বার ১ হাজার টাকা, কালমি ৯৫০ টাকা ও মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ফলপট্টির বাজার এবং মিরপুর সাড়ে এগারো ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১ কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১ শ টাকায়, যা বাদামতলী ফলের আড়তে ৪৪০ টাকা। অর্থাৎ ৬৬০ টাকা বেশি। মিরপুরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পিস হিসেবে এখানে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আর বাদামতলীতে মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকায়। মিরপুরের ফল বাজারে দেশি পেঁপে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায়। আর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে তা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। আর মিরপুরে বাঙ্গি বড় আকারের প্রতিটি ৩০০ টাকা বিক্রি হয় যা যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ২১০-২২০ টাকা বেশি। মিরপুরে আনারস প্রতিটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮ টাকা থেকে ২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় ৬০ থেকে ৬২ টাকা বেশি। মিরপুরে বড় বেল প্রতিটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর যাত্রাবাড়ীতে প্রতিটি বিক্রি হয় ২০ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আপেল প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। আর বাদামতলীতে প্রতি কেজির দাম ২৭৫ টাকা। অর্থাৎ ৪৫ টাকা বেশি। মিরপুরে লাল আপেল কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। বাদামতলীতে লাল আপেলের দাম ১৮০ টাকা। অর্থাৎ ১২০ টাকা বেশি। মিরপুরে চায়না কমলা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১০ টাকা। অর্থাৎ ৭০ টাকা বেশি। মিরপুরে মাল্টা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১২ টাকা। অর্থাৎ ১৩৮ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আঙ্গুর ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি। আর বাদামতলীতে ২২৫ টাকা। অর্থাৎ ১৩৫ টাকা বেশি। মিরপুরে কালো আঙ্গুর প্রতি কেজি সাড়ে ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ ১১০ টাকা বেশি। মিরপুরে নাশপাতি কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২২২ টাকা। অর্থাৎ ৭৮ টাকা বেশি। মিরপুরে আনার প্রতি কেজি (বড়) ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৫০ টাকা বেশি।

রামপুরা বাজারের বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা পিস। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০ টাকা হালি, চাম্পা কলা ২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১২০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড় ৬০-৭০ টাকা হালি। পেয়ারা ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৬০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। কাঁচা আম ২৫০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ৩০০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৯০ টাকা। দেশি কমলা ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৫০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। সফেদা ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা বলেন, ‘বিক্রেতাদের ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের ফল দিয়ে ইফতারি করার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বাজার মনিটরিং করার কথা বললেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। ফলে পাইকারি বাজার থেকে হাত বদল হলেই দাম দিগুণ থেকে তিন গুণ হচ্ছে।’ উপরোক্ত পণ্যের অনেকগুলোই রামপুরা বাজার সংলগ্ম রাস্তায় অথবা অলিগলিতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানে প্রত্যেক জিনিসের দাম কিছুটা কম। ভ্যানের ফল বিক্রেতা সাদিক বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। কম লাভেই বিক্রি করি। ভ্যানে ফল বিক্রি করলেও স্থান লাইনম্যানদের টাকা দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

মহাখালী বাজারে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১২০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০-৬৫ টাকা হালি, চাম্পা কলা ১৫-২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১১০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড়টা ৬০-৮০ টাকা হালি। পেয়ারা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৫০-৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৮০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ৪০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা। কাঁচা আম ২৪০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ২৯০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৮০ টাকা। দেশি কমলা ২১০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩৪০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৪০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০-৩৪০ টাকা। সফেদা ১৪০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি। মহাখালী কাঁচাবাজারের এনাম আবেদীন  বলেন, আমরা নির্ধারিত দামেই ফল বিক্রি করছি। বাড়তি কোনো দাম রাখা হচ্ছে না। মোকামের চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করছি।


রাজধানী   বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়রের সামনেই কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করলেন আলোচিত সেই চামেলী

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আলোচনায় এসেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। এবার ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর সামনেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেছেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) নগর ভবনে ডিএসসিসির বোর্ড সভায় এমন ঘটনা ঘটে। বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পেছন থেকে এসে এভাবে মারবে বুঝতে পারিনি। আমি হতভম্ব!

আপনার প্রতি এমন আক্রশের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। এটা পারিবারিক শিক্ষার অভাব। একটা বোর্ড সভায় যেখানে মেয়র মহোদয় উপস্থিত সেখানে এরকম ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমি কোনো কথা বলিনি।’

ঘটনা সম্পর্কে সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাকসানা ইসলাম চামেলী বলেন, ‘আমি তো বোর্ড সভায় ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। কেউ যদি প্রচার করে তাহলে সেই ভালো মন্দ বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।’ 

কাউন্সিলর রতনের গায়ে আপনি হাত তুলেছেন নাকি সেই আপনার গায়ে হাত তুলেছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বলতে পারব না।’

বোর্ড সভায় উপস্থিত আরও একজন কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি ভেতরে প্রবেশ করেই দেখি এমন কাণ্ড। এটা দুঃখজনক। মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতি একজন কাউন্সিলর আর একজন কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তাদের ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব থাকলে সেটা বাইরে গিয়ে করতে পারতো। আমরা লজ্জিত।’

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। 

কাউন্সিলর   রোকসানা ইসলাম চামেলী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। 

সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও‌য়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নি‌য়ে এক‌টি প্রেস রি‌লিজ প্রকাশ ক‌রে‌ছে।

পেনি ওং ব‌লেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।

অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।

তি‌নি ব‌লেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি।

পে‌নি ওং ব‌লেন, একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে বলেও আশা রাখছি।

পে‌নি আরও ব‌লেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার আশা ব্যক্ত করছি।

তি‌নি ব‌লেন, আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র। 


অস্ট্রেলিয়া   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ঢাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরে হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথ আটকে বাজারে ঘুরে ঘুরে দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন। হাতির পিঠে বসা যুবক হাতি নিয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির সামনে। দোকানি যতক্ষণ র্পযন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। 

এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়, রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে অভিনব কায়দায় টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইছেন।

সোমবার (২০ মে ) দুপুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের নয়ানী বাজারে হাতি দিয়ে রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে
হুংকার দেয়। তখন দোকানদার গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।

হাতির পিঠে ওঠা ওই যুবকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে, সে নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে শেরপুর পৌর পার্কের বানিজ্য মেলায় আসা দা স্টার সার্কাসে আনা হাতি দিয়ে চাঁদা ওঠানো হচ্ছে।

নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নন্দন কুমার বলেন, হঠাৎ করেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। টাকা দেয়া বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। টাকা না দিলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বেচা-কেনায় ঝামেলা হয়। এই এলাকাটির রাস্তা এমনিতেই সরু। সব সময় জানজট লেগেই থাকে। তার উপর আবার এই ঐরাবতের ঝামেলা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রহিম মাওলা নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাতিটি শুঁড় এগিয়ে দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইলো। টাকা দেইনি তাই সামনে থেকে আর সরে না। বিকট শব্দে শুঁড় নাড়াচাড়া করার পর ভয়েই টাকা দিতে বাধ্য হলাম।

হাতির পিঠে বসা যুবককে প্রশ্ন করলে বলেন, এখন সার্কাস আগের মতো নাই। আমাদের উপার্জন কমে গেছে। হাতি লালন পালন করতে অনেক টাকা খরচ লাগে। হাতি রেখে অন্য পেশায় যেতেও পারি না। তাই মাঝেমধ্যেই খাবার খরচ যোগাতে বের হতে হয়।

এছাড়াও তার দাবি এই প্রাণী দেখে অনেকে আগ্রহী হয়েই দশ-বিশ টাকা দেয়। এছাড়াও এই হাতী শিশুদের আনন্দ দেয় ক্ষতি করেনা। অনেক সময় আমরা শিশুদের হাতীর পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেই।

ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এর আগে এখন ঘটনার কথা শুনিনি। তবে এরপর আবারও যদি আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চাঁদাবাজি   হাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাজারে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাজার তদারকিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

সোমবার (২০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এক ডিমের দামই ১৪ টাকা

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোরালোভাবে হয় এবং ভালোভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে পণ্য সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে। 

'কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে, সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য কঠোরভাবে যেন বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।' 

ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তার একটা প্রভাব বাজারে এরইমধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ে নজর দেওয়ার বিষয়টি কতটা যুক্তিসংগত- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এই প্রশ্নটা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে করুন। আমি আপনাদের কমিউনিকেট করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাটা। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে একটু কাজ করতে দেন। তারপর ওনাকে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করুন। তাহলে হয়ত কিছু জানতে পারবেন।


বাজার   তদারকি   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে চলতি বছরই

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রমত্তা যমুনার বুকে এক রেখায় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির ৪৯টি স্প্যানের সব বসে যাওয়ার পর গত মাসেই সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটা দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় চলছে সংযোগের কাজ। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বাকি কর্মযজ্ঞ।

 

এরই মধ্যে সেতুতে দেড় কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর আগামী আগস্টে সেতুটিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে। এর পরই প্রমত্তা যমুনার বুকে ছুটবে দ্রুতগতির ট্রেন।

ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার পর বাড়বে রেলের সক্ষমতা। সেতুটির মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল রেল ও পশ্চিমাঞ্চল রেল নতুন আঙ্গিকে যুক্ত হবে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাকি কাজ শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা। সেহেতু রেললাইন বসানো, বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশন নির্মাণসহ সব ধরনের কাজই সমানতালে এগিয়ে চলেছে। সেতুর দুই পারের ১৩ কিলোমিটার সংযোগ রেললাইনের অর্ধেক এরই মধ্যে বসে গেছে।

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানো শুরু হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের বর্তমান অবস্থা পাল্টে যাবে। মূলত যমুনা নদী রেলওয়ের দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে রেখেছিল।বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পূর্বাংশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম পর্যন্ত এলাকা পূর্বাঞ্চল। আর সেতুর পশ্চিমাংশ থেকে রাজশাহী, খুলনাসহ পশ্চিমাঞ্চল।

 

এই দুই অঞ্চলের রেললাইনের ধরন আলাদা। পূর্বাঞ্চলের রেললাইনের প্রায় পুরোটায় মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো প্রস্থে ছোট হওয়ায় রেললাইনগুলোও সরু। আর পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বেশির ভাগ চলাচল করে ব্রড গেজ ট্রেন। ফলে রেললাইনও বড়।

 

বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে রয়েছে এক লাইনের রেল ট্র্যাক। এই লাইন দিয়ে খুব ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। পূর্ব স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়লে পশ্চিম স্টেশনের ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়াল গেজ রেল সেতু। সেতুটি দিয়ে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে অন্য পারে আর ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

 

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ চালু হয়। সেতুটির ওপর দিয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগও নেই। সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। ফলে বেশি ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

 

রেলের তথ্য মতে, বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালু হলে দিনে চলবে ৮৮টি ট্রেন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে নতুন এই রেল সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে সময়ও বাঁচার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের সময় প্রায় ৩৫ মিনিট কমে আসবে।

 

একই সঙ্গে নতুন সেতুটি সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে।'

 

২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও মূল কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। দুই ভাগে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

 

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬২.৫ শতাংশ।

 

সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৫০টিই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই ৫০টি খুঁটির মধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি আর পূর্বাঞ্চলে ২৭টি খুঁটির অবস্থান।

 

যমুনা নদীর ওপর রেলপথ পুরনো হলেও নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩০ কিলোমিটার রেললাইন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হচ্ছে ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনের মূল সেতুটি। এর সঙ্গে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে দশমিক ০৫ কিলোমিটার সংযোগ সেতু, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে সংযোগ বাঁধ এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।'

 

জানতে চাইলে পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই রেল সেতু দেশের রেল ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। কারণ, যমুনা নদী রেল ব্যবস্থাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখন ডুয়াল গেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে।’

 

প্রসঙ্গত, নতুন রেল সেতুটি নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। প্রথম সংশোধনীর পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২.৪০ শতাংশ।'


বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু   দৃশ্যমান   কাজের অগ্রগতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন