ইনসাইড বাংলাদেশ

হাত বদলেই দাম দ্বিগুণ

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ২০ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

রাজধানীর বাদামতলী পাইকারি বাজারে সাধারণ মরিয়ম খেজুরের দাম ৪৪০ টাকা। সেই খেজুর কারওয়ান বাজারে দ্বিগুণের বেশি, আর রামপুরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে তিন গুণের বেশি দামে। মহাখালীতে এই খেজুরের দাম পৌঁছেছে এক লাফে চার গুণে। বাদামতলী বাজারের ১৮০ টাকা কেজির লাল আপেল কারওয়ান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকায়। শুধু খেজুর ও লাল আপেলই নয়, এভাবেই হাত বদল হয়ে পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে দ্বিগুণ থেকে চার গুণ হয়ে যায় ফলের দাম। রমজানকে পুঁজি করে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পকেট কাটছে ক্রেতার। নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে ফল। গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানীর বাদামতলী, যাত্রাবাড়ীর পাইকারি বাজার এবং কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মহাখালী, মিরপুর-১০ ও মিরপুর সাড়ে এগারো খুচরা বাজার ঘুরে তুলে এনেছেন ফলের দামের এই আকাশ-পাতাল পার্থক্য।

গতকাল বাদামতলী পাইকারি বাজারে লাল আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা যায় ১৮০ টাকায়। সেই লাল আপেল কারওয়ানবাজারে ৩২০ টাকা, রামপুরা বাজারে ২৯০ টাকা, মিরপুরে ৩০০ টাকা, মহাখালী কাঁচাবাজারে ২৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ী ও বাদামতলী বাজারে ৫-৭ কেজি ওজনের ২০০ টাকার তরমুজ অন্যান্য বাজার ও অলিগলিতে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা থেকে ১১০ টাকায়। বাদামতলীতে মাল্টা বিক্রি হতে দেখা যায় ২১২ টাকা। সেই মাল্টা রামপুরায় ৩৪০-৩৬০, মহাখালী কাঁচা বাজারে ৩২০-৩৪০ টাকা, কারওয়ান বাজারে ৩৪০, মিরপুরে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসে এসব ফলের বেশি চাহিদা থাকায় নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের। এ ছাড়া তরমুজ, মাল্টা, আঙ্গুর, আনার, আনারস, বরই, পেয়ারা, কলা, লেবু, পেঁপে, বেল, কমলা, নাশপাতিসহ বিভিন্ন ফলের দাম দ্বিগুণ থেকে চার গুণ বিক্রি হতে দেখা যায়।

পাইকারি ও খুচরা বাজারে তরমুজের দামের পার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে যাত্রাবাড়ীর বাণিজ্যালয়ের স্বত্বাধিকারী জানান, ‘একটি তরমুজ আড়ত থেকে দোকান পর্যন্ত পৌঁছতে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা খরচ হয়। সে ক্ষেত্রে ৩০০ টাকার তরমুজ খুচরা বাজারে ৪০০ টাকায় বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতাদের প্রতি পিসে ৭০ টাকা লাভ থাকে। এর চেয়ে বেশি লাভ করা ক্রেতাদের সঙ্গে জুলুম করার সমান।’ রামপুরা বাজারের খুচরা বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মোকামে জিনিসপত্রের দাম বেশি। তাছাড়া ভ্যান ভাড়া, কর্মচারীর বিল, বিভিন্ন জায়গায় চাঁদা দিতে হয়। সে কারণে ফলের দাম খুচরা বাজারে একটু বেশি।’

বাদামতলী বাজার ঘুরে দেখা যায়, লাল আপেল ২০ কেজির দাম ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা। সে হিসেবে প্রতি কেজি প্রায় ১৮০ টাকা। ভুটানের কমলা ৯ কেজির দাম ১ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১০ টাকা। বড় সাইজের ১০ কেজি চায়না কমলা ২ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ২১০ টাকা। মাল্টা ১৬ কেজির ৩ হাজার ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। প্রতি কেজি পড়ে ২১২ টাকা। দেশি কমলা ২৮ কেজির দাম ৪৮০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম পড়ে ১৭২ টাকা। সবুজ আপেল ১৮ কেজি ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম প্রায় ২৭৫ টাকা। নাশপাতি ৯ কেজি ২ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২২ টাকা। সবুজ আঙ্গুর ২০ কেজির দাম ৪ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ২২৫ টাকা। কালো আঙ্গুর ১০ কেজি ৩ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৩৪০ টাকা। পেয়ারা ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি। বড় আনার ২০ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ২৫০ টাকা। সফেদা বড় সাইজের ৭০ টাকা কেজি। তরমুজ মাঝারি সাইজের ১০০ পিস ২৫ হাজার টাকা। আর প্রতি পিসের দাম হয় ২৫০ টাকা। বড় সাইজের তরমুজ ১০০ পিসের দাম ৩৫ হাজার টাকা। সেই হিসেবে প্রতি পিসের দাম প্রায় ৩৫০ টাকা। বাদামতলী খেজুরের বাজারে দেখা যায়, বস্তা খেজুর ৪০ কেজি ৬ হাজার টাকা। আর প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা। দাবাস ১০ কেজির খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা করে। নাগাল ৫ কেজির দাম ১ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। মরিয়ম ৫ কেজির দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। ছড়া খেজুর ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মাসরুক ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। চুক্কারি ৫ কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজির ২ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৫০০ টাকা। মেডজুল ৫ কেজি ৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম হয় ১৫০০ টাকা। বড় মরিয়ম ৫ কেজি ৪ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯২০ টাকা। মাসদুর ৫ কেজি ৪ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৮৪০ টাকা। কালনী ৩ কেজি ২ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৯০০ টাকা। আজোয়া ৫ কেজি ৫ হাজার ৩০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার ৬০ টাকা করে। মাব্রুম ৫ কেজি ৫ হাজার টাকা। প্রতি কেজির দাম ১ হাজার টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা। প্রতি কেজির দাম ৪৪০ টাকা। বারনি খেজুর ১০ কেজি ৩ হাজার ১০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩১০ টাকা। ফরিদা ৫ কেজি ২ হাজার ৮০০ টাকা। প্রতি কেজি ৫৬০ টাকা। কালমি ৫ কেজি ৪ হাজার ৭০০ টাকা প্রতি কেজি ৯৪০ টাকা। জিহাদি ১০ কেজি ২ হাজার ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি ২৬০ টাকা। লুলু ৫ কেজি ৩ হাজার ৯০০ টাকা। প্রতি কেজি ৩৯০ টাকা। আলজেরিয়া ৫ কেজি ২ হাজার ৩০০ টাকা প্রতি কেজি ৪৬০ টাকা।

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ৮ থেকে ১২ কেজি ওজনের বড় তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা পিস। ৫ থেকে ৮ কেজি ওজনের মাঝারি তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। এই বাজারে ৩ থেকে ৫ কেজি ওজনের ছোট তরমুজ প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা দরে। এই আড়তের মক্কা-মদিনা এন্টারপ্রাইজ ও ভাই ভাই বাণিজ্যালয়ে একই ধরনের দাম দেখা গেছে। যাত্রাবাড়ীর এই পাইকারি ফলবাজারে আনারস আকার ভেদে ২০ টাকা প্রতি পিস বিক্রি করতে দেখা গেছে। এখানকার রিজভী ফল ভান্ডারে প্রতি কেজি পেয়ারা ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে গতকাল। এ ছাড়া পেঁপে আকার ভেদে ৭০ থেকে ১২০ কেজি, বাঙ্গি আকার ভেদে ৮০ থেকে ১২০ পিস এবং বেল আকার ভেদে ২০ টাকা থেকে ৮০ টাকা প্রতি পিস দরে পাইকারি বিক্রি করতে দেখা গেছে। খুচরা হিসেবে সাধারণ মরিয়ম খেজুর প্রতি কেজি ১ হাজার টাকা, লাল আপেল ২৫০, মাল্টা ৩৬০, সবুজ আপেল ৩৪০, দেশি কমলা ২৮০, আনার ৩৬০, আঙ্গুর ২৫০ ও পেয়ারা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ানবাজারে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। পাকা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসেবে। প্রতি কেজির দাম নেওয়া হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। দেড় কেজির বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। রাঙামাটি থেকে আনা মাঝারি আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা পিস হিসেবে। বড়মানের প্রতিটি বেল বিক্রি করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। প্রতি ডজন চাম্পা কলা ৭৫ টাকা, সবরি ১২০ টাকা, বাংলা ১০০ টাকা ও সাগর কলা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। বড় মানের বরই পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। প্রতি হালি লেবু বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। পেয়ারা ১২০ টাকা, বড় ড্রাগন ৫০০ টাকা, সবুজ আপেল ৩০০ টাকা, লাল (গালা) আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দেশি কমলা পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। দক্ষিণ আফ্রিকার কমলা ২৮০ টাকায় কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মাল্টা ৩২০ টাকা, সাদা আঙ্গুর ৩৮০ টাকা, কালো আঙ্গুর ৪০০ টাকা, নাশপাতি ২৮০ টাকা, সফেদা ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ভালোমানের (কাশ্মীরি) ডালিম ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভালোমানের মেডজুল খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকায় (বড় সাইজ)। মেডজুল মাঝারি সাইজ ১ হাজার ৪০০ টাকা, আম্বার ১ হাজার টাকা, কালমি ৯৫০ টাকা ও মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বর ফলপট্টির বাজার এবং মিরপুর সাড়ে এগারো ফল বাজার ঘুরে দেখা যায়, ১ কেজি মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১১ শ টাকায়, যা বাদামতলী ফলের আড়তে ৪৪০ টাকা। অর্থাৎ ৬৬০ টাকা বেশি। মিরপুরে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। পিস হিসেবে এখানে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি। আর বাদামতলীতে মাঝারি সাইজের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৮৩ টাকায়। মিরপুরের ফল বাজারে দেশি পেঁপে প্রতি কেজি ১৭০ টাকায়। আর যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে তা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১২০ টাকায়। অর্থাৎ ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেশি। আর মিরপুরে বাঙ্গি বড় আকারের প্রতিটি ৩০০ টাকা বিক্রি হয় যা যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। ২১০-২২০ টাকা বেশি। মিরপুরে আনারস প্রতিটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে বিক্রি হয় ৮ টাকা থেকে ২০ টাকায়। অর্থাৎ প্রায় ৬০ থেকে ৬২ টাকা বেশি। মিরপুরে বড় বেল প্রতিটি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। আর যাত্রাবাড়ীতে প্রতিটি বিক্রি হয় ২০ থেকে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ ৭০ থেকে ৮০ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আপেল প্রতি কেজি ৩২০ টাকা। আর বাদামতলীতে প্রতি কেজির দাম ২৭৫ টাকা। অর্থাৎ ৪৫ টাকা বেশি। মিরপুরে লাল আপেল কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। বাদামতলীতে লাল আপেলের দাম ১৮০ টাকা। অর্থাৎ ১২০ টাকা বেশি। মিরপুরে চায়না কমলা প্রতি কেজি ২৮০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১০ টাকা। অর্থাৎ ৭০ টাকা বেশি। মিরপুরে মাল্টা প্রতি কেজি ৩৫০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২১২ টাকা। অর্থাৎ ১৩৮ টাকা বেশি। মিরপুরে সবুজ আঙ্গুর ৩৬০ টাকা প্রতি কেজি। আর বাদামতলীতে ২২৫ টাকা। অর্থাৎ ১৩৫ টাকা বেশি। মিরপুরে কালো আঙ্গুর প্রতি কেজি সাড়ে ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ৩৪০ টাকা। অর্থাৎ ১১০ টাকা বেশি। মিরপুরে নাশপাতি কেজি প্রতি ৩০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২২২ টাকা। অর্থাৎ ৭৮ টাকা বেশি। মিরপুরে আনার প্রতি কেজি (বড়) ৪০০ টাকা। আর বাদামতলীতে ২৫০ টাকা। অর্থাৎ ১৫০ টাকা বেশি।

রামপুরা বাজারের বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা কেজি। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১০০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৬০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা পিস। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০ টাকা হালি, চাম্পা কলা ২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১২০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড় ৬০-৭০ টাকা হালি। পেয়ারা ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৬০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ২০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। কাঁচা আম ২৫০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ৩০০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৯০ টাকা। দেশি কমলা ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩২০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৫০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০ টাকা থেকে ৩৪০ টাকা। সফেদা ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি।

রামপুরা বাজারের ক্রেতা বলেন, ‘বিক্রেতাদের ইচ্ছেমতো দাম নেওয়ার কারণে নিম্ন মধ্যবিত্ত বা মধ্যবিত্তদের ফল দিয়ে ইফতারি করার আশা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা বাজার মনিটরিং করার কথা বললেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। ফলে পাইকারি বাজার থেকে হাত বদল হলেই দাম দিগুণ থেকে তিন গুণ হচ্ছে।’ উপরোক্ত পণ্যের অনেকগুলোই রামপুরা বাজার সংলগ্ম রাস্তায় অথবা অলিগলিতে ভ্যানে করে বিক্রি হচ্ছে। ভ্যানে প্রত্যেক জিনিসের দাম কিছুটা কম। ভ্যানের ফল বিক্রেতা সাদিক বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে মালামাল সংগ্রহ করি। কম লাভেই বিক্রি করি। ভ্যানে ফল বিক্রি করলেও স্থান লাইনম্যানদের টাকা দিতে হয় বলেও জানান তিনি।

মহাখালী বাজারে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে ৯০ টাকা কেজি থেকে ১২০ টাকা। বাঙ্গি পিস হিসেবে ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা। আনারস ছোট ৪০ টাকা, বড় ৭০ টাকা। বেল প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সবরি কলা ৬০-৬৫ টাকা হালি, চাম্পা কলা ১৫-২০ টাকা হালি। বরই (আপেল কুল) ১১০ টাকা। কাগজি লেবু ৪০ টাকা হালি, লেবু বড়টা ৬০-৮০ টাকা হালি। পেয়ারা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়। ড্রাগন ফল ৩৫০-৩৬০ টাকা। মরিয়ম খেজুর ১ হাজার ৮০০ টাকা, কাজুয়া খেজুর ১ হাজার ৪০০ টাকা, সাধারণ খেজুর (ভ্যানের ওপর বিক্রি) ২৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা। কাঁচা আম ২৪০ টাকা। সবুজ আপেল থেকে ২৯০ টাকা ৩২০ টাকা, লাল আপেল ২৮০ টাকা। দেশি কমলা ২১০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। ভুটানের কমলা ৩৪০ টাকা থেকে ৩৬০ টাকা। মাল্টা ৩২০ টাকা। সাদা আঙ্গুর ২৪০-২৬০ টাকা। কালো আঙ্গুর ৩৮০-৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। নাশপাতি ৩৩০-৩৪০ টাকা। সফেদা ১৪০-১৬০ টাকা কেজি। আনার বড় আকারের প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা। স্ট্রবেরি বড় ও প্যাকেটজাত ২ হাজার ২০০ টাকা কেজি। দেশি স্ট্রবেরি ২৫০ টাকা কেজি। মহাখালী কাঁচাবাজারের এনাম আবেদীন  বলেন, আমরা নির্ধারিত দামেই ফল বিক্রি করছি। বাড়তি কোনো দাম রাখা হচ্ছে না। মোকামের চেয়ে সামান্য লাভে বিক্রি করছি।


রাজধানী   বাজার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘কোন প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে কঠোরভাবে দমন করা হব’

প্রকাশ: ১০:৫৬ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। আমাদের কাছে সব প্রার্থীই সমান। কাউকে ছোট-বড় করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করবেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টকে কেন্দ্র থেকে বের না হওয়ার জন্য বলতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের শুকনো খাবার নিয়ে যেতে হবে। ভোটকেন্দ্রে সব সময় পোলিং এজেন্টদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যদি কেউ পোলিং অফিসারকে অস্ত্র-প্রদর্শন বা শারীরিক বল প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের স্বাভাবিক নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে বাধা দেয়, তাহলে তিনি সাথে সাথে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেবেন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরকে জানিয়ে উক্ত ব্যক্তি বা ব্যক্তিদেরকে গ্রেপ্তার করার জন্য সহযোগিতা চাইবেন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অনতিবিলম্বে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করবেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আরও কঠোর ও নিরপেক্ষ থাকবে প্রশাসন। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কারো কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ জাহেদুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

এছাড়াও পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. জামিল হাসান, পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, র‍্যাব-৬ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী যুবায়ের আলম, বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনসহ সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও ইন্দুরকানী উপজেলায় ইভিএমের মাধ্যমে আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


নির্বাচন কমিশনার   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

‘সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য’

প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেছেন, সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ অপরিহার্য। আজকের ছাত্রছাত্রীরাই আগামীর ভবিষ্যৎ, তারাই হবে জাতির কর্ণধার ও দেশগড়ার কারিগর। সাইবার বুলিং, সাইবার হ্যারেজমেন্ট, আনইথিক্যাল কন্টেন্ট, হ্যাকিং, ফিশিং, ম্যালওয়্যার, র‍্যানসমওয়্যার ইত্যাদি সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে আজকের ছাত্র-ছাত্রীরাই আগামীতে ফ্রন্টলাইন ফাইটার হিসেবে কাজ করবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ‘স্টুডেন্টস এনগেজমেন্ট টু কমব্যাট সাইবারক্রাইম’ শীর্ষক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৯১ জন, বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে ৫৩ জন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০ জন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ জন, উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ জন, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২২ জন ও গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জনসহ মোট ২৪৭ জন ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড অপস বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার (পদোন্নতিতে অ্যাডিশনাল ডিআইজি) তৌহিদুল ইসলাম, ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিজিটাল ফরেনসিক বিভাগের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শামসুল হক, প্রশ্নোত্তর পর্বে মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন আইএনটিআই ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার সহযোগী অধ্যাপক ড. খান সরফরাজ আলী। সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি (অ্যাডমিন ও ফরেনসিক) তানভীর হায়দার চৌধুরী সভাপতি হিসেবে সমাপনী বক্তব্য দেন।

তরুণ প্রজন্ম তথা শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল সচেতনতা বাড়ানোর মাধ্যমে সাইবার অপরাধ নিবারণে সক্রিয় হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানান সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সেমিনারের প্রশ্নোত্তর ও উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে তরুণ শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সাইবার অপরাধ সম্পর্কে নিজেদের সমৃদ্ধ করেন ও তাদের মতামত প্রকাশ করেন। সেমিনার শেষে প্রধান অতিথি অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সনদ প্রদান করেন এবং শিক্ষার্থীরা সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবগুলো পরিদর্শন করেন।

সেমিনারে সোশ্যাল মিডিয়াসহ ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারে নানা ধরনের জালিয়াতি, আর্থিক অপরাধ, সাইবার অপরাধ, সাইবার চাঁদাবাজি, মাদক পাচার, অর্থ পাচার, নানা ধরনের প্রতারণার ফাঁদ ও হ্যাকিং নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম, তথ্য শেয়ারিং ও নিজ নিজ জায়গা থেকে চেঞ্জ মেকার হিসেবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।


সিআইডি   অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রতিদ্বন্দ্বীর এজেন্টদের হুমকি, আওয়ামী লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১০:১১ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এজেন্ট কেন্দ্রে ঢুকলে হাত-দাঁত ও চাপার হাড্ডি ভেঙে যমুনা নদীতে ফেলে দেওয়ার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং সুজাত আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুল হাসান সাইদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে দুজন কর্মী যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি উস্কানিমূলক ও হুমকিস্বরূপ। যা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

একই সঙ্গে হুমকিদাতা দুজনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন সরিষাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন। শনিবার দুপুরে পুলিশ সাইদুল হাসান সাইদ ও খন্দকার মোতাহার হোসেন জয়কে গ্রেফতার করে।


এজেন্ট   হুমকি   আওয়ামী লীগ   গ্রেপ্তার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত

প্রকাশ: ১০:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার ছয়টি দেশে ৯৯ হাজার ১৫০ টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার। যেসব দেশে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে, সেসব দেশ হলো সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস এবং শ্রীলঙ্কা। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে, সেই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের বছর তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দেশটিতে খরিপ ও রবিশস্যের উৎপাদন কম হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির সরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কিছু দেশে নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে। দেশগুলোর অনুরোধের ভিত্তিতে ভারতের সরকার নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  

দেশটির এই সংবাদমাধ্যম বলছে, রপ্তানির জন্য দেশীয় উৎপাদকদের কাছ থেকে পেঁয়াজ সংগ্রহ করা হবে। ভারতের বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদন ও রপ্তানির প্রধান সরবরাহকারী মহারাষ্ট্র প্রদেশ। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতেও পেঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এর আগে, গত ১ মার্চ বাংলাদেশে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেডের (এনসিইএল) মাধ্যমে এই পেঁয়াজ বাংলাদেশে রপ্তানি করার কথা জানানো হয়।

ওই সময় ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের দপ্তরের (ডিজিএফটি) (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভোক্তা বিষয়কবিভাগের সাথে পরামর্শ করে পেঁয়াজ রপ্তানির রূপরেখা তৈরি করবে এনসিইএল।

বিশ্ব বাজারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পেঁয়াজ রপ্তানিকারক ভারত। গত বছরের ডিসেম্বরে স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে দেশটির সরকার। জাতীয় নির্বাচনের আগে ভারতের বাজারে ক্রমবর্ধমান মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ ও পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে দ্বিতীয় দফায় ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ায় দেশটি।

রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে দেশটির সরকার প্রথমে পেঁয়াজের ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। ওই সময় দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘‘দেশের বাজারে সরবরাহ বৃৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।’’

তারপরও আশানুরূপ ফল না মেলায় পেঁয়াজের রপ্তানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে ভারত। সেসময় বলা হয়, পেঁয়াজ রপ্তানির এই নিষেধাজ্ঞা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দেশটির সরকার গত বছরের অক্টোবরে ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে খুচরা বাজারে ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ রূপিতে বিক্রির লক্ষ্যে মজুত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পে*য়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৪ আগস্টের মাঝে দেশটি থেকে ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হয়। বিশ্বে ভারতের পেঁয়াজের শীর্ষ তিন রপ্তানি গন্তব্য বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


বাংলাদেশ   পেঁয়াজ রপ্তানি   ভারত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কিশোর গ্যাং নেতাকে হত্যা করল আরেক গ্যাংয়ের সদস্যরা

প্রকাশ: ০৯:২২ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের পটিয়ায় রাজু হোসেন নামে এক কিশোর গ্যাং নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে আরেক কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় উপজেলার সুচক্রদন্ডী পল্লী মঙ্গল সমিতির কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কিশোর গ্যাং নেতা রাজু হোসেন রাসেল পটিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দীন

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কিশোর গ্যাং নেতা জুয়েল চৌধুরী জুলু ও তার সঙ্গীরা ডেকে নিয়ে অপর কিশোর গ্যাং নেতা রাজুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে।

ওসি জসীম উদ্দীন বলেন, হত্যাকারী জুয়েল চৌধুরী জুলুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। আর নিহত রাজু এর আগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে গুলিবিদ্ধ হয়। সেই থেকে তাকে গুলি রাজু বলেই সবাই চিনে।

পৌরসভার কাউন্সিলর প্রকৌশলী রূপক সেন বলেন, এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের বিষয়ে আমি স্থানীয় প্রশাসনকে একাধিকবার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুয়েকটি অভিযান হলেও তাদের দাপট কমেনি। ফলে এলাকার মানুষ নিরাপত্তাহীন ছিল।


কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন