ইনসাইড বাংলাদেশ

এদেশের নিকৃষ্টতম স্বৈরাচার কে?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৪ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

আজ ২৪ মার্চ। ১৯৮২ সালের এই দিনে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সেনা প্রধান থাকা অবস্থায় অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেন। একটি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে, সংবিধান স্থগিত করে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলের একটি তৃতীয় নজির স্থাপিত হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ১৯৭৫ এর পর থেকে বিভিন্ন সময় সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে, পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটেছে এবং ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে সংবিধান বহির্ভূতভাবে। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছেন তাদেরকে অবৈধ শাসক বা স্বৈরশাসক বলা যায়। 

বাংলাদেশে প্রথম অবৈধ শাসক হলো খুনী মোশতাক। ৭৫ এর ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এই হত্যা যজ্ঞের নেপথ্যের কুশীলব ছিল খুনী মোশতাক এবং জিয়াউর রহমান। ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর মোশতাক অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন এবং নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। কিন্তু বেশি দিন এই স্বৈরাচারী একনায়ক থাকতে পারেন নি। কু পাল্টা কূট ধারায় ৩ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে তাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হয়। এসময় কেন্দ্রে নিয়ে একটি টাল-মাটাল অবস্থা সৃষ্টি হয়। খালেদ মোশাররফ কয়েক দিনের জন্য সেনাপ্রধান থাকার পর এক পর্যায়ে পাল্টা অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান মসনদে আরোহণ করেন। 

জিয়াউর রহমানও ছিলেন একজন অবৈধ শাসক এবং একনায়ক। জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউজে এক সামরিক অভ্যুত্থানে নির্মমভাবে নিহত হন। তার মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হয় এবং সেই নির্বাচনে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়। কিন্তু আব্দুস সাত্তার বেশিদিন দায়িত্ব পালন করতে পারেন নি। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যিনি তৎকালীন সেনাপ্রধান ছিলেন, অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখল করেন। 

বাংলাদেশে ৯ বছর এরশাদ তার স্বৈরাচারী শাসন চালিয়েছেন এবং ৯০ এর ডিসেম্বরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এরশাদের পতন ঘটে। এরপর বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক ধারা হয়। কিন্তু ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনা সমর্থিত একটি তত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা দখল করে। যেটিও ছিল অবৈধ শাসন। কারণ সংবিধানে তত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ৯০ দিন বেঁধে দেওয়া ছিল। কিন্তু ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে সুশীলদের এই তত্বাবধায়ক সরকার ২ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেনাবাহিনীর সমর্থনে। কাজেই ড. ফখরুদ্দিনের আহমেদের সরকারকেও একটি অবৈধ, স্বৈরাচারী শাসন হিসেবেই চিহ্নিত করা যেতে পারে। 

বাংলাদেশের ইতিহাসে এই চারজন অবৈধ শাসক চিহ্নিত রয়েছেন। যাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে খুনী মোশতাক নিকৃষ্টতম। কারণ তিনি জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তবে সুপ্রীম কোর্ট খুনী মোশতাকের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। কাজেই,খুনী মোশতাক অবৈধ, একজন খুনী ছাড়া কিছুই নন। 

৭৫ এর ৭ নভেম্বর পট পরিবর্তনের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান মসনদে আসেন। জিয়াউর রহমানের ৩ বছরের কিছু বেশি সময়ের শাসন ছিল আরেকটি স্বৈরাচার। জিয়াউর রহমানকে অনেক বিচারে নিকৃষ্ট স্বৈরাচার বলা যায়। কারণ তিনি সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছিলেন। এমনকি বিচার বিভাগের স্বাধীনতাও হরণ করেছেন তার প্রতিপক্ষকে নির্মম ভাবে হত্যা করা, বিচারের নামে প্রহসন কারাগারে বন্দী করে ফাঁসি দেওয়া ছিল জিয়ার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। জিয়া ছিলেন এক পৈশাচিক একনায়ক। যিনি তার প্রতিপক্ষকে শুধু হত্যা করতেই পছন্দ করতেন। 

জিয়ার মৃত্যুর পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় আসেন। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ অবৈধ স্বৈরাচার ছিলেন বটে। তবে তিনি ছিলেন একমাত্র স্বৈরাচার যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছিলো। যদিও তার অবৈধ শাসনের মামলাটি শেষ পর্যন্ত আদালতে চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি। এমনকি জীবিত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে জেনারেল মঞ্জুর হত্যাকান্ডের মামলাটিও চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি। তবে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, জিয়া বা মোশতাকের মত নৃশংস ছিলেন না। বরং হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একজন স্বৈরাচারী হলেও একধরনের রোমন্টিকতায় আচ্ছন্ন ছিলেন। 

ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের অবৈধ শাসনে মূল চাবিকাঠি ছিল জেনারেল মঈন উ আহমেদের হাতে। তাদের একটি মহা পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এ মহা পরিকল্পনা তারা বাস্তবায়িত করতে পারেনি। এসময়ে জনগণের মধ্যেও একটি স্বৈরাচার বিরোধী একটি চেতনা তৈরী হয়েছিলো। যার জন্য ফখরুদ্দিন আহমেদ-মঈন উ আহমেদের সরকার স্বৈরাচারীর রূপে খুব একটা প্রতিহত হতে পারেনি। যদিও তার সময় দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছাত্রদেরকে নির্মম ভাবে পেটানোর ঘটনা ঘটে। এবং বিরাজনীতিকরণের নামে ব্যাপকভাবে ধড়পাকড় চলে। কিন্তু তারপরও ড. ফখরুদ্দিন জিয়া, মোশতাক বা এরশাদের চেয়ে অনেক সহনীয় একজন স্বৈরাচার হিসেবে বিবেচিত হবেন। 

স্বৈরাচার   হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ   জিয়াউর রহমান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মেয়রের সামনেই কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করলেন আলোচিত সেই চামেলী

প্রকাশ: ০৮:২৫ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

আবারও আলোচনায় এসেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। এবার ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এর সামনেই ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেছেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) নগর ভবনে ডিএসসিসির বোর্ড সভায় এমন ঘটনা ঘটে। বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন বলেন, আমি বুঝে উঠতে পারিনি। পেছন থেকে এসে এভাবে মারবে বুঝতে পারিনি। আমি হতভম্ব!

আপনার প্রতি এমন আক্রশের কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। এটা পারিবারিক শিক্ষার অভাব। একটা বোর্ড সভায় যেখানে মেয়র মহোদয় উপস্থিত সেখানে এরকম ঘটনা ঘটবে বুঝতে পারিনি। আমি কোনো কথা বলিনি।’

ঘটনা সম্পর্কে সংরক্ষিত কাউন্সিলর রাকসানা ইসলাম চামেলী বলেন, ‘আমি তো বোর্ড সভায় ছিলাম। এরকম ঘটনা ঘটেছে কিনা আমি জানি না। কেউ যদি প্রচার করে তাহলে সেই ভালো মন্দ বলতে পারবে। আমি এ বিষয়ে আর কোনো মন্তব্য করব না।’ 

কাউন্সিলর রতনের গায়ে আপনি হাত তুলেছেন নাকি সেই আপনার গায়ে হাত তুলেছে জানতে চাইলে বলেন, ‘আমি বলতে পারব না।’

বোর্ড সভায় উপস্থিত আরও একজন কাউন্সিলর বলেন, ‘আমি ভেতরে প্রবেশ করেই দেখি এমন কাণ্ড। এটা দুঃখজনক। মেয়র মহোদয়ের উপস্থিতি একজন কাউন্সিলর আর একজন কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুলতে পারেন না। তাদের ব্যক্তিগত কোন দ্বন্দ্ব থাকলে সেটা বাইরে গিয়ে করতে পারতো। আমরা লজ্জিত।’

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। 

কাউন্সিলর   রোকসানা ইসলাম চামেলী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসছেন

প্রকাশ: ০৮:২৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

মঙ্গলবার (২১ মে) দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গত তিন দশকের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর এটি। 

সোমবার (২০ মে) অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ও‌য়েবসাইটে পেনি ওং-এর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর সফর নি‌য়ে এক‌টি প্রেস রি‌লিজ প্রকাশ ক‌রে‌ছে।

পেনি ওং ব‌লেন, একটি শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে আমি এই সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করতে যাচ্ছি। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর প্রচেষ্টায় এই প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যেতে পারব।

অস্ট্রেলিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব‌লেন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ জলবায়ু পরিবর্তন, অঞ্চল-ভিত্তিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলোর বাস্তবমুখী সমাধানের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে ঢাকায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ ও বাংলাদেশ সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলোচনা করব বলে আশা রাখছি।

তি‌নি ব‌লেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যকার সম্পর্ক উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় ৫০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগণ বসবাস করেন। এর পাশাপাশি, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীদের কল্যাণ ও বাস্তবমুখী সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে প্রদেয় অস্ট্রেলিয়ান সরকারের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করতে আমি কক্সবাজার যাচ্ছি।

পে‌নি ওং ব‌লেন, একটি বৃহত্তর বৈশ্বিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়া মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে আমরা বাস্তুচ্যুতিকে মোকাবিলা ও এর দীর্ঘমেয়াদি সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী একদিন তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে পারবে বলেও আশা রাখছি।

পে‌নি আরও ব‌লেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সিঙ্গাপুরে এটি হবে আমার দ্বিতীয় সফর। এই সফরে বাণিজ্য-বিনিয়োগ, সবুজ অর্থনীতির সম্ভাবনা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাসহ পারস্পরিক বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার লক্ষ্যে আমাদের দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাবার আশা ব্যক্ত করছি।

তি‌নি ব‌লেন, আমি সিঙ্গাপুরের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লি সিয়েন লুং এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণানের সঙ্গে আলোচনা করতে যাচ্ছি। পারস্পরিক আস্থা, মর্যাদা ও কৌশলগত লক্ষ্যের ভিত্তিতে সিঙ্গাপুর আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু রাষ্ট্র। 


অস্ট্রেলিয়া   পররাষ্ট্রমন্ত্রী   ঢাকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শেরপুরে হাতি দিয়ে অভিনব কায়দায় চাঁদাবাজি

প্রকাশ: ০৬:৩৩ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

শেরপুরে হাতি দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পথ আটকে বাজারে ঘুরে ঘুরে দোকান থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে কয়েকজন। হাতির পিঠে বসা যুবক হাতি নিয়ে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে। হাতি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে শুঁড় এগিয়ে দিচ্ছে সোজা দোকানির সামনে। দোকানি যতক্ষণ র্পযন্ত শুঁড়ের মাথায় টাকা গুঁজে না দিচ্ছেন, ততক্ষণ শুঁড় তুলছে না হাতি। টাকা দিলেই শুঁড় তুলে জানাচ্ছে সালাম। 

এভাবেই প্রতি দোকান থেকে ১০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা র্পযন্ত নেয়া হচ্ছে। শুধু দোকনই নয়, রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন থামিয়েও তোলা হচ্ছে টাকা। শেরপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার থেকে অভিনব কায়দায় টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে হাতির মাধ্যমে। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চাইছেন।

সোমবার (২০ মে ) দুপুরে দেখা গেছে, পৌর শহরের নয়ানী বাজারে হাতি দিয়ে রাস্তার দুই পাশে বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে তোলা হচ্ছে টাকা। হাতি দিয়ে গাড়ি আটকিয়েও টাকা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদাবাজি থেকে বাদ পড়ছে না মোটরসাইকেল, সিএনজি অটোরিকশা চালকরাও। টাকা না দিলে হাতি বিকট শব্দে
হুংকার দেয়। তখন দোকানদার গাড়ির চালকরা ভয়ে টাকা দিতে বাধ্য হয়।

হাতির পিঠে ওঠা ওই যুবকের নাম ঠিকানা জানতে চাইলে, সে নাম ঠিকানা দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
পরে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে শেরপুর পৌর পার্কের বানিজ্য মেলায় আসা দা স্টার সার্কাসে আনা হাতি দিয়ে চাঁদা ওঠানো হচ্ছে।

নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ব্যবসায়ী নন্দন কুমার বলেন, হঠাৎ করেই হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। টাকা দেয়া বিষয়টি খুবই বিরক্তিকর। টাকা না দিলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে। বেচা-কেনায় ঝামেলা হয়। এই এলাকাটির রাস্তা এমনিতেই সরু। সব সময় জানজট লেগেই থাকে। তার উপর আবার এই ঐরাবতের ঝামেলা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

রহিম মাওলা নামের এক অটোরিকশা চালক বলেন, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাতিটি শুঁড় এগিয়ে দিয়ে আমার কাছে টাকা চাইলো। টাকা দেইনি তাই সামনে থেকে আর সরে না। বিকট শব্দে শুঁড় নাড়াচাড়া করার পর ভয়েই টাকা দিতে বাধ্য হলাম।

হাতির পিঠে বসা যুবককে প্রশ্ন করলে বলেন, এখন সার্কাস আগের মতো নাই। আমাদের উপার্জন কমে গেছে। হাতি লালন পালন করতে অনেক টাকা খরচ লাগে। হাতি রেখে অন্য পেশায় যেতেও পারি না। তাই মাঝেমধ্যেই খাবার খরচ যোগাতে বের হতে হয়।

এছাড়াও তার দাবি এই প্রাণী দেখে অনেকে আগ্রহী হয়েই দশ-বিশ টাকা দেয়। এছাড়াও এই হাতী শিশুদের আনন্দ দেয় ক্ষতি করেনা। অনেক সময় আমরা শিশুদের হাতীর পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেই।

ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এমদাদুল হক বলেন, হাতি দিয়ে চাঁদা তোলার বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। এর আগে এখন ঘটনার কথা শুনিনি। তবে এরপর আবারও যদি আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


চাঁদাবাজি   হাতি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাজারে কৃত্রিমভাবে পণ্যের দাম বাড়ানোর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বাজার তদারকির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

বাজার তদারকিতে জোর দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশনা দিয়েছেন। 

সোমবার (২০ মে) বিকেলে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

এক ডিমের দামই ১৪ টাকা

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী আজকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে কঠোরভাবে বলেছেন, বাজার মনিটরিং যেন জোরালোভাবে হয় এবং ভালোভাবে নজর দিতে বলেছেন। বাজারে পণ্য সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে। 

'কিছু কিছু পণ্যের সরবরাহ ঠিক আছে, সংকট না থাকা সত্ত্বেও বাজারে কৃত্রিম মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা দেখেছেন। সেজন্য কঠোরভাবে যেন বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্টভাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন।' 

ডলারের দাম ৭ টাকা বাড়ানো হয়েছে, তার একটা প্রভাব বাজারে এরইমধ্যে পড়েছে। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম বাড়িয়ে বাজার মনিটরিংয়ে নজর দেওয়ার বিষয়টি কতটা যুক্তিসংগত- এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, এই প্রশ্নটা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে করুন। আমি আপনাদের কমিউনিকেট করছি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনাটা। প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশ দিয়েছেন, সে বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীকে একটু কাজ করতে দেন। তারপর ওনাকে এই প্রশ্নটা জিজ্ঞেস করুন। তাহলে হয়ত কিছু জানতে পারবেন।


বাজার   তদারকি   প্রধানমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে চলতি বছরই

প্রকাশ: ০৬:০৭ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রমত্তা যমুনার বুকে এক রেখায় সম্পূর্ণ দৃশ্যমান বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু। নির্মাণাধীন সেতুটির ৪৯টি স্প্যানের সব বসে যাওয়ার পর গত মাসেই সেতুর ৪.৮ কিলোমিটারের সম্পূর্ণটা দৃশ্যমান হয়েছে। বর্তমানে কিছু জায়গায় চলছে সংযোগের কাজ। সেতু নির্মাণ প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ করে চলতি বছরের শেষ নাগাদ উদ্বোধনের প্রস্তুতির লক্ষ্যে বর্তমানে পুরোদমে এগিয়ে চলছে বাকি কর্মযজ্ঞ।

 

এরই মধ্যে সেতুতে দেড় কিলোমিটার রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। তারপর আগামী আগস্টে সেতুটিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে। এর পরই প্রমত্তা যমুনার বুকে ছুটবে দ্রুতগতির ট্রেন।

ট্রেন চলাচলের জন্য সেতুটি খুলে দেওয়ার পর বাড়বে রেলের সক্ষমতা। সেতুটির মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চল রেল ও পশ্চিমাঞ্চল রেল নতুন আঙ্গিকে যুক্ত হবে।

 

সরেজমিনে দেখা গেছে, রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বাকি কাজ শেষ করতে প্রকল্প কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন শ্রমিকরা। সেহেতু রেললাইন বসানো, বাকি অংশের সংযোগ স্থাপন, টেলিকমিউনিকেশন, স্টেশন নির্মাণসহ সব ধরনের কাজই সমানতালে এগিয়ে চলেছে। সেতুর দুই পারের ১৩ কিলোমিটার সংযোগ রেললাইনের অর্ধেক এরই মধ্যে বসে গেছে।

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সেতুর কাজ প্রায় শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানো শুরু হয়ে গেছে। আগামী ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়ে আমরা এখন কাজ করছি।’

 

বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের বর্তমান অবস্থা পাল্টে যাবে। মূলত যমুনা নদী রেলওয়ের দুই অঞ্চলকে বিভক্ত করে রেখেছিল।বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর পূর্বাংশ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম পর্যন্ত এলাকা পূর্বাঞ্চল। আর সেতুর পশ্চিমাংশ থেকে রাজশাহী, খুলনাসহ পশ্চিমাঞ্চল।

 

এই দুই অঞ্চলের রেললাইনের ধরন আলাদা। পূর্বাঞ্চলের রেললাইনের প্রায় পুরোটায় মিটার গেজ ট্রেন চলাচল করে। এই ট্রেনগুলো প্রস্থে ছোট হওয়ায় রেললাইনগুলোও সরু। আর পশ্চিমাঞ্চলের রেললাইনে বেশির ভাগ চলাচল করে ব্রড গেজ ট্রেন। ফলে রেললাইনও বড়।

 

বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে রয়েছে এক লাইনের রেল ট্র্যাক। এই লাইন দিয়ে খুব ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল করে। পূর্ব স্টেশন থেকে একটি ট্রেন ছাড়লে পশ্চিম স্টেশনের ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হয়। নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু রেল সেতু ডুয়াল গেজ রেল সেতু। সেতুটি দিয়ে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। ফলে সেতু পারাপারে অন্য পারে আর ট্রেনকে অপেক্ষায় থাকতে হবে না।

 

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু সেতুতে রেল সংযোগ চালু হয়। সেতুটির ওপর দিয়ে বর্তমানে সর্বোচ্চ ৪৩.৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে। ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগও নেই। সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। ফলে বেশি ট্রেন পরিচালনা করা সম্ভব নয়।

 

রেলের তথ্য মতে, বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালু হলে দিনে চলবে ৮৮টি ট্রেন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যেখানে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে, সেখানে নতুন এই রেল সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে চলাচল করতে পারবে। এতে সময়ও বাঁচার পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের সময় প্রায় ৩৫ মিনিট কমে আসবে।

 

একই সঙ্গে নতুন সেতুটি সার্ক, বিমসটেক, সাসেক ও অন্যান্য আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক রেলওয়ে রুট এবং ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশে পরিণত হতে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে নানা জটিলতা কাটিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ, আঞ্চলিক, উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে।'

 

২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও মূল কাজ শুরু হয় ২০২০ সালের ১০ আগস্ট। দুই ভাগে অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলমান আছে।

 

প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, গত ১ মে পর্যন্ত নির্মাণ কাজের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৮৪ শতাংশ। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৬২.৫ শতাংশ।

 

সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৫০টিই বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এই ৫০টি খুঁটির মধ্যে রেলের পশ্চিমাঞ্চলে ২৩টি আর পূর্বাঞ্চলে ২৭টি খুঁটির অবস্থান।

 

যমুনা নদীর ওপর রেলপথ পুরনো হলেও নতুন করে যুক্ত হতে যাচ্ছে ৩০ কিলোমিটার রেললাইন। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরালে নির্মিত হচ্ছে ডুয়াল গেজ ডাবল লাইনের মূল সেতুটি। এর সঙ্গে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে দশমিক ০৫ কিলোমিটার সংযোগ সেতু, ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে সংযোগ বাঁধ এবং লুপ ও সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে।'

 

জানতে চাইলে পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘দীর্ঘ মেয়াদে এই রেল সেতু দেশের রেল ব্যবস্থায় প্রভাব রাখবে। কারণ, যমুনা নদী রেল ব্যবস্থাকে দুই ভাগে বিভক্ত করে রেখেছিল। এখন ডুয়াল গেজ লাইন নির্মাণ হওয়ায় ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে।’

 

প্রসঙ্গত, নতুন রেল সেতুটি নির্মাণে প্রথমে ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছিল। প্রথম সংশোধনীর পর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে চার হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। আর জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দিয়েছে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা, যা প্রকল্পের ৭২.৪০ শতাংশ।'


বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু   দৃশ্যমান   কাজের অগ্রগতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন