ইনসাইড গ্রাউন্ড

আফ্রিদিকে সরিয়ে আবারও বাবরের কাঁধেই আসছে পাকিস্তানের দায়িত্ব!

প্রকাশ: ০৮:৪৬ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়া গেল ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে নেতৃত্ব ছাড়তে হয়েছিল বাবরকে আজম। আর টেস্ট থেকে নিজেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন। সে শূন্যতা পূরণে টেস্টে শান মাসুদ ও টি-টোয়েন্টিতে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

আফ্রিদির অধীনে কেবল একটা সিরিজ খেলেছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সে সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হেরে বসে দক্ষিণ এশিয়ার দলটি। এ বছরের মাঝামাঝিতে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিউইদের বিপক্ষে এ সংস্করণে পাকিস্তানের হতশ্রী পারফরম্যান্সে তাই প্রশ্ন জাগে আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়ে।

পাকিস্তান পেসারের নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ আরও নড়বড়ে করে দেয় গত সপ্তাহে পিসিবি সভাপতি মহসিন নাকভির মন্তব্য। নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার দিনে পিসিবি সভাপতি জানান, সামনে অধিনায়ক হিসেবে আফ্রিদি থাকবেন কিনা, এটা নিশ্চিত নয়।

এরপর থেকে আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্নের পাল্লা আরও ভারী হয়। পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আবারও বাবর আজমের কাঁধে নেতৃত্বের ভার ফিরিয়ে দিতে চায় পিসিবি। এদিকে আফ্রিদির নেতৃত্বে কেড়ে নেওয়ার গুঞ্জনে পিসিবির কড়া সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি।

সম্প্রতি নতুন নির্বাচক কমিটি ঘোষণার সময় পিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘এমনকি আমিও জানি না কে অধিনায়ক হবে। শাহিন চালিয়ে যাবে, নাকি নতুন একজন আসবে, সেটি ফিটনেস ক্যাম্পের পর ঠিক করা হবে। বেশ কয়েকটি কৌশলগত ব্যাপার বিবেচনা করব আমরা, যেগুলোর বিস্তারিত কিছু বলছি না। আমরা দীর্ঘমেয়াদি সমাধান চাই-সেটি শাহিন হোক বা নতুন কেউ। এরপর আমরা তার ওপরই ভরসা করতে চাই, একটা ম্যাচ হারলেই অধিনায়ক বদলাতে চাই না।’

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের খবর খবর অনুযায়ী, ওমরা করে দেশে ফিরে পিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন বাবর। এরপর কাকুলের অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। যে ক্যাম্পের কথা পিসিবি সভাপতি তাঁর মন্তব্যে উল্লেখ করেছিলেন।

বাবর আজমের ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরার দিয়ে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমটি আরও জানাচ্ছে, নেতৃত্ব নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বাবর। তিনি পিসিবিকে উল্টো কিছু শর্ত দিয়েছেন। কেবল সেসব বিষয়ের সুরাহা হলে পুনরায় দলের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান।

এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই শাহীনের অধিনায়কত্ব রিপোর্ট করেছিল জিও নিউজ। পিএসএলে আফ্রিদির নেতৃত্বে লাহোর কালান্দার্স মাত্র একটা ম্যাচ জিতেছিল। সে প্রতিবেদনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদির অধিনায়কত্ব নিয়ে শঙ্কার কথা জানানো হয়।

আফ্রিদির নেত্বতৃ নিয়ে এমন আলোচনা পছন্দ হচ্ছে না সাবেক ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদির। বিশেষ করে মহসিন নাকভির ওই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি। শহীদ আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আপনি যদি কাউকে নিয়োগ দিচ্ছেন, তাকে দায়িত্ব দিচ্ছেন, তাহলে তাকে সময়ও দেওয়া উচিত।’

কৌশলে মহসিন নাকভির সাম্প্রতিক কার্যকলাপের সমালোচনা সিনিয়র আফ্রিদি বলেছেন, ‘আমাদের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, বোর্ডে যখনই যখন নতুন মুখ আসে, সিস্টেম বদলে যায়। (দায়িত্বে) যিনিই আসেন না কেন, মনে করেন তিনি যা করছেন, সেটাই পাকিস্তান ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে ভালো।’

জামাতা আফ্রিদির অধিনায়কত্বের শঙ্কায় করা পিসিবি সভাপতির মন্তব্যের জবাবে শ্বশুর আফ্রিদি বলেছেন, ‘আপনি যদি অধিনায়ক বদলাতেই চান, তাহলে ওকে (শাহীন) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল, অথবা এখন অধিনায়ক বদলানোর সিদ্ধান্তটা ভুল।’


পাকিস্তান   বাবর আজম   শাহীন আফ্রিদি   শহীদ আফ্রিদি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরেও এগোয়নি: সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল

প্রকাশ: ০৯:০৯ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য দ্বিতীয় রাউন্ড। এবারও একই লক্ষ্যে তারা বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছে। কিন্তু আইসিসির এই মেগা আসরে বিশ্ব ক্রিকেটের নবীন দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল সিরিজ হেরেছে - ব্যবধানে। প্রতিপক্ষ দলের দায়িত্বে আছেন টাইগারদের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল। এমন বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশকে নিয়ে তিনি বিধ্বংসী মন্তব্য করেছেন।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ জানিয়েছেন ল। সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ২৫ বছরেও এগোয়নি। তারা যত কিছুই করুক না কেন, সেসব কাজে লাগেনি। কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পেতে কী করতে হবে, তাদের সেটি খুঁজে বের করতে হবে।

১৯৯৯ সালে পাকিস্তানকে হারিয়ে আইসিসির ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশ। অথচ এখনও নকআউট পর্ব পেরোতে টাইগার ক্রিকেটকে সংগ্রাম করতে হচ্ছে বলে মত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের এই কোচের।

সর্বশেষ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের দায়িত্বে ছিলেন ল। এরপর তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেন। টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ঘাটতি কোথায় সেটিও দেখিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই অস্ট্রেলিয়ান, ‘তারা (বাংলাদেশিরা) শারীরিকভাবে শক্তিশালী নন, কিন্তু তারা নমনীয় বলে জোরে বল করতে পারে এবং স্পিন বোলিং পারে, এটা আমরা সবাই জানি। তারা কখনোই পাওয়ারফুল খেলোয়াড় হবে না ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান অথবা অস্ট্রেলিয়ানদের মতো, যারা ভিন্নভাবে বেড়ে ওঠে খাওয়াদাওয়া- ভিন্ন।

বাংলাদেশের কিছু বিশেষ জায়গায় ঘাটতি থাকলেও, প্রতিভার অভাব দেখেন না ২০১১ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধান কোচ , ‘সেখানে অনেক প্রতিভা আছে, ১৭ কোটি মানুষ বাংলাদেশের এবং তারা ক্রিকেটপাগল। শুধু তাদের বের করে আনতে হবে এবং তাদের সামাজিক অবস্থান কীভাবে বেড়ে উঠল সেসব ভুলে যেতে হবে। যদি তারা সঠিক প্রতিভা খুঁজে পায় (তাহলে সাফল্য আসবে), সেটাই করা দরকার এখন।


বাংলাদেশ   ক্রিকেট   কোচ স্টুয়ার্ট ল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টি-২০ বিশ্বকাপ: স্মার্ট ক্রিকেটে ভাগ্য পরিবর্তন চায় কিউইরা

প্রকাশ: ০৯:০১ এএম, ২৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর মাত্র ৪ দিন। এরপরই মাঠে গড়াতে যাচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের লড়াই। যেখানে চার-ছক্কার জোর যার বেশি, মাঠের লড়াইয়ে দাপটটাও তাদেরই বেশি। আর এজন্যই অংশগ্রহণকারী প্রায় প্রতিটি দলই নিজেদের সেরা সৈন্যদের নিয়েই সাজিয়েছে দল।

আগামী ২ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যৌথভাবে আয়োজক দেশ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইডিন্জও। আর এই দুই দেশের ৯ ভেন্যুতে চলবে বৈশ্বিক ক্রিকেটের এই মেগা ইভেন্ট।

অন্যান্যবার কুড়ি ওভারের এই বিশ্বযজ্ঞে ১০টি দল অংশগ্রহণ করলেও এবারের আসরে অংশ নিচ্ছে ২০ দল। যেখানে সেরা আট দল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল আগেই। এর সঙ্গে অটোমেটিক চয়েজে বিশ্বকাপের টিকিট পায় সেরা র‌্যাংকিংয়ে অবস্থান করা দুদল এবং আয়োজকরা। বাকি ৮ দলকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে আঞ্চলিক পর্যায়ে লড়াই করতে হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় আফ্রিকা, ইউরোপা, এশিয়া থেকে দুটি করে দল সুযোগ পেয়েছে। সেইসঙ্গে আমেরিকা এবং ইস্ট-এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল থেকে একটি করে দল বিশ্বকাপে খেলবে।

আর দল বেশি হওয়ায় এবারের সমীকরণটাও কিছুটা ভিন্ন। নতুন আদলের এবারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী দলগুলোকে ভাগ করা হবে চার গ্রুপে। যার মধ্যে প্রতিটি গ্রুপে থাকবে ৫টি করে দল।

রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে প্রতি গ্রুপের প্রতিটি দল একে অপরের মোকাবিলা করবে। সেখান থেকে প্রতি গ্রুপের সেরা দুটি দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে সুপার এইট। সেখান থেকে সেমিফাইনাল এবং ফাইনালসহ টুর্নামেন্টে মাঠে গড়াবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। বৈশ্বিক এই আসরকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই স্কোয়াড ঘোষণা করেছে প্রতিটি দল।

তবে বৈশ্বিক এই মেগা ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের মধ্যে ফেবারিটের তালিকার কথা কাউকে জিজ্ঞাসা করা হলে যে কেউ নিশ্চিতভাবেই দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে বাজি ধরে নিউজিল্যান্ডকে শীর্ষেই রাখবে। কিন্তু এটা যেমন কিউইদের সৌভাগ্য, তেমনি দুর্ভাগ্যও বটে।

কারণ আইসিসির সাদা বলের বিশ্বকাপে সেরা চারে উঠে ভক্তদের স্বপ্ন দেখালেও ঘরে তুলতে পারেনি শিরোপা। যেকোন টুর্নামেন্টেরই সেমি কিংবা ফাইনালে কিউইদের শিরোপার স্বপ্ন রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। আর এই স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের এমন মিশ্র আবেগে অভাগার আরেক নাম নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি, দুই ফরম্যাটের বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলেছে একাধিকবার। কিন্তু তবুও শিরোপা নেই তাদের। কিউইরা সীমিত ওভারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে ১০ বার এবং ফাইনাল হেরেছে ৩ বার।

সাদা বলে নিউজিল্যান্ডের মেজর টুর্নামেন্ট জয় বলতে কেবল ২০০০ আইসিসি ট্রফিতে। দ্বিতীয় আইসিসি শিরোপা এসেছে ২১ বছর পর। ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর মধ্য দিয়ে।

সীমিত ওভারে দুই বিশ্বকাপের প্রথম সংস্করণে সেমিফাইনালে বাদ পড়েছিল নিউজিল্যান্ড। একই দুর্ভাগ্যের শিকার হয়েছে টুর্নামেন্টে দুটি সবশেষ সংস্করণে! সবশেষ ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সপ্তমবারের মতো সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেয় শান্তির দেশের ক্রিকেটাররা। এর আগে সেরা চার থেকে বিদায় নিয়েছিল ১৯৭৫, ১৯৭৯, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৭ এবং ২০১১ সংস্করণে। টুর্নামেন্টে এমনকি ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল হারের কষ্টও রয়েছে কিউইদের।

বহু চেষ্টার পর, ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথমবারের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল নিউজিল্যান্ড। শিরোপা লড়াইয়ে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। পরের সংস্করণে সুপার ওভার রোমাঞ্চে ফাইনাল হেরে যায় ইংল্যান্ডের কাছে।

ফরম্যাট বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি নিউজিল্যান্ডের। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল কিউইরা। প্রতিপক্ষ হিসেবে পায় অস্ট্রেলিয়াকে। ফল একই। আরেকটি ফাইনাল হারের গল্প। সবশেষ অস্ট্রেলিয়া পর্দা উঠা টুর্নামেন্টে তারা বিদায় নেয় সেমিফাইনাল থেকে।

সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সবশেষ তিন আসরে সেমিফাইনাল খেলেছে নিউজিল্যান্ড। যারা এখনো প্রথম সীমিত ওভারের বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষায়। তাই এবার কিউই এবং ভক্তরা নতুন করে স্বপ্ন বুনেছেন। তার বাস্তব প্রতিফলন হয় কি না সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

এবার নিউজিল্যান্ডের টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে স্বপ্ন বুনার পেছনে অবশ্য কিছু কারণও রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-

১.অভিজ্ঞতাই মূল শক্তি

টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরে ২০ দল অংশগ্রহণ করলেও সবার আগে দল ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (এনজেডসি)। ১৫ সদস্যের এই স্কোয়াডে নতুন কিছু চমক থাকলেও বিশেষত অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের উপরই ভরসা রেখেছে বোর্ড। 

বৈশ্বিক এই আসরের সিংহভাগ খেলা যেহেতু এবার হবে ক্যারিবীয় দ্বীপে, সেহেতু ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করা ১৫ কিউই ক্রিকেটারের ১৩ জনকেই রাখা হয়েছে এবারের বিশ্বকাপ পরিকল্পনায়। শুধু তাই নয়, ব্যাটিং-বোলিং সবদিক থেকেই এবার নিউজিল্যান্ড শিরোপা জেতার মিশনে নামতে যাচ্ছে। 

আর কিউইদের প্রথম আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতানোর মিশনে নেতৃত্বে থাকছেন কেন উইলিয়ামসন। যা হবে তার ষষ্ঠ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের হয়ে এর আগে মাঠ কাপানো লুকি ফার্গুসন এবং ম্যাট হেনরিও থাকছেন দলে। 

এছাড়াওবিশ্বকাপ দলে ঠাঁই পেয়েছেন ডেভন কনওয়ে, যিনি আঙুলের চোট থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ায় আছেন। রাখা হয়েছে পার্ট টাইম কিপার ফিন অ্যালেনকে। পাকিস্তান সিরিজে নেতৃত্বে থাকা মাইকেল ব্রেসওয়েল টিকে গেছে দলে। নিউজিল্যান্ড শিবিরে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার জিমি নিশাম এবং ড্যারিল মিচেল। ব্যাটিং বিভাগে উইলিয়ামসন, কনওয়ে এবং অ্যালেন ছাড়াও আছেন গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র এবং মার্ক চাপম্যান। স্পিন বিভাগ সামলাবেন মিচেল সান্তনার এবং ইশ সোধি। হেনরি এবং রাচিন প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবেন।

২. বিশ্বকাপের পূর্বে প্রস্তুতি নেই

বিশ্বকাপের বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যস্ত সময় পার করেছে নিউজিল্যান্ড। ৩ সিরিজে খেলেছে ১৩টি ম্যাচ। জানুয়ারিতে ঘরের মাটিতে পাকিস্তানকে ৫ ম্যাচের সিরিজে হারিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে। সবশেষ এপ্রিলে পাকিস্তানে ফিরতি সফরে সিরিজ ড্র করে ২-২ ব্যবধানে (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়)। এর মাঝে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের হোম সিরিজে ধবলধোলাইয়ের লজ্জা পায়। তবে বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে আড়াল উইলিয়ামসনরা। ওয়ার্ম-আপ ম্যাচের সূচিতে নেই তাদের কোনো খেলা।

৩. অভিযান শুরু ৮ জুন

এবার টি-২০ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে অচেনা প্রতিপক্ষদের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। আগামী ৮ জুন আফগানিস্তান ম্যাচ দিয়ে অভিযান শুরু করবে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচের ভেন্যুর গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়াম। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে মাত্র এক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। 

‘সি’ গ্রুপে কিউইদের দ্বিতীয় ম্যাচ ১৩ জুন, ত্রিনিদাদে ব্রায়ান লারা একাডেমিতে। প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৯ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয় ১০টি এবং হার ৪টি। টাই হয়েছিল ৩ ম্যাচ। যার মধ্যে সুপার ওভারে ১টিতে জয় এসেছে, অপর ২টিতে ছিল হার। ফল হয়নি অবশিষ্ট ২ ম্যাচে।

বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডের শেষ দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষ উগান্ডা এবং পাপুয়া নিউগিনি। যাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে কিউইরা।

শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ, বৈচিত্রময় বোলিং- সবমিলিয়ে যেন স্মার্ট ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে কিউইরা এবার মুখিয়ে রয়েছে তাদের ভাগ্য বদলানোর জন্য। এখন সময়ই বলে দেবে এবার তাদের ভাগ্যে কি রয়েছে। 

টি-২০ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড স্কোয়াড

কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ে, মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, মিচেল সান্তনার, ট্রেন্ট বোল্ড, লুকি ফার্গুসন, ম্যাট হেনরি, ইশ সোধি ও সাউদি।



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেবিল টেনিসে রুপা জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৯:১৪ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

দক্ষিণ এশিয়ান ইয়ুথ টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে রৌপ্য জিতেছে বাংলাদেশের ছেলেরা। শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ ক্যাটাগরির এ প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক অর্জন করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এমন সাফল্যে তারা সুযোগ পেয়েছে ২৮তম এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার।

আগামী ৩০ জুন থেকে শুরু হবে টেবিল টেনিসের ২৮তম এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের আসর। চায়নার চংকুইঙ্গ শহরে অনুষ্ঠেয় এই আসর চলবে ৬ জুলাই পর্যন্ত।

এশিয়াতে ৪৩টি দেশকে পাঁচটি রিজিয়নে ভাগ করে প্রতিটি রিজিয়ন থেকে দুটি করে মোট দশটি টিম চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল রাউন্ডে খেলবে। এছাড়াও থাকবে গতবারের চার সেমিফাইনালিস্ট চীন জাপান, কোরিয়া ও ভারত।

ক্যান্ডিতে সাউথ এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম দুই সেটে এগিয়ে থাকলেও পরে ২-৩ হেরে যায় বাংলাদেশের বালক টিম। 

তবে পরের ম্যাচগুলোতে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও নেপালকে ৩-০ সেটে হারায় বাংলাদেশ। এতেই আসরে রৌপ্য পদক ও এশিয়ান ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত হয়। শ্রীলংকা হয় চ্যাম্পিয়ন।

টেবিল টেনিস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টিম ইন্ডিয়ার কোচ হতে চান মোদি-অমিত শাহ!

প্রকাশ: ০৮:৩৩ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ক্রিকেট উন্মাদনার দিক থেকে ভারতকে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। কারণ এশিয়ার এই দেশটিতে ক্রিকেট প্রেমীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর এজন্যই মূলত সারা বিশ্বের এই খেলার আনুষ্ঠানিক সবচেয়ে বড় পদের একটি ধরা হয় ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের পদকে।

এতদিন ধরে ভারত ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এই পদে রবি শাস্ত্রী, রাহুল ড্রাভিডদের মতো সাবেক ভারতীয় ক্রিকেটারদের রাজত্বই বেশি ছিল। শুধু তাই নয়, তারা সফলও হয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি পুরনো কোচের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় নতুন কোচ নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিসিসিআই। আর এটি নিয়ে ইতোমধ্যেই ক্রিকেট দুনিয়ায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিসিসিআই এই গুরুত্বপূর্ণ পদে আবেদনকারীদের সুবিধার্থে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি গুগল ফর্মের ব্যবস্থা রাখে। এই ফর্ম পূরণ করে আবেদনের সুযোগ সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এই সুবিধা নিয়েই ভুয়া আবেদনকারীরা বিসিসিআইয়ে অনেকটা ‘গণহারে’ আবেদন করেছে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এবং টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, রোহিত-কোহলির কোচ হতে তিন হাজারের বেশি আবেদন পেয়েছে বিসিসিআই। তবে এই আবেদনগুলির মধ্যে বেশিরভাগই ভুয়া ব্যক্তির কাছ থেকে এসেছে। এই ভুয়া আবেদনকারীদের মধ্যে আছেন সাবেক ক্রিকেটার, জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব এবং রাজনীতিবিদও।

সোমবার (২৭ মে) কোচ হওয়ার আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল। শেষ দিনে বিসিসিআইয়ের সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে আবেদনে পাওয়া নামগুলো জানায়। সেখানে দেখা যায়, টেন্ডুলকার, ধোনি, হরভজন সিং, বীরেন্দ্র সেবাগসহ অন্যান্য সাবেক ক্রিকেটারদের নামেও একাধিক আবেদন পেয়েছে তারা। এমনকি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মতো রাজনীতিবিদদের নামেও ভুয়া আবেদন করা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৩ মে) বিসিসিআই গুগল ফর্মের মাধ্যমে প্রধান কোচের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান করে এবং প্রতিদিনই অনেক ভুয়া আবেদনপত্র পেতে থাকে। এখন পর্যন্ত স্পষ্ট নয় যে, দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে কোনো প্রকৃত প্রার্থী আবেদন করেছেন কিনা।

ভারতীয় বোর্ড ও ভুয়া আবেদনকারীদের মধ্যকার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০২২ সালে বিসিসিআই যখন প্রধান কোচ পদে আবেদন আহ্বান করেছিল, তখনও প্রায় ৫,০০০ ভুয়া আবেদন পেয়েছিল, যেখানে আবেদনকারীরা সেলিব্রিটির নাম ব্যবহার করেছিল। তখন আবেদনকারীদের মেইল করার জন্য বলা হয়েছিল, এবার তারা গুগল ফর্ম ব্যবহার করেছে।

এই ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘গত বছরও, বিসিসিআই একই রকম প্রতিক্রিয়া পেয়েছিল, যেখানে ভুয়া আবেদনকারীরা আবেদন করেছিল। এবারও গল্প একই। কারণ বিসিসিআই গুগল ফর্মে আবেদন আহ্বান করেছিল, এটি করার কারণ হলো এতে এক শিটে আবেদনকারীদের নাম যাচাই করা সহজ।’

রোহিতদের কোচ হওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে অবশ্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলী উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ২০২৭ সালের দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত নির্বাচিত কোচকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

পরবর্তী প্রধান কোচ তার মেয়াদ শুরু করবেন আগামী মাসে যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যারিবিয়ানে অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। বর্তমান প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়, যিনি ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তা আর বাড়াতে আগ্রহী নন।


মোদি   অমিত শাহ   রোহিত শর্মা   ভিরাট কোহলি   ভারত ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের অফিসিয়াল ম্যাচ বাতিল করল আইসিসি

প্রকাশ: ০৮:১০ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আর কয়েকদিন পরই আগামী ১ জুন যুক্তরাষ্ট্রে পর্দা উঠবে টি-২০ বিশ্বকাপের নবম আসরের। টাইম জোনের কারণে যা বাংলাদেশ সময় দাঁড়ায় ২ জুনে। বৈশ্বিক এই আসরকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই সব দলই পাড়ি জমাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্দেশ্যে। সেই সাথে আনঅফিসিয়াল প্রস্তুতিও সেরেছে প্রতিটি দল। তবে অফিসিয়ালি আইসিসির অধীনে এখনও কোন প্রস্তুতি ম্যাচে মাঠে নামেনি দলগুলো।

আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে আজ স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে শেষ মুহূর্তে ম্যাচটি বাতিল করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)।

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে ম্যাচ ভেন্যুতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের হানা। ম্যাচ আয়োজনের মতো অবস্থায় নেই ভেন্যু।

আর তাই বাজে আবহাওয়ার কারণে ম্যাচটি বাতিল করতে বাধ্য হয় আইসিসি। যদিও সদ্যই দ্বিপাক্ষিক টি-২০ সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে ২-১ ব্যবধানে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সিরিজ হেরেছে টাইগাররা।

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচ বাতিল হলেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। পহেলা জুন নিউ ইয়র্কে এই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এর মাঝে আগামী ২ জুন থেকে শুরু হবে বিশ্বকাপ।

এবারের আসরে ‘ডি’ গ্রুপে বাংলাদেশ। ৮ জুন শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করবে টাইগাররা। এরপর ১০ জুন দক্ষিণ আফ্রিকা, ১৩ জুন নেদারল্যান্ডস ও ১৭ জুন নেপালের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ   যুক্তরাষ্ট্র   টি-২০ বিশ্বকাপ   ক্রিকেট  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন