ইনসাইড বাংলাদেশ

তালিকা হচ্ছে গডফাদারদের

প্রকাশ: ১০:০৫ এএম, ২৮ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কিশোর অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার গ্যাং লিডার বা পৃষ্ঠপোষকদের গ্রেফতারে মাঠে নামছে পুলিশ। ইতোমধ্যে তাদের নাম ও রাজনৈতিক পদ-পদবিসহ বিস্তারিত পরিচয় চেয়ে বিভিন্ন থানায় চিঠি দিয়েছে ডিএমপি (ঢাকা মহানগর পুলিশ)। এতে বলা হয়েছে, এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন কিশোর গ্যাং সদস্যদের তালিকাও হালনাগাদ করতে।

পুলিশ বলছে, সম্প্রতি রাজধানীতে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনায় একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততা মিলেছে। এছাড়া এলাকাভিত্তিক চাঁদাবাজি, জমিদখল, আধিপত্য বিস্তারে একাধিক গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি বা সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। এমনকি ইভটিজিং বা প্রেমঘটিত কারণেও কিশোরদের অনেকে হত্যার মতো অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এতে রাজধানীর অপরাধ পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। 

সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসে কিশোর গ্যাং নিয়ে ডিএমপির একাধিক সভায় বিশদ আলোচনা হয়। এতে কিশোর গ্যাংয়ের মদদদাতা বা পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়। পরে ২০ মার্চ ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) লিটন কুমার সাহা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিভিন্ন থানা এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ও তাদের পৃষ্ঠপোষক বা গডফাদারদের নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমপির নির্ধারিত বিশেষ বাহকের মাধ্যমে তালিকা পাঠাতে হবে। এজন্য মার্চের ২৭ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত ছকে মোট ৮ ধরনের তথ্য জানাতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার ও গ্যাংয়ের নাম, অপরাধের স্পট, পৃষ্ঠপোষক বা বড় ভাই, সদস্য সংখ্যা, নাম, অপরাধের ধরন এবং মামলা ও জিডির পরিসংখ্যান। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিএমপির নয় বিভাগের ডিসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে গত শনিবার (২৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ যুগান্তরকে বলেন, ‘যে কোনো মূল্যে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বিশেষ করে যারা কিশোর গ্যাং লালন-পালন করেন অর্থাৎ যারা গডফাদার তাদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। ইতোমধ্যে অনেকের নাম পাওয়া গেছে। শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী বা অন্য কোনো পরিচয়ে কেউ ছাড় পাবে না’।  

পুলিশ জানায়, উত্তরা ছাড়াও মিরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় কিশোর অপরাধ দিন দিন আরও বাড়ছে। বিশেষ করে পল্লবী এলাকায় চুরি-ছিনতাই ছাড়াও কিশোর গ্যাংয়ের হাতে একের পর এক ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সর্বশেষ তুচ্ছ ঘটনার জেরে ১৫ মার্চ খুন হন পল্লবী মুড়াপাড়া ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফয়সাল। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার গলা কাটা রাব্বি ও টানা আকাশসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এছাড়া বাট্টু নামের অপর এক কিশোর গ্যাং লিডারকে গ্রেফতার করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। 

সূত্র বলছে, মিরপুর ১১ নম্বরে কিশোর গ্যাং গডফাদার হিসাবে পুলিশের তালিকাভুক্ত পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু। তার প্রধান সহযোগী আলোচিত শাহিন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সুমন ওরফে কিলার সুমন। এছাড়া স্থানীয় কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ বেশ পুরোনো। বিশেষ করে ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ওরফে কসাই খলিল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা কিশোর গ্যাংয়ের গডফাদার হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে হত্যা মামলার আসামি কসাই খলিল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি জামিনে বেরিয়ে এলাকায় ফের তৎপরতা শুরু করেছেন। 

বক্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা খলিলুর রহমান মঙ্গলবার রাতে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার বিরুদ্ধে এসব অপপ্রচার চালায়। বাস্তবে এর কোনো ভিত্তি নেই। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাঠপর্যায়ে কেউ তদন্ত করলে এসব অভিযোগের একবিন্দুও সত্যতা পাবে না। এছাড়া অভিযোগের বিষয়ে পল্লবীর যুবলীগ নেতা আড্ডু ওরফে বিহারি আড্ডু বলেন, তিনি একেবারেই নিরীহ লোক। এলাকার কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। 

সূত্র জানায়, চিড়িয়াখানা রোডে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনে চাঁদাবাজি করে কাউন্সিলর কাশেম মোল্লার অধীন একাধিক কিশোর বাহিনীর সদস্য। এছাড়া পল্লবী থানা ছাত্রলীগ নেতা মিলন ঢালী, ৯১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, নুর ইসলাম এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ পুরোনো। 

জানা যায়, কিশোর গ্যাংয়ের শেলটারদাতা হিসাবে সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে কাউন্সিলর মানিকসহ বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের নাম আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বেকায়দায় পড়েন তারা। এ নিয়ে তাদের কয়েকজন রাজনৈতিক মাঠেও বেশ কোণঠাসা। 

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাইলে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম মোল্লা যুগান্তরকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিদিনই জনতার আদালতে তাকে জবাবদিহি করতে হয়। ফলে চাঁদাবাজি বা কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন। তার বিরুদ্ধে মনগড়া এসব অভিযোগ ছড়াচ্ছে স্থানীয় ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান শেখ। মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

পুলিশ বলছে, পল্লবীর একটি বড় অংশ বিহারি (মুক্তিযুদ্ধকালীন আটকে পড়া পাকিস্তানি) জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত। এছাড়া বিশাল অংশজুড়ে রয়েছে বস্তি। প্রায় ৩৯টি ক্যাম্পে আটকে পড়া বাসিন্দাদের অনেকেই মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত। এছাড়া কর্মহীন কিশোর-যুবকদের অনেকেই স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে জড়িয়ে পড়ছে চুরি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধে। এমনকি জমি দখল থেকে শুরু করে কিলিং মিশনেও তাদের কেউ কেউ ভাড়া খাটছে। 

সূত্র জানায়, দারুস সালাম এলাকায় সক্রিয় কয়েকটি কিশোর গ্যাং এলাকার সব ধরনের সংঘর্ষ এবং মারামারিতে জড়িত। স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসলাম এবং নাবিল খান এদের নেপথ্য মদদদাতা হিসাবে পরিচিত। এছাড়া দারুস সালাম এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন, রূপনগরে স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন ওরফে টেনু এবং কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ায় কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম শেলটারদাতা ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি।

বক্তব্য জানতে চাইলে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হুমায়ুন রশিদ জনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। কেন আমরা কিশোর গ্যাং শেলটার দেব। এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেপেলে স্কুলকেন্দ্রিক ঘোরাফেরা করে। তাদের বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে। বক্তব্য জানার জন্য কল করা হলে ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেন টেনু, স্বেচ্ছাবেক লীগ নেতা ইসলাম ও নাবিল খানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। 

রাজধানীর অন্যতম বৃহৎ আবাসিক এলাকা হিসাবে পরিচিত মোহাম্মদপুরেও কিশোর গ্যাংয়ের ভয়াবহতা ব্যাপক। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেওয়ালে একাধিক কিশোর গ্রুপের চিকা মারা হয়। এমনকি রাত ১০টার পর এলাকার বেশ কয়েকটি সড়ক চলে যায় কিশোর গ্যাংয়ের দখলে। এ সময় মধ্যরাতে উচ্চ শব্দে হোন্ডা রেস থেকে শুরু করে তাদের নানা তৎপরতা দেখা যায়। 

স্থানীয়রা বলছেন, মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের অন্যতম প্রধান শেলটারদাতা স্থানীয় সন্ত্রাসী ইমন ওরফে গার্মেন্ট ইমন। এলাকার প্রায় সব গার্মেন্টের জুট ব্যবসা তার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে। কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে জুট না পেলে তার অধীন গ্যাংয়ের সদস্যরা সেখানে অতর্কিত হামলা চালায়। চাঁদ উদ্যানের অফিস থেকে এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন ইমন। এছাড়া তিন রাস্তার মোড় এলাকায় তার একাধিক বাহিনী সক্রিয়।

কাঁটাসুর এলাকায় একাধিক কিশোর গ্যাং লালন-পালনের অভিযোগ মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। চাঁদ উদ্যান এলাকার কাওসার ওরফে মোল্লা কাওসার তার ডান হাত হিসাবে পরিচিত। এছাড়া রায়েরবাজার এলাকায় একাধিক কিশোর গ্রুপের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যুবদল নেতা সাকিলের হাতে। তবে সম্প্রতি ডিবির হাতে আটক হন সাকিল। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় রাজনৈতিক নেতা দেনদরবার করে তাকে ছাড়িয়ে আনেন। 

স্থানীয় থানা পুলিশ বলছে, মোহাম্মদপুর এলাকার একাধিক কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাবের সোর্স হিসাবে পরিচিত ইমন ওরফে অ্যালেক্স ও জ্যাক কল্লু। এছাড়া ধানমন্ডি ২৭ এলাকায় সক্রিয় গ্যাং লিডার সজিব ওরফে ফর্মা সজিব সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। তবে আরেক গডফাদার আলমগীর ওরফে ফর্মা আলমগীর এখনো আছেন বহাল-তবিয়তে। 

সূত্র বলছে, রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিত ছিনতাই করে আসছে স্থানীয় পাটালী গ্রুপ নামের এক কিশোর গ্যাং। গ্রুপের সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী হাসান ওরফে লেংড়া হাসান, মাইকেল, কাবিলাসহ অন্তত ৭০-৮০ জন। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। পাটালী গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী রানা ওরফে গাল কাটা রানা। 

এছাড়া মোহাম্মদীয়া হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং ডায়মন্ড গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় যুবলীগ কর্র্মী হাসান ও আকাশ। এর সদস্য হিসাবে রয়েছেন স্থানীয় সন্ত্রাসী সোহাগ, জুয়েল মিলনসহ ১৫-২০ জন। এছাড়া বাঁশবাড়ী এলাকায় ‘লাড়া দে’ নামের কিশোর গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা মিম ও নাহিদ। 

বসিলা ৪০ ফিট এলাকা ‘দে ধাক্কা’ নামের একটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা ফারুক খান ওরফে ওভি। স্থানীয় বখাটে শরিফুল জাকির, ফয়সাল, রুহুল আমিন ও ভাইস্তা রনিসহ গ্রুপের সদস্য সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এদের বেশিরভাগই একাধিক মামলার আসামি। এছাড়া মোহাম্মদপুর লাউতলা এলাকায় সক্রিয় ‘ঠোটে ল’ গ্রুপ। একাধিক মামলার আসামি কথিত যুবলীগ নেতা মহিদুল ইসলাম মাহি এর গডফাদার। এছাড়া মেট্রো হাউজিংয়ে সক্রিয় কিশোর গ্যাং ‘লাল গ্রুপ’। এর গডফাদার হলেন স্থানীয় সন্ত্রাসী লাল ওরফে রক্ত লাল।

রায়েরবাজার কবরস্থান এলাকায় ‘টক্কর ল’ নামের কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাসেল ওরফে বাত রাসেল এবং ফরহাদ নামের দুই সন্ত্রাসী। সম্প্রতি বেড়িবাঁধ এলাকায় কয়েকটি কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নোমান ও তার সহযোগী ব্যাঁকা রাসেল। এছাড়া ঢাকা উদ্যান, নবীনগর হাউজিং ও চন্দ্রিমা হাউজিং এলাকায় সক্রিয় কিশোর গ্যাং গাংচিল বাহিনীর সদস্যরা। 

সূত্র বলছে, গাংচিল বাহিনীর গডফাদার লম্বু মোশাররফ দীর্ঘদিন কারাগারে ছিলেন। সম্প্রতি জেল থেকে বেরিয়ে ফের তৎপরতা শুরু করেছেন এলাকায়। এমনকি যুবলীগের রাজনীতিতেও নামার চেষ্টা করছেন তিনি। স্থানীয় সন্ত্রাসী হিসাবে পরিচিত রুহুল আমিন, ভাগনে নাইম, জনি ওরফে রক্তচোষা জনি এবং রবিন ওরফে শুটার রবিন তার অন্যতম সহযোগী। এছাড়া আদাবর এলাকায় সেলিম ওরফে গিয়াস সেলিম, শেখেরটেক পিসি কালচার এলাকায় যুবলীগ নেতা শাহারুক জাহান ওরফে পাপ্পু এবং সুমন ওরফে ওয়ান পিস সুমনের নেতৃত্বে রয়েছে একাধিক কিশোর গ্যাং। 

স্থানীয় অনেকের ভাষ্য-এলাকার উঠতি বয়সিদের নিয়ে একাধিক কিশোর গ্যাং গড়ে তোলেন স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান ওরফে রাজিব। কিন্তু ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে রাজিব গ্রেফতার হলে তার অধীন কয়েকটি গ্রুপ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। তবে রাজিব সম্প্রতি কারামুক্ত হলে ফের সক্রিয় হয়েছে কয়েকটি গ্রুপ। এর মধ্যে ‘কব্জি কাটা’ গ্রুপের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। 

কিশোর গ্যাংয়ের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে শাসক দলের নেতারা বলছেন, অনেকেই দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্মে লিপ্ত। এরা আসলে দলের কেউ নয়। এরা প্রকৃত অপরাধী হলে দল কখনো এদের দায় বহন করবে না। 


গডফাদার. কিশোর গ্যাং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করবে সরকার

প্রকাশ: ১০:৪৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

তাপপ্রবাহকে দুর্যোগ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মো. মহিববুর রহমান বলেন, তাপপ্রবাহের মাত্রা দিন দিন আরও বাড়তে পারে। আমরা এটা অ্যাডজাস্ট করতে চাই। ভবিষ্যতে তাপপ্রবাহ হলে তা মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি। আমাদের সব প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, আমাদের যে পরিবেশ-পরিস্থিতি তাতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠলে দুর্যোগ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আমরা সেভাবেই এগোচ্ছি।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত মাসে তাপপ্রবাহের সময় আমরা প্রোগ্রাম রেডি করে ফেলেছিলাম। সারা দেশে পানি, স্যালাইন, ছাতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। পরে আবহাওয়া অধিদফতর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিলো, বৃষ্টিও হলো

প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাপপ্রবাহ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ পাশে দুটি ক্যাম্প করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেটি স্পিকারের উদ্বোধন করার কথা ছিল। এ দুই স্থান থেকে পানি, স্যালাইন, ছাতাসহ বিভিন্ন উপকরণ দেওয়ার প্রস্তুতি ছিল। মানুষ এখানে আশ্রয় নিতে পারত। সব রেডি ছিল কিন্তু বৃষ্টি হওয়ায় তা আর হয়নি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে আমার নির্বাচনী এলাকায়ও আমি তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে নানান উদ্যোগ নিয়েছিলাম, যোগ করেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী।

তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে

প্রকাশ: ১০:১০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে শুক্রবার (১০ মে) থেকে পবিত্র জিলকদ মাস গণনা করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ধর্মসচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার সভায় সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পাওয়া গেছে।

জিলকদ মাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর জয়: কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইমান আলীর বিজয় উপলক্ষে ভোটারদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ।

বৃহষ্পতিবার (৯ মে) ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক ও সাধারণ সম্পাদক শাহ মো ইশতিয়াক আরিফ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীর ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমান আলীকে নির্বাচিত করায় ভোটারদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।

উল্লেখ,  এবারের স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিক দেয়া থেকে বিরত রয়েছে আওয়ামী লীগে।

যদিও ফরিদপুরের স্থানীয় অনেকে প্রশ্ন করছেন আওয়ামী লীগ যেখানে দলীয় প্রতিক দেয়নি সেখানে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কিভাবে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সমর্থন দিল।

ফরিদপুর   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশ: ০৯:১৬ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিদ্যুৎ সংকটের এই সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। 
  
সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান এই সংসদ নেতা। তিনি বলেন, বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন।
 
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী   লোডশেডিং  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

প্রকাশ: ০৮:৩৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের টানা চতুর্থ মেয়াদের সরকারের প্রথম বাজেট ঘোষণা করা হবে আগামী বৃহস্পতিবার (৬ জুন)। নতুন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীরও এটি প্রথম বাজেট।

তাকে সহায়তা করবেন দেশের প্রথম নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। এদিন উত্থাপিত হবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ জুন। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার। যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট। এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, সরকারের এবারের বাজেট হবে ব্যয় সংকোচনমূলক। এটি তৈরি হচ্ছে অত্যন্ত সুকৌশলে। প্রতি বছর বাজেটের প্রবৃদ্ধি সংকোচনমূলক ধরেই এবারের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়েছে। ফলে বাজেটের আকার এবার খুব বেশি বাড়ছে না।


নতুন সরকার   বাজেট ঘোষণা   জাতীয় সংসদ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন