নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৪৪ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০১৮
প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য সুরের এক আশ্চর্য মিশেল খুঁজে পাওয়া যায় কিংবদন্তি শিল্পী লাকী আখন্দের গানে। তাঁর গানের মায়াবী সুর শ্রোতাদের মন্ত্রমুগ্ধের মতো আঁকড়ে ধরে রাখে। তিনি ছিলেন সময়ের চেয়ে এগিয়ে। তাইতো কালক্রমে সংগীতের ধারা বদলালেও তাঁর গান আজও সমসাময়িক। ২০১৭ সালের আজকের দিনে (২১ এপ্রিল) না ফেরার দেশে চলে যান লাকী আখন্দ। আজ তাঁর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
জীবদ্দশায় অসংখ্য ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন লাকী আখন্দ। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত। তেমনি একজন কলকাতার জনপ্রিয় শিল্পী অঞ্জন দত্ত। তিনি লাকী আখন্দের এতটাই গুণমুগ্ধ যে, তাঁকে নিয়ে ‘লাকী আখন্দ’ শিরোনামে একটি গানও রচনা করেছেন। প্রায়ই তাঁর মুখ থেকে লাকী আখন্দকে নিয়ে প্রশংসা বাক্য ঝরে পড়ে। দু’জনের মধ্যে ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসেও লাকী আখন্দকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন অঞ্জন দত্ত। স্মৃতিচারণের কিছু অংশ বাংলা ইনসাইডারের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল-
‘১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসের দিকে আমি প্রথম বাংলাদেশে আসি গান গাইতে। ঢাকার ‘ন্যাশনাল মিউজিয়াম অডিটরিয়াম’এ আমাদের শো। প্রথমবার ঢাকা, হল ভর্তি শ্রোতা, দারুণ লাগছে। হঠাৎ শো’র মাঝামাঝি আমাদের অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা নিমা রাহমান আমায় জানান, হলে একজন শিল্পী উপস্থিত, যিনি বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় একজন শিল্পী। তাঁকে আমি চিনিনা, তাঁর গানও কখনো শুনিনি। কিন্তু একেবারেই নিছক আসর জমানোর উদ্দেশ্যে হঠাৎ তাকে মঞ্চে আসতে আহ্বান করলাম। তিনিও দিব্যি উঠে এলেন, এবং আমার সাথে গাইতে শুরু করলেন।
যদিও তাঁকে যখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আমার কোন গানটা গাইবো বলুনতো?’। তিনি বলেছিলেন, আমার গান তিনি আদৌ শুনেননি। দিব্যি গান গাওয়া হলো, আসর জমে গেল। বহু বছর যে শিল্পী গান গাওয়া বন্ধ করে চুপ মেরে বসেছিলেন হঠাৎ আবার গান গেয়ে উঠলেন। জীবনে খুব কমই আমি অন্য কোন শিল্পীর সঙ্গে গান গাইতে গিয়ে এতটা এনজয় করেছি।’
‘লাকী আখন্দ নেই সেটা ভাবতেও পারছি না। তাঁর সঙ্গে ছিল আমার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমাদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ হতো। তিনি কলকাতায় গেলে আমাদের দেখা হতো। অসুস্থতার সময় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল বন্ধ ছিল। এরপর তাঁর মেয়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেছি। তাঁর শুন্যতা কখনো পূরণ হবে কি না জানিনা। তবে এটুকু বলতে পারি, লাকী আখন্দের সঙ্গে গান গাওয়া আমার জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা।’
বাংলা ইনসাইডার/এইচপি
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অভিনয় থেকে আছেন দূরে।
মাঝে মধ্যে দুই একটা রিয়্যালিটি
শোয়ের বিচারকের দায়িত্বে দেখা যায়। বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটি গঠন
করেছে সরকার। ১৫ সদস্যের এই
কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা।
রবিবার (১২ মে) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সেন্সর
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নতুন
এই বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য সচিব। তিনি
আগামী এক বছর সেন্সর
বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এ
ছাড়া তথ্যমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ছয়জন সদস্য দায়িত্ব
পালন করবেন।
এতে
প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন
অভিনেতা আজিজুল হাকিম ও অভিনেত্রী দিলারা
হানিফ পূর্ণিমা। এছাড়াও অভিনয়শিল্পী হিসেবে আছেন অরুণা বিশ্বাস,
রোকেয়া প্রাচী, সুজাতা আজিম।
নির্মাতা
হিসেবে বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন কাজী হায়াৎ, জাহাঙ্গীর
আলম ও প্রযোজক হিসেবে
এই নিয়ে পঞ্চমবার সদস্য
হলেন খোরশেদ আলম খসরু।
নতুন
কমিটিতেও বরাবরের মতো আছেন বিএফডিসির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (নুজহাত ইয়াসমিন) ও সেন্সর বোর্ডের
ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন প্রতিনিধিও
থাকছেন সদস্য হিসেবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কয়েক
মাস আগেই মা হারিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। মা হারানোর ব্যথা এখনো ভুলতে পারেননি
। বিশ্ব মা দিবসে মায়ের শূন্যতা ও একরাশ অভিমান নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে
পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে
মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে পূজা লিখেছেন, ‘ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা। মামুনি
দেখেছো? তুমি কি পচা কাজ করেছো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অঝরে চোখ থেকে জল পরতে দিলে
!! সারাজীবনই তো এই জল পরবে গো মা। কি করে থামাবো? উফ খুব কষ্ট হচ্ছে মামুনি। আর লিখতে
পারছি না, বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভালো থেকো মামুনি আর মনে রেখো তোমার হাতের লাঠিটা অনেক
মিস করি অনেক অনেক অনেক।’
পেইজের
পাশাপাশি ফেসবুক আইডিতেও একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে লিখেছেন, ‘আমি তো এতো ভেঙ্গে
পরার মতো মেয়ে না। তবে আজকে কেন এতো ভেঙ্গে পড়ছি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।’ চলতি
বছরের ২৪ মার্চ সকালে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে
ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সর্বশেষ সিনেমা ডাবল
এক্সএলের পর ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার' এ ফরিদান ও তার মা রেহানার
দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
বিখ্যাত
অভিনেত্রী রেখা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সোনাক্ষীর অভিনয়ের প্রশংসা করে নিজেকে সোনাক্ষীর
দ্বিতীয় মা বলে অভিহিত করেছেন। সোনাক্ষীর মাকে রেখা বলেন, ও আমার মেয়ে, আপনার মেয়ে
নয়।
পিঙ্কভিলায়
এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানান, 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'- এর প্রিমিয়ারের
সময় রেখা তার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি রেখা নিজেকে তার দ্বিতীয় মা হিসেবেও
বলেন।’
রেখার
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনাক্ষী বলেন, ‘রেখা ব্যক্তি হিসাবে অনেক সুন্দর। তার মতো
একজনের কাছ থেকে মেয়ে ডাক শুনতে অবাক লেগেছে।’
মন্তব্য করুন