ইনসাইড পলিটিক্স

ব্রাজিলের ফুটবল আর শেখ হাসিনার আ. লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০১৮


Thumbnail

আওয়ামী লীগকে এখন অনেকেই তুলনা করেন ‘ব্রাজিল ফুটবল’ দলের সঙ্গে। ফুটবল বিশ্বে যেমন ব্রাজিল সবচেয়ে জনপ্রিয় দল তেমনি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসেও আওয়ামী লীগ সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি দল। ফুটবলের এত জনপ্রিয়তার জন্য যেমন ব্রাজিলের অবদান অস্বীকার করতে পারে না, তেমনি বাংলাদেশে রাজনীতি যে এখনো মানুষের প্রিয় বিষয় সেজন্য আওয়ামী লীগের ভূমিকাকে কেউ খাটো করতে পারে না। ব্রাজিলের কারণেই যে ফুটবল তৃতীয় বিশ্বের দরিদ্র, নিপীড়িত মানুষের কাছে পৌঁছেছে, তা অস্বীকার করবে না কেউই। তেমনি আওয়ামী লীগও এদেশের গণমানুষের কাছে রাজনীতিকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

ফুটবলের এমন একচ্ছত্র সাম্রাজ্যের পরও ব্রাজিল যেমন মাত্র ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে (অনেক ফুটবল বোদ্ধারা মনে করে ব্রাজিল যদি ১০ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতো তাহলে তার নামের প্রতি সুবিচার করা হতো) তেমনি আওয়ামী লীগ দলটি জাতির পিতার নেতৃত্বে এই দেশকে স্বাধীন করল, সেই দেশে ক্ষমতায় ছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর। ৭০ দশকে ব্রাজিল ছিল বিশ্ব ফুটবলে নান্দনিকতার প্রতীক। কিন্তু ৭০ এর পর তাদের ছিল বিশ্বকাপের জয় খরা। তেমনি আওয়ামী লীগ, প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগ বিপুল জনপ্রিয়তার পরও ক্ষমতায় ছিল মাত্র সাড়ে তিন বছর (৫৪’র যুক্তফ্রন্টের সরকার গঠন বাদ দিয়ে)। নব্বই এর দশকে এসে ব্রাজিল তার বিশ্ব জয়ের খরা কাটাতে নান্দনিকতার কৌশল ত্যাগ করে। গ্রহণ করে রক্ষণাত্মক, একঘেয়ে ফুটবল। জয়ের জন্য ফুটবল। তেমনি আওয়ামী লীগ যেন, ক্ষমতায় যেতে তার গণমানুষের চরিত্র পাল্টে কৌশলী হয়েছে। ক্ষমতায় যেতে যা যা করা প্রয়োজন সেটাই করেছে। আর সে কারণেই আওয়ামী লীগ টানা দু মেয়াদে ক্ষমতায় থেকেছে। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় যাবার ক্ষেত্রে তারাই ফেভারিট। এনিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই অনেক সমালোচনা। বিশেষ করে আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ তার আদর্শ থেকে দূরে। আওয়ামী লীগ আর গণমানুষের দল নেই বরং ব্যবসায়ী আর বিত্তবানদের দল। কিন্তু শেষ কথা হলো, জাতির পিতার হাতে গড়া দলটি ক্ষমতায় থেকে একে একে জাতির পিতার হত্যার বিচার করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে। বাংলাদেশকে দরিদ্র দেশের তালিকা থেকে বের করে এনেছে। একটা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠার পর থেকে যে দলটি শুধু মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছে। নির্যাতিত হয়েছে, নিপীড়িত হয়েছে। যে দলের নেতা বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা পিতা দীর্ঘ সংগ্রামের পর মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় থাকতে পেরেছে,সেই দলটি আজ টানা ১০বছর ক্ষমতায়।

আওয়ামী লীগ আজ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়তো ৬৯,৭০ এর মতো মানুষকে মাতাল করতে পারে না। জাতির পিতার আওয়ামী লীগের মতো শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জনতার উত্তাল ঢেউ জাগাতে পারে না। কিন্তু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ জানে ক্ষমতায় থাকার কৌশল। আর ক্ষমতায় না থাকলে সব স্বপ্নই যে অধরা তা বাংলাদেশের মানুষের চেয়ে কে বেশি জানে। জাতির পিতা বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে তার স্বপ্নগুলোকে প্রস্ফুটিত করতে পারেন নি। কিন্তু শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্নই পূরণের দ্বারপ্রান্তে। জাতির পিতার মতো তিনি মহামানব নন, জাতির পিতার মতো তাঁর উদাত্ত কণ্ঠ নেই, নেই সম্মোহনী শক্তি। কিন্তু তিনি কৌশলী। ১৯৮১’র ১৭ মে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে তিনি এসেছিলেন পিতার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণের এক আবছা স্বপ্ন নিয়ে। আজ সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবতার রূপ দিয়েছেন। ব্রাজিলের ফুটবল চিন্তা যেমন এখন পাল্টে গেছে, শেষ পর্যন্ত জয়ই হলো আসল। তেমনি আওয়ামী লীগকে তিনি গণমানুষের নিপীড়িতের দল থেকে টেনে তুলে ক্ষমতার অবয়বে সাজিয়েছেন। তিনিই এখন আওয়ামী লীগের প্রাণ ভোমরা। ১৭ মে তে তিনি না এলে আওয়ামী লীগ কি পেত কখনো এই সুখের সময়?  



Read in English- https://bit.ly/2IGWRUl


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতকে নিয়ে বিএনপিতে ঘরে বাইরে বিরোধ

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতকে নিয়ে নতুন বিরোধের মুখোমুখি হচ্ছে বিএনপি। স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের এই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বিএনপির ভেতরে যেমন শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব অন্তঃকলহ তেমনই বিএনপি যাদের সঙ্গে নির্বাচন প্রতিরোধের আন্দোলন করেছিল তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মতদ্বৈততা। বিএনপির নেতৃত্বের একটি বড় অংশ জামায়াতকে নিয়ে আবার প্রকাশ্য আন্দোলনের পক্ষে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভাতেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল এবং সেই বৈঠকে মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সহ স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য জোটের ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন। 

তারা বলছেন যে, জামায়াত এবং বিএনপি একসাথে জোট অনেকটাই অর্থবহ ছিল এবং এটির ফলে জনসমর্থনের দিক থেকেও তারা একটি আস্থাশীল অবস্থার মধ্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ২০১৮ নির্বাচনের পরে আন্তর্জাতিক চাপে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় বিএনপির। জামায়াত-বিএনপির ২০ দলীয় জোট কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়ে। এখন আবার নতুন করে জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির গাঁটছড়া বাঁধতে চাইছে। এর পিছনে অন্যতম কারণ হল ভারত বিরোধিতা। 

বিএনপির নেতা যারা জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্যে ঐক্য গড়ার পক্ষে, তারা বলছেন যে, ভারত বিরোধিতার রাজনীতি যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই জামায়াতকে পাশে নিতে হবে। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ নেতৃবৃন্দ জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য ঐক্যের বিরোধী। তারা বলছেন যে, এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থা মনোভাব তৈরি হবে। বিএনপির মহাসচিব এটাও মনে করেন যে, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সমর্থন ছাড়া বিএনপির পক্ষে কখনোই মাথা তুলে দাঁড়ানো সম্ভব না। আর এই কারণেই জামায়াতের সঙ্গে প্রকাশ্য করা হবে আত্মঘাতী। 

জামায়াতের সাথে ঐক্যের বিষয়টি নিয়ে এখন বিএনপির ঐক্যের মধ্যেও এক ধরনের টানাপোড়েন এবং বিভক্তি তৈরি হয়েছে। বিএনপির সঙ্গে যারা যুগপৎ আন্দোলন করছিল, সেই সমস্ত আন্দোলনকারী দলগুলোর মধ্যেও এ নিয়ে এক ধরনের বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করছে যদি জামায়াতকে নিয়ে আন্দোলন করা যায় তাহলে আন্দোলনের গতি হবে এবং শক্তিশালী হবে। অন্যদিকে জেএসডি, নাগরিক ঐক্য সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো মনে করছে যে, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্যের কোন প্রয়োজন নেই এবং এই ধরনের ঐক্য হলে সেটা হবে আত্মঘাতী। 

গতকাল ১২ দলীয় জোট এবং এলডিপির সঙ্গে বিএনপি বৈঠক করে। এই বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। ১২ দলীয় জোটের মধ্যে থেকে অনেকেই জামায়াতের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দাবি তুলেছেন। তারা বলেছেন যে, জামায়াতকে ছাড়া জোটে যে অন্যান্য দলগুলো আছে সেগুলো শক্তিশালী নয়। এবং আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যে কর্মী সমর্থক এবং কৌশলগত অবস্থান সেটি তৈরি করতে পারে না। এ কারণেই তারা জামায়াতকে পাশে পেতে চায়। তবে অন্যান্য রাজনৈতিক দল যারা বিএনপির সঙ্গে অভিন্ন ইস্যুটিতে আন্দোলন করছে তারা মনে করছে যে, জামায়াতকে প্রকাশ্য রাজনীতি করতে দেওয়া এখন উচিত না। এ নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। 

তবে বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, ধাপে ধাপে তারা সমমনা সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার বৈঠক করবে এবং এই সমস্ত বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসবে। 

জামায়াত   বিএনপি   রাজনীতির খবর   মির্জা আব্বাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর: সুশীলরা অতি উৎসাহী, আগ্রহ নেই রাজনীতিবিদদের

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল দুদিনের সফরে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন। বাংলাদেশের নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর এটি প্রথম সফর। নানা কারণেই এই সফরকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে যেরকম উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ত, এখন সে রকম পরিস্থিতি নেই। ডোনাল্ড লু এর বাংলাদেশ সফর নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলাপ আলোচনা আছে। তবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এর কেউই এই সফরকে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন না। 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডোনাল্ড লু বা কে বাংলাদেশে আসল সেটি আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমরা এটা নিয়ে আগ্রহও নই। অথচ ৬ মাস আগেও তিনি এই ধরনের সফর নিয়ে প্রচণ্ড আগ্রহী ছিলেন। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেছিলেন তখন বিএনপির মধ্যে রীতিমতো উৎসবের ঢেউ বয়ে গিয়েছিল। এখন বিএনপির নেতৃবৃন্দ কেন ডোনাল্ড লুর ব্যাপারে এত নিস্পৃহ-এর উত্তরে বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেছে যে, তারা মনে করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে ধোঁকা দিয়েছে এবং ডোনাল্ড লুর বিভিন্ন কঠোর কথাবার্তায় তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে সবকিছু তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাঁর ফলাফল ইতিবাচক হয়নি নিন।

ডোনাল্ড লুর নির্বাচনের আগে শেষ তৎপরতা ছিল সকল পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার জন্য তিনি একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির কাছে এই চিঠি হস্তান্তর করেছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। কিন্তু এই চিঠি বিফলে গেছে। কোন পক্ষই এই চিঠির প্রেক্ষিতে আলোচনায় বসার জন্য আগ্রহী হননি। তাঁর আগেই ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বলেছিলেন যে, বাংলাদেশে যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ না হয় তাহলে বাংলাদেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করা হবে। যারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বাধা সৃষ্টি করবে তাদেরকে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই হুমকিও বাস্তবে প্রতিফলিত হতে দেখা যায়নি। 

আওয়ামী লীগ অবশ্য শুরু থেকেই ডোনাল্ড লুর এ ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থায় ছিল। তবে ৭ জাতীয় নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুর সফর নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছিল, তিনি কি করবেন, না করবেন ইত্যাদি নিয়ে নানামুখী আলাপ আলোচনা ছিল, এখন আওয়ামী লীগের মধ্যে তেমন কোনো আলোচনা নেই। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, এই সফরটি সরকারি এবং এখানে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে ডোনাল্ড লুর এই সফর নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশের সুশীল সমাজের। সুশীল সমাজ শুরু থেকে ডোনাল্ড লু এর সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক বজায় রেখে চলছিল এবং নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লুকে ব্যবহার করে সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের কৌশলও দৃশ্যমান ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় সুশীলরা আশাহত হয়ে পড়েন। এবার ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে তারা নতুন করে আশায় বুক বেধেছেন। ডোনাল্ড লুর সফরে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে একটি বৈঠকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তবে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন যে, ডোনাল্ড লু এই যাত্রায় তিনটি দেশ সফর করছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত এবং শ্রীলঙ্কা সফর করছেন। এই উপমহাদেশের দেশগুলোর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়নের ব্যাপারে এটি একটি রুটিন সফরের অংশ। এ কারণেই এই সফরটি রাজনৈতিক ভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি   আওয়ামী লীগ   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   সুশীল সমাজ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তৃতীয় ধাপেও ভোটের মাঠে সক্রিয় বিএনপি নেতারা

প্রকাশ: ০৫:১০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে তৃণমূল নেতাদের ঠেকাতে পারছে না বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে দলটির তৃণমূল নেতারা। কড়া সতর্কবার্তা দেওয়ার পরও অনেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করে ভোটের মাঠে রয়েছেন। বিএনপি যাদেরকে বহিষ্কার করছে এমন সাত জন প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। 

তৃতীয় ধাপেও বিএনপির নেতাকর্মীদের বেশির ভাগই কেন্দ্রের নির্দেশনা মানছেন না। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত আছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটের মাঠে আছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী।

রোববার (১২ মে) তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। সোমবার প্রতীক বরাদ্দের মাধ্যমে এ ধাপে শুরু হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

তৃতীয় ধাপে তিন পদে মোট ১ হাজার ৫৮৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬১৮ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৪০০ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সোমবার চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর থেকে ২৭ মে রাত ১২টা পর্যন্ত প্রার্থীরা প্রচার চালাতে পারবেন। ২৯ মে এ ধাপে ভোট নেওয়া হবে।

ময়মনসিংহ বিভাগে মাঠে বিএনপি প্রার্থীরা

জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ত্রিশালে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জুয়েল ও বিএনপির সাবেক এমপি আবদুল খালেকের ছেলে আনোয়ার সাদাত ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জহিরুল আলম সোহাগ উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে থাকছেন বলে জানিয়েছেন।

খুলনায় রয়ে গেলেন বিএনপির সবাই

খুলনার ডুমুরিয়ায় বিএনপির তিন প্রার্থীই ভোটের মাঠে রয়ে গেছেন। তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি মনিমুর রহমান নয়ন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী আবদুল হালিম ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন।

রংপুর বিভাগে মাঠে বিএনপি-জামায়াতের ৫ প্রার্থী

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় প্রার্থী রয়েছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মোকাররম হোসেন সুজন এবং গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান লিপ্টন।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন বিএনপি নেতা মোকারম হোসেন। কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরিদুল হক শাহীন শিকদার ও কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা জামায়াতের সদস্য আবদুস সালাম সুজা।

প্রার্থী আছে সিলেটেও

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বিএনপি নেতা জাকির হোসেন সুমন সিলেটের বিয়ানীবাজারে নির্বাচন করছেন।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এনবিআর-কাস্টমসের হয়রানির বিষয় মন্ত্রিসভায় তোলা হবে: নানক

প্রকাশ: ০৪:৫৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

এনবিআর ও কাস্টমসের সমস্যা এবং সেবাগ্রহীতারদের হয়রানির বিষয়টি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। 

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও প্রবাসে ব্যবসা করা বাঙালিরাও এনবিআর ও কাস্টমসের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করে। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা চিহ্নিত করেছি। সমস্যা যখন চিহ্নিত হয়েছে সমাধান হতে বাধ্য। সুতরাং আমরা সমাধানের সূত্রগুলো বের করব এবং সমাধানগুলো খুব তাড়াতাড়ি করতে হবে।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, রোববার কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন। তিনি এনবিআর এবং কাস্টমসের হয়রানি নিয়ে কথা বলেছেন। এছাড়া সাংবাদিকরা রয়েছেন অনেক কথা আছে, যেগুলো আমি বলতে পারব না। সমস্ত জায়গা থেকে একটি অভিযোগ আসছে। আমি সম্প্রতি ওমরাহ হজ করে এসেছি। সৌদি আরবে ব্যবসায়ীরা জোর করেই আমার সঙ্গে বসে ছিলেন। বাঙালি ব্যবসায়ীরা সেখানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। সেখান থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।

তিনি জানান, দুটি বিষয় আছে, একটি হলো রেমিটেন্স পাঠানো, আর আরেকটি তারা যে ব্যবসা করে, তারা যেসব মালামাল পাঠায় তা নিয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসে ও এনবিআরে সমস্যা পোহাতে হয় তাদের। সর্বসাকুল্যে আমি বলব এনবিআর এবং কাস্টমসের যে সমস্যাগুলো রয়েছে, সেগুলোর মধ্যে এটা বড় সমস্যা। আমি সামনের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবো।

পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্পকে আমরা শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছি না, সমাজ পরিবর্তনেও আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। দারিদ্র্য বিমোচনেও আপনারা মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

বিজিএমইএ'র দাবির প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত না করে বাইরে কোথাও শিল্প করতে দেওয়া যাবে না, এটা শিল্পনীতি হতে পারে না। আপনারা নগদ সহায়তা প্রদান ২০২৬ সাল পর্যন্ত বলবৎ রাখার দাবি জানিয়েছেন। আমাদের টার্গেটে পৌঁছাতে হলে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে এই নগদ সহায়তার বিষয়টি থাকতে হবে।

এর আগে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) বলেন, আমাদের আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় হয়রানির জায়গা এনবিআর। এনবিআরের চেয়ারম্যান অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। কিন্তু তার নিচে যারা আছে... আলোর নিচে যেমন অন্ধকার সেই অন্ধকার। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে অডিট হয় না। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করলে আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এতে করে নির্দিষ্ট সময়ে আমরা আমাদের মাল আমদানি করতে পারছি না, রপ্তানিও করতে পারছি না।

তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আইনি কোন বাধা থাকে না। কিন্তু যোগাযোগ না করলেই হয়রানির শিকার হতে হয়। আমরা যাতে আইন মেনেই সুন্দর সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারি তার দাবি জানাচ্ছি। আমরা হয়রানিমুক্ত ব্যবসা করতে চাই।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে শিল্প করা যাবে না। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে মাত্র তিনটি চালু হয়েছে। অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু না করেই বাহিরে শিল্প করা যাবে না, এমন নির্দেশনা দিলে বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যাবে। অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই সার্কুলার তুলে নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় ২০২৬ সাল পর্যন্ত পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তা বহাল রাখার দাবি জানান বিজিএমইএ সভাপতি। পাশাপাশি সোর্স ট্যাক্স ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫০ শতাংশ করার দাবি জানান তিনি।

এনবিআর   কাস্টমস   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন