নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২২ মে, ২০১৮
বাজেট প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রতিদিনই থাকছে বাজেট নিয়ে নানা সংলাপ। বাজেটের নানা দিক নিয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও প্রায়ই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাজেটের খুঁটিনাটি নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। এসব বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বারবার বলছেন, এটাই তাঁর শেষ বাজেট। বাজেট সংলাপের অনেকগুলিই বিদায় অনুষ্ঠানে পর্যবসিত হচ্ছে। আগামী ৭ জুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে সম্ভবত তাঁর শেষ বাজেট দেবেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এটা মেনে নিয়েছেন। একনেকের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নতুন অর্থমন্ত্রী খুঁজছি। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে কাকে নেওয়া যায়, এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেকের সঙ্গেই কথা বলছেন।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আগামী অক্টোবরে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে। এর সঙ্গে সঙ্গেই বর্তমান সরকারের অবয়ব পরিবর্তন হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ছোট নির্বাচনকালীন সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবে। এই ছোট সরকারেই আত্মপ্রকাশ করত পারেন, নতুন অর্থমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নিজেই অর্থমন্ত্রী খুঁজছেন। এ ব্যাপারে তাঁর পছন্দ তিনি খোলামেলা ভাবেই দলীয় বিভিন্ন ফোরামে আলোচনাও করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকার শীর্ষে আছেন তিনজন টেকনোক্রেট। এদের মধ্যে কিছুদিন আগে পর্যন্ত জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদের নাম ছিল শীর্ষে। কিন্তু অনেক বিষয়ে ড. ফরাসউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সরকারের অর্থনৈতিক নীতি ও কৌশলের নীতিগত পার্থক্য থাকায়, প্রধানমন্ত্রী বিকল্প খুঁজছেন। এক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এবার বাজেটে ড. মশিউর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা দিয়েছেন। বাজেট প্রণয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রায় প্রতিদিনই ড. মশিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলছেন। গত একমাসে প্রধানমন্ত্রী অন্তত দুবার ড. আতিউর রহমানকে গণভবনে ডেকে নিয়েছিলেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন এবং ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক চিন্তা’ শীর্ষক একটি বইয়ের ব্যাপারে আলোচনা করতেই ড. আতিউর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী ড. আতিউর রহমানকে অত্যন্ত পছন্দ করেন। রিজার্ভ চুরির ঘটনা না ঘটলে ড. আতিউর রহমান অর্থমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে অনেক এগিয়ে যেতেন। প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও নাম আছে। এই তালিকায় বর্তমান পরিকল্পনা মন্ত্রী আ. হ. ম. মোস্তফা কামালের (লোটাস কামাল) নাম আছে। পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে তিনি সফল। অর্থ প্রতিমন্ত্রীও প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনাতে আছে। তবে কে অর্থমন্ত্রী হবে তা চূড়ান্ত করবেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই। গতকালও প্রধানমন্ত্রী রসিকতার ছলে বলেছেন, ‘অর্থমন্ত্রী খুঁজছি। দেখি পত্রিকায় একটা বিজ্ঞাপন দেওয়া যায় কিনা?’ প্রধানমন্ত্রীর এই রসিকতায় উপস্থিত সবার মধ্যে হাসির রোল পড়ে।
Read In English: https://bit.ly/2x4JBEk
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
এর কারণ হল সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সৌদি আরবে মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন। যদিও মোসাদ্দেক আলী ফালুর ঘনিষ্ঠরা এবং বিএনপির পক্ষ থেকে এটিকে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হিসেবে অস্বীকার করা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, যেহেতু মোসাদ্দেক আলী ফালু সৌদি আরবে অবস্থান করছেন এবং বিএনপির মহাসচিব সেখানে গেছেন, তারা দীর্ঘদিনের পরিচিত, ঘনিষ্ঠ- এ কারণে তার বাসায় আপ্যায়ন করা হয়েছে। এ বিষয়টির সঙ্গে কোন রাজনীতি নেই।
ফালুর ঘনিষ্ঠ একজন আত্মীয় বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন যে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নন, বিএনপির যেকোন নেতা গেলেই ফালু তাদেরকে আপ্যায়িত করেন পুরনো সম্পর্কের জেরে। এর সঙ্গে কোন রাজনীতির সম্পর্ক নেই। মোসাদ্দেক আলী ফালু বর্তমানে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে রাজনীতি করেন না।
কিন্তু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন সময় ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন, যখন বিএনপিতে অনেকগুলো ইস্যু নিয়ে টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু খালেদাপন্থী বিএনপি অংশের অন্যতম প্রধান নেতা হিসেবে বিবেচিত হন এবং বেগম জিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্কের কারণেই তাকে তারেক জিয়া কোনঠাসা করেছেন- এমন বক্তব্য বিএনপিতে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে। আর এরকম পরিস্থিতির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কারণে যারা বিএনপিতে এখন কোনঠাসা তারা এখন মোসাদ্দেক আলী ফালুর উত্থান চাচ্ছে। মোসাদ্দেক আলী ফালু যেন এখন রাজনীতিতে সক্রিয় থাকেন সেটা তারা কামনা করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও মোসাদ্দেক আলী ফালুর এই সাক্ষাতের পর বিএনপিতে খালেদাপন্থীরা আবার চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন। অনেকেই মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতেন তাহলে বিএনপি একের পর এক এই ভুল সিদ্ধান্তগুলো করতেন না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, ফালু যখন বেগম খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠ ছিলেন তখনও তিনি বিএনপির সমালোচনা করতেন, যে কোন সিদ্ধান্তের ব্যাপারে তার নিজস্ব মতামত রাখতেন। এ রকম লোক বিএনপিতে দরকার আছে।
তবে কেউ কেউ মনে করছেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার এখন সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে একটা টানাপোড়েন চলছে। কারণ খালেদা জিয়ার যে সমস্ত সম্পদ তার একটি বড় অংশ মোসাদ্দেক আলী ফালুর নামে রয়েছে এবং ফালু এই সমস্ত সম্পত্তিগুলো দেখভাল করেন। কিন্তু তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পত্তিগুলোর অংশীদারিত্ব চান, মালিকানা চান। এ কারণে তারেক জিয়া গত কিছুদিন ধরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর উপর চাপ সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিষয়টির মধ্যস্থতা করার জন্যই ফালুর সঙ্গে দেখা করেছেন কিনা তা নিয়েও কারও কারও অভিমত রয়েছে। অনেকেই মনে করেন যে, মোসাদ্দেক আলী ফালু একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং তার যে বিপুল সম্পদ তা পুরোটাই বেগম খালেদা জিয়ার। যেখান থেকে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি কিছু পান এবং সেই টাকা দিয়ে তিনি লন্ডনে চলেন।
এখন তারেক জিয়া এই সমস্ত সম্পদের হিসাব এবং সম্পদগুলো যেন জিয়া পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য চাপ দিচ্ছেন বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এমন একজন ব্যক্তি যিনি ফালু এবং তারেক জিয়া দুজনেরই ঘনিষ্ঠ এবং আস্থাভাজন। তিনি কি তাহলে ফালুর সঙ্গে তারেক জিয়ার সমঝোতা করতেই ওখানে গিয়েছিলেন? নাকি তারেকপন্থীদের কোণঠাসা করার জন্য ফালুকে রাজনীতিতে সামনে আনার নতুন করে চেষ্টা হচ্ছে।
তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মোসাদ্দেক আলী ফালু বিএনপি রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বিএনপি ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
পর্দার আড়ালে ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে মূলধারার রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। বিদেশে পলাতক জীবনযাপন করছেন। সেখানে বসেই বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছেন। সরকারের সাথেও নানা রকম ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়েই হঠাৎ করে আলোচনা জমে উঠেছে। শুধু বিএনপির মধ্যে নয়, রাজনৈতিক অঙ্গনে মোসাদ্দেক আলী ফালুকে নিয়ে এখন আলোচনা জমজমাট।
কাগজে কলমে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছেন না। নৌকা প্রতীক ছাড়াই আওয়ামী লীগের এমপিরা যে যার মতো করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী দিয়েছেন। ১৫০ টি উপজেলায় প্রথম ধাপে ৮ মে এই নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। আজ মধ্যরাত থেকেই নির্বাচনের প্রচার প্রচারণা বন্ধ হচ্ছে।