বিয়ে হয়ে গেলে সিনেমার নায়িকাদের কদর কমে যায়। এই তত্ত্ব বেশিরভাগ নায়িকাদের ক্ষেত্রে সত্য। যদিও মাধুরী, কারিনা কাপুর, আনুশকা শর্মার মতো নায়িকারা দিব্যি অভিনয় করে যাচ্ছেন। অবশ্য বেশিরভাগঅবিবাহিতা অভিনেত্রীকেই চলচ্চিত্রে সফল হতে দেখা গেছে। আবার এমন কিছু অভিনেত্রীকে পাওয়া যায় যারা বিয়ের আগেও সফল ছিলনা, বিয়ের পরেও সফলতা পায়নি। অবশ্য সাফল্য এসেছে বিবাহ বিচ্ছেদের পর। আজ এমন কয়েকজন বলিউড অভিনেত্রীর কথা জানালাম:

মল্লিকা শেরওয়াত

করণ সিং গিল নামক এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন মল্লিকা শেরওয়াত। যদিও তিনি স্বামীর প্রসঙ্গে কিছু জিজ্ঞাসা করা হলে এড়িয়ে যেতেন। বিয়ের পর গুটিকয়েক বিজ্ঞাপনে দেখা যায় মল্লিকাকে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছদ হওয়ার পর ‘মার্ডার‘ এবং ‘খোয়াইশ’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেন মল্লিকা।

রাখী গুলজার

বলিউডের এই অভিনেত্রী বিয়ের আগেও অভিনয় করতেন। কিন্তু স্বামী গুলজারের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর ‘শর্মিলি’ থেকে শুরু করে ‘কাভি কাভি’ এইসব সুপারহিট ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ আসে রাখী গুলজারের।

মাহি গিল

একজন মডেল হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার শুরু করা এই অভিনেত্রীও বিবাহবিচ্ছদের পর সাফল্য পান। যদিও মাহি তাঁর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার জন্য নিজেকেই দায়ী করেছিলেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তাঁর অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ উন্নতি হয়। ‘দেব ডি’‚ ‘সাহেব বিবি অর গ্যাংস্টার’-এর মতো ছবি করার সুযোগ পান মাহি।

কাল্কি কোয়েচিন

কাল্কি বলিউডে পা রেখেছিলেন অনুরাগ ক্যাশপের ‘দেব ডি’ ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। এই ছবি করতে গিয়ে কাল্কি আর অনুরাগ প্রেমে পড়েন এবং পরবর্তীতে তাঁরা বিয়েও করেন। এই ছবির জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকেরা কাল্কির অভিনয়ের বেশ প্রশংসাও করেন। এরপর বেশ কয়েকটা ছোটখাটো চরিত্রে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু অনুরাগের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ‘শয়তান’ ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। এর পরই ভাগ্য বদলে যেতে থাকে কাল্কির। সুযোগ পান ‘জিন্দগি না মিলেগি দোবারা’ আর ‘মার্গারিটা উইদ এ স্ট্র’ এর মতো ছবিতে।

বিদ্যা মালওয়াড়ে

‘চাক দে ইন্ডিয়া’ ছবিতে অভিনয় করার পর বেশ পরিচিতি পান বিদ্যা। চলচ্চিত্রে প্রবেশ করার আগে বিদ্যা ছিলেন একজন বিমানবালা। সে সময় তিনি অরবিন্দ সিং বাজ্ঞার নামে এক ক্যাপ্টেনকে বিয়ে করেন। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছররের মধ্যেই মারা যান তাঁর স্বামী। এরপর বিদ্যা অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। আর এর পরই বের হয় তাঁর হিট ছবি চাক দে ইন্ডিয়া।

অদিতি রাও হায়দারি 

অভিনয় জগতে প্রবেশ করার আগে বিবাহিতা ছিলেন এই তারকা। বিয়ের আগে নামমাত্র কয়েকটি ছবি আর বিজ্ঞাপন করেছিলেন। কিন্তু বিবাহ বিচ্ছদের পরই তাঁকে ‘দিল্লি ৬’‚ ‘ইয়ে শালি জিন্দেগি’‚ ‘রকস্টার’‚ ‘পদ্মাবত’-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে দেখা গেছে।

বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি/ জেডএ 

ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’তে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। 

মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।

ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, এ সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।

বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিশা পাটানি। যদিও অভিনয়ের থেকে নিজের সাহসী ও খোলামেলা রূপের জন্যই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।

নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই পারদ চড়ান দিশা। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন এই তারকা। সেখানে গিয়েই উষ্ণতা ছড়ালেন ভক্তদের মাঝে।

ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন দিশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ সমুদ্রে আলো ছায়ার খেলায় মেতেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই ওয়াইন রঙের একটি বিকিনি পড়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার হাজির হয়েছেন সাদা বিকিনিতে। একটুকরো পোশাকেই যেন শরীর ঢাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।

ইনস্টাগ্রামে দিশাকে প্রায় ৬ কোটি মানুষ অনুসরণ করেন। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি, মুহূর্তগুলোর চিত্র দেখতেই যেন তারা সবসময় মুখিয়ে থাকেন।

সম্প্রতি নিজের অবসর জীবনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। আর এদিকে আনুশকা খুব শিগগিরই হয়তো অভিনয় জীবন থেকে মুখ ফেরাবেন। তবে বিরাট-আনুশকা খুশি সংসার, সন্তান নিয়ে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট ছেলে অকায় ও মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।

গত পাঁচ বছর ধরে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি আনুশকার। মেয়ের জন্মের পর শুধু ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ ছবিটি করেছেন তিনি। অবশ্য সেটি আজও মুক্তি পায়নি।

অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার জীবনে অগ্রাধিকার পায় তার সন্তানরা। এবার বিরাটের অবসরের জল্পনা উঠতেই শোনা যাচ্ছে, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে লন্ডনেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবেন কোহলি-দম্পতি।

তবে, ছেলে অকায় বেশ ছটফটে হয়েছে বলে জানালেন বাবা বিরাট। আর মেয়ে ভামিকা নাকি তিন বছর বয়সেই ব্যাট ঘোরাতে শিখে গেছে! বিরাট অবশ্য এখন থেকেই কিছু অনুমান করতে চান না। তার কথায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওদের যা খুশি, বড় হয়ে সেটাই হবে।

কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা আদবানি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে তিনি যেন ঝলমলে প্রজাপতি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ভিডিও।

বলিউড অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন কিয়ারা ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটি অফ-হোয়াইট পোশাকে যেন পরী। ১৭ মে চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তার প্রথম লুকের আভাস দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছেন তিনি।

প্লাঞ্জ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে কিয়ারা পরেছিলেন হিরের দুল এবং হাই-হিল। তার পোশাক ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর ও প্রবাল গুরুং ছিলেন স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে।

গালা ইভেন্টে কিয়ারা আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর জোর দেবেন বলে জানা  গেছে। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা ।

‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর ৭৭তম আসরে হাজির হয়েছেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ’র ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’।

চার যুগ আগে ‘মন্থন’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন এই তারকা। যেটি ছিল অভিনেতার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।

এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। যেখানে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ। এই অভিনেতার অভিনয় বেশ মনে ধরেছে বলিউডের বিখ্যাত এই তারকার।

নাসিরুদ্দিন শাহ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সিনেমাটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো সিনেমা। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের সিনেমাটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি (শুভ) অভিনয় করেছেন তিনি দারুণ করেছেন। আমি সিনেমাটি উপভোগ করেছি। সিনেমাটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’

এ সময় বাংলাদেশে অভিনয়ের আগ্রহও প্রকাশ করেন এই অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো বাংলাদেশে সিনেমা করার অফার পাইনি। পেলে খুব খুশি হতাম। যদিও আমি দুইবার গিয়েছি সেখানে থিয়েটারে পারফর্ম করতে। কিন্তু সিনেমাটা করা হয়নি। বাংলাদেশের নির্মাতাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা।’