নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ৩১ মে, ২০১৮
জাতির পিতার ছবিগুলো সব সময়ই আকর্ষণীয়, প্রেরণা জাগানিয়া, ব্যক্তিত্বময়। তারপরও যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়, জাতির পিতার কোন ফটোগ্রাফটি অন্যরকম? বেশিরভাগ উত্তরদাতাই বলবেন পাইপ হাতে চিন্তামগ্ন বঙ্গবন্ধু। তাঁর চিন্তামগ্নতাই যেন আমাদের মুক্তির পথ রেখা। এরিনমোর ভর্তি পাইপ জাতির পিতার প্রিয় ছিল। যেকোনো বৈঠকে, আলোচনায় তিনি পাইপ সঙ্গে রাখতেন।
শুধু জাতির পিতা একা নন, বাংলাদেশে এবং সারাবিশ্বে রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারক অনেক রাজনীতিবিদই ধূমপায়ী ছিলেন, তামাক সেবক ছিলেন। কিন্তু দেশ ও জাতির জন্য তারা যে অবদান রেখেছেন, তাতে তাঁদের ধূমপানের বিষয়টি উহ্য থেকে গেছে। জাতির পিতা থেকে বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বর্তমান রাষ্ট্রপতিও ধূমপায়ী। বেনসন অ্যান্ড হেজেস তাঁর প্রিয় ব্যান্ড। বঙ্গভবনে গিয়ে তাঁর সবচেয়ে সমস্যা হয়েছে ধূমপানের। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় তিনি তাঁর কষ্টের কথা প্রায়ই বলেন। ধূমপায়ী রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর সাফল্য ব্যর্থতা ইতিহাস বিচার করবে, তবে সহজাত স্বভাব, হাস্যরস এবং সাদামাটা জীবনের জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। চেইন স্মোকার। ২০০০ সালের ঘটনা, শেখ সেলিম ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধূমপান বিরোধী একটি প্রচারণায় তিনি অংশ নেননি এজন্য যে, তিনি ধূমপায়ী। এখনো সিগারেট ছাড়া তাঁর চলেই না।
প্রেসিডিয়ামের আরেক সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও চেইন স্মোকার। তবে ইদানিং তিনি ধূমপান কমিয়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক সময় চেইন স্মোকার ছিলেন। কিন্তু ২০০৭ থেকে সিগারেট ছেড়ে দেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা কম না।
শুধু আওয়ামী লীগ কেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ধূমপান করতেন। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সিগারেট ধরাতেন। তারপর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াও চেইন স্মোকার। বিএনপির অনেক নেতাই ধূমপান করেন।
বিশ্বের অনেক খ্যাতিমান নেতাই ধূমপান করতেন। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন চুরুট সেবন করতেন। কিউবার ফিদেল ক্যাস্ট্রোরও প্রিয় ছিল চুরুট। স্যার উইনস্টন চার্চিল ধূমপায়ী ছিলেন। আর পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তো সিগারেটের ছাই শেষ হতে দিতেন না। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ধূমপায়ী ছিলেন।
আজ বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস। ধূমপান কিংবা তামাক সেবন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটা একটা স্বাস্থ্যগত সমস্যা। কিন্তু ইদানিং স্বাস্থ্যগত সমস্যার বিষয়টিকে আড়াল করে ধূমপান বিরোধী প্রচারণায় ধূমপায়ীদের চারিত্রিক দুর্বলতা তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এমনকি কিছু বিজ্ঞাপন চালানো হচ্ছে, সেসব দেখে মনে হচ্ছে ধূমপায়ী মানেই খারাপ। এটা একটা ভয়ংকর প্রবণতা। তামাক মুক্ত বিশ্ব গড়তে গেলে এই প্রবণতা ত্যাগ করতেই হবে। অনেক ভালো মানুষও ধূমপায়ী ছিলেন, যারা বদলে দিয়েছিলেন বিশ্বকে।
Read in English- https://bit.ly/2sADd2j
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।