নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৫৩ এএম, ১৭ জুন, ২০১৮
আন্দোলন নয়, প্যারোলে মুক্তির পক্ষেই মত দিলেন বেগম জিয়া। গতকাল শনিবার কারাগারে তাঁর সঙ্গে নিকটাত্মীয়রা দেখা করতে গেলে তিনি একথা বলেন। বেগম জিয়ার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
গতকাল ঈদের দিন দুপুরে বেগম জিয়ার ২০ জন আত্মীয় নাজিমউদ্দিন রোডে বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান। এর আগে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল জেল গেটে গিয়েছিলেন। কিন্তু সাক্ষাতের অনুমতি না থাকায়, বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেয়া হয়নি। এর কিছুক্ষণ পর শামীম ইস্কান্দারের নেতৃত্বে আত্মীয়রা কারাগারে প্রবেশ করেন। তাঁরা দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় কারা অভ্যন্তরে বেগম জিয়ার সঙ্গে সময় কাটান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাঁরা কাবাব, সেমাই, রোস্টসহ বিভিন্ন খাবার নিয়ে যান। সূত্রমতে, সিএমএইচে যাবার ব্যাপারে বেগম জিয়া অনাগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে। বেগম জিয়ার একজন আত্মীয়, যিনি কারাগারে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন, জানালেন যে, বিএনপি চেয়ারপারসন মনে করছেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে গেলে তাঁর সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বেগম জিয়া তাঁর প্যারোলের ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঈদের পর বড় ধরনের আন্দোলনের কর্মসূচির ব্যাপারে অসম্মতি জানিয়েছেন বেগম জিয়া। তাঁর আত্মীয়দের বলেছেন, এর ফলে তাঁর জেল থেকে বেরুনোর পথ আরও কঠিন হয়ে যাবে। তিনি সরকারের সঙ্গে একটা বোঝাপড়া করে, তাঁর মুক্তির ব্যবস্থা করতে বলেছেন।
গতরাতেই, শামীম ইস্কান্দার দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বেগম জিয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। মির্জা ফখরুল এনিয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করবেন বলেও জানিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।