ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

১০০ বছরে দেশগুলো ‘হারিয়ে’ গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৪৪ পিএম, ২২ জুন, ২০১৮


Thumbnail

শত বছর আগেও যে দেশগুলো সগৌরবে সার্বভৌম দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিল, আজ সেগুলোর অস্তিত্ব বিলীন। এর মাঝে যেমন জন্ম নিয়েছে নতুন রাষ্ট্র বা নাম পরিবর্তন হয়েছে, তেমনি হারিয়ে গেছে কিছু দেশ। বিশ্ব মানচিত্র ও এখন আগের তুলনায় ভিন্ন রূপ ধারণ করেছে। আসুন তাহলে আজ জেনে নেওয়া যাক গত ১০০ বছরে যে দেশগুলো হারিয়ে গেছে, সে দেশগুলো সম্পর্কে:

যুগোস্লাভিয়া: ১৯১৮ সালে দক্ষিণ ইউরোপের এই দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর সার্বিয়া, মন্টিনেগ্রো, স্লোভেনিয়া, মেসিডোনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা মিলে এই নতুন রাষ্ট্র গঠিত হয়। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার দিকে বেশি অগ্রসর হয়। পর পর চারটি যুদ্ধে ক্রোয়েশিয়া, মেসিডোনিয়া, বসনিয়া ও স্লোভেনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে। সার্বিয়া ও মন্টিনেগ্রো পরবর্তীতে ‘ফেডারেল রিপাবলিক অফ যুগোস্লাভিয়া’ নাম নিয়ে টিকে থাকলেও ২০০৬ সালে মন্টিনেগ্রো স্বাধীনতা লাভ করলে যুগোস্লাভিয়া নামটি চিরতরে হারিয়ে যায়।

তিব্বত: হিমালয়ের উত্তর প্রদেশে অবস্থিত নিষিদ্ধ নগরী তিব্বত। তিব্বত নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। শত শত বছরের পুরনো এই দেশটিতে লুকিয়ে আছে অনেক রহস্য। ১৯১২ থেকে ১৯৫১ সাল পর্যন্ত গণচীনের অন্তর্ভুক্ত থাকাকালীন তিব্বত একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র ছিল। নোবেল পুরষ্কার প্রাপ্ত দালাইলামা ছিলেন দেশটির নেতা যিনি বর্তমানে ভারতে নির্বাসনে রয়েছেন। তবে এখনো দেশটিকে স্বাধীন করার চেষ্টা চলছে। দেশটিতে দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার না থাকা, দুর্গম পরিবেশ ও পর্যটক প্রবেশে বাঁধা থাকার কারণে দেশটির অনেক তথ্যই সকলের কাছে অজানা।

আবিসিনিয়া: সাম্রাজ্যবাদী লক্ষ্য পূরণে ইতালি আবিসিনিয়া দখল করে। ইতালিতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, উৎপাদিত দ্রব্য সামগ্রীর বাজার, মুসলমানদের ওপর আধিপত্য বিস্তার প্রভৃতি কারণে ইতালি ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবা বা আবিসিনিয়া দখল করে। ১৯৩৫ সালের ৩রা অক্টোবর ইতালি ইথিওপিয়ার ওপর আক্রমণ করে। যুদ্ধে পরাজিত হয়ে আবিসিনিয়ার সম্রাট হেইলে সেলাসি দেশ ত্যাগ করেন। ১৯৩৬ ইতালি সম্পূর্ণভাবে দখল আবিসিনিয়া দখল করে নেয়।

চেকোস্লোভাকিয়া: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের শেষ দিকে ১৯১৮ সালের অক্টোবর মাস থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে চেকোস্লোভাকিয়ার অস্তিত্ব ছিল। ১৯৯২ সালে ভেলভেট বিপ্লবে দেশটি ভেঙ্গে দুটি দেশ ভিন্ন রাষ্ট্র গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।এরপর ১৯৯৩ সালে দেশটি বিভক্ত হয়ে চেক প্রজাতন্ত্র ও স্লোভাকিয়া নামে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠন করে। এর ফলে বিশ্ব মানচিত্রের বুক থেকে চেকোস্লোভাকিয়া নামটি চিরতরে হারিয়ে যায়।

পার্সিয়া: দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত দেশ পার্সিয়া ছিল ইতিহাসের প্রাচীনতম সভ্যতার একটি। গ্রিকরা মুসলিম প্রধান এই দেশটিকে পার্সিস বলে ডাকত, তবে ইউরোপীয় ভাষায় এর নাম হয় ‘পার্সিয়া’। ১৯৩৫ সালে দেশটির তৎকালীন শাসকের অনুরোধে পার্সিয়া নাম পরিবর্তন করে দেশটির নাম রাখা হয় ‘ইরান’। বর্তমানে সারা বিশ্বে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বৃহত্তম ভাণ্ডার হিসেবে ‘ইরান’ নামটি সবার কাছে সুপরিচিত। বলা হয়, পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের পতনের মাধ্যমেই ইরানে আধুনিক ইসলামী প্রজাতন্ত্রের অভ্যুদয় ঘটে।

নিউট্রাল মরেসনেট:  প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ই হারিয়ে যাওয়া দেশ নিউট্রাল মরেসনেট এর কথা অনেকেরই অজানা। অথচ ১৮১৬ সাল থেকে ১৯১৯ সাল পর্যন্ত এ দেশটির অস্তিত্ব ছিল। এমনকি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দেশটির নিজস্ব পতাকা, মুদ্রা ও ভাষা ছিল। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর দেশটি বেলজিয়ামের অধিভুক্ত হয়ে যায়। তবে ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানি দেশটি দখল করে নেয়। ১৯৪০ থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত দেশটি জার্মানির নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ১৯৪৪ সালে দেশটি আবার বেলজিয়ামের দখলে চলে যায় এবং মরেসনেট নামটি পৃথিবী থেকে মুছে যায়।

সিলন: ভারতের দক্ষিণাংশে অবস্থিত ১৯৭২ সালের আগ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার পূর্ব নাম ছিল সিলন। প্রাচীনকাল থেকেই এই দ্বীপটি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান নামে সুপরিচিত। বণিকদের কাছে দ্বীপটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল এবং ১৭৯৬ সালে দ্বীপটি ব্রিটিশদের অধীনে চলে যায়। ব্রিটিশ শাসনের অধীনে থাকা অবস্থায়ই ১৯৪৮ সালে দেশটি ‘সিলন’ নামেই স্বাধীনতা লাভ করে। পরে, ১৯৭২ সালে এই নাম পরিবর্তিত হয়ে শ্রীলঙ্কা নামধারণ করে সারা বিশ্বে পরিচিতি পায়।

সায়াম: ১৮৫১ সাল থেকে ১৯৩৯ সালের আগ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের পূর্ব নাম ছিল সায়াম বা শ্যামদেশ। এটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। প্রাচীন আমলেই সে সময়কার রাজা দেশটির আধুনিকায়নে যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করে। তাই, সায়ামের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পিতা হিসেবে গণ্য করা হতো সে সময়ের রাজা মংকুটকে। তবে সে সময় দেশটি কোন ইউরোপীয় বা বিদেশী শক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল না। ১৯৪৯ সাল থেকে দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে থাইল্যান্ড নামকরণ করা হলে সায়াম নামটি মুছে যায়।

প্রুশিয়া: প্রুশিয়া নামক ঐতিহাসিক রাষ্ট্রটি জার্মানের ব্রান্ডেনবার্গ অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল। জার্মানি সৃষ্টির পূর্বে যে কয়েকটি ছোট বড় রাষ্ট্রের সমন্বয় ছিল, তাঁর মধ্যে প্রুশিয়া বৃহত্তম। উনবিংশ শতাব্দীর দিকে ইউরোপের একটি বৃহৎ শক্তির নাম ছিল প্রুশিয়া। পরবর্তীতে জার্মানির অধিভুক্ত হলে এটি জার্মানিকে প্রভাবান্বিত করে ও ঐতিহাসিক প্রুশিয়ান সাম্রাজ্য হারিয়ে যায় চিরতরে। ১৯৩৪ সালে নাজিদের মাধ্যমে দেশটি সভ্যতা থেকে পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

অটোম্যান এম্পায়ার: অটোম্যান এম্পায়ারকে উসমানীয় সাম্রাজ্য ও বলা হত । নিবেদিত ও যোগ্য সব শাসকরা এই সাম্রাজ্য শাসন করে ব্যাপক উন্নতি সাধন করে। বিশেষ করে ১৫শ  ও ১৬শ শতাব্দীতে এই সাম্রাজ্য ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। রাজনৈতিক ও সামরিক দিক থেকে একে রোমানীয় সাম্রাজ্যের সঙ্গে তুলনা করা হতো। ১৯২৪ সালে তুর্কি দেশটি অধিগ্রহণ করলে অটোম্যান এম্পায়ার পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যায়।

বাংলা ইনসাইডার



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত

প্রকাশ: ০৮:১৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। খবর আল-জাজিরার

এদিকে পার্স টুডের খবরে বলা হয়, হেলিকপ্টারটিতে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রাহমাতিসহ আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব রয়েছেন। 

সীমান্ত এলাকায় আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে যৌথভাবে একটি বাঁধ উদ্বোধনের পর তিনি শহরে ফিরছিলেন। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, হেলিকপ্টারটি গন্তব্যে পৌঁছার আগেই অবতরণে বাধ্য হয়েছে। বিরূপ আবহাওয়ার কারণে সেখানে এখনও উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছাতে পারেননি। 

ইরানের প্রেসিডেন্ট   ইব্রাহিম রাইসি   আল-জাজিরার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কিরগিজস্তান থেকে ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরালো পাকিস্তান

প্রকাশ: ০৩:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

কিরগিজস্তানের রাজধানী বিশকেকে আটকে পড়া ১৪০ শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পাকিস্তান। গতকাল শনিবার রাতে বিশকেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হামলার পর একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে পাকিস্তানে ফেরেন এই শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১৯ মে) আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি জানিয়েছেন, কিরগিজস্তান থেকে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বিশেষ ফ্লাইট লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। সহিংসতার পর যেসব পাকিস্তানি শিক্ষার্থী দেশে ফিরতে চান, তাদের জন্য এমন আরও ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মে একদল কিরগিজ নাগরিকের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ান মিশরীয় শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে বিশকেকের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা বিদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত বাসভবনে ঢুকেও হামলা চালানো হয়। সেসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশি, পাকিস্তানি ভারতীয়রাও রয়েছেন।


কিরগিজস্তান   দেশ   পাকিস্তান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

সৌদি যুবরাজ সালমানের সঙ্গে সুলিভানের বৈঠক

প্রকাশ: ০১:২০ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিস্তৃত দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এবং গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। সৌদি শহর ধহরানে দুজনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১৯ মে) সৌদি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এবারর বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে খসড়া কৌশলগত চুক্তির সেমিফাইনাল সংস্করণ পর্যালোচনা করা হয়েছে। এই চুক্তিটি এখন প্রায় চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

বড় ধরনের একটি চুক্তির অংশ হিসেবে মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টি বেসামরিক পারমাণবিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করছে ওয়াশিংটন রিয়াদ। এই চুত্তির আওতায় সৌদি-ইসরায়েল সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে চলতি মাসের গোড়ার দিকে রয়টার্স জানায়, ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ অধরা থাকলেও পরমাণু চুক্তি চূড়ান্ত করতে চাইছে বাইডেন প্রশাসন সৌদি সরকার।


সৌদি যুবরাজ   সালমান   সুলিভান  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত

প্রকাশ: ১২:৫৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাকিস্তানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী শিশুও রয়েছেন এবং তারা সবাই একই পরিবারের সদস্য। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

ব্রেক ফেল করে গাড়ি খাদে পড়ে গেলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। রোববার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের নওশেরায় শনিবার ব্রেক ফেল করে একটি মিনি-ট্রাক গভীর খাদে পড়ে গেলে পুরুষ, নারী শিশুসহ একই পরিবারের ১৪ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আরও আটজন আহত হয়েছেন।


পাকিস্তান   সড়ক   দুর্ঘটনা   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাংলাদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে ভোট করার চেষ্টা করছেন মোদি: কেজরিওয়াল

প্রকাশ: ১২:২৮ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের লোকসভা নির্বাচন চলছে। সাত দফার নির্বাচনের মধ্যে ইতোমধ্যেই চার দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে টানা তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমেছেন নরেন্দ্র মোদি।

নির্বাচনের মধ্যেই মোদির ব্যাপক সমালোচনা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, মোদি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতের ভোটেও একই কাজ করার চেষ্টা করছেন। 

এমনকি রাশিয়ার সঙ্গেও ভারতের তুলনা করেছেন কেজরিওয়াল। শনিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল গত শুক্রবার ভারতের পরিস্থিতিকে রাশিয়ার সাথে তুলনা করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী মোদিকে পরোক্ষভাবে উপহাস করেছেন। একইসঙ্গে ভারত 'খুব বিপজ্জনক' পর্যায়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। 

মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী ইন্ডিয়া ব্লকের এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে কেজরিওয়াল বলেন, 'বর্তমানে দেশের পরিস্থিতি খুবই বিপজ্জনক। পুতিন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট... পুতিন হয় তার সব প্রতিদ্বন্দ্বী নেতাদের জেলে পাঠিয়েছেন, আর না হয় তাদের হত্যা করেছেন। তারপর (পুতিন) নির্বাচন পরিচালনা করেন এবং ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন'।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল আরও বলেন, 'বাংলাদেশে, সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে। (নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে) সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন। পাকিস্তানের নির্বাচনে দেশটির প্রবীণ নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল, তার দলকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, তার দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং এরপরই নির্বাচন পরিচালিত হয়েছে...,'।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'মোদিজি, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শেখার পরে এখানে, ভারতে একই জিনিস প্রয়োগ করার চেষ্টা করছেন।'

তিনি আরও বলেন, 'তারা আমাকে জেলে রেখেছিল, (দিল্লির সাবেক ডেপুটি সিএম) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে রাখা হয়েছিল... কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট আটকে দেওয়া হয়েছিল... এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটি কাপুরুষতার চিহ্ন।'


দিল্লি   অরবিন্দ কেজরিওয়াল   বাংলাদেশ   নরেন্দ্র মোদি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন