ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাকার অর্ধেকের বেশি আসনে আ. লীগের নতুন মুখ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৮ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

ঢাকার ২০ টি আসনের মধ্যে ১৩ টিতেই নতুন মুখ আনতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। একাধিক জরিপ, বিগত সময়ে বিভিন্ন এমপির কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করে এবং বার্ধক্য জনিত কারণে বর্তমানে এমপি অথবা গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন এমন অনেককে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার আসনগুলোতে ব্যাপক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্দেশ অনুযায়ী ঢাকার আসনগুলোর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই নতুন মুখ আসছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় নতুন মুখ নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরিচিত মুখ ও ব্যবসায়ীরা প্রাধান্য পাবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার ঢাকার মধ্যে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) কোনো আসন দেওয়া হবে না। শুধু একটি ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হতে পারে সেটি হলো ঢাকা-৬। সেখানে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে হয়তো ছাড় দেওয়া হতে পারে। এর বাইরে সব আসনই আওয়ামী লীগ রাখতে চায়।

ঢাকার আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের আসন বিন্যাস হতে পারে এমন:

ঢাকা (১৭৪ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সালমা ইসলাম (জাতীয় পার্টি)

এলাকা: ঢাকা-১ আসনটি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: গতবার এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন আবদুল মান্নান খান। এবার তিনি আর মনোনয়ন পাচ্ছেন না। তাঁর স্থলে মনোনয়ন পেতে পারেন বেক্সিমকো গ্রুপের সালমান এফ রহমান।

ঢাকা (১৭৫ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. কামরুল ইসলাম (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানিগঞ্জ উপজেলার কিছু অংশ, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানার সুন্দরগঞ্জ ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এই আসনে বর্তমান এমপি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামই আবার মনোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা (১৭৬ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: নসরুল হামিদ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৩ আসনটি ঢাকা জেলার কেরানিগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া কোন্ডা ও শুভাঢ্যা এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ঢাকা-২ এর মতো এই আসনেও বর্তমান এমপি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা (১৭৭ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সৈয়দ আবু হোসেন (জাতীয় পার্টি)

ঢাকা-৪ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন শ্যামপুর থানার শ্যামপুর ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ২০০৮ সালে এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল বর্তমানে সংরক্ষিত মহিলা আসন-২৪ এর এমপি সানজিদা খানম। এবার এই আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতির সাবেক সহকারী একান্ত সচিব ড. আওলাদ হোসেন এগিয়ে আছেন। তবে আওলাদ হোসেনও শেষ পর্যন্ত পাবেন কিনা নিশ্চিত নয়। তিনি না হলে এই আসনেও আসছে অন্য নতুন মুখ।

ঢাকা (১৭৮ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি:  হাবিবুর রহমান মোল্লা (আওয়ামী লীগ)

এটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৪৮, ৪৯,ও ৫০ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডেমরা ইউনিয়ন, দনিয়া ইউনিয়ন, মাতুয়াইল ইউনিয়ন ও সারুলিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এই আসনে বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা মনোনয়ন পাচ্ছেন না। পরিবর্তন করে এই আসনেও নতুন মুখ আনছে আওয়ামী লীগ। আর এই নতুন মুখ ব্যবসায়ী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

ঢাকা (১৭৯ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: কাজী ফিরোজ রশীদ (জাতীয় পার্টি)

ঢাকা-৬ আসন ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এটি ছিল বর্তমান ঢাকা দক্ষিণ মেয়র সাঈদ খোকনের সিট। গতবার এই আসন দেওয়া হয়েছিল জাতীয় পার্টিকে। এবার এখানে নতুন মুখ আনতে পারে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা (১৮০ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: হাজী মোঃ সেলিম (স্বতন্ত্র)

ঢাকা-৭ আসনটি ঢাকা জেলার লালবাগ, চকবাজার, বংশাল ও কোতোয়ালি থানা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: অসুস্থতার কারণে হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন না। মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন গতবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছে। এবার তিনিও মনোনয়ন পাচ্ছেন না। এখানেও নতুন মুখ আসতে পারে।

ঢাকা (১৮১ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: রাশেদ খান মেনন (বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টি)

ঢাকা-৮ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: এবারও এই আসনটি ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা (১৮২ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সাবের হোসেন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-৯ আসনটি ঢাকা মেট্রপলিটন খিলগাঁও ও সবুজবাগ থানাধীন নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন ও মাণ্ডা ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬ ও ০৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা ১০ (১৮৩ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: শেখ ফজলে নূর তাপস (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১০ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি শেখ ফজলে নূর তাপসই সব জরিপে এগিয়ে। তাই এই আসনে তাঁকেই আবার মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে।

ঢাকা ১১ (১৮৪ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এ কে এম রহমতুল্লাহ্ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১১ আসনটি ঢাকা মেট্রপলিটন বাড্ড থানা ও ভাটারা থানাধীন বেরাইদ ইউনিয়ন ভাটারা ইউনিয়ন ও সাঁতারকুল ইউনিয়ন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ২১, ২২ ও ২৩ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি এ কে এম রহমতুল্লাহ্‌র এবার মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখানেও নতুন মুখ আনতে পারে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১২ (১৮৫ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: আসাদুজ্জামান খাঁন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১২ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল আবার মনোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা ১৩ (১৮৬ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: জাহাঙ্গীর কবির নানক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৩ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: ঢাকা-১২ এর মতোই এই আসনেও বর্তমান এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক মানোনয়ন পেতে পারেন।

ঢাকা ১৪ (১৮৭ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. আসলামুল হক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৪ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৭, ০৮, ০৯, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি মো. আসলামুল হকের বদলে এই আসনে নতুন মুখের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৫ (১৮৮ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: কামাল আহমেদ মজুমদার (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৫ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: কামাল আহমেদ মজুমদার এবার আর মানোনয়ন পাচ্ছেন না, এখানেও আসছে নতুন মুখ।

ঢাকা ১৬ (১৮৯ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৬ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০২, ০৩, ০৫ ও ০৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্ এর বদলে এখানেও নতুন মুখের কথা ভাবছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৭ (১৯০ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এস. এম, আবুল কালাম আজাদ (বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ))

ঢাকা-১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৫,১৮, ১৯ ও ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বিএনপির সাবেক নেতা ও মন্ত্রী নাজমুল হুদা এই আসনটি চাচ্ছেন। তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিলে এই আসনে মনোনয়নও পেতে পারেন। সেটি না ঘটলে এই অসনেও নতুম মুখ আসছে। আর নতুন মুখ হতে পারেন একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

ঢাকা ১৮ (১৯১ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: সাহারা খাতুন (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৮ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ০১ ও ১৭ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রপলিটন হরিরামপুর ইউনিয়ন, উত্তরখান ইউনিয়ন, দক্ষিণখান ইউনিয়ন, ডুমনি ইউনিয়ন ও বিমানবন্দর এলাকা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি সাহারা খাতুন এবার হয়তো মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। সেক্ষেত্রে এই আসনেও নতুন মুখ আনবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ১৯ (১৯২ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: ডা. মো. এনামুর রহমান (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-১৯ আসনটি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া ইয়ারপুর আশুলিয়া বিরুলিয়া বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হওয়া বর্তমান এমপি ডা. মো. এনামুর রহমান যে এবার মনোনয়ন পাচ্ছেন না তা নিশ্চিত। এখানেও নতুন মুখ আনছে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা ২০ (১৯৩ তম সংসদীয় আসন)

বর্তমান এমপি: এম এ মালেক (আওয়ামী লীগ)

ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত।

আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী: বর্তমান এমপি এম এ মালেক এবার মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। এই আসনেও আওয়ামী লীগ নতুন মুখ আনতে পারে।


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সেদিন কী বলেছিলেন বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চারদিন পর ২১ মে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশন ছিল ৩৪ কার্যদিবসের। মোট ৪১ দিন অধিবেশন চলে। ২১ মে এর অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাসভবন শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির অনেক নেতাই টিপ্পনি মূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর হালদার এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এই সময় যে সমস্ত বিএনপির নেতারা পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। তিনি এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন কিছুই করতে পারবেন না।

শাহ আজিজ এটাও মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন বাকশালে ফিরে যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কোনোদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। 

এসময় বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য তৎকালীন পাবনা-২ নির্বাচিত ডা. এম এ মতিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব যা করেছেন তাঁর জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদে এই নেতা। 

যশোর-৯ থেকে নির্বাচিত তরিকুল ইসলামও ঐ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছর শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দিলীন হয়ে গেছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যায় না। তিনি শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেছিলেন। 

এই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিএনপির আরেক নেতা তৎকালীন ঢাকা-২৮ থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি যেন নতুন ষড়যন্ত্র না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারের এই আলোচনায় অবশ্য কোন রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। স্পিকার এর পর মূল আলোচনার জন্য দিনের কার্যসূচিতে ফিরে যান।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জাতীয় প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষকে ভালো রাখতে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করছেন শেখ হাসিনা: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল।

তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে তখন এই অপশক্তির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। সেজন্য রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে বলেও জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনা   বাহাউদ্দিন নাছিম   আওয়ামী লীগ   ঢাকা-৮  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন কমিশন একদিন বিশ্বের রোল মডেল হবে: ইসি হাবিব

প্রকাশ: ০৫:৩৬ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে। তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।

একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম। আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।

ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন। আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন। 

ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।

যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ নেয়। 

অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান হাবিব খান।


নির্বাচন কমিশন   ইসি হাবিব  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন