ইনসাইড পলিটিক্স

ঢাবি উপাচার্য ভুল কী বললেন?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের চলাচল, অবস্থান বা অন্য যেকোনো কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার কথা গত রোববার গণমাধ্যমকে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান ঘোষণা করেন, বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হবে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীরা দায়িত্ব পালন করবেন। অর্থাৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন তখন যত্রতত্র কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এ ঘোষণা আসার পরপরই দেশের তথাকথিত সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। এই বুদ্ধিজীবী ও সুশীলরা ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগত চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে, এই মানুষগুলোই যখন আবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, কিংবা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশের অন্যান্য যে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যান, সেখানে কিন্তু তাঁরা নিরাপত্তারক্ষীর প্রশ্নের উত্তর দিয়ে, গলায় পরিচয়সূচক কার্ড ঝুলিয়ে প্রবেশ করতে অসম্মানিত বোধ করেন না। কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা রক্ষার্থে চেকপোস্ট বসানো হলেই তাঁরা ক্ষুব্ধ হন।

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে যে কেউ যখন তখন প্রবেশ করতে পারেন না। নিরাপত্তারক্ষীকে জবাবদিহি করে, অনুমতি নিয়ে কার্ড গলায় ঝুলিয়ে তবেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা যায়। শুধু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া দেশের অন্য সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও গেট আছে। প্রয়োজন মাফিক সেগুলোতে প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রিত করে দেওয়া হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমনটা আমরা দেখেছি, দেখেছি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও। তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলায়ই কেবল এই নিয়মের ব্যতিক্রম হবে কেন? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি বহিরাগত কিংবা দুর্বৃত্তদের আশ্রয়কেন্দ্র? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয়ই কোনো জঙ্গল না যে সেখানে পৃথিবীর সবার অবাধ প্রবেশাধিকার থাকবে।

একটি বিশ্ববিদ্যালয় হলো ছাত্র-শিক্ষকদের মিলনকেন্দ্র। এখানে জ্ঞানচর্চা হবে, জ্ঞান বিনিময় হবে, হবে মননের বিকাশ। সেখানে যদি দুর্বৃত্তরা বিনা বাধায় প্রবেশ করে তাহলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কোনো শুভ পরিণাম বয়ে আনে না।

আমরা সবাই জানি, যখনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো মিছিল হয়, মানববন্ধন হয় তখনই দেখা যায় শহরের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থী নিয়ে আসা হয়, রাজনৈতিক কর্মসূচি তাঁদেরকে দিয়ে করানো হয় যা কোনোমতেই কাম্য নয়।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে বহিরাগতদের রাজত্ব। এ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে যতবারই অভিযান চালানো হয়েছে, বহিরাগত পাওয়া গেছে। গ্রাম থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ছোট ভাই আসলে, চিকিৎসা করতে এলাকা থেকে বন্ধু আসলে তাঁদের জায়গা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে। এমনকি অনেকে নিজের সিট ভাড়া দিয়ে রোজগারও করছে। আবার অনেকে পড়াশোনা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও হলের সিট ছাড়ছে না। এগুলো কোনোভাবেই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুনের মধ্যে পড়ে না। তাহলে ক্যাম্পাসে বহিরাগত নিয়ন্ত্রণের কথা বলে উপাচার্য ভুলটা করলেন কী? সুশীল ও বুদ্ধিজীবীদের আবদার রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কি তবে অরক্ষিত থেকে যাবে?

এক সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টি বহিরাগতদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ সরকার উচ্চ ভর্তুকি দিয়ে থাকে। যেখানে দেশের কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়, সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা পড়ছে নূন্যতম খরচে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু এবং শুধুই শিক্ষার জন্য সুরক্ষিত করার দরকার। শিক্ষার স্বার্থে সুরক্ষিত করা দরকার। ছাত্র-শিক্ষক-গবেষক ছাড়া, শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ও গবেষণার কাজ ছাড়া বহিরাগত উটকো কোনো ব্যক্তি বিনা কারণে যাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া অতি জরুরী। উটকো বহিরাগত লোকেরা যে কেবল ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করে তাই নয়, তাঁরা শিক্ষার পরিবেশও নষ্ট করে। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যাতে কোনো আড্ডাখানা হতে না পারে, বহিরাগতদের চারণভূমি হতে না পারে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

পৃথিবীর বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ই সুরক্ষিত। সব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতেই কিছু নিয়মকানুন মানতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের নিয়মকানুন প্রতিষ্ঠা করা সময়ের দাবি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্বের জায়গা, অহংকারের জায়গা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অতীত ঐতিহ্য ও গৌরব এখন ক্ষীয়মান। এ গৌরব ও ঐতিহ্য রক্ষার্থে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অবশ্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি বিধিবদ্ধ নিয়মকানুনের মধ্যে আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যেন বহিরাগতদের চারণভূমিতে পরিণত হতে না পারে সেদিকেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দৃষ্টি দিতে হবে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন