ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই কৌশল

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১১ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

চলতি বছর অক্টোবরেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী দুই কৌশল নিয়ে আগাচ্ছে। প্রথম কৌশলটির ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হয়েছে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালের আদলে মহাজোট করবে। এই জোটে জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের বাইরেও অনেক দল যুক্ত হবে, যার মধ্যে আছে এলডিপি, সিপিবি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ। এছাড়া বামফ্রন্টও আসতে পারে এই জোটে। জোট করা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তিদের নিয়ে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আর দ্বিতীয় কৌশলটি নেওয়া হবে বিএনপি নির্বাচনে না গেলে। জানা গেছে, নেতারা রাজি থাকলেও তৃণমূলের কারণে নির্বাচনে নাও যেতে হতে পারে বিএনপির। তৃণমূলের ভয়ে যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে না যায়, তখন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন জোটের প্রত্যেকেই আলাদা আলাদা ভাবে নির্বাচন করবে এবং একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে। দ্বিতীয় কৌশলে জোটের সবাই আলাদা হয়ে মাঠে নেমে চাহিদামতো আসনে নির্বাচন করবে।

কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের মিত্র ছিল। গত নির্বাচনে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতপার্থক্য হয়। আর এই মতপার্থক্য দূর করতেই এগিয়ে এসেছেন প্রাক্তন সিপিবি কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগ এমন কয়েকজন নেতা। এদের মধ্যে আছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন। সিপিবির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তারা। সিপিবিও আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধে এগিয়ে আসছে। রমজানে আওয়ামী লীগের ইফতার পার্টিতে জোটের বলয়ের বাইরের একমাত্র দল হিসেবে উপস্থিত ছিল সিপিবি।  জানা গেছে, সিপিবির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কথাবার্তা চলছে।

সম্প্রতি দেখা গেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলের থাকলেও লিবারেলর ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ অনেকটাই নীরব। ২০ দলের সাম্প্রতিক কোনো কর্মকাণ্ডের তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ে না। জানা গেছে, নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছেন অলি আহমেদ। এছাড়া, সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে দেখতে যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের বক্তব্য হলো, বিএনপিতে শক্তিশালী অবস্থানে থাকার পরও অলি আহমেদ শুধুমাত্র একটি কারণেই দল ছেড়েছেন, তা হলো যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিএনপি সংশ্লিষ্টতা। আর এই কারণেই অলি আহমেদকে জোটে আনার পক্ষে আওয়ামী লীগ।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের যোগাযোগ অনেক পুরোনো। এমনকি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছোট কন্যা শেখ রেহানার সঙ্গেও পারিবারিক ভাবে যোগাযোগ আছে কাদের সিদ্দিকীর। গত ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী কাদের সিদ্দিকীকে তো বাড়ি থেকেই ডেকে আনেন। তবে কাদের সিদ্দিকী হুটহাট বিতর্কিত কথা বলার জন্যও সমালোচিত। তাই আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা তাঁকে সরাসরি দলের না এনে বরং জোটে আনার পক্ষপাতী।

এছাড়া বিএনপি ত্যাগী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে উপস্থিত দেখা যায় সাবেক বিএনপির এই ডাকসাইটে নেতাকে। তাঁকেও জোটে আনার পক্ষে আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। এর বাইরেও জোটবদ্ধ করতে আরও কিছু দলের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে আওয়ামী লীগের।

সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে একঘরে করার পাঁয়তারা করেছিল বিএনপি। ওই সময় আওয়ামী লীগ পাশে পায়নি সমমনা অনেককেই। এবার আওয়ামী একই রকম একঘরে করতে চাচ্ছে বিএনপিকে। আওয়ামী লীগ নীতি নির্ধারণী মহলের বক্তব্য হলো, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তারা কেন দূরে দূরে থাকবে? এক ছাতার নিচে তারা আসতেই পারে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা বিএনপির

প্রকাশ: ০৮:৪৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামী ১৪ ও ১৫ মে দুদিনের ঢাকা সফরে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম গুঞ্জন বা এক ধরনের উত্তেজনা কাজ করলেও এবার তেমনটি দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতিতে তেমন কোন উত্তেজনা বা আতঙ্কও নেই যেমনটি ছিল নির্বাচনের আগে আগে। তবে ডোনাল্ড লুর সফর ঘিরে নতুন করে আশার বুক বাঁধছে বিএনপি। রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির মধ্যে। এরই মধ্যে বিএনপি গত শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশ করেছে। পাশাপাশি সরকারবিরোধী দেশের সব সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে আবার আলোচনা শুরু করেছে দলটি।

আজ রোববার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করে দলটি। বৈঠকে চলমান আন্দোলন ও আগামী দিনে করণীয় নির্ধারণে সমমনাদের মতামত গ্রহণ করেন বিএনপি নেতারা। বৈঠকে বিএনপি লিয়াজোঁ কমিটির নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান। 

বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে এখনও তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি। তারা হয়তো কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করেছে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার সুরক্ষা এবং সুশাসন নিয়ে দেশটির কোন অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। আর সেজন্যই ডোনাল্ড লুর সফর বলে ধারণা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীর। এ কারণেই দলটি চলমান রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংকটকে কাজে লাগাতে চায়। আবার সরকারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় হতে চায়। 

তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, ডোনাল্ড লু এবার ঢাকা সফর করছেন বেশকিছু সুনির্দিষ্ট এজেন্ডা নিয়ে। আর তা হল বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় দেশটি। এ ছাড়াও জলবায়ু সংকট ও দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা নিয়ে আলোচনা করবেন ডোনাল্ড লু। এই সফরে তিনি সরকারি ও বেসরকারি নানা পর্যায়ে কয়েকটি বৈঠক ও মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন। 

ডোনাল্ড লু   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচন ঘিরেও সহিংসতা

প্রকাশ: ০৭:১১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধ নিরসন না হতেই উপজেলা নির্বাচন ঘিরে তৃণমূল আওয়ামী লীগে বিভক্তি বাড়ছে, বাড়ছে সহিংসতা। এবার উপজেলা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক নৌকায় নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নেয়। এমনকি দলটি কেন্দ্রীয়ভাবেও কাউকে সমর্থন দেয়নি। এর ফলে নির্বাচনে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্য থেকে যে কেউ নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন। যদিও দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কোন মন্ত্রী-এমপিদের পরিবারের সদস্যরা নির্বাচন করতে পারবে না। কিন্তু সে নির্দেশনা মানছেন আওয়ামী লীগের কেউই। বরং মন্ত্রী-এমপিরা তাদের পরিবারের সদস্য বা মাই ম্যানদের পক্ষে সরাসরি ভূমিকা রাখছে। এর ফলে তৃণমূলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে। আর যার ফলে বাড়ছে কোন্দল, বাড়ছে সহিংসতা। সংসদ নির্বাচনের পর পরই দলীয় প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে যেমন সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল উপজেলা নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই রকম আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য যে, গত ৮ মে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিম। এখানে বিজয়ী হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের এমপি মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ছেলে সাবাব চৌধুরী। নির্বাচনের চারদিন পর দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে এমপি পুত্র সাবাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতারা এমন অভিযোগ করেন। 

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, গত ৮ মে অনুষ্ঠিত সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রে ভোটারদের আসতে বাধা দেয় আনারস প্রতীকের কর্মীরা। কুপিয়ে আহত করে দোয়াত কলমের কর্মীদের। সন্ধ্যায় চারটি কেন্দ্রের ভোট উলটপালটও করা হয়। চরমহি উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরমহি উদ্দিন এনএ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজীপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বহুমুখী আশ্রয় কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত রেখে পুনঃভোট দেয়া এবং বাতিল হওয়া ১৯১৪টি ভোট পুনঃগননা করার পর চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার দাবী জানান তারা।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন সুবর্ণচরের বিভিন্ন উপজেলায় হামলা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি হামলা, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটেছে চরজব্বার ইউনিয়নে। সেখানকার চাউয়াখালী বাজারে অন্তত ১৫টি দোকানপাট, আশপাশে অন্তত ২০টি বসত বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় পিটিয়ে আহত করা হয় অর্ধশত কর্মী ও তাদের স্বজনদের। বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে এসব ঘটনার একটি ভিডিও উপস্থাপন করা হয়। অভিযোগকারীরা, ঘটনার বিষয়ে খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

উপজেলা নির্বাচন   সহিংসতা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘ডোনাল্ড লুকে নিয়ে বিএনপি উদ্ভট চিন্তা করছে’

প্রকাশ: ০৬:২৩ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথা বার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে।

রোববার (১২ মে) বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।


আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মহাসচিবের সংবাদ সম্মেলন মানে অসত্যকে সত্য বলে চালানোর সুনিপুণ কৌশল। অসত্য বলা বিএনপি নেতাদের মৌলিক চরিত্র। সরকার পরিচালনা করছে জনগণের সরকার। অদৃশ্য শক্তি দ্বারা সরকার পরিচালনা বিএনপির চরিত্র। বিএনপির সময় হাওয়া ভবন থেকে সরকার পরিচালনা হতো। 


তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানের অনুমোদন ছাড়া কিছু হতো না। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবন থেকে হয়। অদৃশ্য শক্তির মানসিক ট্রমায় ভুগছে বিএনপি।

এসময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ডোনাল্ড লু   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকার দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০২:১২ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার মনে করেছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। তা হয়নি, বরং আরও বেড়েছে। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।  

রোববার (১২ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

গত বুধবার অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের পূর্বে বহু নেতাকর্মীকে একতরফাভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। এখনো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নেতা কারাগারে রয়েছেন। বিরাজনীতিকরণ করতে ২ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দল যেন না থাকে। মানুষের সর্বশেষ আশা ভরসারস্থল হচ্ছে কোর্ট, কিন্তু সেখানেও কেউ কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, এটি একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র। সরকার দেশকে পরিকল্পিতভাবে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এটি অনেক আগে থেকেই বলে আসছি। একটি রাষ্ট্র তখন ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়, যখন অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙে যায়, রাজনৈতিক পরিবেশ নষ্ট হয়ে যায়। গোটা রাষ্ট্র একটি নৈরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ঘুষ ছাড়া চাকরি হয় না। তাও আবার ক্ষমতাসীন দলের ছাড়া সম্ভব নয়। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। সরকারের এমপি-মন্ত্রীরা টাকা পাচার করে সেটি বিনিয়োগ করেছে বিদেশে, অথচ বাংলাদশের মানুষের অবস্থা খারাপ।

ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে আসছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কে আসলো তাতে ইন্টারেস্ট নেই। জনগণই বিএনপির শক্তি। সরকার মনে করছে নির্বাচনের পর সংকট উতরে গেছে। কিন্তু সংকট আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুবই খারাপ। তাকে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই তিনি চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছেন। 


মির্জা ফখরুল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন: কুমিল্লায় চার স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী

প্রকাশ: ০৯:৩৯ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লায় তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া চারটি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র চার সংসদ সদস্যের চার স্বজন প্রার্থী হয়েছেন। ওই চার সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হলেও তাঁরা আওয়ামী লীগের নেতা। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও ভোটাররা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ওই নির্বাচনে কুমিল্লার চারটি আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় চার নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন।

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদের স্ত্রী রেহানা বেগম হোমনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। রেহানা বেগম কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

জানতে চাইলে রেহানা বেগম বলেন, ‘২০১৯ সালেও আমি চেয়ারম্যান হয়েছি নৌকা প্রতীক নিয়ে। এবার দল সবার জন্য প্রার্থিতা উন্মুক্ত রেখেছে। নেতা-কর্মীদের চাপে প্রার্থী হয়েছি।’

কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম সরকারের ছেলে আহসানুল আলম সরকার উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। ২০১৯ সালেও আহসানুল চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীক নিয়ে জয়ী হন। আহসানুল আলম সরকার মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বর্তমানে বহিষ্কৃত) আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই মামুনুর রশিদ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন।

কুমিল্লা-৫ ( বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক এম এ জাহেরের বড় ভাইয়ের ছেলে আবু তৈয়ব ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তৃতীয় ধাপে প্রার্থী হয়েছেন। আবু তৈয়ব কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন।

স্বজনদের প্রার্থী হওয়া বিষয়ে সংসদ সদস্য মো. আবদুল মজিদ ও জাহাঙ্গীর আলম সরকারে ভাষ্য, প্রার্থীরা গতবার নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। তাই এবারও তাঁরা প্রার্থী।

সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, দল প্রার্থিতা সবার জন্য উন্মুক্ত রেখেছে। সারা দেশে বড় নেতাদের ভাই, ছেলে, স্ত্রী, সন্তানেরা প্রার্থী হয়ে ইতিমধ্যে অনেকে জয়ী হয়েছেন। দেবীদ্বারের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা মামুনুরকে চান। অনেকটা একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন সংসদ সদস্য এম এ জাহের। 


উপজেলা   নির্বাচন   কুমিল্লা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন