ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে নতুন মেরুকরণ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের নতুন মেরুকরণ ঘটেছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে ইতিবাচক অবস্থানে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এই অবস্থানের বার্তা দিতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামী ১৪ মে বাংলাদেশ সফরে আসছেন বলে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

এছাড়াও, বাংলাদেশে নিযুক্ত বর্তমান রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এবং ইতিমধ্যে নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ মার্কিন সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উপনীত হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে।

তার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডে। ২০১৮ সালের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে শুরু করে। বিশেষ করে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয়ের পর ডেমোক্রেটরা বাংলাদেশের দিকে নজর দিতে শুরু করে।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মাথা ব্যথা বাড়ে। বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানায়নি। বাংলাদেশের র্যাবের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে‌ র্যাবের একাধিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। নির্বাচনের আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সরকারের ওপর রীতিমতো চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলা হয়, যদি বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সহ বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। নির্বাচনের আগে অন্তত ১৬ বার বিভিন্ন মার্কিন কূটনীতিকরা বাংলাদেশ সফর করেন এবং অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য নানা রকম তৎপরতা চালান।

কিন্তু ২৮ অক্টোবরের পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পাল্টে যায়। বিশেষ করে, বিএনপির তাণ্ডব, জ্বালাও-পোড়াও এবং সহিংসতার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে এবং এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনের পর থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। বিশেষ করে, নির্বাচনকে ত্রুটিপূর্ণ বলার পরেও নতুন সরকারকে অভিনন্দন জানানো, অংশগ্রহণমূলক এবং অংশীদারিত্বের সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা দেয়। আর সেই বার্তা নিয়েই ডোনাল্ড লু নতুনভাবে বাংলাদেশ সফর করছেন বলে জানা গেছে। নানা কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক উন্নয়ন এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমস্ত কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের কৌশল পরিবর্তন করছে তারমধ্যে অন্যতম রয়েছে-

১। চাপ দিয়ে সুসম্পর্ক করা যায় না: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর বুঝতে পেরেছে যে, বাংলাদেশকে চাপ দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়নের কৌশল ভুল। বরং বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন মাত্রায় এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

২। চীনের আধিপত্য: বাংলাদেশে চীনের প্রভাব বাড়ছে এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চীন এখন অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে। এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ অদূর ভবিষ্যতে চীনের বলয়ে চলে যাবে৷ যেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হবে বিপজ্জনক। এই কারণেই বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে চায় বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।

৩। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মার্কিন বিরোধী অবস্থান: গাঁজার নির্বিচারে হত্যা এবং ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী তৎপরতার কারণে সারা বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো এখন মার্কিন বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং ছাত্র আন্দোলনের ঘটনা ঘটছে। এরকম বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উদার গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর সাথে সম্পর্ক রাখছে যেন সারাবিশ্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিরোধী মুসলিম বিদ্বেষ ছড়িয়ে না পরে। আর একারণেই বাংলাদেশ তাদের জন্য অত্যন্ত বড় প্রয়োজন।

৪। ব্যবসা-বাণিজ্য: বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে, গভীর সমুদ্রবন্দরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান, বিমানের জন্য নতুন এয়ারক্রাফট ক্রয়সহ বাংলাদেশ এখন একটি বড় বাজারে পরিণত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই বাজারকে নষ্ট করতে চায় না। এসব কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ কৌশল পরিবর্তন করছে এবং বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে সম্পর্ককে ঝালিয়ে নিতে আগ্রহী বলেই মনে করা হচ্ছে।


বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র   পিটার ডি হাস   ডোনাল্ড লু  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের ‌‌‌'মাইম্যানরা' ধরাশায়ী

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপ সম্পন্ন হয়েছে। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনগুলোর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, মন্ত্রী-এমপিদের পছন্দের প্রার্থীরা অর্থাৎ তাদের 'মাইম্যানরা' এবার নির্বাচনে বিপুলভাবে পরাজিত হচ্ছেন। সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং হেভিওয়েট নেতাদের পছন্দের প্রার্থীদেরকে হারিয়ে দেওয়ার উত্সব শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। 

ইতোমধ্যে গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের পছন্দের প্রার্থী পরাজিত হয়েছেন। এই পরাজয়ের সূত্র ধরে এলাকায় বেশ কয়েকদিন উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল।

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাকের ছোট ভাই উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন। বরিশালে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ পছন্দের দুই প্রার্থী উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী এবং কুমিল্লা থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি আ হ ম মোস্তফা কামাল কামালের ছোট ভাই কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলায় শোচনীয়ভাবে পরাজিত হয়েছেন। তিনি উপজেলা নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। 

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত ফারুক খানের পছন্দের প্রার্থী আবুল কাসেম রাজু পরাজিত হয়েছেন। এই নির্বাচনের জন্য তিনি ব্যাপকভাবে প্রচার প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। এভাবে সারা দেশে যেখানে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী, এমপিরা তাদের স্বজনদেরকে প্রার্থী করেছেন, সেখানেই মন্ত্রী, এমপিদের স্বজনদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের তৃণমূল শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলেছে। 

শরীয়তপুর সদরের সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপুর চাচাত ভাই বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া, গাইবান্ধা সদর উপজেলার সংসদ সদস্য  শাহ সারোয়ার কবিরের প্রার্থী মোহাম্মদ ইফতেকুর রহমান, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা সংসদ সদস্য সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ পরাজিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বলছেন, এই পরাজয় হল তৃণমূলের ক্ষোভ এবং অভিমানে স্বতঃস্ফূর্ত বহিঃপ্রকাশ। যেখানে মন্ত্রী, এমপিরা তাদের নিজস্ব পছন্দের ব্যক্তিদেরকে দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে বা তৃণমূলের মতামতের বাইরে গিয়ে প্রার্থী করেছেন, সেখানেই প্রতিবাদ হয়েছে, প্রতিরোধ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, যেখানে তৃণমূলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে সংসদ সদস্যরা
প্রার্থী দিয়েছেন সেখানে কোন সমস্যা হয়নি। আওয়ামী লীগের ঐক্যমতের প্রার্থী নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল করেছে। কিন্তু যেখানে যেখানে দলের তৃণমূলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে মন্ত্রী, এমপিরা জোর করে তাদের পছন্দের প্রাথী চাপিয়ে দিয়েছেন সেখানেই ঘটেছে বিপর্যয়। যেমন ড. আব্দুর রাজ্জাকের ভাইকে যেন প্রার্থী না করা হয় এজন্য তৃণমূল একাটাট্টা হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজ্জাক তার ভাইকে মনোনয়ন থেকে সরিয়ে দেননি। যার ফলে দেখা গেছে যে, ড. রাজ্জাকের পছন্দের প্রার্থী সেখানে ধরাশায়ী হয়েছে। 

একই রকম ঘটনা ঘটেছে সর্বত্র। এটি আওয়ামী লীগের তৃণমূলের শক্তির জয় বলে অনেকে মনে করছেন। অনেকে মনে করছেন যে, এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় ধরনের বার্তাও বটে।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ডিবির সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় পুলিশ

প্রকাশ: ০৮:১৪ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতীয় পুলিশের স্পেশাল একটি দল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছে। আনারের মৃত্যুর ঘটনায় নানা দিক নিয়ে ডিবি ওয়ারী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা বসছে বলে জানায় সূত্র।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভারতীয় স্পেশাল পুলিশের দুই সদস্যদের একটি টিম। এর আগে বিকাল ৩টার দিকে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছায়। পরে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন হয়ে বিকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তর একটি বৈঠক করে। পরে সন্ধ্যায় ডিবি কার্যলয়ে আসেন তারা।

ডিবি সূত্র জানায়, ভারতীয় পুলিশ সদস্যরা নিহত আনোয়ারুল আজীমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তদন্ত-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন। তারা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশে গ্রেপ্তার তিন আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। এবং এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তারের বিষয়ও আলোচনা হবে। বর্তমানে তারা গোয়েন্দা পুলিশ ওয়ারী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করছে।

এর আগে গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান এমপি আনার। তিনি পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে ১৩ মে তাকে হত্যা করে মরদেহ টুকরো টুকরো করে গুম করা হয়েছে বলে জানায় ডিবি। এ ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়িও জব্দ করেছে কলকাতার পুলিশ।

ডিবি   ভারতীয় পুলিশ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আনার-আজিজ ইস্যুতে অস্বস্তিতে সরকার

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

হঠাৎ করেই অরাজনৈতিক বিভিন্ন ইস্যু সরকারের জন্য অস্বস্তির কারণ হিসাবে সামনে এসেছে। সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি ঘটনা সরকারের জন্য বিব্রতকর বলে স্বীকার করছেন সরকারের নীতি নির্ধারকরা। 

গত ২০ মে মধ্যরাতের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তর সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে এই স্যাংশন দেওয়া হয়েছে মূলত ২০২১ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি আল জাজিরার প্রতিবেদন ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ শিরোনামে অনুসন্ধানী রিপোর্টের ভিত্তিতে। যদিও ম্যাথিউ মিলারের প্রকাশিত বিবৃতিতে ওই প্রতিবেদনের কথা বলা হয়নি। তবে আল জাজিরার ওই আলোচিত বিতর্কিত প্রতিবেদনে যে সমস্ত প্রসঙ্গ উত্থাপন করা হয়েছিল মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত বিবৃতিতে সেই বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

আজিজ আহমেদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বলে বিজেপির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সেনাপ্রধান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন টানা তিন বছর। কাজেই এই সরকারের কাছে পুরষ্কৃত হওয়া একজন ব্যক্তির ওপর এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা সরকারের জন্য কিছুটা হলেও অস্বস্তিকর বটেই। যদিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ স্পষ্টভাবে বলেছেন, এটি ব্যক্তির অপরাধ। ব্যক্তির অপরাধের দায় সরকার নেবে না।

তিনি এটাও বলেছেন, সাবেক সেনা প্রধানের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা আসছে সেটা সরকারকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল। তবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এ নিয়ে যে অস্বস্তি তা প্রকাশ পেয়েছে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য থেকে। তিনি লু এর সফরের উষ্ণতার পর এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এক ধরনের হতাশা প্রকাশ করেছেন। 

আওয়ামী লীগের মধ্যেও এ নিয়ে অনেকের অস্বস্তি লক্ষণীয়। কেউ কেউ মনে করছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার নতুন করে কাউকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে কিনা বা যুক্তরাষ্ট্র যে এখনও বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক আজিজ আহমেদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দিয়ে তা প্রমাণিত হয়েছে।

আজিজ আহমেদের রেশ কাটতে না কাটতেই কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের খুনের ঘটনা রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় খুন হয়েছেন কয়েকজন বাংলাদেশিদের হাতে এবং তাদের নাম পরিচয় সরকার উদ্ধার করেছে। কিন্তু এই ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে আনারের অন্ধকার জীবনেরও কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। তিনি চোরাচালান চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চোরাচালান বিশেষ করে স্বর্ণ চোরাচালানের দ্বন্দ্ব নিয়ে আনার খুন হয়েছে এমন বক্তব্য গণমাধ্যমে আসছে। 

প্রশ্ন উঠেছে, আনার যদি সত্যি সত্যি এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকেন, তাহলে এ ধরনের ব্যক্তি কিভাবে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন পান? যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তার জনপ্রিয়তার কারণেই তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে জনপ্রিয় হলেই কি এ ধরনের ব্যক্তি মনোনয়ন পেতে পারেন কি না। এটি কিছুটা হলেও সরকারের জন্য বিব্রতকর। তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে ধরনের সংবাদ বেরিয়ে আসছে তাতে অস্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে সরকারের মধ্যে। 

অনেক এমপি বলেছেন যে, তারা বিব্রত। একজন সংসদ সদস্য যদি এ ধরনের কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন তাহলে পরে সংসদে কারা আছেন সেই প্রশ্ন উঠতে পারে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে যে, একজন ব্যক্তির অবস্থা দিয়ে সকল সংসদ সদস্যের অবস্থান বিবেচনা করা ঠিক নয়। তবে এটি যে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর তা এখন আর কোন লুকোচুরির বিষয় নয়।


আনোয়ারুল আজীম আনার   আজিজ আহমেদ   সরকার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মঠবাড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিনের প্রার্থিতা বাতিল

প্রকাশ: ০৭:১২ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশনে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছিল রিয়াজ উদ্দিনকে। সোমবার (২০ মে) নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা থেকে কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তলবের আদেশ দেয়া হয়।

এর আগে, গত ১৩ মে তৃতীয় ধাপে মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক দেয়া হয়। ইসির পক্ষ থেকে এদিন প্রার্থীদের সব ধরনের সভা সমাবেশ করতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু রিয়াজের বড় ভাই বর্তমান সংসদ সদস্য শামীম শাহনেওয়াজ ও ছোট ভাই সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুর রহমানের ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে কমিশনের আদেশ অমান্য করে মঠবাড়িয়া পৌরসভার সামনে বিশাল মিছিল ও সমাবেশ করেন। এতে ওই এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

এরপরই ইসি চেয়ারম্যান প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে লিখিতভাবে জবাব দেয়ার নির্দেশ দাখিল করতে বলে। পর দিন ১৪ মে আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ব্যাখ্যা দাখিল করেন রিয়াজ। সেখানে তিনি জানান, কিছু অতি উৎসাহী কর্মীরা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করেছে, তার জন্য তিনি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

রিয়াজ উদ্দিনের দেয়া জবাব নির্বাচন কমিশনের কাছে সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে উপস্থিত হয়ে কমিশনের সামনে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

নির্বাচন কমিশন   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

বঙ্গবন্ধু সারা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন: কামাল নাসের চৌধুরী

প্রকাশ: ০৭:০৫ পিএম, ২৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সারাটা জীবন শান্তির পক্ষে কথা বলেছেন। শোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অবদান অসাধারণ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সম্প্রীতি বাংলাদেশ আয়োজিত ‘শান্তি ও সম্প্রীতির অগ্রদূত বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। 

তিনি বলেন, ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক ছিল জাতির পিতার বিশ্বমানবতার প্রতি কর্ম, ত্যাগ ও ভালোবাসার স্বীকৃতি; বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর মৌলিক দর্শন ও অবদানের মূল্যায়ন। বঙ্গবন্ধু মনে করতেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তা সমগ্র বিশ্বের মানুষের গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।

ড. কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি শান্তিপূর্ণ দেশ, অঞ্চল ও বিশ্ব দেখতে চেয়েছিলেন। তার জন্য দেশ ও দেশের বাইরে সবাইকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির আন্দোলনের মাধ্যমে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধু যে মৌলিক ধারণার জন্ম দিয়েছিলেন, তা সারা পৃথিবীর শান্তি ও মুক্তিকামী মানুষের কাছে এক অনন্য সম্পদে পরিণত হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির মূল উপজীব্য ছিল ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান’; যা আজকের দিনেও প্রাসঙ্গিক।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। এসময় সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, মানুষের জন্য ভালোবাসা ছিল বঙ্গবন্ধুর কর্মকাণ্ডের প্রেরণা এবং মানুষের কল্যাণই ছিল তার কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য। এই মানবিক মূল্যবোধই তাকে অনুপ্রাণিত করেছিল রাজনৈতিক সংগ্রামে অংশ নিতে, যা প্রতিফলিত হয় তার বিভিন্ন রাজনৈতিক আদর্শে, যেমন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও সমাজতন্ত্র। তিনি প্রায়ই বলতেন, তার সারা জীবনের স্বপ্ন হচ্ছে ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো’। ‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি’-তার এই অভিব্যক্তি থেকেই আমরা বুঝতে পারি সমাজ উন্নয়ন সম্পর্কে তার ধারণা কত ব্যাপক এবং বহুমাত্রিক ছিল।

তারা বলেন, বিশ্বশান্তি ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের মূলনীতি। তিনি ছিলেন বিশ্বশান্তির অগ্রদূত। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত, বঞ্চিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ বিশ্বের যে প্রান্তেরই হোক না কেন, তিনি তাদের সঙ্গে একাত্ম ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু   ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন