নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০১৮
দল আর জোটে কোন্দলের কারণে সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপি ও ২০ দলীয়জোট থেকে তিনজন মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। যার কারণে সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রতিপক্ষ এখন বিএনপি।
সিলেট সিটি নির্বাচন ঘিরে অনেকটা প্রকাশ্যে চলে এসেছে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের কোন্দল। সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী মনোনয়ন পেলেও তা মেনে নিতে পারে নাই ২০ দলের অনেক নেতাকর্মী। যার কারণে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মহানগর জামায়াতের আমির।
বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বদরুজ্জামান সেলিম এই বিষয়ে জানান, ‘সিলেট সিটি নির্বাচনে আমার মনোনয়ন পাওয়ার কথা ছিল। তবে কোন ইশারায় আরেকজন ব্যক্তির হাতে ধানের শীষের প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে বুঝতে পারছিনা। ৩৯ বছর আমি দলের কোনো সিদ্ধান্তের বাইরে যাইনি। কিন্তু এবার নগরবাসী এবং দলীয় নেতাকর্মীদের চাপের কারণে নাগরিক কমিটির ব্যানারে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি।’
সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ও মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জানান, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত ও সমর্থন নিয়েই আমি সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি।’
সিলেট জেলা বিএনপির একাধিক নেতার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাঁরা এটাকে বিএনপির বিরুদ্ধে এক প্রকার ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন।
২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত মেয়র নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরী ৩৫ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। তবে এবার জামাত প্রার্থী ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে তাঁর নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া কঠিন বলেই মনে করছেন সিলেটের রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। অপরদিকে একক মেয়র প্রার্থী থাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অনেকটাই ফুরফুরে আমেজে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।
তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন। শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।