নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২০ পিএম, ১৯ জুলাই, ২০১৮
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অবস্থিত বিশেষ সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থাপত্যের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অপেরা হাউস, যা দেখতে নৌকার পাল আকৃতির। সারা বছরই অনুষ্ঠান লেগেই থাকে এখানে। বিশ্বের কোটি কোটি পর্যটকের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হচ্ছে সিডনির এই অপেরা হাউস। মহাসাগরের এক প্রান্তে অবস্থিতি অপেরা হাউসটিকে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরের অপেরা হাউসের মতোই মনোমুগ্ধকর বিনোদন আর সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে হাতিরঝিলেই। হাতিরঝিল, যা ছিল একটা সময় শুধুই ময়লার স্তূপ আর অপরাধী চক্রের আড্ডাস্থল, তা এখন রূপ নিয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্যের অপরূপ স্থাপনায়। রাজধানীবাসীর বিনোদনের জন্য হাতিরঝিল এখন অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান। আর এখানেই তৈরি হচ্ছে অপেরা হাউস, যার নাম হবে ‘ঢাকা অপেরা হাউস’। হাতিরঝিলের কুড়ি একর জমিতে ছয় হাজার কোটি টাকায় নির্মিত হবে দৃষ্টিনন্দন এই স্থাপনা। একটি কনসার্ট হল, থিয়েটার ও স্টুডিও থাকবে সেখানে। পশ্চিম উলন ও সিদ্ধেশ্বরীর ২০ একর জায়গাজুড়ে এই অপেরা হাউসে কনসার্ট, স্টুডিও ও থিয়েটার ছাড়াও সেখানে একটি মুক্তমঞ্চ, রেকর্ডিং স্টুডিও, গ্যালারি ও মেকআপ-রিহার্সাল কক্ষ থাকবে। চলচ্চিত্রপ্রেমিদের জন্য ফিল্ম সেন্টার ও তরুণ শিল্পীদের জন্য থাকবে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। ভোজন রসিকদের জন্য থাকবে ফুড কোর্টও। যা হবে একটি আন্তর্জাতিকমানের বিনোদন ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতাভুক্ত জমি নির্ধারিত হয়েছে। এ প্রকল্পের ১০ একর জায়গার ওপর নির্মিত হচ্ছে উন্মুক্ত মঞ্চ। প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রাথমিক নক্সাও অবলোকন করেছেন প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুবিশাল নান্দনিক ভবনটির নক্সা প্রণয়নে সম্পৃক্ত হয়েছে বিশ্বখ্যাত সুইস স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান হার্জগ এ্যান্ড মিউরন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহায়তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কোর অপেরা হাউসের অবকাঠামো নির্মাণ করছে।
২০১৮ সালে সূচনা হওয়া প্রকল্পের বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়েছে পাঁচ বছর। ২০২৩ সালে দৃশ্যমান হবে এই অপেরা হাউস।
এ প্রকল্পটি নির্মিত হলে ঢাকাবাসীসহ সারা দেশের মানুষের নির্মল বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। যার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা একই সঙ্গে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবেন। যা হবে আমাদের জন্য গর্বের। শুধু তাই নয় সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে মহিমান্বিত করবে এই অপেরা হাউস।
বাংলা ইনসাইডার/বিকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সিরাজগঞ্জে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে নিয়ে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য নারী পক্ষ নামে একটি সংগঠন সিরাজগঞ্জ ও পাবনার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রবিবার (১৯ মে') দুপুরে শহরের এস. এস রোডস্থ নর্থ টাউন রেস্তোরাঁয় প্রোগ্রাম ফর উইম্যান ডেভোলপমেন্ট (পি ডাব্লিউডি) সার্বিক সহযোগিতা ও নারীপক্ষ আয়োজনে ভাষায় লিঙ্গীয় বৈষম্য দিনব্যাপী মতবিনিময় সভার শুভ উদ্বোধন করেন নারীপক্ষ চেয়ার পারসন গীতা দাস।
মতবিনময় সভায় নারীপক্ষ চেয়ারপার্সন গীতা দাস বলেন, মানুষ কোনো ভালো কর্ম করলে তাকে বিশেষায়িত করা যায়। কিন্তু নারীরা নির্যাতিত হলেও তাদেরকে বিশেষায়িত করা হয়। যেমন ধর্ষণের শিকার হলে তাকে ধর্ষিতা, নির্যাতনের শিকার হলে নির্যাতিতা বলা হয়। অথচ ধর্ষণের শিকার, নির্যাতনের শিকার লিখলেও হয়।’ একজন নারীকে মানুষ হিসেবে দেখলে এ অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন কামরুন নাহার, ফেরদৌসী আখতার, পিডাব্লিউডি নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা জলি।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বেসরকারি চ্যানেল টুয়েন্টিফর সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক হীরুকগুণ, এনটিভি জেলা প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না, দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজন সরকার, বৈশাখী টেলিভিশন সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি সুজিত সরকার, দীপ্ত টিভির সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি শিশির, দীপ্ত টিভি পাবনা জেলা প্রতিনিধি শামসুল আলম সহ অনেকে।
মন্তব্য করুন
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামালের বিরুদ্ধে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে প্রচারণার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে উপজেলার একদন্ত ইউনিয়নের শিবপুর বাজার এলাকা থেকে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেন চেয়ারম্যার প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যার প্রার্থী তানভীর ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম কামালের গুন্ডা সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত আমার কর্মী, সমর্থক, ভোটারদের ভয়ভীতি, হুমকী, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে ভোট দিতে নিরুৎসাহিত করছে। ফলে নির্বাচন কমিশনের ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধি সাইফুল ইসলাম কামাল বারবার লঙ্ঘন করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, ‘ঘোড়া নিয়ে প্রচার প্রচারণা করিনি। তবে আমি ঘেড়ার গাড়ি নিয়ে প্রচার প্রচারণা করেছি। এটাও যদি বিধি নিষেধ থাকে তাহলে এটাও পরিহার করবো।’
পাবনার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট ও রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থী এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি আমরা। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন