ইনসাইড পলিটিক্স

বাংলাদেশে ব্যর্থ মডেল পাকিস্তানে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সবকিছুতেই পিছিয়ে পাকিস্তান। গত কয়েক দশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সব ধরনের সূচকেই পাকিস্তানের চেয়ে বহু এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এখন বাংলাদেশে যে মডেল প্রতিষ্ঠা করতে পশ্চিমারা বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে, সেই মডেল বাস্তবায়ন হলো পাকিস্তানে। আরও একবার পিছিয়ে পড়ল পাকিস্তান।

পাকিস্তানের নির্বাচনের ফলাফল এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়ে গেছে। ঐতিহ্যগত ভাবে দেশটির বৃহত্তম দুই দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) এরই মধ্যে পরাজয়ের কথা জেনে গেছে। সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) এরই মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতার পথে। আর এর মধ্যে দিয়েই পাকিস্তানে উত্থান ঘটল তৃতীয় শক্তির। যেই তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটাতে এশিয়াসহ সারাবিশ্বে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে পশ্চিমা দেশগুলো, তারই সফল বাস্তবায়ন ঘটল পাকিস্তানে।

জয় নিশ্চিত জেনে নির্বাচনের পরদিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বক্তব্য রাখেন ইমরান খান। রাজনৈতিক মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় না হলেও বিশ্ব গণমাধ্যম বলে দাবি করা পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো ঘণ্টাব্যাপী সেই ভাষণ প্রচার করল। কারণ এটা তাদেরই ‘ব্রেন-চাইল্ড’এর প্রসব।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তানের দুই বৃহত্তম দল পিপিপি এবং পিএমএল পালাবদল করে ক্ষমতায় আসতো। দুটি দলই পাকিস্তানের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট ছিল। কারণ তাদের মাধ্যমেই গড়ে উঠছিল পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো। কিন্তু সমস্যা ছিল একটাই। দুটি দলই পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে সীমাবদ্ধ রাখার পক্ষে ছিল। এই কারণেই প্রয়োজন ছিল তৃতীয় শক্তির, যাঁরা সেনাবাহিনীর কাছে জিম্মাদার হয়ে দেশকে পশ্চিমাদের কাছে বিকিয়ে দিতে কুণ্ঠাবোধ করবে না। আর এই ম্যান্ডেটেই উত্থান ইমরান খানের।

আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃতীয় শক্তির উত্থান নিয়ে পশ্চিমারা বহুদিন ধরেই গবেষণা করে আসছে। বহুদেশেই এর বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাও চালিয়ে আসছে তারা। বাংলাদেশেও এই প্রচেষ্টা বহুদিন ধরেই চলেছে। মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও পশ্চিমাদের মূল লক্ষ্য আসলে তৃতীয় শক্তির উত্থান ঘটানো।

বিশ্লেষকরা বলেন, গণতন্ত্রের কথা যদি সত্যিকার ভাবেই বলা হতো তাহলে পশ্চিমাদের নেতৃত্বে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে নিজের দেশের গণতন্ত্র নিয়ে মাথা ঘামাতো। তাদের দেশেই নির্বাচনে হ্যাকিংসহ নানা বিতর্ক। নিজেদের বিষয়ের সমাধান না করে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রের ধোঁয়া তোলা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সত্যিই কি তারা গণতন্ত্রের ধারক বাহক? প্রশ্ন অনেকের।

ইতিহাস থেকে যদি দেখা হয়, সোভিয়েত ইউনিয়ন থাকা অবস্থায় মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের প্রধান কাজ ছিল বিশ্বের জনপ্রিয় সব নেতাদের মেরে ফেলা। চিলির সালভাদর আলেন্দেকে মেরে ফেলা হয়। একই ভাবে জীবন দিতে হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কারণ ছিল একটাই জনপ্রিয়দের বাদ দিয়ে নিজেদের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় বসানো। যেই চেষ্টা এখনো অব্যাহত। যেখানে প্রধান দুই দলই অপছন্দের সেখানেই প্রয়োজন হয় নিজেদের জন্য তৃতীয় শক্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা। 

তৃতীয় শক্তি নিয়ে পশ্চিমাদের তৎপরতা প্রসঙ্গে বিশ্লেষকদের মত, কোনো দেশে এর বাস্তবায়নে প্রথমেই কব্জা করা হয় সামরিক বাহিনীকে। সমরাস্ত্র, প্রশিক্ষণসহ নানা কারণেই কোনো দেশের সামরিক বাহিনীকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর উপর নির্ভর করতে হয়। এছাড়া, জাতিসংঘের মিশনেও মার্কিন অনুমোদন ছাড়া কি আর কোনো দেশের আর্মি যেতে পারে। এসব কারণেই সামরিক বাহিনীকে পক্ষে টানা সহজ হয় পশ্চিমাদের। এরপর কোনো বিখ্যাত ব্যক্তিকে বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্য করে তোলা হয়। পুরস্কার থেকে শুরু করে নানা উদ্যোগের মাধ্যমেই এ কাজটি করা হয়। এরপর তাঁর নেতৃত্বে কোনো দল তৈরি হয়, যা সময়ের পরিবর্তনে দখল করে রাষ্ট্রক্ষমতা। যেমন পাকিস্তানের রাষ্ট্রক্ষমতায় এলেন ইমরান খান।

বাংলাদেশে পশ্চিমাদের তৃতীয় শক্তির উত্থানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রসঙ্গে বিশ্লেষকদের মত, অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশে এই মডেল প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা হয়েছে। ২০০৬ সালে পশ্চিমাদের তৃতীয় শক্তি প্রচেষ্টার মডেল দৃশ্যমান হলেও এর শুরুটা হয়েছিল বেশ আগেই। আর এজন্যই ড. ইউনূসকে তৈরি করা হয়েছিল। এমন কোনো পুরস্কার নেই যা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন ড. ইউনূস। সবচেয়ে বড় গ্রহণযোগ্যতা আসে অর্থনীতির মানুষ হয়েও শান্তিতে নোবেল অর্জনের মধ্যে দিয়ে। অনেকের হয়তো মনে আছে নোবেল পুরস্কারের অর্জনের পরই হঠাৎ করেই রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ঘোষণা করেন ড. ইউনূস। ড. ইউনূস যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘদিন থাকারই ইচ্ছাপোষণ করেছিলেন তা সাবেক সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বইয়ে পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, যখন তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. ইউনূসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল তখন অল্প কোনো সময় নয়, দীর্ঘ সময় থাকতে পারলেই শুধু ক্ষমতায় আসবেন বলে জানিয়েছিলেন এই নোবেল জয়ী। ড. ইউনূসের কাছে ব্যর্থ হবার পর আরও অনেকের মাধ্যমেই বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তি আনার প্রচেষ্টা চলে। ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে প্রচেষ্টা কম হয়নি পশ্চিমাদের। এই দলে আছেন, ফেরদৌস আহমেদ কোরেশীসহ অনেকে। তবে কোনোভাবেই তৃতীয় শক্তি আনার প্রচেষ্টায় সফল হতে পারেনি পশ্চিমারা।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অনেক দল মত থাকলেও বাংলাদেশে এখনো রাজনৈতিক দল বলতে আসলে দুটিই আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দল দুটি নিয়ে অনেক সমালোচনা আছে, ক্ষোভ আছে, কিন্তু দিন শেষে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ভারসাম্য টিকে আছে। তৃতীয় শক্তিকে আনা হলে এই ভারসাম্য স্বভাবতই থাকবে না। আর বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তি উত্থানের সবচেয়ে বড় অন্তরায় হলো জনগণ।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের মানুষ কখনোই কোনো তাঁবেদার তৃতীয় শক্তির পক্ষে যায়নি। মুক্তিযুদ্ধ করে, অনেক ত্যাগের মধ্যে দিয়ে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। এই দেশের মানুষের রক্তের মধ্যেই আছে গণতন্ত্র। অনেক কিছুর অভাব দেশে থাকতে পারে কিন্তু স্বাধীন চেতনা ও সত্ত্বার কোনো ঘাটতি কখনোই ছিল না বাংলাদেশে। আর এটাই হলো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যেকার মূল পার্থক্য।

বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীন চেতনা যেখানে সদা জাগ্রত সেখানে পাকিস্তান তা হারিয়েছে সেই কবেই। তা নাহলে কত চড়াই উৎরাই পেরিয়েও বাংলাদেশে চলতি বছর অনুষ্ঠিত হচ্ছে ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেখানে দুই দশক আগে স্বাধীন হয়েও পাকিস্তানে এখনো ১১তম পার্লামেন্ট নির্বাচন হয়। পাকিস্তানে গণতন্ত্রের পথ অনেক আগেই সংকীর্ণ হয়ে গেছে দেশটিতে তৃতীয় শক্তির অন্যতম দাবিদার সেনাবাহিনীর কারণে। আর তাই বাংলাদেশে যে তৃতীয় শক্তি মডেল বারবার ব্যর্থ, তাই প্রতিষ্ঠিত হলো পাকিস্তানে। বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে পড়া ব্যর্থ রাষ্ট্র পাকিস্তান আরেকবার তার ব্যর্থতার পরিচয় দিল।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা

প্রকাশ: ১০:৪১ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।

কারণ, যুগপতের সব দল জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।

বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।

নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।

যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।


লিয়াজোঁ   কমিটি   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: সেদিন কী বলেছিলেন বিএনপির নেতারা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। 

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের চারদিন পর ২১ মে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদের অধিবেশন বসে। ওই অধিবেশন ছিল ৩৪ কার্যদিবসের। মোট ৪১ দিন অধিবেশন চলে। ২১ মে এর অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতা আসাদুজ্জামান খান, আওয়ামী লীগ সভাপতির স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং বঙ্গবন্ধুর বাসভবন শেখ হাসিনার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাবি করেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে আসাদুজ্জামান খানের এই বক্তব্যের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন নিয়ে অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির অনেক নেতাই টিপ্পনি মূলক ঔদ্ধত্যপূর্ণ এবং আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাদের পক্ষ থেকে সুধাংশু শেখর হালদার এসব বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করে দেওয়ার জন্য স্পিকারকে অনুরোধও জানিয়েছিলেন। এই সময় যে সমস্ত বিএনপির নেতারা পয়েন্ট অফ অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রেখেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা এখন রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। তিনি এসে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোন কিছুই করতে পারবেন না।

শাহ আজিজ এটাও মন্তব্য করেছিলেন যে, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনদিন বাকশালে ফিরে যাবে না। আওয়ামী লীগ আর বাংলাদেশে কোনোদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবে না। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের সাড়ে তিন বছরের শাসনামলেরও তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। 

এসময় বিএনপির আরেকজন সংসদ সদস্য তৎকালীন পাবনা-২ নির্বাচিত ডা. এম এ মতিন বলেছিলেন, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বহীন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব যা করেছেন তাঁর জন্য আওয়ামী লীগকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান জাতীয় সংসদে এই নেতা। 

যশোর-৯ থেকে নির্বাচিত তরিকুল ইসলামও ঐ অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নেন এবং বক্তব্য রাখেন। এই বক্তব্যে তিনি আওয়ামী লীগের সাড়ে তিন বছর শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে দিলীন হয়ে গেছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া যায় না। তিনি শেখ হাসিনার বিচারও দাবি করেছিলেন। 

এই অনির্ধারিত আলোচনায় অংশগ্রহণ করে বিএনপির আরেক নেতা তৎকালীন ঢাকা-২৮ থেকে নির্বাচিত আব্দুল মতিন চৌধুরীও আওয়ামী লীগ সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছিলেন। এই অনির্ধারিত আলোচনায় বিএনপির নেতা কে এম ওবায়দুর রহমান শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি যেন নতুন ষড়যন্ত্র না করেন সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে লক্ষ্য রাখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। পয়েন্ট অফ অর্ডারের এই আলোচনায় অবশ্য কোন রকমের সিদ্ধান্ত হয়নি। স্পিকার এর পর মূল আলোচনার জন্য দিনের কার্যসূচিতে ফিরে যান।

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু: মির্জা ফখরুল

প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ফারাক্কা দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, নতজানু সরকার বলেই দেশের জনগণের স্বার্থে প্রকৃতভাবে যে একটা স্ট্যান্ড ( অবস্থান) নেওয়া দরকার সেটি নিতে ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী সরকার।

তিনি বলেন, ফারাক্কা দিবস মনে করে দেয় জনগণের শক্তির কাছে বড় কোনো শক্তি নেই। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

২৮ অক্টোবরের পর তিন দিনের মধ্যে আমাদের ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এমন তথ্য জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এখনও সেই নিপীড়ন নির্যাতন চলছে। যারা গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছেন তাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকার দখলদার সরকার। তাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে তাদের স্বার্থ আর প্রভুদের স্বার্থ রক্ষা করা। বিশেষ একটা দায়িত্ব নিয়ে এ সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে। এটা নির্বাচিত নয় এরা নির্বাচন করে না। এরা জানে, নির্বাচন করলে তাদের একটা ভূমিধস পরাজয় হবে। বিভিন্ন কৌশলে নির্বাচন দেখিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, যারা সরকারের গুণগান করে, তাদের উদ্দেশ্য হলো এ সরকার টিকে থাকলে তাদের লুণ্ঠন, পাচার অব্যাহত থাকবে। তারা বেনিফিশিয়ারি হবে। এমন একটি বেনিফিশিয়ারি গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা ও অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে। অন্য কেউ এসে করে দেবে না।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহ-সভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ প্রমুখ।

বিএনপি   মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   জাতীয় প্রেস ক্লাব  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপিতে ভারত বিরোধিতার সাথে যুক্ত হচ্ছে মার্কিন বিরোধিতাও

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর আবার ভারত বিরোধী অবস্থানে চলে গেছে। প্রথমে তারা ব্যক্তিগতভাবে, এখন প্রকাশ্যে দলগতভাবে ভারত বিরোধিতার নীতি গ্রহণ করেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রতিদিনই ভারতের সমালোচনা করেছেন। ভারতের বিভিন্ন নীতির বিপক্ষে বক্তব্য রাখছেন। 

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দলের মহাসচিব ভারত বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তবে ভারত বিরোধী অবস্থান করেই দলটি ক্ষান্ত হয়নি। দলের ভিতরে এখন মার্কিন বিরোধী প্রবণতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এবং কৌশলের সমালোচনা করার কৌশলও বিএনপি গ্রহণ করেছে। 

বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, তারা দলগত ভাবে এখন মার্কিন বিরোধিতা করবেন না। বিএনপির কিছু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করবেন, মার্কিন নীতির বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখবেন এবং এই সমস্ত বক্তব্য দিয়ে জনমত যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। 

উল্লেখ্য, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন তাতে তারা বলছে, ভারতের কারণেই প্রভাবিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের ব্যাপারে নীরব অবস্থান গ্রহণ করেছিল। তবে বিএনপির কোনো কোনো নেতার দাবি যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে বিরোধিতার নামে এক ধরনের অভিনয় করেছে। বিএনপিকে বোকা বানিয়েছে। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আওয়ামী লীগ জানে যে বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তাহলে সেই নির্বাচনে তাদের পক্ষে জয়লাভ করা কঠিন হবে। আর এ কারণে বিএনপি যেন নির্বাচন থেকে দূরে থাকে থাকে এজন্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অভিনয় করছে। 

সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির নেতা এবং সাবেক আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি সরাসরি ভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, পিটার ডি হাস ভারতের এজেন্ট হয়ে বিএনপির সাথে অভিনয় করেছেন। তাঁর অভিনয় এত ভাল ছিল যে বিএনপির নেতারা নাকি সেটা বুঝতে পারেননি। তাঁর এই বক্তব্যের বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে কোন প্রতিবাদ করা হয়নি। 

বিএনপির আরেকজন নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোন কিছু যায় আসে না। বিএনপির একদা চীন পন্থী নেতা নজরুল ইসলাম খানও ডোনাল্ড লু’র বাংলাদেশ সফর নিয়ে বিএনপির কোনো আগ্রহ নেই বলে মন্তব্য করেছেন। 

বিএনপির নীতি নির্ধারক মহল মনে করছেন, নির্বাচনের আগে বিশেষ করে ২৮ অক্টোবরের পর ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এককাট্টা হয়ে যায়। ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ জড়িত রয়েছে। আর এই স্বার্থের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কথা মতো সব কিছু করছে। এ বারের ডোনাল্ড লু’র সফর সেই ইঙ্গিত দেয় বলেও বিএনপির নেতারা স্বীকার করেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে যে, এই বিশ্বায়নের যুগে বিএনপি যদি ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি প্রভাবশালী দেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় তাহলে এই দলটি কীভাবে অস্তিত্ব রক্ষা করবে। বিএনপির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের শক্তিতে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদীতে বিশ্বাসী। তবে বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, বিএনপি নেতাদের এই ভারত বিরোধী এবং মার্কিন বিরোধী অবস্থানের সঙ্গে দলের অনেক নেতাই একমত নন। বিশেষ করে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান মনে করেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধিতায় জড়ানো দলের জন্যই ক্ষতিকর হবে। তবে ড. মঈন খান চেয়ে এখন দলে ভেতর যারা ভারত বিরোধী তারাই ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠছেন।

বিএনপি   ভারত বিরোধী   মার্কিন বিরোধী   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মানুষকে ভালো রাখতে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করছেন শেখ হাসিনা: বাহাউদ্দিন নাছিম

প্রকাশ: ০৮:০৯ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এমপি বলেছেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য শেখ হাসিনা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো ব্যয় করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের মানুষকে ভালো রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা, নিষ্ঠা, সততা ও ভালোবাসার যে নিদর্শন ও আন্তরিকতা এটি বিরল।

তিনি বলেন, দেশবিরোধীরা গুজব রটিয়ে ও নানা অপকর্মের মাধ্যমে সব সময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন আমাদের উন্নয়নের সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করে তখন এই অপশক্তির মাথা খারাপ হয়ে যায়। এই অপশক্তি বিএনপি-জামায়াতকে কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাছিম বলেন, ঢাকা মেডিকেল ঢাকাসহ সারাদেশের সকল মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার আস্থার জায়গা। সেজন্য রোগীরা যাতে আরও ভালো সেবা পান, ডাক্তার-নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা মেডিকেল কেন্দ্রিক কোনো দালাল চক্র থাকবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় তাদেরকে নির্মূল করা হবে। ঢাকা মেডিকেলকে ৫ হাজার বেডে উন্নীতকরণের উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হবে।

এছাড়া হাসপাতালের শূন্য পদে নিয়োগ, নতুন পদ সৃষ্টি, হাসপাতালের মূল প্রবেশ মুখে হকার উচ্ছেদ, হাসপাতালের যুগপোযোগী পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতের জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা করাসহ নানা বিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ম্যানেজিং কমিটি কাজ করছে বলেও জানান বাহাউদ্দিন নাছিম।

শেখ হাসিনা   বাহাউদ্দিন নাছিম   আওয়ামী লীগ   ঢাকা-৮  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন