ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন তো ইমরান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ২৭ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের আংশিক প্রকাশিত ফলাফল থেকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। কিন্তু ইমরানের ক্ষমতাগ্রহণের আগেই তিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি।

পাকিস্তানের ইতিহাসে একমাত্র শওকত আজিজ ছাড়া আর কোনো প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। সামরিক অভ্যুত্থান, আততায়ীর হামলাসহ নানা কারণে মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে হয়েছে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রায় সবাইকেই।  

নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহন করেন নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান। কিন্তু মেয়াদ পূর্তির আগেই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হয় তাকে। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় সাদ আকবর নামের এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে লিয়াকতকে।

খাজা নাজিমুদ্দিন

নবাবজাদা লিয়াকত আলি খানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিন। তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছিলেন মাত্র দুই বছর। তার শাসনামলেই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।

অভ্যন্তরীণ বিবাদসহ নানা কারণে ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল পদচ্যুত করা হয় নাজিমুদ্দিনকে।

মোহাম্মদ আলি

খাজা নাজিমুদ্দিনের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ আলি। তিনিও ছিলেন একজন বাঙালি। বগুড়ার সন্তান মোহাম্মদ আলি ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। ১৯৫৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর সরকার ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৫৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই ১৯৫৫ সালের ৮ আগস্ট পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা মোহাম্মদ আলিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

চৌধুরী মোহাম্মদ আলি

১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় চৌধুরী মোহাম্মদ আলীকে। সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু অভ্যুন্তরীন কোন্দল বাড়তে থাকায় ১৯৫৬ এর ১২ সেপ্টেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এই রাজনীতিবিদ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর শাসনামলেই উর্দুর সঙ্গে বাংলাও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।  ১৯৫৯ এ রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় সোহরাওয়ার্দীকে। এরপর ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইব্রাহিম ইসমাইল চান্দ্রিকার

মুসলিম লীগের এই নেতার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়কাল মাত্র ১মাস ২৯ দিন। ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।

ফিরোজ খান নুন 

১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিরোজ খান নুন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর সামরিক শাসন জারি করেন ইস্কান্দার মীর্জা। পদচ্যুত হন ফিরোজ খান নুন।

নুরুল আমিন

১৯৭১ সালের ৭ডিসেম্বর পাকিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে আসেন নুরুল আমিন। মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তিনি।

জুলফিকার আলী ভুট্টো

দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর ১৯৭৩ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৭৭ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) থেকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হকের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।

মোহাম্মদ খান জুনেজো

১৯৮৫ সালে জেনারেল জিয়াউল হক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ খান জুনেজোকে। ওই বছরের ডিসেম্বরে সামরিক শাসনের ইতি ঘটান তিনি। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই ১৯৮৮ সালে তাকে বরখাস্ত করেন জিয়াউল হক।

বেনজির ভুট্টো

মোহাম্মদ খান জুনেজো পদচ্যুত হওয়ার পর ওই বছরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো। মুসলিম দেশগুলোর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন তিনি।  কিন্তু ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট তাকে বরখাস্ত করা হয়।

১৯৯৩ সালের নির্বাচনে আবারও জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন বেনজির ভুট্টো। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো।

মিয়া মুহম্মদ নওয়াজ শরিফ

মিয়া মুহম্মদ নওয়াজ শরিফ তিনবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বলাই বাহুল্য, কোনোবারই তিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। প্রথমবার ১৯৯০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে আবারও ক্ষমতা গ্রহন করেন তিনি। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে এবারও মেয়াদ পূর্তির আগেই পদ ছাড়তে হয় নওয়াজকে।

জাফরুল্লাহ খান জামালি

২০০২ সালে পাকিস্তানের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জাফরুল্লাহ খান জামালি। কিন্তু মাত্র ২ বছর না পেরোতেই ২০০৪ সালে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

শওকত আজিজ

জাফরুল্লাহ খান জামালি পদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় শওকত আজিজকে। তিনি পাকিস্তানের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন। বর্তমানে নির্বাসনে আছেন শওকত।

চৌধুরী সুজাত হুসাইন

২০০৪ সালে ৩০ জুন নিয়োগ পান চৌধুরী সুজাত হুসাইন। পাকিস্তান মুসলিম লীগের এই নেতা মাত্র ১ মাস ২৭ দিন ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন। ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তিনি।

 

ইউসুফ রাজা গিলানি

২০০৮ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জয়লাভ করে। দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ইউসুফ রাজা গিলানি। কিন্তু ২০১২ সালে সংবিধান লঙ্ঘনের এক মামলায় ৩০ সেকেন্ডের এক প্রতীকী কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এই রায়ের ফলে প্রধানমন্ত্রী থাকার অধিকার হারান তিনি।

রাজা পারভেজ আশরাফ

ইউসুফ রাজা গিলানি পদচ্যুত হওয়ার পর ২০১২ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রাজা পারভেজ আশরাফ। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে ক্ষমতা ছাড়েন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই নেতা।

শাহীদ খাকান আব্বাসী

২০১৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩১ মে ২০১৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহীদ খাকান আব্বাসী। এবারের নির্বাচনের আগে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়ান পিএমএলএন এর এই নেতা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে অনেকেই মিউজিক্যাল চেয়ারের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। ২০ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানকে দুর্নীতিমুক্ত করে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হবার দারপ্রান্ত থেকে তুলে আনবেন বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার তো বটেই, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ইমরান মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ট্রাম্পের খোঁচায় বাইডেন, মাদক পরীক্ষার দাবি

প্রকাশ: ১০:৩৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে আগামী ২৭ জুন প্রথম দফায় বিতর্কে অংশ নিতে রাজি হয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং নির্বাচনে তার রিপাবলিকান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এ বিতর্কের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মাদক নিচ্ছেন কি না, তা পরীক্ষার দাবি করেছেন ট্রাম্প। গত শুক্রবার মিনেসোটায় দলীয় এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্প তাঁর বক্তব্যে এ দাবি করেন।

গত মার্চে বাইডেনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণ উল্লেখ করে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট মাদক পরীক্ষার দাবি তোলেন। তিনি বলেন, স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের ভাষণের সময় বাইডেন যেন ঘুড়ির মতো উড়ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এই ব্যক্তির সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিতে চাই। কিন্তু তার আগে আমি তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করব।’ ট্রাম্প অবশ্য নিজে এ পরীক্ষা করাবেন কি না, তা বলেননি।

স্টেট অব দ্য ইউনিয়নের দীর্ঘ ভাষণের সময় ৮১ বছর বয়সী বাইডেন জোরে ও দ্রুত কথা বলছিলেন। ওই বক্তব্যের পর রিপাবলিকানদের ডক্টরস ককাসের কো-চেয়ার গ্রেগ মারফি বাইডেনের সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ৭৭ বছর বয়সী ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অবশ্য বাইডেনের মাদক পরীক্ষা চাওয়ার বিষয়টি নতুন নয়।

এর আগে, ২০২০ সালে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে অভিযোগ তুলে বলা হয়, ডেমোক্র্যাটদের দলীয় নির্বাচনের সময় বাইডেনের আচরণ স্বাভাবিক ছিল না। তিনি বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কের আগে তাই তাঁর মাদক পরীক্ষা করার দাবি করেছিলেন। অবশ্য ওই সময় ট্রাম্প বা বাইডেন কেউই মাদক পরীক্ষা করাননি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ২৭ জুন এবং ১০ সেপ্টেম্বরের দুই বিতর্ক অত্যন্ত উত্তেজনাকর মুহূর্ত হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, তাদের আটলান্টা স্টুডিওতে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে কোনো দর্শকের উপস্থিতি থাকবে না। বিতর্কটি উপস্থাপনা করবেন জেক ট্যাপার ও ডানা ব্যাশ। ট্রাম্প অবশ্য জেক ট্যাপারের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন।

মার্কিন নির্বাচন সামনে রেখে দ্বিতীয় বিতর্কটির আয়োজন করছে সংবাদমাধ্যম এবিসি। আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্য ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। দুই প্রার্থীই সে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।


যুক্তরাষ্ট্র   প্রেসিডেন্ট নির্বাচন   ডোনাল্ড ট্রাম্প   জো বাইডেন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মনমোহন সিং

প্রকাশ: ০৮:২৯ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে লোকসভার নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ নির্বাচন চলবে আগামী ১ জুন পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে দেশটির বৃদ্ধ নাগরিকরা বাড়ি থেকে ভোট দিচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে বাড়িতে বসে ভোট দিয়েছেন ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ভোট দেওয়ার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ভোট দিয়ে নিজের হাতের আঙ্গুলের কালি দেখাচ্ছেন তিনি। তবে ছবিটিতে মনমোহনকে দেখে শুরুতে চেনাই যাচ্ছিল না।

বৃদ্ধ বয়সের পুরো ছাপ পড়েছে তার শরীরে। ৯২ বছর বয়সী মনমোহন বয়সের ভারে যেন নুয়ে পড়ছেন। তবে তা সত্ত্বেও নিজের ভোটাধিকারটি প্রয়োগ করেছেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ৯২ বছর বয়সেও নিজের ভোট দিচ্ছেন মনমোহন। তাকে দেখে তরুণদের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দিল্লির প্রধান নির্বাচনী কর্মকর্তা বাড়ি থেকে ভোট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেন। এই প্রক্রিয়ায় ভোট দিচ্ছেন বয়স্ক ও শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিরা। এটি আগামী ২৪ মে পর্যন্ত চলবে।


ভোট   মনমোহন সিং  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দিচ্ছে বিশ্বের সেরা এয়ারলাইনস

প্রকাশ: ০৬:৪১ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

কর্মীদের বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে বিশ্বের সেরা বিমান কোম্পানি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সিএনএনের সংবাদে বলা হয়েছে, যে মানদণ্ড তারা স্থাপন করেছে, তার উচ্চতা অনেক বেশি।

বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের এক কর্মী। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মী সিএনএনকে এ তথ্য দিয়েছেন যে, ভালো মুনাফা করার কারণে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তার কর্মীদের আট মাসের বেতনের সমান বোনাস দেবে। কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, এ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ার নয়।

এ বিষয়ে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের সঙ্গে সিএনএন যোগাযোগ করলেও তাৎক্ষণিকভাবে তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আর্থিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। সেখানে তারা বলেছে, সেই অর্থবছরে বিমান সংস্থাটি ১৯৮ কোটি ডলার নিট মুনাফা করেছে।

আয়ের বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বলেছে, উত্তর এশিয়ার দেশগুলো, যেমন চীন, হংকং, জাপান ও তাইওয়ানের মতো দেশ মহামারির পর তাদের সীমান্ত পুরোপুরি খুলে দিয়েছে। সে কারণে এসব দেশে ভ্রমণ বেড়েছে। মানুষের ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসও বড় অঙ্কের মুনাফা করেছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস গত অর্থবছরের জন্য স্ক্রাইট্র্যাক্স ওয়ার্ল্ড এয়ারলাইনস অ্যাওয়ার্ডস প্রণীত ক্রমতালিকায় বিশ্বের সেরা বিমান সংস্থার পুরস্কার পেয়েছে। সংস্থাটির প্রণীত ক্রমতালিকায় গত ২৩ বছরের মধ্যে এ নিয়ে পঞ্চমবার তারা শীর্ষস্থান পেয়েছে।

সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোহ চুন ফং বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটির সব কর্মী নিরন্তর কাজ করায় এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে। তাঁদের এই শ্রম–ঘামের কারণে মহামারির পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস বাজারে খুব ভালোভাবে ফিরে আসতে পেরেছে।

তবে শুধু সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস নয়, আরও বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস কর্মীদের উদার হস্তে বোনাস দিচ্ছে। জানা গেছে, দুবাইয়ের এমিরেটস এয়ারলাইনস তার কর্মীদের ২০ সপ্তাহের বেতনের সমপরিমাণ বোনাস দিচ্ছে। সিএনএন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তারা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

আয় বিবরণীতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস অবশ্য বলেছে, আগামী অর্থবছরে ব্যবসার জগতে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে। তারা বলেছে, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা, সামষ্টিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, মূল্যস্ফীতির চাপ ও সরবরাহব্যবস্থায় নানা ধরনের বাধা বৈশ্বিক বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

মহামারির সময় মানুষের যাতায়াতে বিধিনিষেধের কারণে বিমান সংস্থাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছিল। সেই বাস্তবতা এখন আর নেই। বিধিনিষেধ প্রায় সবই উঠে গেছে। ফলে বিমান পরিবহন সংস্থাগুলোও বড় অঙ্কের মুনাফার মুখ দেখছে।


সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস   সিএনএন সংবাদ  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশ: ০৬:২৪ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্পের পশ্চিমাঞ্চলে ইসরায়েলি হামলায় আট ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। নিহতরা জাবালিয়ার আল-ফালুজা নামক একটি এলাকায় পানি আনতে গিয়েছিলেন।

এক প্রত্যক্ষদর্শী হামলার ব্যাপারে বলেন, “আমরা ফালুজা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছিলাম, যেটিকে নিরাপদ স্থান হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে ইসরায়েলিরা সেখানে গোলা ছুড়েছে। আমরা জানি না কোথায় যাব।”

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ হামলার একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

গত কয়েকদিন ধরে জাবালিয়ায় ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা। স্থল হামলা ছাড়াও বিমান থেকে প্রতিনিয়ত সেখানে বোমা ফেলছে তারা।

গাজার মধ্যে যেসব শরণার্থী শিবির রয়েছে সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো জাবালিয়া। যুদ্ধের আগে এখানে হাজার হাজার মানুষ থাকতেন। এখনো শরণার্থী শিবিরটিতে অসংখ্য মানুষ রয়েছেন।


ইসরায়েল   ফিলিস্তিন  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আফগানিস্তানে ভূমিধসে ৫০ জন নিহত

প্রকাশ: ০৫:৫৩ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ঘোর প্রদেশে হড়কা বান-ভূমিধসে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ওই প্রদেশের পুলিশ।

শনিবারের বিবৃতিতে ঘোর প্রাদেশিক পুলিশের মুখপাত্র আবদুল রহমান বাদ্রি বলেন, ‘শুক্রবারের হড়কা বান-ভূমিধসে প্রদেশে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং এখনও নিখোঁজ আছেন আরও অনেকে। নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’

বিবৃতিতে আবদুল রহমান বাদ্রি আরও জানান, শুক্রবারের হড়কা বানে প্রায় ২ হাজার বাড়িঘর সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং আরও কয়েক হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, কয়েক হাজার গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে, শত শত একর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে, শতাধিক সেতু ও কালভার্ট ধ্বংস হয়েছে এবং হাজার হাজার গাছ উপড়ে গেছে। 

বানের পানি, বাড়িঘর-গাছ-পাথরের ধ্বংসস্তূপ জমা হয়ে প্রদেশের অধিকাংশ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আফগানিস্তান   ভূমিধস  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন