ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন তো ইমরান?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০৫ এএম, ২৭ জুলাই, ২০১৮


Thumbnail

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খানই হতে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। দেশটির সাধারণ নির্বাচনের আংশিক প্রকাশিত ফলাফল থেকে এমন তথ্যই উঠে এসেছে। কিন্তু ইমরানের ক্ষমতাগ্রহণের আগেই তিনি সম্পূর্ণ মেয়াদ ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কিনা এ বিষয়টি নিয়েই আলোচনা হচ্ছে বেশি।

পাকিস্তানের ইতিহাসে একমাত্র শওকত আজিজ ছাড়া আর কোনো প্রধানমন্ত্রীই মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। সামরিক অভ্যুত্থান, আততায়ীর হামলাসহ নানা কারণে মেয়াদ শেষ হবার আগেই ক্ষমতা থেকে সরে দাড়াতে হয়েছে দেশটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া প্রায় সবাইকেই।  

নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান

১৯৪৭ সালে স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহন করেন নবাবজাদা লিয়াকত আলি খান। কিন্তু মেয়াদ পূর্তির আগেই আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারাতে হয় তাকে। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় সাদ আকবর নামের এক ব্যক্তি গুলি করে হত্যা করে লিয়াকতকে।

খাজা নাজিমুদ্দিন

নবাবজাদা লিয়াকত আলি খানের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন ঢাকার নবাব পরিবারের সদস্য খাজা নাজিমুদ্দিন। তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পেরেছিলেন মাত্র দুই বছর। তার শাসনামলেই বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে ঢাকায় আন্দোলনরত জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করে পুলিশ।

অভ্যন্তরীণ বিবাদসহ নানা কারণে ১৯৫৩ সালের ১৭ এপ্রিল পদচ্যুত করা হয় নাজিমুদ্দিনকে।

মোহাম্মদ আলি

খাজা নাজিমুদ্দিনের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ আলি। তিনিও ছিলেন একজন বাঙালি। বগুড়ার সন্তান মোহাম্মদ আলি ১৯৫৩ সালে পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসেন। ১৯৫৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর সরকার ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর ১৯৫৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি আবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই ১৯৫৫ সালের ৮ আগস্ট পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা মোহাম্মদ আলিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন।

চৌধুরী মোহাম্মদ আলি

১৯৫৫ সালের ১২ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় চৌধুরী মোহাম্মদ আলীকে। সংবিধান প্রণয়ন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু অভ্যুন্তরীন কোন্দল বাড়তে থাকায় ১৯৫৬ এর ১২ সেপ্টেম্বর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন এই রাজনীতিবিদ।

হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী

মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তাঁর শাসনামলেই উর্দুর সঙ্গে বাংলাও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।  ১৯৫৯ এ রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয় সোহরাওয়ার্দীকে। এরপর ১৯৬২ সালে রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ইব্রাহিম ইসমাইল চান্দ্রিকার

মুসলিম লীগের এই নেতার প্রধানমন্ত্রীত্বের সময়কাল মাত্র ১মাস ২৯ দিন। ১৯৫৭ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।

ফিরোজ খান নুন 

১৯৫৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের ৭ম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ফিরোজ খান নুন। ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই পদে ছিলেন। এরপর সামরিক শাসন জারি করেন ইস্কান্দার মীর্জা। পদচ্যুত হন ফিরোজ খান নুন।

নুরুল আমিন

১৯৭১ সালের ৭ডিসেম্বর পাকিস্তানের ক্ষমতার শীর্ষে আসেন নুরুল আমিন। মাত্র ১৩ দিনের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তিনি।

জুলফিকার আলী ভুট্টো

দীর্ঘ সামরিক শাসনের পর ১৯৭৩ সালে সংবিধান পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেন জুলফিকার আলী ভুট্টো। ১৯৭৭ সালে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) থেকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু অল্পদিনের মধ্যেই জেনারেল জিয়াউল হকের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯৭৯ সালে সামরিক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে।

মোহাম্মদ খান জুনেজো

১৯৮৫ সালে জেনারেল জিয়াউল হক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন মোহাম্মদ খান জুনেজোকে। ওই বছরের ডিসেম্বরে সামরিক শাসনের ইতি ঘটান তিনি। কিন্তু মেয়াদ পূর্ণ হবার আগেই ১৯৮৮ সালে তাকে বরখাস্ত করেন জিয়াউল হক।

বেনজির ভুট্টো

মোহাম্মদ খান জুনেজো পদচ্যুত হওয়ার পর ওই বছরই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন জুলফিকার আলী ভুট্টোর মেয়ে বেনজির ভুট্টো। মুসলিম দেশগুলোর প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন তিনি।  কিন্তু ১৯৯০ সালের ৬ আগস্ট তাকে বরখাস্ত করা হয়।

১৯৯৩ সালের নির্বাচনে আবারও জয়লাভ করে প্রধানমন্ত্রী হন বেনজির ভুট্টো। কিন্তু ১৯৯৬ সালের ৬ নভেম্বর তাকে পুনরায় বরখাস্ত করা হয়। এরপর ২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির এক নির্বাচনী সমাবেশ শেষে আত্মঘাতী হামলায় নিহত হন বেনজির ভুট্টো।

মিয়া মুহম্মদ নওয়াজ শরিফ

মিয়া মুহম্মদ নওয়াজ শরিফ তিনবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। বলাই বাহুল্য, কোনোবারই তিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেননি। প্রথমবার ১৯৯০ সালের ১ নভেম্বর থেকে ১৯৯৩ সালের ১৮ জুলাই পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার দায়িত্ব পালন করেন ১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ২০১৩ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে আবারও ক্ষমতা গ্রহন করেন তিনি। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে এবারও মেয়াদ পূর্তির আগেই পদ ছাড়তে হয় নওয়াজকে।

জাফরুল্লাহ খান জামালি

২০০২ সালে পাকিস্তানের ১৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জাফরুল্লাহ খান জামালি। কিন্তু মাত্র ২ বছর না পেরোতেই ২০০৪ সালে পদত্যাগের ঘোষণা দেন তিনি।

শওকত আজিজ

জাফরুল্লাহ খান জামালি পদত্যাগের পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় শওকত আজিজকে। তিনি পাকিস্তানের প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রধানমন্ত্রী যিনি মেয়াদ পূর্ণ করতে পেরেছেন। বর্তমানে নির্বাসনে আছেন শওকত।

চৌধুরী সুজাত হুসাইন

২০০৪ সালে ৩০ জুন নিয়োগ পান চৌধুরী সুজাত হুসাইন। পাকিস্তান মুসলিম লীগের এই নেতা মাত্র ১ মাস ২৭ দিন ক্ষমতায় থাকতে পেরেছিলেন। ২৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তিনি।

 

ইউসুফ রাজা গিলানি

২০০৮ সালের নির্বাচনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) জয়লাভ করে। দলের মনোনয়ন পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ইউসুফ রাজা গিলানি। কিন্তু ২০১২ সালে সংবিধান লঙ্ঘনের এক মামলায় ৩০ সেকেন্ডের এক প্রতীকী কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাকে। এই রায়ের ফলে প্রধানমন্ত্রী থাকার অধিকার হারান তিনি।

রাজা পারভেজ আশরাফ

ইউসুফ রাজা গিলানি পদচ্যুত হওয়ার পর ২০১২ সালের ২২ জুন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রাজা পারভেজ আশরাফ। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে ক্ষমতা ছাড়েন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই নেতা।

শাহীদ খাকান আব্বাসী

২০১৭ সালের ১ আগস্ট থেকে ৩১ মে ২০১৮ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহীদ খাকান আব্বাসী। এবারের নির্বাচনের আগে ক্ষমতা থেকে সরে দাড়ান পিএমএলএন এর এই নেতা।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদটিকে অনেকেই মিউজিক্যাল চেয়ারের সঙ্গে তুলনা করে থাকেন। ২০ কোটি মানুষের দেশ পাকিস্তানকে দুর্নীতিমুক্ত করে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র হবার দারপ্রান্ত থেকে তুলে আনবেন বলে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছিলেন ইমরান খান। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনী অঙ্গীকার তো বটেই, সেনাবাহিনীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ইমরান মেয়াদ পূর্ণ করতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। 

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করায় বিপাকে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৪:৪৭ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

গাজা যুদ্ধের জের ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলো তুরস্ক। ২ মে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে দেশটি। যতদিন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা বন্ধ না হবে ততদিন এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ।

তুরস্কের এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়তে যাচ্ছে ইসরায়েল। তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধের সিদ্ধান্তের ৩ দিন পর এমন আভাস দিলো ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্ট। 

ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের এই বাণিজ্য বয়কটের প্রভাব আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই ভুগতে শুরু করবে ইসরায়েল। 

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, তুরস্কের এই সিদ্ধান্তের কারণে ইসরায়েলে মৌলিক পণ্য, খাদ্য পণ্য এবং বাড়িঘরের দাম বেড়ে যাবে।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, তুরস্ক বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পর ইসরায়েলি সরকার বেশ অবাক হয়েছে। কারণ তারা ভেবেছিল তুরস্ক বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিলেও; এটি কখনও কার্যকর করবে না। কিন্তু তাদের অবাক করে দিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেন।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের বিকল্প বের করতে লম্বা সময় প্রয়োজন হবে। সঙ্গে নতুন করে চুক্তিও করতে হবে। এমনকি বিকল্প কোনও দেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও পণ্যের দাম বেশিই থাকবে।

পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির এই ভার সাধারণ ইসরায়েলিদেরই বহন করতে হবে। যারা যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে আগের তুলনায় বেশি দাম দিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনছেন।

তুরস্কের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়বে ইসরায়েলি নির্মাণ শিল্পের ওপর। সঙ্গে অটোমোবাইল খাতেও এটির প্রভাব পড়বে।


তুরস্ক   বন্ধ   ইসরায়েল   বাণিজ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ইসরায়েলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার গোপন সম্পর্ক ফাঁস

প্রকাশ: ০৪:১৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

অধিকাংশ মুসলিম দেশের মতো ইন্দোনেশিয়ারও ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্পর্ক নেই। তবে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তে ওঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছে ইন্দোনেশিয়া। ওই তদন্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলের অন্তত ৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে স্পাইওয়্যার ও সাইবার নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছে জনসংখ্যার দিক থেকে বৃহত্তম এই মুসলিম দেশটি। শুক্রবার (০৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি ল্যাবের এক তদন্তে ইসরায়েলের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সম্পর্কের তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তারা বলছে, ৪টি ইসরায়েলি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এন-এস-ও, কান-দিরু, উইন-টেগো ও ইন্টে-লেক্সারের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি অফিস ও সংস্থার যোগসূত্র পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জার্মান প্রতিষ্ঠান ফিন-ফিশারের কাছ থেকেও নজরদারি প্রযুক্তি কিনেছে দ্বীপ দেশটি। এর আগে বিরোধীদের ওপর নজরদারি করতে বাহরাইন ও তুরস্ক ফিন-ফিশারের প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিল।

অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন সরকারি অফিসে এ ধরনের অসংখ্য স্পাইওয়্যার আমদানি বা স্থাপন করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার পুলিশ এবং জাতীয় সাইবার ও ক্রিপ্টো এজেন্সির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য এসব নজরদারি স্পাইওয়্যার কেনা হয়েছে। অত্যন্ত আধুনিক প্রযুক্তির এসব স্পাইওয়্যার দিয়ে কারও ওপর নজরদারি করলে সেটা যেমন ধরা যায় না, আবারও কোনো প্রমাণ পাওয়াও প্রায় অসম্ভব।

তদন্তে দেখা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার হয়ে এসব নজরদারি প্রযুক্তি কিনে দিয়েছে সিঙ্গাপুরের কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে আগেও ইন্দোনেশিয়া সরকারের জন্য নজরদারি প্রযুক্তি কেনার নজির রয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার নিউজ ম্যাগাজিন টে-ম্পো, ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারেতজ এবং গ্রিস ও সুইজারল্যান্ডভিত্তিক সংবাদ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় কয়েক মাস ধরে এই তদন্ত চালানো হয়।

ইন্দোনেশিয়ার ইসরায়েলি স্পাইওয়্যার কেনার নজির এটাই প্রথম নয়। গেল বছর টে-ম্পো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইন্দোনেশিয়ার সরকার আলোচিত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এন-এস-ও’র পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। ২০২১ সালে ইন্দোনেশিয়ার বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সরকারি ও সামরিক কর্মকর্তার ওপর পেগাসাস ব্যবহার করে নজরদারি চালানো হয়েছিল বলে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।

সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইনসহ কয়েকটি আরব দেশ ২০২০ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের পর তখন ইন্দোনেশিয়ার নামও শোনা গিয়েছিল। এরপর মাঝে বেশি কিছু শোনা না গেলেও সম্প্রতি ইসরায়েলের একজন কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানান, ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আলোচনা চলমান আছে। আবার দুই দেশের মধ্যে প্রতি বছর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হয়ে থাকে জানিয়েছেন ইসরায়েল-এশিয়া সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক রেবেকা জেফেরত।


ইসরায়েল   ইন্দোনেশিয়া   গোপন   সম্পর্ক   ফাঁস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হোয়াইট হাউসের সামনে চালক নিহত

প্রকাশ: ০৪:০৮ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

হোয়াইট হাউসের গেটে গাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে চালকের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মারাত্মক সংঘর্ষটি ‘কেবল একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে’ তদন্ত করা হচ্ছে এবং এটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জন্য কোনো হুমকি ছিল না।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস এক বিবৃতিতে বলেছে, পুরুষ চালককে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১০টার কিছু আগে দুর্ঘটনার পর গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হোয়াইট হাউস কমপ্লেক্সের বাইরের একটি গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত চালককে তাৎক্ষণিকভাবে চিহ্নিত করা যায়নি।

ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (এমপিডি) জানিয়েছে, গাড়িটি দুটি রাস্তার সংযোগস্থলে একটি নিরাপত্তা বাধার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সময়ে এমপিডির মেজর ক্র্যাশ ইনভেস্টিগেশন ইউনিট ঘটনাটিকে শুধু একটি সড়ক দুর্ঘটনা হিসেবে তদন্ত করছে।

এ ছাড়া নিরাপত্তা প্রোটোকল বাস্তবায়িত হলেও হোয়াইট হাউসের জন্য কোনো হুমকি ছিল না বলে সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে।

তবে সিক্রেট সার্ভিস বিষয়টির তদন্ত চালিয়ে যাবে। পাশাপাশি মেট্রো পুলিশও কাজ করবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।


হোয়াইট হাউস   চালক   নিহত  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সরকার নির্বাচন: বড় বিপর্যয়ের মুখে ঋষি সুনাকের দল

প্রকাশ: ০৪:০৩ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত হচ্ছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ ১টি সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের ১০৭টি কাউন্সিলের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে সেখানে। সবার চোখ লন্ডন শহরের মেয়র পদের ফলাফলের দিকেও। তবে এই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। অপরদিকে গত চার দশকে নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ পার্টি। খবর বিবিসি।

এমনকি লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও ফলাফলের বিশ্লেষণে হারিয়ে দিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টিকে। শনিবার (৪ মে) স্থানীয় সময় বেলা ২টা পর্যন্ত ১০৭টি কাউন্সিলের মধ্যে ১০৩টি কাউন্সিলের ফলাফল প্রকাশিত হয়। সবশেষ ফলাফলে দেখা যায়, লেবার পার্টি ১ হাজার ৬১টি কাউন্সিলর পদে জয় লাভ করেছে। ৫০৮টি কাউন্সিলর পদে জয় পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি। অপরদিকে ৫০৪টি কাউন্সিলর পদ নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি।

লন্ডনের মেয়র পদের দিকেও রয়েছে সবার চোখ। এখানে টানা দুবার নির্বাচিত পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত সাদিক খান পুনরায় বিজয়ী হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের মেয়র পদে হ্যাটট্রিক করা প্রথম কোনো মেয়র। অপরদিকে কনজারভেটিভ পার্টির সোসান নির্বাচিত হলে তিনি হবেন লন্ডন শহরের প্রথম নারী মেয়র।

নির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক গণমাধ্যমে বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে লেবার পার্টি বড় জয় পেলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণ কনজারভেটিভ পার্টিকেই ভোট দেবে। কারণ, কনজারভেটিভ পার্টি আলোকিত ব্রিটেন গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে। অপরদিকে স্থানীয় নির্বাচনে ভালো করা লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের ঠিক আগমুহূর্তে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জনগণ জানিয়ে দিয়েছেন তারা পরিবর্তন চান।

উল্লেখ্য, স্থানীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল করায় ঋষি সুনাককে উদ্দেশ্য করে আগাম জাতীয় নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি।


যুক্তরাজ্য   স্থানীয় সরকার নির্বাচন   বিপর্যয়   ঋষি সুনাক  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

নিজ্জর হত্যা ইস্যুতে মুখ খুললেন জয়শংকর

প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

খালিস্তান নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার ঘটনায় ৩ ভারতীয়কে গ্রেফতার করেছে কানাডা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, তিন ভারতীয়কে গ্রেফতারের বিষয়টি তিনি দেখেছেন। এখন কানাডা তাদের বিষয়ে আমাদের কোনো তথ্য সরবরাহ করবে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় আছি। অভিযুক্তরা কোনো গ্যাংয়ের হয়ে কাজ করতে পারে। তবে পুলিশ কী বলে সে বিষয়ের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি।

জয়শঙ্কর আরও বলেন, 'আমরা আমাদের অভিমত তাদের (কানাডা) জানিয়েছি। কারণ তারা ভারত থেকে সংগঠিত অপরাধ বিশেষ করে পাঞ্জাবের কর্মকাণ্ডকে কানাডা থেকে পরিচালিত করার সুযোগ দিয়েছে।' 

জয়শঙ্কর বরাবরই বলে আসছেন, কানাডায় শিখ সন্ত্রাসবাদীরা অনেক দিন থেকেই ভারতবিরোধী প্রচার চালিয়ে আসছে। ভারত তাদের আন্দোলনের বিরোধিতায় কানাডা সরকারকে সক্রিয় হতে অনুরোধ করেছে। কিন্তু ট্রুডো সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার দরুন তারা তা করছে না।

ভারতের অভিযোগ, নিজ্জর হত্যা সম্পর্কে কানাডা আজও কোনো তথ্য ভারতকে দেয়নি। অথচ ভারত বারবার তা জানানোর দাবি করে আসছে। কানাডার অভিযোগ, ভারত ওই হত্যায়  হাত থাকার খবর অস্বীকার করে চলেছে। তারা তদন্তে কোনো সহযোগিতাই করতে চাইছে না।

এর আগে, সম্প্রতি কানাডার এডমন্টন শহর থেকে ওই তিন ভারতীয়কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন করণ ব্রার (২২), কমলপ্রীত সিং (২২) ও করণপ্রীত সিং (২৮)। আদালতের নথি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তারা তিন থেকে পাঁচ বছর সে দেশে রয়েছে।

তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে কানাডায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার সঞ্জয় ভার্মা বলেন, তিনজনকে গ্রেফতারের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক তথ্য রাখছি। এটা কানাডার অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের পুলিশ অবশ্যই স্বচ্ছতার মাধ্যমে তদন্তে সাক্ষেপে প্রতিবেদন তৈরি করবে। 

গত বছরের জুনে শিখ নেতা ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জরকে কানাডায় হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এ ঘটনায় ভারত সরকারকে দায়ী করেন। এরপর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। 


নিজ্জর   হত্যা   এস জয়শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন