নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:২৬ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০১৮
বাংলাদেশ ব্যাংকের গচ্ছিত সোনায় অনিয়ম ধরা পড়ার ঘটনা ও দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে বিপুল পরিমাণ কয়লা গায়েবের ঘটনা গত কয়েক দিন ধরে পত্রিকার পাতা গরম করে রেখেছে। পিছিয়ে নেই টেলিভিশন চ্যানেল কিংবা অনলাইন গণমাধ্যমগুলোও। এই দুই ইস্যুতে অসংখ্য সংবাদ পরিবেশন করেছে তারাও। সোনায় অনিয়ম ও কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে করা ‘অনুসন্ধানী’ প্রতিবেদনগুলোর তথ্য-উপাত্ত গণমাধ্যম ছাড়িয়ে সাধারণ মানুষের মুখে মুখেও ছড়িয়ে পড়েছে।
গত ১৭ জুলাই দেশের একটি জাতীয় দৈনিক শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক অনুসন্ধান প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গোয়েন্দারা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, ব্যাংকে জমা রাখা ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের সোনার চাকতি ও আংটি মিশ্র বা সংকর ধাতুতে পরিণত হয়েছে। আবার ২২ ক্যারেট সোনার গয়না ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে বলেও বলা হয় পত্রিকাটির প্রতিবেদনে। দৈবচয়ন ভিত্তিতে নির্বাচন করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি সোনা পরীক্ষা করে বেশির ভাগের ক্ষেত্রেই অনিয়ম ধরা পড়েছে বলে দাবি করে পত্রিকাটি।
স্বাভাবিকভাবেই এই নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। অন্যান্য গণমাধ্যমও এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করে। এই পরিপ্রেক্ষিতের বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হয়। সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত সব সোনা ঠিকঠাক আছে। তাঁর কথা বিশ্বাস না হলে যে কেউ বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে তা দেখে আসতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দরজা সবার জন্য খোলা আছে বলে জানান আবদুল মান্নান।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। অপপ্রচারে বিরক্ত হয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি সোনার মধ্যে মাত্র তিন কেজি দূষিত হয়েছে। এটা কোনো সমস্যাই নয়। এটা নিয়ে ইউজলেস (অপ্রয়োজনীয়) আলোচনা হচ্ছে।’
সোনা কেলেঙ্কারির ঘটনার আপাতত সমাধান হলেও এর পরপরই গণমাধ্যমগুলো বাজারে নিয়ে আসে নতুন ইস্যু। দেশের একটি ইংরেজি দৈনিকে ২১ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করে রাখা ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। বর্তমান বাজার মূল্যে যার মূল্য ২২৭ কোটি টাকার ওপরে। এবারও সংবাদটি লুফে নেয় সকল গণমাধ্যম এবং ‘সীমাহীন দুর্নীতির’ দায়ে দেশজুড়ে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মুণ্ডপাত চলতে থাকে। কিন্তু এবারও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে অল্প সময়েই। ধীরে ধীরে জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা ও সাধারণ মানুষ বুঝতে শুরু করে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা রাতারাতি গায়ে হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। কয়লা সরাতে পরিবহণের প্রয়োজন। আর এই বিপুল পরিমাণ কয়লা একবারে বা স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে সরানো হলে এত গোপনীয়তা রক্ষা করা সম্ভব হতো না। তাই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ কয়লা গায়েব হয়ে গেছে এই যুক্তিটি ধোপে টেকে না। বাস্তবতা হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে বিগত তিন সরকারের আমলেই কয়লা গায়েব করা হয়েছে। আর এখন তার সম্মিলিত হিসাব দিচ্ছে সুনির্দিষ্ট কিছু গণমাধ্যম।
কিন্তু তিন সরকারের আমলে গায়েব হওয়া কয়লা নিয়ে প্রতিবেদন করে শুধু আওয়ামী লীগকে দায়ী করার চেষ্টা কেন? আর কেনই বা স্বর্ণ কেলেঙ্কারির মতো ভূতুড়ে সংবাদ? এগুলো কি কাকতালীয় ঘটনা নাকি উদ্দেশ্য প্রণোদিত কর্মকাণ্ড এই নিয়ে চিন্তাভাবনার অবকাশ আছে। বিশেষ করে একাদশ নির্বাচন যখন আসন্ন তখন কিছুদিন পরপর আওয়ামী লীগ সরকারকে দুর্নীতিপরায়ণ হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করা কিন্তু ভিন্ন কোনো পরিকল্পনারই ইঙ্গিত বহন করে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এই বিষয়গুলোর দিকে আওয়ামী লীগকে সতর্ক দৃষ্টি দিতে হবে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।