নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ৩০ জুলাই, ২০১৮
বরিশাল সিটি নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার মাত্র ঘন্টা চারেক পরই এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের প্রতি ভোট কারচুপি, জালভোট ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
যদিও অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেছেন সরোয়ার, কিন্তু সকাল থেকে ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনা ভিন্ন বার্তা দিচ্ছে। আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ভোট দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে সৈয়দা মজিদুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ার। এতদূর পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু বিপত্তি বাধে সরোয়ার যখন বুথে ঢুকে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারকে বলেন, নিজের ভোটার নম্বর জানেন না তিনি। একথা শোনার পর প্রিসাইডিং অফিসার বলেন, ‘ভোটার নম্বর ছাড়া ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। নম্বর এখন খুঁজে বের করা যাবে না।’
মজিবর রহমান সরওয়ার এবার অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁর ভোটার নম্বরের কার্ড আসার জন্য। কিন্তু ততক্ষণে ভোটকেন্দ্রে গণ্ডগোল শুরু হয়ে গেছে। ‘জয় বাংলা’, ‘সরওয়ারকে বাইর কর’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে শুরু করেছে নৌকা ব্যাজধারী কয়েকজন ব্যক্তি। এক পর্যায়ে ২০-২৫ জন ভোটকেন্দ্রে ঢোকার জন্য চেষ্টা করে। ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটিও হয়। পরবর্তীতে বাইরে আরও লোক জড়ো হয়। এ সময় মজিবর রহমান সরোয়ার কেন্দ্রে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত পুলিশ এসে বিএনপি প্রার্থী সরোয়ারকে বের করে আনেন।
কেন্দ্রের বাইরে বের হলে নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী লোকজন সরোয়ার ও তাঁর সমর্থকদের ঘিরে ধরেন। এক পর্যায়ে পুলিশ মজিবর রহমান সরোয়ারকে গাড়িতে তুলে কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। ভোট না দিয়েই কেন্দ্র ত্যাগ করেন তিনি।
সৈয়দা মজিদুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি বিএনপির মেয়র প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের বাড়ির কাছেই অবস্থিত। সরোয়ার নিজের মায়ের নামে স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই স্কুলেই নিজের গাফিলতির জন্য ভোট দিতে পারেননি বিএনপির এই প্রার্থী। এটি কি আসলেই ভুলে অসাবধানতাবশত হয়ে গেছে নাকি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সরোয়ার এমনটা করেছেন সেটি নিয়েও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে।
এছাড়া সরোয়ার ভোট গ্রহণ শুরু হতে না হতেই ভোট কারচুপি, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে বিএনপির পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করে আসছিলেন। সরোয়ার গণমাধ্যমের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘অর্ধশতাধিক কেন্দ্র থেকে তাঁর পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কোনোভাবেই সুষ্ঠু ভোট হবে না।’
এসবের ধারাবাহিকতায় এবার বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেন মজিবর রহমান সরোয়ার।
বরিশাল সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ৪২ হাজার ১৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৬ জন এবং মহিলা মোটার ১ লাখ ২০ হাজার ৭৩০ জন। ভোটকেন্দ্র ১২৩টি ও ভোট কক্ষ ৭৫০টি। এই সিটিতে মেয়র প্রার্থী মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আজ সোমবার সকাল ৮ টা থেকে রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলবে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।
এই তিন সিটির ১৫টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ব্যবহার হচ্ছে। এছাড়া বাকি সব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে ব্যালট পেপারে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ। সম্প্রতি এক শুভেচ্ছা বার্তায় এ অভিনন্দন জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী বছরগুলোতে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য উন্মুখ।
বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার মাধ্যমে আঞ্চলিক শান্তি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কাজ করতে চান উল্লেখ করেন এন্থনি এলবানিজ।
প্রধানমন্ত্রী এন্থনি এলবানিজ চিঠিতে আরও উল্লেখ করেন, ভারত মহাসাগরের দেশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তন, অভিবাসন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উভয় দেশের একই ধরনের স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে অস্ট্রেলিয়া প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অস্ট্রেলিয়া এন্থনি এলবানিজ বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
কীভাবে সম্ভব হল, কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউটার্ন নিল? কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার পার্সোনাল ডিপ্লোমেসির কারণে। এটি ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ এর আরেকটি অংশ। ২০১৮ সালের পর থেকেই বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি নেতিবাচক অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। বিশেষ করে জো বাইডেন প্রশাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতি বদলাতে থাকে। এসময় একের পর এক চাপ প্রয়োগ করা হতে থাকে বাংলাদেশের উপর।
বিশেষ করে ২০২২ সালের ১৫ মার্চ পিটার ডি হাস বাংলাদেশে আসার পর সরকারের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায় মুখোমুখি একটি অবস্থানে চলে যায়। দুই দেশের মধ্যে নানা রকম ভুল বোঝাবোঝি সৃষ্টি হয়েছিল। এর একটি বড় কারণ ছিল যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছিল। আর এই সমস্ত ভুল তথ্যের কারণেই যুক্তরাষ্ট্র একটি ভিন্নরকম অবস্থান গ্রহণ করেছিল বাংলাদেশের ব্যাপারে।
কিন্তু ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আস্তে আস্তে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য মনে করেন যে, নির্বাচনের আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিবর্তন ঘটে থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান পরিবর্তনের ক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকা কাজ করেছে বলেই অনেকে মনে করে যেটি ডোনাল্ড লু’র সফরে স্পষ্ট প্রতিভাত হয়েছে।
প্রথমত ভারতের প্রভাব। ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের ব্যাপারে নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার জন্য চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে। ভারতের এই অবস্থানের প্রধান কারণ ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত বিশ্বাস করে তার উপর আস্থা রাখে এবং শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প বাংলাদেশে নেই, এই উপলব্ধি থেকেই নরেন্দ্র মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলেছেন বলে কূটনৈতিক মহল মনে করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত কারণে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটাতে চাইনি।
দ্বিতীয়ত, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর তিনি সেখানে নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও ভারত সফরের সময় তিনি অ্যান্থনি ব্লিনকেন এবং জো বাইডেনের সঙ্গেও কথা বলেন। সবকিছু মিলিয়ে তার উদ্যোগ সফল হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য সালমান এফ রহমানকেও দায়িত্ব দিয়েছিলেন এবং সালমান এফ রহমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তৃতীয়ত, বিরোধী দলের ভুল রাজনীতি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাশা করেছিল যে, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে এবং এই কারণেই নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু শর্তহীন সংলাপের উপর জোর দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন বিএনপি নির্বাচনে যায়নি, তখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেনি। আর সবকিছু মিলিয়ে এখন নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আছে, মার্কিন স্বার্থ আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে চায়, চীনের আগ্রাসন কমাতে চায়। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সামনে বর্তমান সরকারই একমাত্র বিকল্প। আর তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পরিবর্তন করেছে, রীতিমতো ইউটার্ন নিয়েছে।
বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জো বাইডেন ডোনাল্ড লু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
মন্তব্য করুন
ছাগলনাইয়া উপজেলা মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল
মন্তব্য করুন
১৭ মে ১৯৮১, শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। এক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন। পিতার রক্তে ভেজা মাটিতে কপাল স্পর্শ করে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর কান্নার সঙ্গে যোগ দিয়েছিল প্রকৃতিও। আর সে কারণেই ঢাকার আকাশ জুড়ে নেমেছিল মুষলধারে বৃষ্টি। সেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাখো মানুষ শেখ হাসিনাকে বরণ করে নিয়েছিল।
নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড লু’র সফর আর নির্বাচনের পরে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর, দুটোর মধ্যে আকাশ পাতাল তফাত। ডোনাল্ড লু নিজেই স্বীকার করেছেন। বাংলাদেশ সফর শেষে যাওয়ার পথে তিনি তার বিদায়ী সংবাদ সম্মেলনে পরিষ্কার বলেছেন, অতীতের মতপার্থক্যকে সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। আর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়েছে আগের অবস্থানে নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ফেনীর ছাগলনাইয়ায় ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলের উপজেলা চেয়ারম্যান পদ অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে যত বেতন-ভাতা ও সুবিধাদি গ্রহণ করেছেন তা ৩০ দিনের মধ্যে ফেরত দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে ফেরত না দিলে ফেনীর জেলা প্রশাসককে তার থেকে আদায় করতে বলা হয়েছে।