নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ০১ অগাস্ট, ২০১৮
২০০১ সালের পর থেকেই অশ্লীলতার স্বর্ণযুগ শুরু হলো। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। বাংলা সিনেমায় সবচেয়ে বেশি অশ্লীলতা হয়েছে এই সময়টায়। সেসময় প্রতিবছর ৮০-র বেশি চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সারাদিন এফডিসিতে অখণ্ড নীরবতা, সন্ধ্যার পরেই আলো জ্বলে উঠত সবখানে। শুরু হত তুমুল ব্যস্ততা। ফ্লোরে ফ্লোরে চলছে শুটিং। মদ-গাঁজা-হেরোইনের গন্ধে মাতাল এফডিসি। সুশীল সমাজ ও নাগরিকরা টেলিভিশনমুখী হয়ে গেলেন এবং বিদেশি চলচ্চিত্রে বেশি আকৃষ্ট হলেন। বাংলা ছবির দর্শক থাকল মূলত গ্রাম আর মফস্বলে। সাধারণত অশিক্ষিত তরুণরা এবং যুবকরা।
বিএনপি সরকারের সময়কাল তখন শেষের দিক। অবহেলিত অবস্থায় সেন্সর বোর্ড। অবহেলিত এ সংস্থাটি শান্তিনগরের একতলা অতিপুরনো একটি বাড়িতে কাজ চালিয়ে আসছিল। প্রজেকশন হলটিও ছিল প্রায় ভঙ্গুর। বর্ষাকালে স্যাঁতস্যাঁতে ও জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় অফিস করত একজন ভাইস চেয়ারম্যান, একজন সচিব এবং কয়েকজন প্রশাসনিক স্টাফ। ছিল না কোনো গাড়ি। কোন মহলেরই এ ব্যাপারে ছিল না কোন মাথাব্যাথা।
ড. মুহম্মদ মাহবুবুর রহমান সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে আসেন। সে সময় সেন্সর বোর্ডের সদস্য ছিলেন চাষী নজরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন, নায়ক উজ্জ্বল, সাংবাদিক রুহুল আমীন গাজী, আব্দুস শহীদ, আনোয়ার আল দীন, আনোয়ার কবির বুলু, অধ্যাপিকা অনামিকা হক লিলি এবং তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি। এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকও বোর্ডের সদস্য ছিলেন। এ ছাড়া ছিলেন প্রযোজক ও পরিচালক সমিতির সভাপতি।
সাধারন যে ব্যাপারটি ছিল। ছবি দেখার সময় অগ্রহণযোগ্য দৃশ্যগুলো কেটে দিয়ে আবার পেশ করার নির্দেশ দেয়া হত। পরিচালকরা তা মেনে নিতেন। কিন্তু হলে প্রদর্শনের সময় আবার সেই কাটপিস বা পৃথকভাবে নির্মিত কোনো কাটপিস জোড়া দিয়ে হলে প্রদর্শন করা হত।
মাহবুবুর রহমান বেশ শক্ত হাতে এসব অশ্লীলতা দমনে নামেন। কিন্তু কোনভাবেই প্রতিহত করা সম্ভব ছিল না স্থানীয় প্রশাসন ও ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের জন্য। সুস্থ ছবির নির্মাণ উৎসাহিত করার প্রচেষ্টায় চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তারা তখন অসহায় হয়ে ঘুরতেন। নায়িকাদের মধ্যে দুই বোন সুচন্দা, ববিতা ও কবরী নতুন সেন্সর বোর্ডের সভাপতির বাসায় গিয়ে অশ্লীলতা রোধের জন্য বলতে গেলে পায়ে ধরেন। প্রয়াত নায়ক মান্নাও বাসায় গিয়ে সমর্থন ও সহযোগিতার কথা ব্যক্ত করেন।
অশ্লীলতায় যখন ইন্ডাস্ট্রি ডুবে যাচ্ছিল। টনক নড়ে পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতির। পরিচালক সমিতি দু’জন পরিচালকের সদস্যপদ বাতিল করে। তারা হলেন রাজু চৌধুরী এবং শাহাদত হোসেন লিটন। তাদের দু’ জনের ছবিতে ভয়াবহ অশ্লীল দৃশ্য থাকার অভিযোগে সদস্যপদ বাতিল করা হয়। তাদের ছবি ‘অবৈধ অস্ত্র’ এবং ‘নিষিদ্ধ আখড়া’। এছাড়াও চারজন পরিচালককে শো’কজ নোটিস দেয়া হয়। তারা হলেন এমএ রহিম, সাজেদুর রহমান সাজু, আহমেদ ইলিয়াস ভূঁইয়া এবং আনোয়ার চৌধুরী জীবন।
সে সময় নায়িকা মুনমুন ও ময়ূরীর পরিচিতি বেড়ে যায়। ম্যাডাম ফুলি-খ্যাত নায়ক আলেকজেন্ডার বো খানিকটা নাম পরিবর্তন করে লিডে চলে আসলেন। রুবেলের উপস্থিতিও ছিল দেখার মতো। রিয়াজ-ফেরদৌসের উপস্থিতি খানিকটা কমে গেল। অমিত হাসান প্রধান সারিতে ঢুকে গেলেন। নায়িকাদের মধ্যে আসলেন পলি, মনিকা। ডন, মেহেদি, সোহেল, আসিফ ইকবাল, আবরাজ খান, শিখা, ঝর্ণা, শাপলা, শায়লা ও নাম জানা-অজানা অনেকে ছিলেন সক্রিয়।
অশ্লীল যুগের সিনেমা বানাতেন মূলত এনায়েত করিম, মোহাম্মদ হোসেন-(ফায়ার), শরিফুদ্দিন খান দিপু, স্বপন চৌধুরী, মালেক আফসারী (মরণ কামড়, মৃত্যুর মুখে), মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (স্পর্ধা), শাহাদাৎ হোসেন লিটন (কঠিন শাস্তি) এবং তার বড় ভাই বাদশা ভাই (লণ্ডভণ্ড, জোগি ঠাকুর), বদিউল আলম খোকন (দানব), রাজু চৌধুরী, এম এ আউয়াল, পল্লী মালেক (ঢাকার কুতুব), এম বি মানিক (জাদরেল), শাহিন-সুমন (নষ্ট), উত্তম আকাশসহ আরো অনেকে।
এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি অশ্লীল ছবির জন্য দায়ী ১১ জনকে চিহ্নিত করে। তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হলে এই মর্মে মুচলেকা দেন যে, ‘ভুল ত্রুটি যা হয়েছে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আগামীতে কোনো ছবির অশ্লীল দৃশ্যে আর অভিনয় করব না। ভবিষ্যতে যদি এমন ঘটনা ঘটে তাহলে শিল্পী সমিতি এবং সংশ্লিষ্টরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মাথা পেতে নেব।’ মুচলেকা দেয়া শিল্পীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন প্রিন্স, শায়লা, ড্যানিরাজ, জেসমিন, মমতাজ, নিরঞ্জন, লোপা, ডানা প্রমুখ। অশ্লীল ছবির প্রযোজক ও পরিচালক শরীফ উদ্দিন খান দিপুর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই দিপু তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারের সংস্কৃতি অঙ্গনে তখন ব্যাপক প্রভাব বিস্তারকারী। তিনি ‘এনকাউন্টার’ নামে একটি সিনেমা নির্মাণ করেন। যা নিয়ে সেন্সর বোর্ডের সকলের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। দিপু সদস্যদেরকে অকথ্য গালাগাল করেন, ভয়ভীতি দেখান। প্রায় সবাই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে নায়িকা ববিতা এবং শিল্পী খুরশীদ আজিম খান আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েন।
দিপুকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়, তাকে এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। তার ছবির সনদপত্র দেয়া হবে না এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। দিপুর বিরুদ্ধে মামলা করায় দিপুকে আটক করার জন্য পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তাকে দৌড়ের ওপর রাখে পুলিশ।
সে সময় অশ্লীলতার বিরুদ্ধ র্যাবের মরহুম কর্নেল গুলজার একের পর এক হল এবং অশ্লীল ছবি সংশ্লিষ্ট অফিসগুলোতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছিলেন কাটপিস নামক অশ্লীল সিনেমা ফুটেজ। তার অবদানও স্বীকার পেতে হবে।
বাংলা চলচ্চিত্রের ভয়ংকর অশ্লীলতার যুগ ২০০৬ সালে এসে কিছুটা দুর্বল হয়ে যায়। ফখরুদ্দীন আহমেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এর প্রকোপ কিছুটা স্তিমিত হয়। র্যাব হানা দেয় কাকরাইলের অফিসগুলোতে। জব্দ করল হাজার হাজার কাটপিস, অগণিত নীল ছবি, অসংখ্য অশ্লীল পোস্টার।
২০০৭ এর শুরু দিকে এফডিসি এবং ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন অঙ্গনে শুরু হল অশ্লীলতাবিরোধী আন্দোলন। আন্দোলনের পুরোধা ছিলেন নায়ক মান্না। সাথে যোগ দিলেন কিছু শুভাকাঙ্ক্ষী। আন্দোলনকে সমর্থন দিল গণমাধ্যম।
সে সময় ডিপজল শাকিবকে নিয়ে কিছু সিনেমা নির্মাণ করেন। সেসব ছবি ব্যবসাসফল হলে ইন্ডাস্ট্রি অশ্লীল যুগ থেকে একরকমের মুক্তি পায়।
অশ্লীলতার প্রবল দাপটে সবচেয়ে বড় যে ক্ষতির শিকার হয়েছিল চলচ্চিত্রাঙ্গন তা হচ্ছে মেধাবী পরিচালকদের নির্বাসনে চলে যাওয়া। যার জন্য আজও ধুকছে ইন্ডাষ্ট্রি। এজে মিন্টু সর্বশেষ পরিচালনা করেছিলেন ‘বাপের টাকা’ ছবিটি। সুনির্মিত হওয়ার পরও দেশের সর্বকালের অন্যতম সফল এই পরিচালকের ছবিটি অশ্লীলতার কারণে চলেনি। ১৯ বছর ধরে তিনি চলচ্চিত নির্মাণ ছেড়ে দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
কয়েক
মাস আগেই মা হারিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরি। মা হারানোর ব্যথা এখনো ভুলতে পারেননি
। বিশ্ব মা দিবসে মায়ের শূন্যতা ও একরাশ অভিমান নিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে
পোস্ট করেছেন তিনি।
পোস্টে
মায়ের সঙ্গে তোলা একটি ছবি শেয়ার করে পূজা লিখেছেন, ‘ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা। মামুনি
দেখেছো? তুমি কি পচা কাজ করেছো, সকালে ঘুম থেকে উঠেই অঝরে চোখ থেকে জল পরতে দিলে
!! সারাজীবনই তো এই জল পরবে গো মা। কি করে থামাবো? উফ খুব কষ্ট হচ্ছে মামুনি। আর লিখতে
পারছি না, বুকটা ফেটে যাচ্ছে। ভালো থেকো মামুনি আর মনে রেখো তোমার হাতের লাঠিটা অনেক
মিস করি অনেক অনেক অনেক।’
পেইজের
পাশাপাশি ফেসবুক আইডিতেও একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এতে লিখেছেন, ‘আমি তো এতো ভেঙ্গে
পরার মতো মেয়ে না। তবে আজকে কেন এতো ভেঙ্গে পড়ছি। ভালো থাকুক পৃথিবীর সকল মা।’ চলতি
বছরের ২৪ মার্চ সকালে মিরপুরের নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন পূজা চেরির মা ঝর্ণা রায়।
মন্তব্য করুন
বর্তমানে
ব্যস্ত সময় পার করছেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা। সর্বশেষ সিনেমা ডাবল
এক্সএলের পর ওয়েব সিরিজ 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার' এ ফরিদান ও তার মা রেহানার
দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন।
বিখ্যাত
অভিনেত্রী রেখা সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সোনাক্ষীর অভিনয়ের প্রশংসা করে নিজেকে সোনাক্ষীর
দ্বিতীয় মা বলে অভিহিত করেছেন। সোনাক্ষীর মাকে রেখা বলেন, ও আমার মেয়ে, আপনার মেয়ে
নয়।
পিঙ্কভিলায়
এক সাক্ষাৎকারে সোনাক্ষী জানান, 'হীরামান্ডি: দ্য ডায়মন্ড বাজার'- এর প্রিমিয়ারের
সময় রেখা তার কাজের প্রশংসা করেছিলেন। এমনকি রেখা নিজেকে তার দ্বিতীয় মা হিসেবেও
বলেন।’
রেখার
প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সোনাক্ষী বলেন, ‘রেখা ব্যক্তি হিসাবে অনেক সুন্দর। তার মতো
একজনের কাছ থেকে মেয়ে ডাক শুনতে অবাক লেগেছে।’
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
চলচ্চিত্রের শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের বিগ বাজেটের সিনেমা ‘তুফান’ মুক্তি পাবে আসন্ন
ঈদুল আজহায়। মুক্তির আগেই পুরোদমে চলছে এই ছবির শুটিং। ইতোমধ্যেই প্রকাশ পেয়েছে তুফানের
পোস্টার ও টিজার। যা বেশ সাড়া ফেলেছে দর্শকদের মাঝে।
তবে এরই মধ্যে আইন ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই এগিয়ে যাচ্ছে ‘তুফান’ এমনটাই দাবি করছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড।
কয়েকদিন আগেই প্রকাশ পেয়েছে ‘তুফান’ ছবির টিজার। সিনেমাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন টিজার প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম। তিনি জানান, সেন্সর বোর্ডের অনুমতি ছাড়াই নারায়ণগঞ্জে ‘গুলশান’ সিনেমা হলে গতকাল ১০ মে দুপুর ১২টার শোতে দেখানো হয় ‘তুফান’ সিনেমার টিজার। বিষয়টি নজরে এসেছে তাদের।
খালেদা বেগম বলেন, ‘সেন্সর বিহীন টিজার প্রদর্শনের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের ইন্সপেক্টর যাবে সেখানে। সেন্সর ছাড়পত্র বিহীন সিনেমা প্রদর্শন করা বেআইনি। নারায়ণগঞ্জ ছাড়াও অন্য কোথাও চলে কি না সেটাও আমরা দেখছি। সারা বাংলাদেশে আমাদের ইন্সপেক্টর মাত্র তিনজন। যে কারণে সবগুলো প্রেক্ষাগৃহে দেখা মুশকিল। তারপরও যেখানে এমন বেআইনি প্রদর্শন হবে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
জানা গেছে, একজন গ্যাংস্টারের গল্পে তৈরি হয়েছে তুফান সিনেমা। যেখানে উঠে আসবে নব্বই দশকের চিত্র। সে সময়ের এক নামকরা গ্যাংস্টারের কাহিনী নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প।
মন্তব্য করুন
গত
এক দশকে হিন্দি ও বাংলায় তৈরি হয়েছে নানা ধরনের বায়োপিক। এবার তৈরি হচ্ছে বিজ্ঞানী
সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বায়োপিক।
পশ্চিমবঙ্গের
দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন জানিয়েছে, ছবিটি প্রযোজনা করবেন বলিউডের প্রখ্যাত বাঙালি নির্মাতা
সুজিত সরকার। এটি পরিচালনা করবেন বোধাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়।
গুঞ্জন
অনুযায়ী, প্রযোজক সুজিতের পছন্দের তালিকায় রয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য ও যীশু সেনগুপ্ত।
তবে শোনা যাচ্ছে, অনির্বাণের তুলনায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর বায়োপিক যীশুর অভিনয়ের সম্ভাবনা
বেশি।
প্রযোজকেরা চাইছেন, ছবিটি দ্রুত তৈরি করতে। তাই চলতি বছরের শেষে ছবিটির শুটিং শুরু হতে পারে। বাংলা ও হিন্দি—এ দুই ভাষায় তৈরি হবে ছবিটি। তবে, নায়ক বদলাবে না। যীশু আর অনির্বাণ, দুজনেই এর আগে হিন্দি সিনেমায় কাজ করেছেন।
এ
ছাড়া প্রযোজক জানিয়েছেন, ছবিটির বেশির ভাগ চরিত্রেই অভিনয় করবেন পশ্চিমবঙ্গের অভিনয়শিল্পীরা।
থাকতে পারেন কয়েকজন বলিউড তারকাও।
মন্তব্য করুন