নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪৪ পিএম, ১০ অগাস্ট, ২০১৮
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী গত সাত মাস ধরে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হয়ে বিএনপি কার্যালয়ে অবস্থান করছেন। মাঝেমধ্যে বাইরে বের হয়ে খানিকটা মিছিল -মিটিং করে আবার গন্তব্য বিএনপি কার্যালয়ে ফেরেন। কার্যালয়ে অবস্থানকালে তার একমাত্র কাজ দৈনিক একবেলা প্রেস কনফারেন্স করা। এই প্রেস কনফারেন্স করে প্রায়শই তিনি দলকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেন। গত কয়েকদিন ধরেই দলের মধ্যে তার প্রেস কনফারেন্স নিয়ে হাসি ঠাট্টা চলছে। সিনিয়র অনেক নেতা ভীষণ বিরক্তও।
আজ শুক্রবারও প্রতিদিনকার মতো প্রেস কনফারেন্সের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন রিজভী, তিনি কিছু বলবেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন করে আজ প্রেস কনফারেন্স না করার অনুরোধ করেন। মির্জা ফখরুলকে থোড়াই কেয়ার করেন রিজভী? এমন কথা শুনে রাগে গজগজ করতে থাকলেন রিজভী। সংবাদিকদের ডেকে কথা বলবেন, রিজভীর প্রস্তুতি শেষ মুহূর্তে। এমন সময় তড়িঘড়ি করে ফখরুল অফিসে ঢুকলেন। ভিতরে ঢুকে দেখলেন, সাংবাদিকরা বসে আছে। মির্জা ফখরুল আর কারো সঙ্গে কোন কথা না বলে সোজা বক্তব্য দেয়া শুরু করলেন। রিজভীর আর সুযোগ হলো না। আজকের মতো তাকে চুপ করিয়ে দিল ফখরুল। রিজভীকে এর আগেও মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, আমাদের অনুমতি ছাড়া প্রেস কনফারেন্স করবেন না। করলেও, কি বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। সেটা আগে জানাবেন। সেটা মানেননি রিজভী। সেজন্যই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন কাণ্ড ঘটাতে হল। রিজভীর ডাকা প্রেস কনফারেন্সে নিজেই বক্তব্য রাখলেন। বলা যায়, কিছুটা বাধ্য ও বিরক্ত হয়েই।
রাজনীতির এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিএনপি যেন বিভ্রতকর অবস্থায় না পরে। সেজন্যই রিজভীকে প্রেস কনফারেন্স থেকে সরিয়ে দেয়া হল। যদিও, এ নিয়ে রিজভীর কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। সবাই আগামীকাল তিনি কি মন্তব্য করেন সে অপেক্ষায় আছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট সম্পন্ন হয়েছে গতকাল বুধবার (৮ মে) । বিএনপি এ নির্বাচন বর্জন করলেও দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলটির বহু নেতা নির্বাচনে অংশ নেন। যারা সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন তাদের দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। তবে ভোটের লড়াইয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির বহিষ্কৃত বেশ কয়েকজন নেতা।