নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০৫ এএম, ২৪ অগাস্ট, ২০১৮
বাংলাদেশের পাশ্ববর্তী দেশ ভারত। দেশটিতে প্রায় ১৮০ মিলিয়ন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঈদ উদযাপনের তেমন পার্থক্য নেই। খাবারের পার্থক্যও খুব একটা দেখা যায় না। ঈদে বাংলাদেশিরা যেমন সেমাই, কাবাব, নেহারি, হালিম, বিরিয়ানি, মিষ্টি, হালুয়া ইত্যাদি খাবারের আয়োজন করে থাকে, ভারতীয়রাও তেমন করে। তবে মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে ঈদের কিছু নির্দিষ্ট খাবার থাকলেও দেশ ভেদে তাদের কিছু ব্যতিক্রম খাবার রয়েছে। আজ ভারতীয়দের ১০টি জনপ্রিয় ঈদের খাবার সম্পর্কে জানাবো:
১. নবাবী বিরিয়ানি
ভারতীয়রা বিরিয়ানি খেতে অত্যাধিক পছন্দ করে। তাই সেটা হাইদ্রাবাদের বিরিয়ানি হোক কিংবা নবাবী বিরিয়ানি। এই বিরিয়ানিকে আলাদা ভাবে নবাবী বিরিয়ানি বলার কারণ হলো, এতে প্রচুর পরিমাণে কিসমিস থাকে। ভারতীয়রা ঈদের দিন এই বিরিয়ানি খেতে পছন্দ করে এবং দেশটির প্রায় সব অঞ্চলেই এর প্রচলন দেখতে পাওয়া যায়।
২. বায়দা রুটি
ঈদে ভারতীয়দের মধ্যে বায়দা রুটি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। বিশেষ করে যারা ডিম পছন্দ করে তাদের জন্য এর কোনো তুলনা নেই। এই রুটি কিছুটা স্পাইছি ধরনের হয় এবং এ্রর ওপর ডিমের প্রলেপ দেওয়া থাকে। ঈদের দিন একটি ব্যতিক্রম ধরনের সসের সঙ্গে এই রুটি পরিবেশন করা হলে, ভারতীয়রা দ্রুত এর মজাদার স্বাদ নিতে ভুল করে না।
৩. শীর কোরমা
ঈদে ভারতীয়দের ঐতিহ্যবাহী সকালের নাস্তা হলো শীর কোরমা। এটি শুধু ঐতিহ্যবাহী নয়, জনপ্রিয়ও বটে। এই খাবারটা মিষ্টি দুধ আর খেজুর দিয়ে তৈরি করা হয়। ঈদের দিন পরিবারের সদস্য এবং বাড়িতে আসা সব অতিথীদের এই খাবার পরিবেশনা করা হয়।
৪. বাদাম ফিরনি
ঈদে ভারতীয় আরেকটি প্রিয় খাবার বাদাম ফিরনি। এই বিশেষ ধরনের খাবারটি কাজুবাদাম, দুধ এবং মিষ্টি দিয়ে তৈরি করা হয়। একে এক ধরনের মিষ্টান্নও বলা যেতে পারে। ভারতীয়দের মধ্যে এই খাবারের প্রচলনও বেশ চোখে পড়ে।
৫. সেভিয়ান
সেভিয়ানও মিষ্টি জাতীয় খাবার। এটি দুধ আর সেমাই দিয়ে রান্না করা হয়। খুব অল্প সময়েই সেভিয়ান রান্ন করা সম্ভব। শুধু মুসলিম সম্প্রদের নয়, এই খাবার সব ভারতীয়রই খুবই পছন্দের।
৬. কোপরা পাক
কোপরা পাক এক বিশেষ ধরনের মিষ্টি। ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায় ঈদে এই বিশেষ মিষ্টির আয়োজন করে থাকে। এই বিশেষ ধরনের মিষ্টি জাফরন, নারিকেল ও দুধ দিয়ে তৈরি করা হয়। এর স্বাদের কারণেই এটি ভারতীয়রা পছন্দ করেন।
৭. বাদামী গোস্ত
ভারতীয়দের ঈদ খাবারের মধ্যে বাদামী গোস্তও বেশ জনপ্রিয় খাবার। যে কোনো ধরনের মাংস ও বাদাম ব্যবহার করে এই খাবার তৈরি করা যায়। এই খাবারের স্বাদ ও গন্ধ সবাইকে আকৃষ্ট করে।
৮. মাটন কোরমা
ঈদে ভারতীয়দের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার মাটন কোরমা। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ঈদের দিন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে এই রেসিপিটি খাওয়ার প্রচলন চোখে পড়ে। এর স্বাদও দারুণ।
৯. মালপোয়া
ভারতীয়দের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার হলো মালপোয়। এটি মিষ্টি জাতীয় খাবার। এই বিশেষ খাবারটি ভারতীয়রা ঈদ ছাড়াও বিভিন্ন বিশেষ দিনে খেয়ে থাকে। এটি তৈরি জন্য ময়দা, সুজি ও ঘন দুধ লাগে। খাবারটি এমনই একবা্র খেলে দ্বিতীয়বার খাওয়ার লোভ কেউ সামলাতে পারে না।
১০. গালৌটি কাবাব
ঈদের আরেকটি জনপ্রিয় খাবার গালৌটি কাবাব। এটি দেখতে কিছুটা আমাদের দেশের পেয়াজুর মতো। তবে এটি তৈরি করার জন্য মাংস, ময়দা এবং বিশেষ ধরনের মশলা ব্যবহার করা হয়। এটি খেতে ভীষণ নরম এবং সুস্বাদু। ভারতীয়দের ঈদ উদযাপনে এই গালৌটি কাবাবের আয়োজন করা হয়।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র বিনিময়ের বিষয়টি আবারও অস্বীকার করেছে উত্তর কোরিয়া। এ নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং। তার বিবৃতিকে উদ্ধৃতি করে কেসিএনএ জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। তাদের শত্রু দেশ এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএসএ'র এক প্রতিবেদনে বলা, হয়েছে উত্তর কোরিয়া তার জাতির স্বার্থে অস্ত্রের আধুনিকায়ন করছে এবং তা কোনো দেশের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করছে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে অভিযান চালানোর পর রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। কিন্তু শুরু থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছ। তবে গত বছর থেকে এই দুই দেশের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক গভীরে পৌঁছেছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে নাটকীয়ভাবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের রাশিয়া সফর এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠক তাদের সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। তবে কিমের বোন কিম ইয়ো জং বলেন, ‘রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে অস্ত্র চুক্তি তত্ত্ব একটি কল্প কাহিনী ছাড়া আর কিছুই নয়।’ কিম ইয়ো জং বলেন, ‘সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার প্রদর্শনকৃত রকেট লঞ্চার, ক্ষেপণাস্ত্র এবং কৌশলগত অস্ত্র রপ্তানির জন্য ছিল না। এগুলো দক্ষিণ কোরিয়াকে প্রতিহত করার জন্য।’
মন্তব্য করুন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে মালদহে বিভিন্ন এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে মালদহে বজ্রসহ বৃষ্টি নামে। পুরাতন মালদহের সাহাপুরে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যু হয়। আম বাগানে আম কুড়ানো ও পাহাড়ার কাজ করার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই তিনজনের।
অন্যদিকে গাজোলের আদিনাতে আম বাগানে বজ্রপাতে মারা যান একাদশ শ্রেণির ছাত্র অসিত সাহা (১৯)। ঝড়ের সময় আম বাগানে আম কুড়াতে গিয়ে তিনি মারা যান।
এ ছাড়া হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের কুরশাডাঙা গ্রামে কৃষিকাজ করতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নয়ন রায় (২৩) ও প্রিয়াঙ্কা রায় (২০)।
মালদহজুড়ে পুরাতন মালদহে তিনজন, হরিশ্চন্দ্রপুরে দুই জন, মানিকচকে দুজন এবং রতুয়া, গাজোল ও ইংরেজবাজারে অন্তত একজন করে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া বজ্রপাতে এক গৃহবধূসহ আরও দুজন আহত হয়েছেন। আহতদের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের খারকিভ শহর ঘিরে ‘কঠিন লড়াই’ চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি ‘অত্যন্ত কঠিন’, তবে ‘নিয়ন্ত্রণে’ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খারকিভের শীর্ষস্থানীয় সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপের পর জেলেনস্কি এসব কথা বলেন।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ সীমান্তে আকস্মিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা বেশ কিছু এলাকা দখল করে নিয়েছে, যা গত ১৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হচ্ছে।
বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের সেনারা রুশ বাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতিসাধন করছে। তবে এলাকাটিতে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানে আমাদের আরও সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার শুরুতে খারকিভ শহরের উপকণ্ঠে পৌঁছে গিয়েছিল রুশ বাহিনী। তবে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা আবার সীমান্তে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।
সম্প্রতি রুশ বাহিনীর সাফল্যের বেশির ভাগই এসেছে খারকিভ অঞ্চলে। অবশ্য পূর্বাঞ্চলীয় দোনেৎস্ক ও দক্ষিণাঞ্চলের জাপোরিঝঝিয়া অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকাও দখল করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তারা।
মন্তব্য করুন
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ায় মসজিদে আগুনে পুড়ে ১১ মুসল্লি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দেশটির কানো প্রদেশের একটি মসজিদে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
বিবিসি বলছে, উত্তরাধিকার তথা সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হামলার সূত্রপাত হয়। পুলিশ বলছে, তারা এই ঘটনায় ৩৮ বছর বয়সী সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। কানো প্রদেশের গেজাওয়া এলাকায় বুধবার মুসল্লিরা ফজরের নামাজে অংশ নেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বাসিন্দারা বলেছেন, হামলার পর মসজিদে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মুসল্লিদের কান্নার আওয়াজ শোনা যায় এবং তারা ভেতর থেকেই তালাবদ্ধ দরজা খুলতে চেষ্টা করেন। অবশ্য বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পর প্রতিবেশীরা ভেতরে আটকে পড়াদের সাহায্য করতে ছুটে আসেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলার প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে কানো শহরে বোমা বিশেষজ্ঞসহ উদ্ধারকারী দলগুলোকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া মসজিদে হামলায় বোমা ব্যবহার করা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসহ আরও অনেকে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদিকে পুরো গ্রামে এখন শোকের মাতম চলছে বলেও জানিয়েছে বিবিসি।
মন্তব্য করুন
ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় লেবানন সীমান্ত থেকে ৩৫ কিলোমিটার অভ্যন্তরে উত্তর ইসরায়েলের লোয়ার গ্যালিলি অঞ্চলে ওই হামলা চালানো হয়।
এর জবাবে উত্তর-পূর্ব লেবাননে হিজবুল্লাহর অস্ত্র উৎপাদন কারখানায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। পাল্টাপাল্টি এ হামলার তথ্য বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)।
ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, বিমানঘাঁটি লক্ষ্য করে বিস্ফোরক বহনকারী দুটি ড্রোন ছোড়ে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই একটি ধ্বংস করে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। অপর ড্রোনটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চলে কয়েক হাজার ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। এসব হামলার অধিকাংশই ছিল সীমান্তবর্তী এলাকায়।
গাজা সংঘাত শুরুর পর থেকে ইসরায়েলে হিজবুল্লাহর হামলায় এখন পর্যন্ত ১০ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের নিয়মিত ও সংরক্ষিত সেনা (রিজার্ভিস্ট) নিহত হয়েছেন ১৪ জন। একই সময়ে সিরিয়া থেকেও ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে। তবে তাতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে গত সাত মাসে ইসরায়েলের হামলায় নিজেদের ২৯৮ জন সদস্য নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের অধিকাংশ নিহত হয়েছেন লেবাননে। সিরিয়ায়ও কিছু সদস্যের প্রাণ গেছে। একই সময়ে ইসরায়েলের হামলায় লেবাননের অন্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর ৬০ সদস্য নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েল বিমানঘাঁটি ড্রোন হিজবুল্লাহ
মন্তব্য করুন