নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৮ এএম, ২৭ অগাস্ট, ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচন আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত হবে। কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, বর্তমান মার্কিন অর্থনীতির অগ্রগতির কারণেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সদস্যরা এই নির্বাচনে এগিয়ে থাকবে। তবে অনেকর মতে, ট্রাম্পের কিছু নীতিগত ভুল সিদ্ধান্তের কারণে দলটি পিছিয়েও পড়তে পারে।
সম্প্রতি ট্রাম্পের দলের সাবেক দুইজন সদস্য আইন ভাঙ্গার কারণে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছেন। এদের একজন আইনজীবী মাইকেল কোহেন। এই সমস্যা তৈরি হওয়ার পর থেকে কোহেন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছেন। কোহেনের অভিযোগ, নির্বাচনে অর্থ খরচ করার বিষয়ে যেসব আইন আছে ট্রাম্প তা ভঙ্গ করেছেন। এর পাল্টা জবাবে ট্রাম্প বলেছেন, কোহেন এখন ‘গল্প’ বানাচ্ছেন। তবে সর্বশেষ এ ঘটনায় ট্রাম্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, সংসদীয় বিচারের মাধ্যমে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া বা ইমপিচ করা হতে পারে। কিন্তু এই ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন কী? আর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বেলায় এর আশঙ্কাই বা কতটুকু?
ইমপিচমেন্ট কি?
যুক্তরাষ্ট্রে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। দেশটির ইতিহাসে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের ঘটনা বিরল। যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, যেখানে আইন তৈরি করা হয়, তারা দেশটির প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে, বেশ কিছু অপরাধের জন্যে প্রেসিডেন্টকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ তাকে ইমপিচ করা যেতে পারে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে, ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ঘুষ নেওয়া অথবা অন্য কোন বড় ধরনের কিম্বা লঘু অপরাধ।’
ইমপিচ কিভাবে করা হয়?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ বা হাউজ অব রিপ্রেজেনটেটিভস থেকে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এটি মার্কিন কংগ্রেসের একটি অংশ। এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সেখানে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশ হতে হবে। পাশ হলে পরের ধাপে বিচার অনুষ্ঠিত হয় সেনেটে, যেটা কংগ্রেসের দ্বিতীয় অংশ। এটা অনেকটা আদালত কক্ষের মতো, যেখানে সিনেটররা বিচারক বা জুরি হিসেবে কাজ করেন। তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রেসিডেন্ট দোষী কি নির্দোষ। আর প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিতে হলে, সিনেটদুই-তৃতীয়াংশ সিনেটরকে ইমপিচমেন্টের পক্ষে ভোট দিতে হয়।
এরকম কী আগে হয়েছে?
সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরেুদ্ধে ইমপিচ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এটি ১৯৯৮ সালের ঘটনা। তখন ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য প্রতিনিধি পরিষদে ভোট দেওয়া হয়েছিল। এর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছিল ১৮৬৮ সালে। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তকে ক্লিনটন কিংবা জনসন কেউই সিনেটদোষী সাব্যস্ত হয়নি।
ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় না। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের কারণে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়নি। তবে একজন প্রেসিডেন্টকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উপক্রম হয়েছিল। তিনি রিচার্ড নিক্সন। ১৯৭৪ সালে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই তিনি পদত্যাগ করেন। ধারণা করা হয়, প্রক্রিয়াটি শুরু হলে তাকে হয়তো প্রেসিডেন্টের পদ থেকে শেষ পর্যন্ত সরিয়ে দেওয়া হতো।
ট্রাম্পকে কি ইমপিচ করা হবে?
বিবিসির ভাষ্যমতে, বর্তমানে এরকম কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ হিসেবে বলা হয়, হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভ ও সিনেটডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক দল রিপাবলিকান দলের সদস্য সংখ্যা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী দল ডেমোক্রেট দলের সদস্য সংখ্যার চাইতেও বেশি। ফলে প্রচুর রিপাবলিকানকে, আরও সুনির্দিষ্ট করে বলতে গেলে হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে ২৫ জন রিপাবলিকান সদস্যকে এবং সিনেট১৭ জনকে তাদের নেতার বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে এই প্রক্রিয়া শুরু করা এবং তাকে ইমপিচ করার জন্য। যা সম্ভব কিনা প্রশ্ন থেকে যায়।
এ বছরের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের ফলাফল হয়তো বর্তমানের সক হিসাবকে বদলে দিতে পারে। আগামী নভেম্বর মাসে অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ কংগ্রেসের সদস্যদের নির্বাচন করবেন। হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের সবকটি অর্থাৎ ৪৩৫টি আসনে এবং সেনেটের ১০০টি আসনের মধ্যে ৩৫টি আসনে এই নির্বাচন হবে।
ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের ফলে হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে ফেলতে পারে রিপাবলিকানরা। সেনেটেও এরকম ঘটতে পারে। আর এরকম কিছু হলে ডেমোক্রেটরা হয়তো দেখতে পারেন, ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কংগ্রেসে তাদের পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য রয়েছে। তখন পর্যাপ্ত সদস্য বলে ট্রাম্পকে সরিয়ে দেওয়া যেতে পারে।
ট্রাম্পকে সরিয়ে দিলে কী হবে?
ট্রাম্পকে ইমপিচ করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।
সূত্র: বিবিসি
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা।
দিল্লিতে ‘ইন্ডিয়া’ জোট সরকার গঠন করলে তৃণমূলের অবস্থান কী হবে সে বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোটকে নেতৃত্ব দিয়ে, বাইরে থেকে সব ধরনের সাহায্য করে আমরা সরকার গঠন করে দেবো, যাতে আমার মা-বোনদের কোনো অসুবিধা না হয়। ১০০ দিনের কাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়।
তবে পশ্চিমবঙ্গে কোন ধরনের ইন্ডিয়া জোট নেই সে কথাও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস, সিপিএমকে ধরবেন না। কারণ ওরা আমাদের সঙ্গে জোটে নেই। ওরা বিজেপির সঙ্গে রয়েছে। ওরা বিজেপিকে সাহায্য করে।
এদিনের নির্বাচনী সভায় মমতার ‘জোটের বাইরে থেকে সমর্থন’ নিয়েই রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। অতীতে সিপিআইএমসহ বাম দলগুলোকে এধরনের ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল।
১৯৮৮ সালে কেন্দ্রে যখন অটল বিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকার গঠন করে, তখন বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন মমতা। যদিও এরপরে বিভিন্ন সময় কখনো বাজপেয়ীর মন্ত্রিসভায়, আবার কখনো মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিল মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোট সাত দফায় দেশটির ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট নেওয়া হচ্ছে। প্রথম চার দফার ভোটে এরই মধ্যে ৩৭৯ আসনের ভোট সম্পন্ন হয়েছে। পঞ্চম দফায় ২০ মে, ষষ্ঠ দফা ২৬ মে এবং সপ্তম ও শেষ দফার ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জুন। ভোটগণনা আগামী ৪ জুন।
দিল্লি ইন্ডিয়া জোট সরকার মমতা তৃণমূল
মন্তব্য করুন
স্লোভাকিয়া প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো
মন্তব্য করুন
ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান।
বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো সিরিয়ার ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়ারা জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি সেলের কাছে পাঠিয়েছিল। এ সেলের সঙ্গে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের সামরিক শাখার সম্পর্ক রয়েছে। মার্চের শেষের দিকে ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত জর্ডানিয়ান সেলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর অস্ত্রের চালানও জব্দ করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতার মধ্যে প্রথমবারের মতো জর্ডানে অস্ত্রের চালান জব্দের খবর সামনে এসেছে। নিরাপত্তার স্বার্থে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জর্ডানের দুটি সূত্র চলমান তদন্ত এবং গোপন অভিযানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে অস্ত্র দিয়ে কি ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তা তারা জানাননি। এছাড়া কি ধরনের অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে তাও তারা জানাননি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জর্ডানের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো ইরান এবং তার মিত্রদের কয়েকটি অস্ত্র চালান আটকে দিয়েছে। এসব চালানে ক্লেমোর মাইন, সি৪ এবং সেমটেক্স বিস্ফোরক, কালাশনিকভ রাইফেল এবং ১০৭ মিমি কাতিউশা রকেট ছিল।
জর্ডানের সূত্র অনুসারে, এ সব অস্ত্রের বেশিরভাগ ইসরায়েলের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জন্য নির্ধারিত ছিল। এছাড়া মার্চে জব্দ করা অস্ত্র জর্ডানে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছিল।
জর্ডানের মুসলিম ব্রাদারহুড জানিয়েছে, অস্ত্র চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে তাদের কয়েকজন কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে এর সঙ্গে দলের কোনো নীতিগত সমর্থন নেই বলে জানিয়েছে তারা।
মন্তব্য করুন
ইউক্রেনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের খারকিভে শুক্রবার ভোরে হঠাৎ করে ঢুকে পড়ে রাশিয়ার সেনারা। এরপর সেখান দিয়ে একের পর এক অঞ্চল দখল করে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে তারা।
এরমধ্যেই নিজের সব আন্তর্জাতিক সফর স্থগিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বুধবার (১৫ মে) তার দপ্তর থেকে একটি বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, 'আগামী কয়েকদিনে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ অন্যান্যদের যেসব আন্তর্জাতিক সফর ছিল সেগুলো স্থগিত এবং সফরগুলোর সময় পুনরায় নির্ধারিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কায়রাইলো বুদানোভ সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে জানান, খারকিভের সম্মুখভাগের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়েছে। এরপরই জেলেনস্কির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রুশ সেনাদের হামলার তীব্রতায় টিকতে না পেরে খারকিভের রাশিয়ার সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রাম থেকে সেনাদের সরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন।
দেশটির সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, 'সেনারা তীব্র হামলার মুখে পড়েছে এবং তাদের আরও সুবিধাজনক স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।'
ইউক্রেন সাধারণত সেনাদের প্রত্যাহার করার সরাসরি ঘোষণা দেয় না। এর বদলে তারা প্রত্যাহারের বিষয়টিকে 'সেনাদের সুবিধাজনক স্থানে' নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে।
সেনাবাহিনীর এ মুখপাত্র আরও বলেছেন, সেখানকার পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন রুশ সেনাদের তারা শক্ত অবস্থান নিতে দিচ্ছেন না।
এদিকে ইউক্রেনের পুলিশ প্রধান খারকিভের ভোভচানস্ক এবং লুকিয়ান্তসি থেকে সব মানুষকে সরে যাওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। তার এমন আহ্বানের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, সেদিকটায় তড়িৎ গতিতে এগিয়ে আসছে রাশিয়ার সেনারা।
রুশ বাহিনী খারকিভে কী লক্ষ্য নিয়ে প্রবেশ করছে এ বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কয়েকদিন আগে বলেছিলেন তারা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে একটি বাফার জোন তৈরি করতে চান। যেন ইউক্রেন রাশিয়ার ভেতর কোনো ধরনের হামলা না চালাতে পারে।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং।
টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'।
বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।
১৯৬৫ সালে মালয়েশিয়া থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে এ পর্যন্ত মাত্র তিনজন প্রধানমন্ত্রী দেখেছে সিঙ্গাপুর। এরা সবাই দেশটির ক্ষমতাসীন দল পিপল'স অ্যাকশন পার্টির (পিএপি) সদস্য। প্রথমজন লি কিউয়ান ইয়িউকে বলা হয় সিঙ্গাপুরের স্থপতি। বর্তমান বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুংয়ের পিতা লি কিউয়ান ইয়িউ টানা ২৫ বছর দেশটির সরকারপ্রধান ছিলেন। সিঙ্গাপুরের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রীর নাম গোহ চোক তং।
৭২ বছর বয়সী লি সেইন লুং অবশ্য এখনই রাজনীতি পুরোপুরি বিদায় নিচ্ছেন না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতির পর একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর পদমর্যাদায় মন্ত্রিসভার সদস্য থাকবেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের সাংবাদিকদের শেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন লি সেইন। সেই সাক্ষাৎকারে এত বছর ধরে তাকে সমর্থন দেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুরের জনগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও অন্যদের চেয়ে বেশি গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টা করিনি; বরং চেষ্টা করেছি, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে একসাথে চলতে।’
‘এবং আমি মনে করি, গত ২০ বছরে জাতিগতভাবে আমরা কিছু সাফল্য অর্জন করেছি। তবে এটা আমি স্বীকার করব যে, দুই পূর্বসূরি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ে আমার কাজের ধরন কিছুটা ভিন্ন ছিল।’
১৯৮৪ সালে তরুণ বয়সে সাধারণ কর্মী হিসেবে পিএপিতে যোগ দেন তিনি। সে সময় তার বাবা লি কিউয়ান ইয়িউ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তবে বাবা প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকলেও সে সময় দল থেকে তেমন কোনো আনুকূল্য পাননি তিনি। আর দশজন সাধারণ কর্মীর মতোই ছিলেন।
লি সেইনের উত্থান ঘটা শুরু হয় দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী গোহ চোক তং’য়ের সময়। গোহ চোক তং’য়ের একজন বিশ্বস্ত অনুসারী হিসেবে নিজেকে দলের ভেতর প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন তিনি এবং তার ধারবাহিকতাতেই ২০০৪ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন।
প্রথম দিকে অবশ্য লি সেইনকে ব্যাপক সমালোচনা সহ্য করতে হয়েছে। এসব সমালোচনার প্রায় সবই ছিল স্বজনপ্রীতিমূলক (নেপোটিজম)। বলা হতো, সিঙ্গাপুর লি পরিবারের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে আর সেই পরিবারের সংরক্ষক হলেন গোহ চোক তং।
তবে পরবর্তী ২০ বছরে বহুবার নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করেছেন তিনি। তার নেতৃত্ব সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি বহুমুখী এবং বিকশিত হয়েছে, একটি সাধারণ দ্বীপরাষ্ট্র থেকে দেশটি পরিণত হয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক শক্তিকেন্দ্র এবং ট্যুরিস্টদের অন্যতম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে; মাথাপিছু জিডিপি বৃদ্ধি পেয়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া তার শাসনামলের ২০ বছরে কখনও মূল্যস্ফীতি বা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়নি শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিতে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও নয়।
ভূরাজনীতিতেও সাফল্য দেখিয়েছেন লি সেইন। পরস্পরের প্রতি বৈরীভাবাপন্ন দুই শক্তিমান দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের সঙ্গে সবসময় ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে গেছেন। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও নিজ দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছেন তিনি।
তবে অন্য সব রাজনীতিবিদের মতো লি সেইনও সমালোচনার ঊর্ধে নন। বিভিন্ন আইনী প্রণয়নের মাধ্যমে জনগণের বাক স্বাধীনতা সীমিত রাখার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দেশের শ্রমিক সংকট লাঘবের জন্য বিপুল সংখ্যক অভিবাসীকে বসবাসের অনুমতি দিয়েছেন তিনি। এ কারণেও তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল। মূলত তার শাসনামলেই ২০১১ এবং ২০২০ সালের ভোটে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছিল পিএপি।
সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও সুশাসন বিশেষজ্ঞ ডোনাল্ড ল’ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কিছু সমস্যা থাকলেও লি সেইনই আসলে সিঙ্গাপুরের জনগণের প্রকৃত নেতা। তার সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব হলো এই দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা।’
ক্ষমতা সিঙ্গাপুর প্রধানমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’ই দিল্লিতে ক্ষমতায় আসবে। এমন দাবি করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। আর সেক্ষেত্রে বাইরে থেকে সেই সরকারকে সমর্থন জোগাবে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার (১৫ মে) হুগলির চুঁচুড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর সমর্থনে এক নির্বাচনী প্রচারণা সভায় এই ঘোষণা দেন মমতা।
ইরানের অস্ত্র চোরাচালান আটকে দেওয়ার দাবি করছে জর্ডান। দেশটির দাবি, এসব অস্ত্র জর্ডানের ক্ষমতাসীন রাজতন্ত্রের বিরোধীদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে সহায়তার জন্য আনার চেষ্টা করছিল ইরান। বুধবার (১৫ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি অবগত এমন দুটি সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অস্ত্র পাচারে সন্দেহভাজন ইরানি নেতৃত্বাধীন চক্রান্তকে জর্ডান ব্যর্থ করে দিয়েছে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সেইন লুং। টানা ২০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর তার এই সিদ্ধান্তের মধ্যে দিয়ে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রে আক্ষরিক অর্থে শেষ হতে চলেছে 'লি সেইন যুগ'। বুধবার রাতে সব ঠিক থাকলে, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী লরেন্স ওয়ংয়ের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারপ্রধানের পদ থেকে বিদায় নেবেন তিনি।