নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৭ পিএম, ২৮ অগাস্ট, ২০১৮
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্য গঠনের লক্ষ্যে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় একত্রিত হয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সবার উপস্থিতিতে রাত ৮টার দিকে বৈঠক শুরু হয়।
মঙ্গলবার( ২৮ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে ড. কামালের রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় যান বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। পরে সবার উপস্থিতিতে বৈঠক শুরু হয়।
ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন,সুষ্ঠ নির্বাচনের দাবিতে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে নামবে নতুন এই জোট।
এর আগে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বাসায় বৈঠক করে যুক্তফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী নির্বাচনে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন।
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সরকারবিরোধী বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার রূপরেখা প্রায় চূড়ান্ত। যুক্তফ্রন্টের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, এই রূপরেখা নিয়ে আলোচনার জন্যই ড. কামালের বাসায় সমবেত হয়েছিলেন রাজনীতিবিদরা।
এই বৃহত্তর ঐক্যে যোগ দিতে বিএনপিও যথেষ্ট আগ্রহী। ঐক্যে যোগদানের জন্য দলটির পক্ষ থেকে ১১টি ইস্যু নিয়ে বৃহত্তর ঐক্যের রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছেন, বৃহত্তরে ঐক্যে বিএনপির অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত নয়। কারণ বিএনপি তাদের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীকে ছাড়া জোটে আগ্রহী নয়। আর নেতারা চাইছেন জামাতকে বাদ দিয়ে ঐক্য করতে। আজকের বৈঠকে বিএনপির সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্যে আসা হবে কী হবে না বা আসলেও ঐক্যের নীতি কী হবে সেসব বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এখনি নেতারা এ বিষয়ে মুখ খুলেননি।
এছাড়া ড. কামাল হোসেন বর্তমানে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে থাকলেও তাঁর দল গণফোরাম আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কোনো জোটে নেই। কামাল হোসেনও কী যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে কাজ করবেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
মার্কিন দূতাবাসের উদ্যোগে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট বি. চৌধুরীর মধ্যে গত ১৯ আগস্ট রাতে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে ওই বৈঠকে এক মঞ্চ থেকে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত এক রকম চূড়ান্ত করে ফেলেন এই দুই নেতা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
সরকারবিরোধী আগামীর আন্দোলন শুরুর আগে কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন পরিচালনায় শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি চায় বিএনপির মিত্ররা। তারা মনে করে, লিয়াজোঁ কমিটি না থাকায় বিগত আন্দোলন পরিচালনায় এক ধরনের সমন্বয়হীনতা ছিল।
কারণ, যুগপতের সব দল ও জোটের সঙ্গে বিএনপির পৃথক বৈঠক শেষে তাদের স্থায়ী কমিটিতে কর্মসূচি চূড়ান্ত হওয়াকে যথাযথ প্রক্রিয়া এবং আন্দোলনের সঠিক প্ল্যাটফর্ম বলে মনে করে না শরিকরা, বিশেষ করে গণতন্ত্র মঞ্চ। তাই এবার এ প্রশ্নে একটা সিরিয়াস মীমাংসা চান মঞ্চের নেতারা।
বিএনপির সঙ্গে বুধবার (১৫ মে) রাতে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়ে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেন, প্রতিটি জোট ও দল থেকে একজন করে নিয়ে ১০-১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করতে হবে। সেই লিয়াজোঁ কমিটিতে আলোচনার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণীত হবে। তার আগে নিজ নিজ দল ও জোটের সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতারা বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
নব্বইয়ে এরশাদবিরোধী আন্দোলনসহ অতীতের আন্দোলনগুলোতে লিয়াজোঁ কমিটি এভাবে কাজ করেছে। কিন্তু বিগত আন্দোলনে এ প্রক্রিয়ায় কর্মসূচি প্রণীত হয়নি। পাঁচ-দশ মিনিট আগে মিত্রদের কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হতো এবং কর্মসূচির সঙ্গে সহমত না হলেও সেটাই তারা ঘোষণা করতেন। বৈঠক সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
যুগপৎ আন্দোলন পুনরুজ্জীবিত করে সরকারের পদত্যাগ ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঈদুল আজহার পর মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। সেই আন্দোলনের কর্মকৌশল নির্ধারণে পরামর্শ নিতে গত রোববার থেকে মিত্রদের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করছে দলটি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর এ ধরনের বৈঠক এবারই প্রথম। এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং মিয়া মসিউজ্জামান ও ফারুক হাসানের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও এর আগে গত সোমবার বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে আন্দোলনের কর্মসূচি প্রণয়নে সমন্বয়হীনতা দূরীকরণে যুগপতের সব দল ও জোট থেকে দু-একজন করে নিয়ে শক্তিশালী লিয়াজোঁ কমিটি গঠনের ওপর জোর দেন সমমনা জোটের নেতারা।
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।