নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৯ অগাস্ট, ২০১৮
বৈঠক শুরু হয় রাত ৮ টায়। অবশ্য বৈঠক উপলক্ষে নেতারা উপস্থিত হওয়া শুরু করেন সাড়ে ৭টা থেকেই। আর বৈঠক শেষ হয়েছে পৌনে ১০ টায়। রাতের এই সময়টা ডিনারের হলেও বৈঠকের সময় অতিথিরা আপ্যায়িত হন রং চা আর টোস্ট বিস্কুটে। বৈঠক শেষে অনেকে সরাসরি যোগ দেন বিভিন্ন টিভির টকশোতে। গভীর রাত পর্যন্ত অভুক্ত অবস্থায়ই কাটে তাঁদের।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় অনুষ্ঠিত হলো ঐক্য প্রক্রিয়ার এক বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হোস্ট ড. কামাল হোসেন, যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রাত ৮ টা থেকে যেহেতু বৈঠক স্বভাবই সেখানে আসা নেতাদের রওয়ানা দিতে হয়েছে সন্ধ্যায়। তাই রাতের খাবার খেয়ে আসেননি কেউ। আর রাতে যেহেতু বৈঠক ড. কামালের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত নন এমন তরুণ নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন রাতের খাবার অনুষ্ঠান স্থলেই হবে। অবশ্য তাঁদের এমন ধারণার কারণও ছিল যথেষ্ট। এর আগে বি. চৌধুরীর বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে যেসব বৈঠক হয়েছে, সবখানেই রাতের খাবারের আয়োজন ছিল। অবশ্য ড. কামালের পূর্ব পরিচিত সিনিয়র নেতারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে ছিলেন। তরুণরা তো আর ড.কামালকে চেনে না তাঁরা ভুল করতেই পারেন।
ড. কামালের বেইলি রোডের বাড়িতে রাত পৌনে ১০ টা পর্যন্ত বৈঠক হয়। বৈঠকে দেশজাতি অনেক উদ্ধার হয়। নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সামনের নির্বাচনে নিজেদের সম্ভাব্য সফলতার পরিকল্পনা হয়। দেশজতি উদ্ধারের এমন আলোচনায় অনুসঙ্গ হিসেবে নেতারা আপ্যায়িত হন রং চা আর টোস্ট বিস্কুটে। বৈঠক শেষে বিবৃতির পর নেতারা একে একে বেরিয়ে আসেন। তরুণ নেতারা বেরিয়েছে আশাহত হয়েই।
বৈঠক শেষে সবাই কিন্তু বাড়িতে ছোটেননি। ড. কামালের আলোচিত বৈঠক শেষে অনেক নেতাই টিভির টক শো গুলোতে আমন্ত্রিত ছিলেন। সময়ের মধ্যে পৌঁছাতে বৈঠক শেষে ওই নেতারা সরাসরি চলে যান টিভিতে। টিভিতে যখন টক শো চলছিল ড. কামালের বাড়ির আপ্যায়ন থেকে ফিরে আসা অনেক নেতার পেটে তখন ছুঁচো দৌড়াচ্ছিল।
ড. কামালের বাড়ির বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নেতা বলেছেন, রাতে বৈঠক হিসেবে ডিনার সেখানেই হবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু ডিনার তো হলো না। পেটে ক্ষুধা নিয়েই সেখান থেকে বেরুতে হলো। প্রথমেই আশাহত হলাম।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নাশকতা মামলা বিএনপি ইশরাক হোসেন
মন্তব্য করুন
‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?
রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
‘ব্যাংক মাফিয়া মাস্তান ঋণখেলাপি
মন্তব্য করুন
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের ও পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা এ যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।
তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।
জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একে অন্যের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। নির্বাচন পরবর্তী কোন্দল বন্ধে বিভিন্ন রকম উদ্যোগও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই একাধিক বার দলীয় কোন্দল বন্ধের জন্য তাগাদা দিয়েছেন। কিন্তু কোন কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। বরং আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সাংগঠনিক অবস্থা রীতিমতো ভেঙে পড়েছে। এই কোন্দল এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন বা অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই। দলের এই কোন্দল এতদিন তৃণমূল পর্যায় থাকলেও সেটি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেও শুরু হয়েছে।