নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৫ পিএম, ২৯ অগাস্ট, ২০১৮
দরজায় কড়া নাড়ছে একাদশ জাতীয় নির্বাচন। কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতা জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন। ঐক্য প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্যে গতকাল মঙ্গলবার গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠকে মিলিত হন বিকল্পধারার সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী বলে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
বৈঠকে জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, এই বৈঠকে যারা উপস্থিত আছেন তাঁদের কারোই ভোট নেই। তাই নির্বাচনে ইতিবাচক ফলাফল আনতে হলে যুক্তফ্রন্টকে একটি ‘বিগ ফিশ’ ধরতে হবে। অর্থাৎ একটি বড় দলকে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ভেড়াতে হবে। আব্দুর রব বলেন, আওয়ামী লীগকে এক্ষেত্রে বিবেচনা করা যাবে না। তাহলে বাকি থাকলো বিএনপি। বিএনপির সঙ্গে না গেলে নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা শূন্য। তাই বিএনপিকে যুক্তফ্রন্টে নিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন আব্দুর রব। আবার জামাত-হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করলে যুক্তফ্রন্টের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন আব্দুর রব।
এসময় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, অবশ্যই তাঁরা বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবেন। ২০ দলীয় জোট ঐক্যে আসলো কী আসলো না তাতে কিছু আসে যায় না। বিএনপি এককভাবে আসলেও তাদের সঙ্গে ঐক্য করা হবে বলে জানান তিনি।
এই পর্যায়ে জামাতকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্য করা হবে নাকি জামাতকে বাদ দিয়ে ঐক্য করা হবে এ বিষয়ে বৈঠকে উপস্থিত নেতাদের মধ্যে বিতর্ক হয়।
ড. কামাল হোসেন তখন বিএনপির সঙ্গে কথা বলার প্রস্তাব দেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, আগে বিএনপির মনোভাব কী জানা প্রয়োজন। বিএনপি কী করতে চায় তা আগে জানতে হবে। বিএনপির মনোভাব জানার পর দলটির সঙ্গে ঐক্যের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান ড. কামাল।
এরপর সিদ্ধান্ত হয়, বি. চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মান্না ও ড. জাফরুল্লাহ বিএনপির সঙ্গে কথা বলবেন। শিগগিরই তাঁরা বিএনপির সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়ার বিষয়ে আলোচনায় বসবেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।