নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০১ পিএম, ৩১ অগাস্ট, ২০১৮
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০০টি আসনে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহণের চিন্তা-ভাবনা করছে নির্বাচন কমিশন। এর পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থানও নিচ্ছেন অনেকে। এ অবস্থায় অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কী এই ইভিএম? এর সুবিধা বা অসুবিধাই বা কী? এ বিষয়গুলোই এখানে তুলে ধরা হলোঃ
ইভিএম কী?
ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম হলো ভোটদানের একটি সহজ ব্যবস্থা। এতে কাগজে সীল মেরে ভোট দেওয়ার পরিবর্তে একটি যন্ত্র বা মেশিন ব্যবহার করা হয়। মেশিনটিতে একটি পূর্ব-প্রোগ্রামিং করা মাইক্রোচিপ থাকে যা প্রতিটি ভোটের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে হিসেব করে প্রদর্শন করে।
যেসব দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হয়
যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হয় ১৯৬০ সালে। এরপর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইউরোপের বেলজিয়াম, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, রোমানিয়া, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাজ্যে ইভিএম ব্যবহার করা হয়।
কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, ফিলিপাইন, জাপান, ভেনেজুয়েলা, ব্রাজিল, পেরু, কাজাখস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ইভিএম এর ব্যবহার রয়েছে। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতেও ভোট গ্রহণে ইভিএম ব্যবহার হয়। এছাড়া আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, স্পেন, সুইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশকিছু দেশে এই ব্যবস্থা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
প্রযুক্তিগত কিছু সমস্যা এবং রাজনৈতিক কারনে কয়েকটি দেশে ইভিএম ব্যর্থ হলেও উন্নত দেশগুলোতে এটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
ইভিএম এর সুবিধা-অসুবিধা
ইভিএম ব্যবহারের মাধ্যমে কয়েক কোটি ব্যালটের খরচসহ বিভিন্ন খাতের অপব্যয় দূর করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একটি জাতীয় নির্বাচনে প্রায় এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা খরচ হয়। কিন্তু ইভিএম পদ্ধতিতে একটি জাতীয় নির্বাচনে খরচ হবে মাত্র নয়শ’ কোটি টাকা।
একটি ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন দিয়ে কয়েকটি জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করা সম্ভব। শুধুমাত্র নতুন প্রোগ্রাম সেট করে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশনসহ যেকোন নির্বাচনে একই মেশিন ব্যবহার করা যায়।
ইভিএমে কোনো ভোটারের ভোট বাতিল হয় না। ভোটের তথ্য মেশিনে প্রায় ১০ বছর ধরে অবিকৃত অবস্থায় থাকে। একজন ভোটার ভোট দেওয়ার পর ১০ থেকে ১২ সেকেন্ড ব্যালট ইউনিট স্বয়ংক্রিয়ভাবে অকার্যকর থাকে। ফলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার চাইলেও একজন ভোটারকে একাধিক ভোট দানের সুযোগ করে দিতে পারবেন না।
কেন্দ্র দখলের ঘটনা ঘটলে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার কন্ট্রোল ইউনিটের সুইচ বন্ধ করে দিলেই দখলকারীরা কোনো ভোট দিতে পারবে না। আবার এতে প্রতি মিনিটে ৫টার বেশি ভোট দেওয়া যায় না। ফলে কারচুপি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
খুব কম সময়ে ভোটের ফলাফল জানা যায়। এটিও এভিএমের জনপ্রিয়তার একটি কারণ।
অন্য সব আধুনিক যন্ত্রপাতির মতো ইভিএমেরও রয়েছে কিছু খারাপ দিক।
আমাদের দেশে যে মেশিনটা ব্যবহার করা হয় তা আধুনিক, তবে অত্যাধুনিক নয়। প্রতিটি কেন্দ্রে দক্ষ কর্মী না থাকলে প্রযুক্তিগত বিভ্রাটের কারণে ভোট গ্রহণ ব্যাহত হতে পারে।
ইভিএমের পক্ষে- বিপক্ষে
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তোড়জোড় দুরভিসন্ধিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এটি সুস্পষ্ট যে ইভিএম সহজে হ্যাক করা যায়, চাইলে একমুহূর্তের মধ্যে ইভিএমের সবগুলো ফলাফল পরিবর্তন করা সম্ভব। ভোটারের সংখ্যা বাড়ানো-কমানো থেকে শুরু করে যে কোনো প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটকেও পাল্টে দেয়া যায়।
তবে আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, ইভিএমকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন তাঁরা। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সকল ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। নির্বাচন প্রক্রিয়াতেও পুরনো ধ্যান ধারণা ছেড়ে আধুনিক প্রযুক্তিকে গ্রহণ করা উচিৎ বলেই মনে করছেন তাঁরা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
পরিবেশ রক্ষায় টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত হাইকিং পদযাত্রা শুরু করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছামিউজ্জোহা শাকিব। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮মে) সকালে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ থেকে অভিযান শুরু করে শাকিব। শাকিব জানান, পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘতম রুট টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হাইকিং পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার হাইকিং করবেন। তার এবারের স্লোগান " হাইকিং ফর সেভিং বাংলাদেশ। যার শিরোনাম নির্ধারণ করা হয়েছে "Come Forward to
Protecting Nature".
শাকিবের এবারের লক্ষ্য দেশের জলবায়ু পরিবর্তনে বৃক্ষ নিধনের নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সকল মানুষের মধ্যে তুলে ধরা। হাইকিং সময়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গ্রামে গ্রামে গিয়ে তরুণ শিক্ষার্থী যুবসমাজের মাঝে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ তুলে ধরা। সেই সাথে গাছ লাগানোর উপকারিতা ও গাছ কাটার কুফল সম্পর্কে অবগত করবেন তিনি।
হাইকিং শুরুর পূর্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন শকিব। এসময় তিনি হাইকিং চলাকালীন সময়ে নিরাপত্তা সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করেন।
শাকিবের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বলেন, পরিবেশ রক্ষায় গাছ লাগানো ও মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির এই কাজ খুবই প্রশংসনীয়। প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এধরনের কাজে এগিয়ে আসা উচিত।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২২ সালে পরিবেশ রক্ষায় হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশের আয়োজনে মুজিবনগরের ভারত সংলগ্ন সীমান্ত থেকে ১১ দিনের একটি অভিযান করেন। মুজিবনগর থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ছিলো অভিযানটি।
পরিবেশ রক্ষা হাইকিং পদযাত্রা জবি শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে আন্তঃজেলা গরু চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং-এ শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন, কসবা কাঠগড়ের ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেন (৩৪), টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরের মো: মহির উদ্দিন (৫০), মোঃ আজিজুল ইসলাম (২৩), মোঃ সাহিজুল ইসলাম (৩০), মোঃ মিনহাজ (৩৫) ।
এবিষয়ে পুলিশ সুপার মোঃ আকরামুল হোসেন জানান, ১২মে রাত আড়াইটার দিকে ঝিনাইগাতীর জড়াকুরার মোঃ শাহজাহান মিয়ার গোয়াল ঘর থেকে পাঁচটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরু গুলোর আনুমানিক দাম ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা। পরে শাহজাহান গত ১৪ মে এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর থেকে পুলিশ এ বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং সোর্সের মাধ্যমে চোর সনাক্তের চেষ্টা করে পুলিশ।
এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামি ট্রাক ড্রাইভার মোঃ আঃ জলিল ওরফে ফকির হোসেনকে শুক্রবার (১৭ মে) শেরপুর শহরের কসবা কাঠগড় থেকে গ্রেপ্তার করে। আসামী আঃ জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনার বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত চোরদের নাম প্রকাশ করে।
তার দেয়া তথ্যমতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে অভিযান পরিচালনা করে বাকি পাচঁ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে দুইটি গাভী ও একটি বাঁছুর গরু উদ্ধার করে। ঘটনার সাথে জড়িত আরও আসামি পলাতক আছে। তাদেরকে গ্রেপ্তাতারে জেলা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন।
রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান।
হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।
তবে অভিযান কিন্তু এখনো শেষ নয়, বাবরের আসল লক্ষ্য শুধু এভারেস্ট নয়, সঙ্গে লাগোয়া পৃথিবীর চতুর্থ শীর্ষ পর্বত লোৎসেও। রোববার ক্যাম্প-৪ এ নেমে মাঝরাতে আবারো শুরু করবেন দ্বিতীয় লক্ষ্যের পথে যাত্রা। সব অনুকূলে থাকলে ভোরে পৌঁছে যাবেন এর চূড়ায়।
প্রসঙ্গত, এ লোৎসেতে ইতোপূর্বে কোনো বাংলাদেশি সামিট করেননি এবং কোনো বাংলাদেশি একই অভিযানে দুইটি আট হাজারী শৃঙ্গ চড়েননি। তাই লক্ষ্য পূরণে হলে বাবার আলী করবেন এ বিপজ্জনক খেলায় বাংলাদেশের ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল নেপালের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন বাবর আলী। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানা সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে রওনা তিনি। সপ্তাহ খানেকের ট্রেকিং শেষ পৌঁছান এভারেস্টের বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হয় এখান থেকেই। পর্বতের চূড়ায় উঠতে সময় লাগে দুই মাসের মতো।
যাত্রা শুরু আগে বাবর আলী জানান, বিশ্বের উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্টে জয় করা অনেকের স্বপ্ন। প্রতিবছর হাজারো পর্বতারোহী এভারেস্টের পথে হাঁটেন। কিন্তু এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার পর একই সঙ্গে আরেক পর্বতশৃঙ্গ লোৎসে ওঠার চেষ্টা বাংলাদেশ থেকে আগে হয়নি। আমি সেই চ্যালেঞ্জটাই নিলাম। অর্থাৎ একই অভিযানে মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম পর্বত মাউন্ট লোৎসের চূড়ায় উঠব।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন ৩৩ বছর বয়সী বাবর আলী। এরপর শুরু করেছিলেন চিকিৎসা পেশা। তবে থিতু হননি। চাকরি ছেড়ে দেশ-বিদেশ ঘোরার কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। সাইকেলিংয়ের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত সারগো রি (৪ হাজার ৯৮৪ মিটার), সুরিয়া পিক (৫ হাজার ১৪৫ মি.), মাউন্ট ইয়ানাম (৬ হাজার ১১৬ মি.), মাউন্ট ফাবরাং (৬ হাজার ১৭২ মি.), মাউন্ট চাউ চাউ কাং নিলডা (৬ হাজার ৩০৩ মি.), মাউন্ট শিবা (৬ হাজার ১৪২ মি.), মাউন্ট রামজাক (৬ হাজার ৩১৮ মি.), মাউন্ট আমা দাবলাম (৬ হাজার ৮১২ মি.) ও চুলু ইস্ট (৬ হাজার ০৫৯ মি.) পর্বতের চূড়ায় উঠেছেন এই তরুণ।
বাংলাদেশ এভারেস্ট জয়ী বাবর আলী মাউন্ট এভারেস্ট
মন্তব্য করুন
সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে স্কুল ছুটি দিয়ে কর্মচারীর বাড়িতে দাওয়াত খেতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাবনার চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেএম আব্দুর রবের বিরুদ্ধে।
শনিবার
(১৮
মে)
দুপুরে
এ
ঘটনা
ঘটে।
ওই
স্কুলে
কর্মরত
(নৈশ
প্রহরী)
উপজেলার গুনাইগাছা গ্রামের বাসিন্দা আতাউর
রহমানের বাড়িতে
স্কুলের শিক্ষক
থেকে
শুরু
করে
সকল
কর্মচারীদের নিয়ে
তিনি
দাওয়াত
খেতে
যান
প্রধান
শিক্ষক।
এভাবে
স্কুল
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ার
ঘটনায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েন
শিক্ষার্থী, অভিভাবক থেকে
শুরু
করে
এলাকার
সচেতন
মানুষ।
দুপুর
২টার
দিকে
সরেজমিন গিয়ে
দেখা
যায়,
স্কুলের প্রধান
গেট
বন্ধ।
ভেতরে
নতুন
ভবন
নির্মাণ কাজের
জন্য
কয়েকজন
নির্মাণ শ্রমিক
অবস্থান করছেন।
যে
সময়
শিক্ষার্থীদের ক্লাস
হওয়ার
কথা
সেই
সময়
স্কুলে
নেই
কোনো
শিক্ষার্থী। প্রধান
শিক্ষকের কক্ষ
থেকে
শুরু
করে
প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ছিল
তালাবদ্ধ। চলতি
পথে
বেশ
কয়েকজন
শিক্ষার্থীদের সাথে
কথা
বলে জানা যায়, সকালের
কয়েকটা
ক্লাস
হওয়ার
পরেই
দুপুর
১টার
আগে
স্কুল
ছুটি
ঘোষণা
করা
হয়।
জানা
গেছে,
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের নৈশ
প্রহরী
আতাউর
রহমান
এবার
স্ব-স্ত্রীক হজে যাবেন। এ
জন্য
শনিবার
নিজ
বাড়িতে
অনুষ্ঠানের আয়োজন
করেন
তিনি।
ওই
অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
সকালে
কয়েকটা
ক্লাস
নেওয়ার
পরেই
তড়িঘড়ি
করে
দাওয়াতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার
জন্য
প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রবের
নির্দেশে স্কুল
ছুটি
দেওয়া
হয়।
সেই
অনুষ্ঠানে প্রধান
শিক্ষক
নিজেই
সকল
শিক্ষক
ও
কর্মচারীদের নিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যান।
ক্লাস
বাদ
দিয়ে
প্রধান
শিক্ষকের এমন
স্বেচ্ছাচারিতা এবং
ছুটি
দেওয়ায়
ক্ষুব্ধ হয়ে
পড়েছেন
অভিভাবকরা।
কয়েকজন
অভিভাবক অভিযোগ
করে
বলেন,
এমনিতেই নানা
কারণে
বছরের
বেশিরভাগ সময়
স্কুল
ছুটি
থাকে।
বাচ্চাদের পড়াশোনা ঠিক
মতো
হয়
না।
তারপর
এভাবে
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
যাওয়ায়
বেশ
কয়েকটা
ক্লাস
করতে
পারলো
না
শিক্ষার্থীরা। আর
হুট
করে
ছুটি
দেওয়ায়
অনেক
অভিভাবকই তাদের
সন্তানদের নিতে
আসতে
পারেননি। এতে
বিপাকে
পড়ে
বেশ
কিছু
শিক্ষার্থী। এটা
কোনো
প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাজ
হতে
পারে
না
বলে
মন্তব্য করেন
তারা।
জানতে
চাইলে
চাটমোহর পাইলট
বালিকা
উচ্চ
বিদ্যালয়ের প্রধান
শিক্ষক
কে
এম
আব্দুর
রব
বলেন,
'আমার
এক
স্টাফ
হজে
যাবে,
সে
জন্য
দাওয়াত
খেতে
এসেছি।
আসলে
প্রতিষ্ঠানের কোনো
স্টাফের দাওয়াত
খেতে
এভাবেই
যাওয়া
হয়।
বরাবরই
তাই
হয়ে
আসছে।'
স্কুল
বন্ধ
করে
এভাবে
যাওয়ার
ব্যাপারে জানতে
চাইলে
তিনি
বলেন,
'আসলে
মেয়েরা
তো
দুষ্টু। স্কুল
চালু
রাখা
ঠিক
হবে
না।
তাই
ছুটি
দিয়ে
দাওয়াত
খেতে
আসা
হয়েছে।'
এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মগরেব আলী বলেন, 'স্কুল ছুটি দিয়ে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
চাটমোহর উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা রেদুয়ানুল হালীম
বলেন,
'বিষয়টি
আমি
জানি
না।
এখানে
আমার
কিছু
বলার
নেই।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে
আপনি
কথা
বলেন।'
স্কুল বন্ধ দাওয়াত প্রধান শিক্ষক
মন্তব্য করুন
বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রী (১৩) কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১৭ মে) রাতে পাবনার সুজানগর উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পাবনা জেনারেল হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। সে রাইপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগীর নানী থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত আছে, তাদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।'
মন্তব্য করুন
বিশ্বের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেছেন বাবর আলী। তিনি পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন। রোববার (১৯ মে) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় এভারেস্টের চূড়ায় ওঠেন তিনি। বেসক্যাম্প টিমের বরাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অভিযানের প্রধান সমন্বয়ক ফরহান জামান। হিমালয়ের শীতিধার চূড়া জয়ের জন্য বাবর আলী রওনা দিয়েছিলেন ১ এপ্রিল। চূড়াটি পর্বতের ১৫ হাজার ৫০০ ফুট ওপরে। সকাল সাড়ে ৮টায় সেখানে তিনি বাংলাদেশের পতাকা ওড়ান।