নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৩১ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জামাতের সাথে বিএনপির সম্পর্ক বেশ পুরনো। বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জামাত বিএনপির সাথে যুক্ত আছে। মূলত শুরু থেকেই বিএনপি নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করার জন্যই জামাতকে ইন্ধন দিয়ে আসছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশের বিরোধিতা করায় স্বাধীন দেশে জামাতকে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৭ সালে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে জামাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলে জামাত আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়। ১৯৭৯ সালের দিকে তৎকালীন জামায়াতে ইসলামীর অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা আব্বাস আলী খানের নেতৃত্বে গঠন করা হয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দল।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি-জামাত জোটের বয়স প্রায় ৩৮ বছর। বিএনপি-জামাত সরকার জোটবদ্ধ হয়ে একসাথে দু’বার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ক্ষমতা হাতে নিয়েছে একবার। তবে বহু পুরনো এ সম্পর্কে এবার চিড় ধরেছে বলে মনে করছেন অনেকেই। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জামাতের আন্দোলন করার কথা থাকলেও, রাজপথে সেই ভাবে সক্রিয় দেখা যায় নি জামাতকে। খালেদা জিয়ার সাজা বিএনপির দলীয় ইস্যু দাবি করে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের দূরে রেখেছে জামাত। প্রকাশ্যে একসাথে কোথাও সমাবেশ বা মিছিল করতে দেখা যায় নি তাদের।
নির্বাচনকে সামনে রেখে গোপনে দল গোছাচ্ছে সব রাজনৈতিক দল। নির্বাচনের আগে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করতে বেশ আগে থেকেই বিএনপির ওপর আসছে নানা দেশি-বিদেশি চাপ। সাম্প্রতিক সময়ে জামাত-বিএনপি সম্পর্ক নিয়ে দলের মধ্যেই রয়েছে তর্ক-বিতর্ক। দলের সিনিয়র নেতাদের অনেকেই দাবি করছেন, বিএনপি-জামাত সম্পর্ক এখন ভাঙ্গনের পর্যায়ে। যদিও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌছাতে পারেনি বিএনপি। সেই ভিত্তিতেই এখন পর্যন্ত ১৯ দলের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে জামাত।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামাতকে সাথে নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে বিএনপির জনসমর্থন পাওয়া অনেকটাই কষ্টকর হবে। এ নিয়ে বিএনপিতে অনেক মতভেদ রয়েছে। জামাতের সাথে নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপির এক পক্ষ দাবি করছে জামাতকে বিএনপির সাথে রেখেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার। অপর পক্ষের দাবি, জামাতকে নিয়ে নির্বাচন করলে জনগণের সমর্থন পাওয়া যাবে না। জামাতকে নিয়ে বিএনপি আছে এখন উভয়দ্বন্দ্বে। এদিকে জোট ভাঙ্গার গুঞ্জনকে যেন আমলেই নিচ্ছে না জামাতের নেতারা। বিএনপির সাথে জোট ভাঙ্গার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে জামাতের সিনিয়র এক নেতা বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে জামাতের জোট ভাঙ্গার কোন সম্ভাবনাই নেই।
এবারের তিন সিটি নির্বাচনে মেয়র পদ নিয়ে দল দু’টির মধ্যে সম্পর্কের টানা পোড়েন দেখা গেছে। সিলেট সিটি নির্বাচনে জামাতের মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের প্রার্থীতা নিয়ে দুই দলের মধ্যে সম্পর্কে মনোমালিন্য দেখা যায়। তিন সিটি নির্বাচনে জামাত অন্তত একটি আসনে জয়লাভ করতে চেয়েছিল। সে লক্ষ্যেই সিলেট নির্বাচনে জয় লাভ করার জন্যে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীকে প্রার্থীতা সরিয়ে দেওয়ার জন্যও বিএনপিকে নানা ভাবে চাপ দিয়েছে জামাত। সিলেট সিটি নির্বাচনে আরিফুল হক চৌধুরির যথেষ্ট জনপ্রিয়তা থাকায় বিএনপি জামাতের এই ধরনের আবদার আমলে নেয় নি।
নব্বই এর পরবর্তী সময়ে জামাত অন্য দলগুলোর সাথে মিলিত হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করলেও, ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার যুক্ত হয় বিএনপির সাথে। বিএনপি-জামাত জোট সরকার ক্ষমতাসীন হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার পর। পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় সারা দেশে সন্ত্রাস, দুর্নীতিসহ নানা ধরনের নৈরাজ্য জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বিএনপি-জামাত জোট সরকার।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরও সেই জোট ভাঙ্গে নি। সে সময় বার বার দেশে হরতাল, অবরোধ অগ্নিকান্ডসহ নানা ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে সক্রিয় ছিল জামাত-বিএনপি জোট। ২০১৩ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হলে জামাত-বিএনপি সহিংস হয়ে ওঠে। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াত নেতা কাদের মোল্লা ও দেলওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলে জামাত সারা দেশে জ্বালাও-পোড়াও কর্মসূচীতে নামে। সর্বশেষ ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জামাতকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
বিএনপি-জামাত জোট যতবারই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, ততবারই দেশে সৃষ্টি হয়েছে ত্রাসের রাজনীতি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করার পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি বিএনপি। তবে সহিংসতা থেমে থাকেনি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনের বিরোধিতা করে সারাদেশে বিএনপি-জামাত জোটের সন্ত্রাসের রাজত্ব আবার শুরু হয়। সর্বশেষ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ভেতর ঢুকে জামাত-বিএনপি সারাদেশে ত্রাস সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, যদিও তাদের এই পরিকল্পনা শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার
মন্তব্য করুন
রাজধানী ঢাকায় যেন ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বুধবার (১৫ মে) বনানীতে বিআরটিএর সদর কার্যালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ব্যাটারিচালিত কোনো গাড়ি (তিন চাকার) যেন ঢাকা সিটিতে না চলে। আমরা ২২টি মহাসড়কে নিষিদ্ধ করেছি। শুধু নিষেধাজ্ঞা নয়, চলতে যেন না পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ঢাকার মধ্যে অটোরিকশা বন্ধে সম্মতি জানান।
সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভয়াবহ ব্যাপার যখন রিকশাচালকরা দুই পা ওপরে উঠিয়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায়। অনেক প্রতিবন্ধী আছেন যারা চোখে কিছুটা কম দেখেন তারাও এই রিকশা নিয়ে নেমে পড়েন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিদ্ধান্তে আসা দরকার যে ঢাকায় ইজি বা অটোরিকশা চলবে না। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
সভায় বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ওবায়দুল কাদের অটোরিকশা
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। দু’দিনের সফরে প্রথম দিনে তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিটার ডি হাসের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল একটি বড় ধরনের চমক। অতীতে দেখা গেছে, যে কোন মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করলেই একগুচ্ছ সুশীলের সঙ্গে বৈঠক করতেন। সেই সুশীলরা সকলেই পরিচিত ছিল। এর আগেও ডোনাল্ড লু, আফরিন আখতার বাংলাদেশ সফর করে যে সমস্ত সুশীলদের সাথে দেখা করেছিলেন এবার তাদেরকে এড়িয়ে গেছেন।
গত দুই বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে সমস্ত কর্মকর্তারা এসেছিলেন তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজের যে সমস্ত প্রতিনিধিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বদিউল আলম মজুমদার, ড. স্বাধীন মালিক, ড. আসিফ নজরুল, পরিবেশ আন্দোলনের নেত্রী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মানবাধিকার কর্মী আদিলুর রহমান খান, তৃতীয় মাত্রার বিতর্কিত উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, মতিউর রহমান, নুরুল কবিরের মত ব্যক্তিদেরকে। যারা সকলেই আওয়ামী বিরোধী এবং বিএনপি পন্থী হিসেবে পরিচিত। এদের কেউ কেউ স্বাধীনতাবিরোধীও বটে। এই সমস্ত বিরোধী পক্ষের সুশীলদেরকে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক করত এবং এই ধরনের বৈঠকগুলোর পরে সরকারের বিরুদ্ধে নানা রকম বিষোদগার করা হত।
তবে এবার ডোনাল্ড লুর বৈঠকে এই সুশীলদের কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ নীতিতে বড় পরিবর্তন বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। গতকালের বৈঠকে যে সমস্ত সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওম্যান সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার, মানবাধিকার কর্মী মহম্মদ নুর খান, চাকমা সার্কেলের রানী ও মানবাধিকার কর্মী ইয়ানিয়ান, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সংগঠক সোয়ানুর রহমান, তরুণ সংগঠক মাহমুদা আক্তার মনীষা।
এটি সম্পূর্ণ নতুন একটি সুশীল প্রতিনিধি দল যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই সুশীল পরিবর্তন কেন এ নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে বদিউল আলম মজুমদার, আদিলুর রহমান খান ও জিল্লুর রহমানের মতো ব্যক্তিদের সঙ্গে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার না হওয়াটাকে অনেকে বিস্ময়কর মনে করছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নীতিতে তার অবস্থান পাল্টেছে। বাংলাদেশ কৌশল পরিবর্তন করার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে মার্কিন নীতিও পরিবর্তন হয়েছে। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। বাংলাদেশের বাজারে যেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান থাকে সে জন্য দেশটির তৎপরতা লক্ষণীয়। ডোনাল্ড লু সালমান এফ রহমানের সঙ্গে বৈঠকেও মার্কিন কম্পানিগুলোর অর্থছাড় বিষয়েও আলোচনা করেছেন।
সবকিছু মিলিয়ে নতুন সরকারের সঙ্গে নতুনভাবে কাজ করতে আগ্রহী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এ কারনেই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগে যারা তাদের মিত্র ছিল সেই মিত্রদেরকে পরিবর্তন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন নতুন সুশীলদের সঙ্গে সম্পর্ক করছেন। যারা এতদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে গলাবাজি করত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ সংরক্ষণই যাদের দায়িত্ব ছিল তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অপাঙ্ক্তেয় হয়ে গেছে। আর এটি বোধহয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শিক্ষা। যুক্তরাষ্ট্রের যারা বন্ধু হয় তাদের শত্রুর দরকার হয়না।
ডোনাল্ড লু সুশীল সমাজ বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পুকুরে খেলতে গিয়ে পানিতে ডুবে লিপন (৬) ও মেহেদী হাসান (৮) নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাবলু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১৫ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত লিপন ওই এলাকার রাশেদের ছেলে ও মেহেদী হাসান মাঈদুলের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, পুকুরের পানিতে গাছের গুঁড়িতে উঠে দুই শিশু খেলছিল। খেলতে খেলতে একসময় গাছের গুঁড়ির নিচে পড়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে পুকুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
উলিপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হবে।’
মন্তব্য করুন
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই
না, আমরা শান্তি চাই।
এ সকল সংঘাতের অবসান
হোক এই কামনা করি।
বুধবার (১৫ মে) সকালে
'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ
অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি
এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের নারী ও শিশু
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সেবা
থেকে বঞ্চিত। প্রতিনিয়ত তারা মৃত্যুর সঙ্গে
লড়াই করছে। আমরা আশা করি
জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য, বিশেষ
করে নারী ও শিশুদের
জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করণে আরও কার্যকরী
ব্যবস্থা নিবে।
তিনি
বলেন, আমরা ক্ষমতায় এসে
আইসিপিডির ১৫টি মূলনীতি বাস্তবায়নে
জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ প্রণয়ন
করি। মাতৃমৃত্যু ও নবজাতকের মৃত্যুহার
কমানো, মা ও নবজাতকের
স্বাস্থ্যসেবা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীর প্রজনন স্বাস্থ্যসহ পুষ্টি ও পরিবার পরিকল্পনার
ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করি।
শেখ
হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশকে
আমি ২০৪১ সালের মধ্যে
বাল্যবিবাহমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলাম।
সে লক্ষ্যে কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। সরকারি নানা উদ্যোগে বাল্যবিয়ের
হার কমে আসছে। নানাভাবে
সচেতনতা সৃষ্টি করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করছেন। দু’দিনের সফরে প্রথম দিনে তিনি বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিটার ডি হাসের বাসভবনে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল একটি বড় ধরনের চমক। অতীতে দেখা গেছে, যে কোন মার্কিন প্রতিনিধি বাংলাদেশ সফর করলেই একগুচ্ছ সুশীলের সঙ্গে বৈঠক করতেন। সেই সুশীলরা সকলেই পরিচিত ছিল। এর আগেও ডোনাল্ড লু, আফরিন আখতার বাংলাদেশ সফর করে যে সমস্ত সুশীলদের সাথে দেখা করেছিলেন এবার তাদেরকে এড়িয়ে গেছেন।