ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুদ্ধ বিরতির আহ্বান তুরস্কের: সম্মত নয় দুই দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪:২৬ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

সিরিয়ার ইদলিব শহরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে এ বিষয়ে সম্মতি নেই বৈঠকে অংশগ্রহনকারী অপর দুই দেশ- ইরান ও রাশিয়ার। বৈঠক শেষে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিন দেশের শীর্ষ নেতা। খবর আল-জাজিরার।

অস্ত্র বিরতির বিষয়ে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন তিন নেতা। তেহরানে অনুষ্ঠিত এ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে একমত হতে পারেনি তিন দেশের প্রধান। সম্মেলন শেষে তিন নেতা সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তাদের মতের ভিন্নতার বিষয়টি উঠে আসে।

মূলত তুর্কি সরকার বিরোধী পক্ষকে সমর্থন দিচ্ছে। আর রাশিয়া ও ইরান পক্ষ নিচ্ছে সিরিয়া সরকারের। যদিও এই বৈঠকটির মূল উদ্দেশ্যই ছিল সিরিয়ায় ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযান ঠেকানোর প্রচেষ্টা। কাজেই ত্রিদেশীয় সম্মেলনে তিন দেশের নেতাদের মধ্যকার এই বৈঠকটি অসফল হয়েছে বলেই মনে করছে বিশ্লেষকরা।

অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে বৈঠকে পুতিন তুরস্কের শান্তি প্রস্তাবে অসম্মতি জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দেন। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিও যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। ইরানের প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, সিরিয়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ইদলিবে অভিযানের বিকল্প নেই।

এর আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট সামরিক অভিযান বন্ধের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘ইদলিবে রক্তের বন্যা চায় না তুরস্ক।’ সিরিয়ার ইদলিব এই মুহূর্তে বিদ্রোহীদের সবশেষ বড় ঘাঁটি। শহরটিতে প্রায় ৩০ লাখ লোকের বসবাস হওয়ায় সহিংস পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে বহু সাধারণ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থাকে বলে মনে করছেন তিনি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

অর্থনৈতিক সংকটে ভারতকে যে আহ্বান জানাল মালদ্বীপ

প্রকাশ: ০৯:৩৫ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারত-মালদ্বীপ সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে বেশ কিছু দিন ধরেই। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী।

এরপর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয় দুই দেশের। এরপর দেশ থেকে ভারতীয় সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। অন্যদিকে,মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন ভারতীয়রা। ফলে মালদ্বীপে বেড়াতে যাওয়া ভারতীয় পর্যটকের সংখ্যা প্রায় অর্ধেক হয়ে গেছে। পর্যটক সংকটে ভারতীয়দের কাছে মালদ্বীপ ঘুরতে যাওয়ার অনুরোধ জানালেন মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল।

মালদ্বীপের পর্যটনমন্ত্রী ইব্রাহিম ফয়সাল বলেন, আমাদের একটা ইতিহাস আছে। আমাদের নবনির্বাচিত সরকারও ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে চায়। আমরা সবসময় শান্তি এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাস করি। আমাদের জনগণ এবং সরকার ভারতীয়দের আগমনকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে আমি ভারতীয়দের মালদ্বীপের পর্যটনের অংশ হতে অনুরোধ করছি। কারণ, আমাদের অর্থনীতি পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল।

মালদ্বীপের একটি রিপোর্ট জানিয়েছে, সেদেশে ৪২ শতাংশ কমেছে ভারতীয় পর্যটক। ২০২৩ সালে প্রথম চার মাসে (৪ মে অবধি) মালদ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন ৭৩ হাজার ৭৮৫ জন ভারতীয়। চলতি বছরের চার মাসে তা কমে গিয়ে ৪২ হাজার ৬৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ৩১ হাজার ১৪৭ জন পর্যটক কমেছে চলতি বছরে। শুধু তাই নয়, ওই পর্বে গত বছর দেশভিত্তিক পর্যটকের পরিসংখ্যানে ভারত ছিল দ্বিতীয় স্থানে। চলতি বছরে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গিয়েছে মালদ্বীপে ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা।

ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা কমতেই বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প। মালদ্বীপের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হলো সেদেশের পর্যটন। এজন্য প্রভাব পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনীতিতেও। 

এর আগে ভারতের বিরুদ্ধে মালদ্বীপের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ এনেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়া আউট প্রচারণার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় এসে মুইজ্জু মালদ্বীপকে ভারত কর্তৃক উপহার দেওয়া তিনটি বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্ম পরিচালনাকারী ৮৮ জন ভারতীয় সামরিক কর্মীকে প্রত্যাহার করতে বাধ্য করেছিল।


ভারত   মালদ্বীপ   প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি   পর্যটনমন্ত্রী   ইব্রাহিম ফয়সাল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

লোকসভা নির্বাচন: তৃতীয় দফায়ও কম ভোট চিন্তায় ফেলছে বিজেপিকে

প্রকাশ: ০৮:৫১ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতে চলছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে তৃতীয় দফায় ৯৩টি আসনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। 

মঙ্গলবার(৭ মে) ১১টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নির্বাচন হয়। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের আহমেদাবাদের একটি কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে কর্ণাটকের কালাবুরাগিতে ভোট দেন। এদিন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ চৌহান, সমাজবাদী পার্টির ডিম্পল যাদব, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংয়েরও ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে।

আর এই তৃতীয় দফার ভোট থেকে নির্বাচনের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এ দফায় ভোট পড়েছে ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। কম ভোট চিন্তায় ফেলেছে বিজেপিকে। 

এর আগে গত ১৯ এপ্রিল ও ২৬ এপ্রিল দুই দফায় ১৯০টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ হয়। দুই দফায় ভোটের হার ছিল ৬৬ দশমিক ১ ও ৬৬ দশমিক ৭ শতাংশ। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দুই দফায় ভোট পড়েছিল ৬৯ শতাংশ।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, তৃতীয় দফায় সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে আসামে ৭৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া গোয়ায় ৭২ দশমিক ৫২ ও পশ্চিমবঙ্গে ৭৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। তবে বিহার, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক ও গুজরাটে ভোটের হার ছিল অনেক কম। এগুলোতে যথাক্রমে ৫৬, ৫৩, ৫৪ ও ৫৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে থাকবে, নাকি  বিরোধী ইন্ডিয়া জোট এগিয়ে যাবে এ নিয়ে চলছে বিশ্লেষণ। ভারতের লোকসভা নির্বাচনগুলোর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যেসব নির্বাচনে ভোট কম পড়েছে, সেগুলোতে বিজেপি কম আসন পেয়েছে।

তৃতীয় দফার ৯৩টির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের চারটির পাশাপাশি গুজরাটে ২৫, কর্ণাটকে ১৪, মহারাষ্ট্রে ১১, উত্তরপ্রদেশে ১০, মধ্যপ্রদেশে ৯, ছত্তিশগড়ে ৭, বিহারের ৫, আসামে ৪, গোয়ায় ২, দাদরা ও নগর হাভেলির একটি এবং দমন ও দিউয়ের একটি আসন রয়েছে। 

এনডিটিভি অনলাইন জানায়, এ দফার ভোটে কর্ণাটকে বিজেপি বড় ধাক্কা খেতে পারে। সেখানে দলটি জোটসঙ্গী জনতা দল সেক্যুলারের নেতা প্রজোয়াল রাবান্নাকে নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়েছে। তার বিরুদ্ধে কয়েকশ নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এক সমাবেশে রাবান্নার পক্ষে ভোট চেয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। তবে কেলেঙ্কারি প্রকাশ পাওয়ায় বিজেপি দলটির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে। এদিকে মহারাষ্ট্রে শারদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের বিরোধিতায় বিজেপি চাপে রয়েছে। 

এছাড়াও, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিজেপির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি কোণে তরুণরা বেকারত্বে ধুঁকছে, নারীর প্রতি নৃশংসতা হচ্ছে। দলিত, আদিবাসী, পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতি প্রধানমন্ত্রী মোদি ও তাঁর বিজেপির সৃষ্টি। তাদের লক্ষ্য শুধু ক্ষমতায় যাওয়া। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য তারা ঘৃণা উস্কে দেয়।  

ইকোনমিক টাইমস লিখেছে, নির্বাচনী আচরণবিধি পালন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তিনি বলেন, বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ চোখে দেখে না নির্বাচন কমিশন। বিজেপি নেতারা প্রচারণায় নেমে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েই চলেছেন; নির্বাচন কমিশনের 'মডেল কোড অব কন্ডাক্ট' কে 'মোদি কোড অব কন্ডাক্ট'এ পরিণত করেছেন। 

বার্তা সংস্থা এপির খবরে বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেওয়া নানা বক্তব্যে মোদি রাজনৈতিক মেরূকরণ করছেন, বিশেষ করে তিনি মুসলিমদের টার্গেট করছেন। ভোটের প্রচারণায় অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে বাদ দিয়ে সম্প্রতি তিনি ও তাঁর দল বিজেপি হিন্দুত্ববাদী প্রচারণায় লিপ্ত হয়েছেন। গত এক দশকে ক্ষমতায় থেকে মোদি বেশ কিছু বিভাজন সৃষ্টিকারী বক্তব্য দিয়েছেন।

তৃতীয় দফায় ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও বিরোধীরা নানা অভিযোগ করেছেন। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন সহিংসতা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোট বয়কটও হয়েছে। সেখানে ইন্ডিয়া জোটের শরিক ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে বুথ লুটের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন। চতুর্থ দফায় ৯৬টি আসনে ভোট হবে ১৩ মে। 


লোকসভা নির্বাচন   ভোট   বিজেপি  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

রাফায় মসজিদে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েল

প্রকাশ: ০৮:৩২ এএম, ০৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

ইসরায়েলের দখলদার সেনারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার রাফায় একটি মসজিদে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) মসজিদটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফা সিটির কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ওই মসজিদে একটি ড্রোন থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। মসজিদটি একটি মার্কেটের পাশে অবস্থিত। ওই সময় সেখানে মানুষের অনেক জটলা ছিল। ইসরায়েলের সম্ভাব্য হামলার ভয়ে মানুষ নিজেদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে সেখানে গিয়েছিলেন।

তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি সতর্কতামূলক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। মূলত হামলার পুর্ব সতর্কতা হিসেব এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়ার পর সেখান থেকে সাধারণ মানুষ সরে যান।

আলজাজিরা আরও জানিয়েছে, হামলার পরপর সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়।

মসজিদটিতে কখন বড় হামলা চালানো হবে এখন সেটিই দেখার বিষয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

মঙ্গলবার সকালে রাফার মিসর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থান নেয় ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে তারা ট্যাংকসহ অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাফাতে এখন অভিযান চালাচ্ছে দখলদার সেনারা। সেখানে তারা তিনটি টানেল পাওয়ার দাবি করেছে। ইসরায়েলিদের দাবি, এসব টানেলের মাধ্যমে মিসর হয়ে হামাসের কাছে অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম যায়।

এদিকে আন্তর্জাতিক আইনে ধর্মীয় স্থাপনায় হামলা করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যদি যুদ্ধরত কোনো পক্ষ এমন স্থাপনায় হামলা চালায় তাহলে এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।

মঙ্গলবার রাফাতে যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে প্রবেশের আগে সোমবার রাতে সেখানে ব্যাপক বোমা হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যমগুলো।


রাফা   মসজিদ   ক্ষেপণাস্ত্র   ইসরায়েল  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভারতের নির্বাচনে কি বিস্ময় অপেক্ষা করছে?

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আজ। এর ফলে সাত ধাপের নির্বাচনের তৃতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হল। আজ লোকসভায় ১২টি রাজ্যে এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৯৩টি আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি আসনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হল। প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছিল গত ১৯ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হয় ২৬ এপ্রিল। এই দুই দফার নির্বাচনে কমবেশি ১৯০টি আসনে ভোট সম্পন্ন হয়। এবার আরও 92 টি আসনের ভোটগ্রহণ শেষ হল। আর এই নির্বাচনের পর এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটি এসেছে তা হল যে, মোদি ম্যাজিক কি শেষ হয়ে গেল?

ভারতের নির্বাচনে কী ধরনের চমক আসতে পারে এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী জল্পনা-কল্পনা চলছে। নির্বাচনের আগে থেকে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়েছিল যে, এই নির্বাচন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। নির্বাচনে মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির জয় অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু নির্বাচনের সময় যত গড়াচ্ছে ততই মোদির বিজয় বা বিজেপির বিজয় নিয়ে সংশয়-সন্দেহের মেঘ ডালপালা মেলেছে। এখন বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও ম্যাজিক নম্বর ২৭২ পাবে কিনা তা নিয়ে যেমন জল্পনা-কল্পনা চলছে, ঠিক তেমনই নির্বাচনের সমীকরণ মেলাতে বিশ্লেষকরা হিমশিম খাচ্ছেন।

ভারতের নির্বাচন কমিশন স্বায়ত্তশাসিত-স্বাধীন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতটি ধাপের সবকটি আসনে ভোটগণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের আগাম ফলাফল প্রকাশ করা যাবে না। আর এ কারণে ১ জুন ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন আগাম ফলাফলও জানা যাচ্ছে না। কিন্তু ভোটের গতিপ্রকৃতি দেখে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপির লোকজনের চেহারায় অনেক শোকার্ত ভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তারা আগের মতো উচ্ছ্বসিত নন।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নরেন্দ্র মোদি এখনও ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা এবং তার একটা বিপুল জনপ্রিয়তা ও ক্যারিশমা রয়েছে। কিন্তু মোদির একক জনপ্রিয়তা ভারতের লোকসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রভাব বিস্তার করতে পারছে না। তাছাড়া বিভিন্ন আসনে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবতা ভোটের উপর প্রভাব ফেলছে।

নির্বাচনের আগে কিছু বিতর্কিত বক্তব্য বিজেপিকে কোণঠাসা করেছে। বিশেষ করে নরেন্দ্র মোদির মুসলিম বিদ্বেষী অবস্থান বিজেপিকে অনেকটাই বিতর্কিত করেছে। এর ফলে মুসলিম ভোটগুলো বিজেপির বিরুদ্ধে একাট্টা হচ্ছে বলেই অনেকে মনে করেন। তাছাড়া চাকরির বাজারে অস্থিরতা এবং বেকারত্বের হার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি মোদিকে সংকটে ফেলেছে। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের কথা বলেও দুর্নীতিকে লালন-পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান বিজেপির জন্য আরেকটি সংকটের কারণ।

তাছাড়া বিজেপি সরকার কিছু ধনিক শ্রেণিকে তোষণ করে এবং অধিকাংশ গরিব নিষ্পেষিত হচ্ছে- এমন একটি প্রচারণা খুব জোরেশোরেই দেখা যাচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপির টানা তৃতীয়বার ক্ষমতা দখল একটা চ্যালেঞ্জের মুখে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নির্বাচনের ফলাফল কীভাবে তার পক্ষে আনেন সেটাই দেখার বিষয়। ভারতের নির্বাচনে কি মোদি আবার জিতবেন, নাকি গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় বিস্ময়টি অপেক্ষা করছে।


ভারত   লোকসভা নির্বাচন   মল্লিকার্জুন খাড়গে   নরেন্দ্র মোদি   বিজেপি   কংগ্রেস  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী অনুষ্ঠান বাতিল

প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান বাতিল করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ১৫ মে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক সমাপনীর মূল অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। তবে  সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা বাতিল করেছে। 

দেশটির ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপদ রাখতে ছোট পরিসরে এ অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

গত এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভের শুরু হয়। এরপর থেকে এ বিক্ষোভ ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫টি রাজ্যের প্রায় ১৪০টি কলেজে ছড়িয়ে পড়েছে।

নিউইয়র্ক সিটি বিশ্ববিদ্যালয় বলেছে, স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের বিষয়ে শিক্ষার্থী নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে। গত কয়েক সপ্তাহের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ সমাবেশের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে স্নাতক সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা ব্যাহত হয়েছে। 

কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র বেন চ্যাং বলেন, 'আমাদের ক্যাম্পাসে বড় পরিসরে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হলো, এমন আশঙ্কা অমূলক নয়। এমন পরিস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মতো আমরাও গভীরভাবে হতাশ।'

চ্যাং আরও বলেন, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি বিকল্প জায়গা খুঁজছিল। তবে শিক্ষার্থী, তাঁদের পরিবারের সদস্য, অতিথিরাসহ ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে ধারণ করার মতো কোনো জায়গার ব্যবস্থা করা যায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হওয়া বিক্ষোভ থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে আপার ম্যানহাটানে অবস্থিত কলাম্বিয়ার একটি ক্যাম্পাস থেকে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য পুলিশ ডাকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে সেখান থেকে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়   সমাপনী অনুষ্ঠান   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন