ইনসাইড পলিটিক্স

সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটি চায় কূটনীতিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নির্বাচনকালীন সময়ে একটি সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের প্রস্তাব করতে যাচ্ছে বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রভাবশালী চার দেশ ও একটি সংস্থার কূটনীতিকরা। গতকাল শুক্রবার মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের উদ্যোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপানের এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কূটনীতিকদের এক বৈঠকে এমন প্রস্তাব উঠেছে। বৈঠকে সহিংসতামুক্ত, সব দলের অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণের মতামতের প্রতিফলন ঘটে সেরকম নির্বাচন আয়োজনের জন্য বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। কূটনীতিকদের আলোচনায় নির্বাচনকালীন সরকারের জন্য পাঁচটি প্রস্তাবের কথা উঠে আসে। বিষয়গুলো নিয়ে আরেকবার বৈঠকের পর তা চূড়ান্ত করা হবে বলে কূটনীতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, যেহেতু সরকার এবং বিরোধী দলগুলো বিশেষ করে বিএনপির মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না, সংলাপের পরিবেশও নেই এবং রাজনৈতিক দলগুলো এই বিষয়ে অনড় অবস্থান গ্রহণ করেছে তাই কূটনীতিকরাই দলগুলোর মধ্যে দর কষাকষির পরিকল্পনা করেছেন। কূটনীতিকরা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের সঙ্গে কথা বলবেন এবং নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দল দুটি যেন সমঝোতায় আসে সেই চেষ্টা চালাবেন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব করতে হলে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি প্ল্যাটফর্মে আসা উচিত বলে মনে করছেন দেশগুলোর কূটনীতিকরা।

অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে কূটনীতিকরা গতকালের বৈঠকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। এই প্রস্তাবনাটি আরও সংশোধন করে পরিশীলিত করা হবে। এজন্য আগামীকাল রোববার আবার বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই কূটনীতিকরা। প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে গতকালের বৈঠকে অংশগ্রহনকারী কূটনীতিকদের। গতকালের বৈঠকে সুষ্ঠু, অবাধ ও সব দলের প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন আয়োজনে পাঁচটি প্রস্তাব উঠে এসেছে। 

১। সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই। তবে নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী কী কী করতে পারবেন এবং কী কী করতে পারবেন না তার সুনির্দিষ্ট তালিকা থাকবে। অর্থ্যাৎ বিধিমালা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা খর্ব করতে হবে।

২। নির্বাচনকালীন সরকারে পার্লামেন্টারি সদস্যরাই থাকবেন বলে প্রস্তাব করেছেন কূটনীতিকরা। তবে প্রধানমন্ত্রী সব দলের সমন্বয়ে সম্মিলিত একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করবেন। উপদেষ্টা হওয়ার ক্ষেত্রে সংসদ সদস্য হওয়ার কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখন ছয়জন উপদেষ্টা আছেন। কূটনীতিকরা এই ছয়জনকে বাদ দিয়ে নির্বাচনকালীন উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের কথা বলেছেন। কূটনীতিকদের প্রস্তাব হচ্ছে, প্রত্যেক রাজনৈতিক দল থেকে প্রতিনিধিত্বমূলক একজন বা দুইজন করে উপদেষ্টা নিয়ে ১০-১২ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা। এছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে মন্ত্রীদের কোনো কাজ থাকবে না। বরং উপদেষ্টাদের উপদেশ অনুযায়ীই পরিচালিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার। সে সরকারের উপদেষ্টা মন্ডলী হিসেবে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট ও অন্যান্য নিবন্ধিত দলগুলো থেকে আলোচনার মাধ্যমে ১০-১২ জনকে বাছাই করা হবে। এক্ষেত্রে যেসব দলের সংসদে প্রতিনিধিত্ব থাকবে না তাদেরকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। অর্থাৎ যে দলগুলো থেকে মন্ত্রী থাকবে না তাদের উপদেষ্টা নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে।

৩।  সংবিধানের ১২৩(ক) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসানের কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যে এবং ১২৩(খ) অনুযায়ী মেয়াদ-অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তাব রেখেছে কূটনীতিকরা। এতে করে বিএনপির দাবি অনুযায়ী সংসদও ভাঙা হলো আবার আওয়ামী লীগে ইচ্ছানুযায়ী সংবিধানের আলোকেও নির্বাচন হলো। অর্থাৎ, দুই পক্ষের দাবিই পূরণ করা হবে। অবশ্য সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন করলে নির্বাচন পিছিয়ে যাবে।

৪। সুনির্দিষ্ট কোনো দুর্নীতি বা অন্য মামলায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে বা যারা বিচারে দণ্ডিত হয়েছেন এমন ব্যক্তিরা বাদে যারা রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হয়েছে বা যাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা রয়েছে, তাঁদেরকে মুক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। নির্বাচনের আগে কাদের মামলাগুলো বাতিল করতে হবে আর কাদের মামলাগুলো রাখতে হবে সে বিষয়ে সর্বদলীয় উপদেষ্টা পরিষদ সুপারিশ করবে।

৫। নির্বাচন কমিশনকে আরও স্বাধীন, আরও সক্রিয় করার প্রস্তাব রেখেছেন পাঁচ দেশের কূটনীতিকরা। আরপিও সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে এবং নির্বাচন কমিশনই সিদ্ধান্ত নেবে তাঁরা নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করবে কী না কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কীভাবে তাঁদের ক্ষমতা প্রয়োগ করবে। কীভাবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন।

জানা গেছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কূটনীতিকরা এই পাঁচটি প্রস্তাবনা বাছাই করেছে এবং আগামী রোববার তাঁরা আবার এই বিষয়ে বৈঠকে বসবে। বৈঠকে প্রস্তাবনাগুলো চূড়ান্তভাবে গৃহীত হলে তাঁরা প্রথমে সরকারি দল এবং পরবর্তীতে বিরোধী দলের সঙ্গে কথা বলবে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু বিএনপি নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দিতে পারেনি এবং সবগুলো দলই একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে এবং নির্বাচন ঘনিয়ে আসলেও দেশে সংলাপের পরিবেশ নেই এবং চটজলদি করে সংলাপ আয়োজন করা সম্ভবও নয়, সেজন্য এই পাঁচটি দাতা দেশ বাংলাদেশের একাধিক জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ২০১৪ সালে গত নির্বাচনের সময়ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা এমন জোট করেছিলেন।  এর ২০০৮ ও ২০০৬ সালেও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিদেশী কূটনীতিকরা।

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন বাম নেতা

প্রকাশ: ০৫:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

এ বছর সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত সচিব, বর্তমান বিচারপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি কর্মচারী রয়েছেন। তালিকায় প্রবীণ রাজনীতিক বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মো. মঞ্জুরুল আহসান খানের নাম রয়েছে।

সরকারের আর্থিক সহায়তায় হজ পালনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামে ইতিমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইট পাওয়া সাপেক্ষে তারা আগামী ৬ জুন সৌদি আরব যাবেন। হজ শেষে তাদের দেশে ফেরার কথা আগামী ১০ জুলাই।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এতে সরকারের খরচ হবে প্রায় তিন কোটি টাকা।

এবার সরকারি খরচে হজে যাওয়া ব্যক্তিরা বিমানের টিকিট বাবদ ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮০০ টাকা জমা দেবেন। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩৫ হাজার টাকা করে হজ অফিসে জমা দিতে হবে খাওয়া বাবদ।

উল্লেখ্য, শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডের দায়ে চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি মনজুরুল আহসান খানকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টার পদ থেকে স্থায়ী অব্যাহতি দেওয়া হয়।

সরকারি খরচ   হজ   মঞ্জুরুল আহসান খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাষ্ট্র-বিএনপির সম্পর্কে দূরত্ব কেন?

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আজ তিনি আওয়ামী লীগের বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে নৈশভোজে মিলিত হবেন। এছাড়াও তিনি সরকারের জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেশ মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সৌজন্য সাক্ষাতেরও কথা রয়েছে। আর এই সফর সূচিতে বিএনপির সঙ্গে তাদের কোনো বৈঠক নেই। বিএনপি এখন ডোনাল্ড লু কে নিয়ে সুর পাল্টেছে, ভিন্ন সুরে কথা বলছেন।  


বিএনপি নেতারা বলছেন, ডোনাল্ড লু’র ব্যাপারে তাদের কোন আগ্রহ নেই। এই সফর নিয়েও তারা উৎসাহি নয়। কিন্তু এর আগে যখন ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন তখন বিএনপির উত্তেজনা এবং আগ্রহ কেউ চাপিয়ে রাখতে পারেনি। বরং বিএনপির নেতারা এ নিয়ে তাদের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেছিলেন। সেই সময় বিএনপি নেতারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগকে হটিয়ে দিবে এমন প্রত্যাশায় বিভোর ছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটি হয়নি। এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের এক ধরনের ফাটল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গেও বিএনপি নেতাদেরকে মাত্র দু’টি সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা গেছে। 

আফরিন আখতার বাংলাদেশের সফরে এলে বিএনপি নেতারা ওয়েস্টিন হোটেলে একটি বৈঠক করেন৷ তবে সেই বৈঠক ইতিবাচক ছিল না। তাছাড়া এখন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকেও বিএনপির সঙ্গে আগের মতো আর যোগাযোগ করা হয় না। তাহলে কি বিএনপি-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ফাটল ধরেছে? বিএনপির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব তৈরি করতে চাইছে?

এরকম প্রশ্নের উত্তরে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে, নানা কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আর এটি বোঝার কারণেই বিএনপি এখন নিজেদেরকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবমুক্ত হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। 

অন্যদিকে বিএনপির কোন কোন নেতা মনে করছেন যে, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আসলে আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেছে এবং বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতির কারণে প্রতারিত হয়েছে। 

বিএনপির নেতা গোলাম মাওলা রনি বিভিন্ন টকশোতে বলছেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করেছেন বিএনপি তা বুঝতে পারেননি।’ আর এ ধরনের বক্তব্য এখন বিএনপির প্রায় সব নেতাই করছেন।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে যে, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার জন্য ভারতের পক্ষে কাজ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা এই ধরনের বক্তব্যের কোনো যৌক্তিকতা পায়নি। তবে বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই দূরত্বের কারণ একাধিক। 


১.  ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চেয়েছিল ৭ জানুয়ারি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক এবং এই নির্বাচনে সকল রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ করে। বিএনপিকে যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছিলো। কিন্তু বিএনপি তাদের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে। নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র ক্ষমতার পালাবদলের অন্য কোন উপায় নেই। বিএনপির এই নির্বাচনে না যাওয়াটাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একপ্রকার হতাশা হিসেবে দেখছে। 

২. বিএনপির নেতৃত্বশূন্যতা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ওপর কিছুটা বিরক্ত বলেও কূটনৈতিক মহল আভাস দিয়েছেন। কারণ তাদের সিদ্ধান্ত দেওয়ার মতো কোন নেতা নেই। বিএনপির কাছে যখন কোন সিদ্ধান্ত জানতে চাওয়া হয় তখন বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না। দলে যারা ক্রিয়াশীল এবং যারা কাজ করছেন তারা কেউই বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে নেই। আর একারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির উপর আস্থা রাখতে পারছে না।

আরও পড়ুন: স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস 

৩. জামায়াতের সাথে সম্পর্ক: তারা আবার স্বাধীনতা বিরোধী, উগ্র মৌলবাদি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করছে। এ বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের নজরে এসেছে আর তাই তারা এখন বিএনপির ব্যাপারে তেমন একটা আগ্রহী নয়।


বিএনপি   লু   যুক্তরাষ্ট্র  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশ: ০২:১৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে বিএনপি ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধ ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এক মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, পুরো পৃথিবী এই বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করে, এই মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিরুদ্ধে একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে। গত নির্বাচনে তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইসরায়েলি লবিস্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে কিছু ইসলামী দল আছে, তারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমের দাঁড়িয়ে যান। আপনারা কোথায় এখন? আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মোকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন, কই ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না।

সামাজিক মাধ্যমে সরকারের সমালোচনাকারীদের নিয়ে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তাদের কথা বলতে তো শুনলাম না। এরা কোথায়? এরা কোথায় লুকিয়ে আছে? এরা আসলে ইসলাম প্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।

এরপর ফিলিস্তিনি মানুষদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ইসরায়েলি বর্বরতার কারণে যারা নিহিত হয়েছেন তাদের মাগফেরাত কামনা করি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি সহানুভূতি জানাই। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থান সবসময় মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে ছিল। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।


বিএনপি   নেতানিয়াহু   দোসর   হাছান মাহমুদ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্ত্রীকে নিয়ে সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০১:৪৫ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে হযতর শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর যান তারা। 

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকালে মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা দুইজনই চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর গিয়েছেন। চিকিৎসা শেষে তারা কবে দেশে ফিরবেন সেটা এখনি বলতে পারছেন না তিনি। 


সিঙ্গাপুর   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতির পরোয়া করে না আওয়ামী লীগ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ সরকার মার্কিন স্যাংশন, ভিসানীতি পাত্তা দেয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কাউকে দাওয়াত করে আনে নি,তাদের এজেন্ডা আছে। তারা সেসব নিয়ে ঢাকায় এসেছে। ওপরে ওপরে বিএনপি তাদের পাত্তা দেয় না বললেও, তলে তলে  বিএনপির সঙ্গে তাদের কি আছে, তারাই ভালো জানে। 

মঙ্গলবার (১৪ মে) সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে এসব কথা বলেন তিনি।  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক বিএনপির আন্দোলনের ব্যর্থ চেষ্টা। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো ধরে বাজতে চায় তারা। আসলে তাদের কোনো ইস্যু নাই। তারা ভারতীয় পণ্য বর্জনকে ইস্যু বানাতে চায়। আমার প্রশ্ন হলো-ভারতীয় মসলা ছাড়া কি আমাদের চলে?  

তিনি বলেন, ভারতের মসলা ছাড়া আমাদের চলে না। শুধু মসলা কেন, ভারত থেকে শাড়ী-কাপড় আসবে, এছাড়া আরও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যও আসবেই। 

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ঢাকায় বিএনপির দুইটা সমাবেশই ফ্লপ হয়েছে। বিএনপি ও তাদের সমমনাদের আন্দোলনের ডাকে জনগণের সাড়া নেই। দলটির কর্মীরা হতাশ, তাদের আর নেতাদের ওপর আস্থা নেই। সে কারণেই বিএনপির কর্মীরা তাদের সমাবেশে যোগ দেয় না।


মার্কিন স্যাংশন   ভিসানীতি   আওয়ামী লীগ   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন