কালার ইনসাইড

কীভাবে ছবি যাবে অস্কারে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নিয়ম রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে যেকোনো দেশ থেকে প্রতিবছর কেবল একটি ছবিই পাঠানো যাবে অস্কার মনোনয়নের জন্য। কিন্তু একটি দেশ থেকে কোন ছবিকে পাঠানো হবে? এ প্রশ্নটি মাথায় রেখেই পৃথিবীর অনেক দেশে সিলেকশন কমিটির উদ্ভব।

যুক্তরাজ্যে এ কাজটি করে ব্রিটিশ একাডেমি অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন আর্টস। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে এ দায়িত্ব পালন করে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়া। আবার ব্রাজিলের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি কিছুটা অন্য রকম। অস্কারে ছবি পাঠানো-সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড দেখভাল করে দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশেও এ সংক্রান্ত একটি কমিটি আছে- ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’।

বাংলাদেশের অস্কার ইতিহাস:

২০০২ সাল থেকে অস্কারে বাংলাদেশের ছবি পাঠানো হচ্ছে- ১৬ বছরে মোট ১৩টি। ‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান ফিল্ম’ বিদেশি ভাষার ছবির ক্ষেত্রে এ নীতিই মেনে চলে একাডেমি অব মোশন পিকচার্স আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স। কিন্তু বাংলাদেশে মানা হয় ‘ওয়ান কান্ট্রি ওয়ান প্রডাকশন হাউস’ ফর্মূলা। একটু খুলে বললে ২০০২ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করে তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’। প্রযোজনা করেন ক্যাথরিন মাসুদ। এ ধারাবাহিকতায় মাটির ময়নার পর একমাত্র মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘টেলিভিশন’ ছবিটি ৮৬তম অস্কার আসরে বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে। যদিও এর টিভিস্বত্ব চ্যানেল আইয়ের। এর বাইরে  প্রতি বছরই অস্কার আসরে অংশগ্রহণের সব কৃতিত্ব গেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ঘরে। এসব ছবিই বাছাই করেছে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি কর্তৃক মনোনীত ‘অস্কার বাংলাদেশ কমিটি’। তার মানে এর বাইরে আর কোন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এমন দক্ষতা দেখাতে পারেনি? যতগুলো ছবি অস্কারে গেছে, সেসবের বেশির ভাগই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পায়নি। এ নিয়েও অনেকের তর্ক।

এ বছর অস্কারে যাচ্ছে:

বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে ধারাবাহিকভাবে সাতদিন প্রদর্শিত ইংরেজি সাবটাইটেলসহ যেকোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বাছাই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। শোনা যাচ্ছে, এ বছরও ইমপ্রেস প্রযোজিত ছবিই অংশগ্রহণ করবে। যথারীতি সে ছবিটির নাম ‘কমলা রকেট’। অস্কারের জন্য পাঠানো অন্য ছবিটি ‘ডুব’, তার সম্ভাবনা কম। সিয়াটলসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও পুরস্কৃত ছবি ‘মাটির প্রজার দেশে’ বাংলাদেশ থেকে যাবে বলে কথা উঠছিল। কিন্তু নির্মাতা শেষমুহূর্তে তা প্রত্যাহার করে নেয়। কারণ, ছবি জমা দিতে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেন, তার ভাষ্য, সরকারীভাবে গেলে সেখানে আমি কেন টাকা দিবো।

সমলোচনা যেখানে:

প্রায় একই কমিটি ২০০২ সাল থেকে কাজ করছে। সমালোচকদের অভিযোগ, তুলনামূলক গুরুত্বপূর্ণ ছবি বাদ পড়েছে। ফিসফিসানিটা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতে তো অস্কার সিলেকশন কমিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবারই প্রকাশ্যে অনিয়মের অভিযোগ এনেছেন কয়েকজন নির্মাতা-প্রযোজক! প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশের অস্কার কমিটি ছবি বাছাইকরণ প্রক্রিয়ায় কতখানি স্বচ্ছতা এবং দক্ষতার পরিচয় দিতে পারছে? হাবিবুর রহমান খান, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘পদ্মা নদীর মাঝি’সহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু চলচ্চিত্রের প্রযোজক। তিনি শুরু থেকেই অস্কার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে বিতর্কের সুযোগ নেই। প্রতিবছর অস্কার কমিটির কাছে আমাদের কমিটির তালিকা পাঠাতে হয়। ওরা যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দেওয়ার পর আমরা কাজটা করি। বিতর্কের বিষয়ে বলব, বিতর্ক করার জন্য কিছু লোক তো থাকেই। কেউ বিতর্ক করতে চাইলে কিছু করতে পারব আমরা? একটা কথা বলি, এখনকার অনেক স্থপতি আছেন যাঁরা তাজমহলেরও ভুল ধরেন! কীই-বা করার আছে। প্রতিবছর একটা-দুটা-তিনটা করে ছবি জমা পড়ে। অস্কারের আবার বিভিন্ন নিয়মনীতি আছে—কোনটা দেওয়া যাবে, কোনটা যাবে না। সব যাচাই করেই সিদ্ধান্ত নিই। এটা সবাই জানেও না। বুঝবেনও না।’

৯ সদস্যের কমিটি। কারা থাকেন এতে?

চেয়ারম্যান হিসেবে এ বছরও আছেন হাবিবুর রহমান খান। আরো আছেন বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজের সভাপতি আব্দুস সেলিম, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু, ফিল্ম এডিটরস গিল্ডের সভাপতি আবু মূসা দেবু, নির্মাতা শামীমা আক্তার ও রোকেয়া প্রাচী।

মোরশেদুল ইসলামের সমলোচনা:

শুধু তা-ই নয়, অস্কারে প্রতি বছর ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ছবি মনোনীত হওয়ার যে রেওয়াজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তাকে কেউ কেউ ‘সংঘবদ্ধ অপপ্রয়াস’ হিসেবে বর্ণনা করছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটির নামে যে সংগঠনটি অস্কারে বাংলাদেশ থেকে ছবি নির্বাচনে ভূমিকা রাখে, সেটির কার্যক্রম নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মোরশেদুল ইসলামের মতো নির্মাতারা। মোরশেদুল ইসলাম বলছেন, ‘বাংলাদেশ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটি অস্তিত্বহীন ও অথর্ব একটি প্রতিষ্ঠান। কারণ এ ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত ফিল্ম সোসাইটিগুলোর একটিও সক্রিয় নয়। প্রতিষ্ঠানটি সারা বছর চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকাণ্ড করে না। অথচ বছর শেষে শুধু অস্কার নিয়ে মাতামাতি করে। অস্কারে ছবি পাঠানোর বিষয়টিকে তারা কুক্ষিগত ও দখল করে নিয়েছে।’

এখন পর্যন্ত যেসব ছবি বাংলাদেশ থেকে অস্কারে গিয়েছে:

মাটির ময়না (২০০২)- পরিচালক: তারেক মাসুদ

শ্যামল ছায়া (২০০৫)- পরিচালক: হুমায়ূন আহমেদ

নিরন্তর (২০০৬)- পরিচালক:  আবু সাইয়ীদ

স্বপ্নডানায় (২০০৭)- পরিচালক: গোলাম রাব্বানী বিপ্লব

আহা! (২০০৮)- পরিচালক: এনামুল করিম নির্ঝর

বৃত্তের বাইরে (২০০৯)- পরিচালক: গোলাম রাব্বানী বিপ্লব

থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০১০)- পরিচালক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

ঘেটুপুত্র কমলা (২০১২)- পরিচালক: হুমায়ূন আহমেদ

টেলিভিশন (২০১৩)- পরিচালক: মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

জোনাকির আলো (২০১৪)- পরিচালক : খালিদ মাহমুদ মিঠু

জালালের গল্প (২০১৫)- পরিচালক: আবু শাহেদ ইমন

অজ্ঞাতনামা (২০১৬)-পরিচালক: তৌকীর আহমেদ

খাঁচা (২০১৭)- পরিচালক: আকরাম খান


বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ 

 



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার মেয়ের মা হলেন পরীমণি!

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে পুণ্যকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি।

পরী লিখেছেন, আমার মেয়ে এলো ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছদিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।

তিনি লিখেছেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।

পরীমণি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ‘ফেলু বক্সী’ নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।

পরীমণি   অভিনেতা শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রায় শুনে যা বললেন নায়ক সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এদিকে এ রায় শুনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন,.আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।

নায়ক সোহেল চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বলিউড ভাইজান সালমানের বিপরীতে রাশমিকা মান্দানা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গুঞ্জন সত্যি হলো। আর সারপ্রাইজ নয় অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসলো। বলিউডের নতুন জুটি হতে যাচ্ছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান ও দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। 

সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণের এই তারকাকে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত এবং এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকালে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। যেখানে সালমান আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন।

এরপর রাশমিকার নাম প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই সবাই আমার নতুন কাজের খবর জানতে চেয়েছিলেন। খবর ছিল না দেখে আমি কিছুই জানাতে পারছিলাম না। এবার জানাচ্ছি। আপনাদের জন্য এটাই ছিল বড় চমক। ‘সিকান্দার’-এ আমি সালমান খানের বিপরীতে কাজ করছি। এমন একটি দুর্দান্ত কাজে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সম্মানিত।’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষের দিকে। 

বর্তমানে রাশমিকা তার ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরেই তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে।

 


বলিউড   রাশমিকা মান্দানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিশ্বে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব হীরামাণ্ডির

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও  বিতর্কের কমতি    নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় সিনেবাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয় সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন সুমন ও ফারদিন খানের মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।

গত পয়লা মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। বনশালির ১৮ বছরের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘হীরামাণ্ডি’। কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট, সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত হয়েছে।

সিরিজে ‘লাহোর বলে লখনউ দেখানো আর রিসার্চ ছাড়াই গল্প সাজানোতে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। আবার নিজের দেশেও সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার মুখে পড়তে হচ্ছে বানশালিকে। কারও দাবি, ঐতিহাসিক তথ্যে ভুল করেছেন নির্মাতা। তো কেউ বা আবার কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।

 


হীরামাণ্ডি   সঞ্জয় লীলা বনশালি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলার আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


সোহেল চৌধুরী   চিত্রনায়ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন