নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ফ্রান্স থেকে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়ে উঠছে। দেশটির বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ জানান, রাফাল যুদ্ধবিমান চুক্তিতে ভারতীয় ব্যবসায়ী অনিল আম্বানীর কোম্পানিকে চুক্তির অংশীদার করতে মোদি সরকার বাধ্য করেছিল। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ফরাসি সাময়িকী মিডিয়াপার্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে চাপের মুখে পড়ে মোদি। তবে এখন পর্যন্ত ওলাদের মন্তব্য প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি।
২০১৫ সালে ওলাদ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটি সফর করেন। সেসময় ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান ক্রয়ের ঘোষণা দেন তিনি। পরের বছর ওলাদের দিল্লি সফরের সময় বিমান ক্রয়ের চুক্তি সম্পন্ন হয়। এরপর আরও ৯০টি যুদ্ধবিমান ভারতে তৈরি করার চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। ওই কাজ পায় ভারতীয় ব্যবসায়ী অনিল আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্স ডিফেন্স ইন্ডাষ্ট্রিজ। চুক্তিতে রিলায়েন্স ডিফেন্সের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। কারণ প্রতিষ্ঠানটির কোনো ধরনের বিমান তৈরিরই অভিজ্ঞতা নেই।
যুদ্ধবিমান ইস্যুতে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, ‘দেনায় ডুবে থাকা রিলায়েন্স কোম্পানিকে অনৈতিকভাবেই রাফালের চুক্তি পাইয়ে দিয়েছেন মোদি।’
মোদি প্রায় তিনগুণ বেশি দামে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় ভারতের ৪১ হাজার কোটি রুপি ক্ষতি হয়েছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছিল কংগ্রেস। আর ভারতে ৯০টি বিমান তৈরির কাজ পেয়ে অনিলের আম্বানির কোম্পানি প্রায় ৩০ হাজার কোটি রুপি লাভের সুযোগ পাচ্ছে বলেও দাবি করেছিল তারা।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ
মন্তব্য করুন
দিনকে দিন বিশ্বব্যাপী ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। এর ফলে বর্তমানে যেসব দীর্ঘাকৃতির মাছ সাগরে পাওয়া যাচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে হয়তো তেমনটি আর পাওয়া যাবে না। বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এমন চমক জাগানিয়া তথ্য উঠে এসেছে।
মেরুদণ্ডী প্রাণীর মধ্যে মাছ সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় প্রজাতি। এদের মধ্যে রয়েছে ক্ষুদ্র গবি ও জেব্রাফিশ থেকে শুরু করে বিশালাকার টুনা, তিমি ও হাঙর। মাছের মাধ্যমে অত্যাবশ্যক খাদ্য সরবরাহ হয় বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মাছ জলজ বাস্তুতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই গুরুত্বপূর্ণ অংশটিই বিশ্বজুড়ে এখন হুমকির মুখে।
বিশ্বজুড়ে মাছের আবাসস্থল নিয়ে পরিচালিত এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের ওপর উল্লেখযোগ্যহারে প্রভাব ফেলছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন। এর ফলে ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে উষ্ণ হয়ে আসছে মাছের আবাসস্থল। আর এতে দিনকে দিন ছোট হয়ে আসছে মাছের আকার। বলা হচ্ছে, গত ৪০ বছরে উত্তর সাগরের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক মাছের প্রজাতি আকারে ১৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কারণ এই সময়ে সেখানে পানির তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের ওপর উষ্ণ জল অত্যন্ত খারাপ ধরনের প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে, বড় মাছের ক্ষেত্রে এই প্রভাব খুবই উল্লেখযোগ্য। বড় মাছ আকারে ছোট হয়ে গেলে দ্রুত পরিপক্ব হয় এবং অল্প বয়সে প্রজননে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এতে আকারে ছোট হতে থাকে মাছের পরবর্তী প্রজন্ম।
তাড়াতাড়ি পরিপক্ব হওয়ার এই বৈশিষ্ট্যটি মাছের বর্তমান থেকে নতুন প্রজন্মে স্থানান্তরিত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, এটি ‘মৎস্য-প্ররোচিত বিবর্তন‘ নামে পরিচিত। এর ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মাছ আকারে হ্রাস পেতে থাকে।
বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ছোট মাছ আনুপাতিকভাবে কম সন্তান উৎপাদন করে। মাছের আকার ছোট হওয়ার অর্থ হলো প্রতিটি মাছের কম সন্তান হবে এবং বেশি বেশি মাছ ধরা পড়বে। পরিবেশগত এবং বাণিজ্যিকভাবে এই প্রক্রিয়ার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে এবং তা সরাসরি আঘাত করবে মানবজাতিকে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
মন্তব্য করুন
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট
মন্তব্য করুন