ইনসাইড পলিটিক্স

পুরুষ নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

নব্বইয়ে স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি প্রচেষ্টা ছিল লক্ষণীয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে একসঙ্গে আনার প্রচেষ্টা ছিল সবার মধ্যে। দুই নেত্রীকে বৈঠকের টেবিলে একসঙ্গে বসানোর চেষ্টা করেছেন অনেকেই। তৎকালীন প্রভাবশালী সাংবাদিক ফয়েজ আহমেদ দুই নেত্রীর বৈঠক আয়োজনে অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তাঁর মতো অনেক উদ্যোক্তার অক্লান্ত প্রচেষ্টার পরও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মধ্যে মাত্র তিনটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়কার নেতৃবৃন্দরা বলেন, দুই নেত্রীই একসঙ্গে বৈঠকে অনাগ্রহী ছিলেন। এরপরও জাতির বৃহত্তর স্বার্থের কথা চিন্তা দুই নেত্রীর মধ্যে তিনটি বৈঠক হয়। প্রথম বৈঠকটি হয় রাজধানীর মহাখালীতে। দুই নেত্রীর মধ্যেকার দ্বিতীয় বৈঠকটি হয় রাজধানীর গুলশানে। আর সংসদীয় গণতন্ত্র সংক্রান্ত সংশোধনী পাশ হওয়ার সময় তৃতীয় ও শেষ বৈঠক হয় দুই নেত্রীর।

স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময়ই দুই নেত্রীর একসঙ্গে বসার অনাগ্রহের কথা রাজনীতির অঙ্গনের মানুষরা তো জানেই, সাধারণ মানুষেরও অজানা ছিল না। ওই সময় অনেক কথাই প্রচলিত হয়, ‘দুজই নেত্রী তো, নারীতে নারীতে বৈঠক কি আর হয়, নারীরা এক হতে পারে না, নারীদের মধ্যে ঝগড়া বেশি- এমন অনেক নারীবিদ্বেষী মন্তব্য প্রায়শই শোনা যেত।

বর্তমান পরিবর্তিত সমাজ ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে পুরুষ রাজনীতিবিদদের মধ্যেও বিরোধ কিন্তু কম না। অনেক প্রবীণ পুরুষ রাজনীতিবিদের মধ্যে বিরোধ আজ প্রকট হয়ে দেখা দিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বর্তমান সময়ের আলোচিত দুই ব্যক্তিত্ব ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর দিকেই আঙ্গুল তাক করেন অনেকে। বিশ্লেষকরা বলেন, নারীদের মধ্যেকার বিরোধের চেয়েও প্রকট পুরুষের। নারীদের বিরোধ বোঝা সহজ। মুখের ওপর না বলে দিয়ে বিরোধের প্রকাশ করে দেয়। কিন্তু পুরুষরা মুখে বলে এক আর করে আরেক। ড. কামাল ও বি. চৌধুরীর মধ্যেকার বিরোধেও যে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানেন তাঁর বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি খালেদা জিয়ার স্বামী সাবেক সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান। আর বঙ্গবন্ধুর রক্তের ওপর দিয়ে গঠিত দল বিএনপি। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে আদর্শগত দিক থেকে ফারাক বিস্তর। আওয়ামী লীগ তাই শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার-দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট। এরপরও শুধু জাতির বৃহত্তর স্বার্থে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ড. কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর মধ্যে এমন কোনো বিরোধ নেই। তারপরও কেন একজন আরেক জনের কাছে এতটা অসহ্যের। বিশ্লেষকদের মতে, দুই প্রবীণের মধ্যেকার বিরোধের পুরোটাই কে বড়, কে নেতা, কে ঐক্যের নেতৃত্ব দেবে তাই নিয়ে।

গত বছরের শেষদিকে দেশব্যাপী রোল ফেলে দিয়ে বি. চৌধুরী গঠন করলেন যুক্তফ্রন্টে। যেখানে যাওয়ার কথা ছিল গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। দীর্ঘ আট মাস সেই জোটে ‘তিনি নেই’ বলেই জানিয়ে আসছিলেন থাকেন ড. কামাল। অবশেষে দেশে নির্বাচনের রব উঠতেই ড. কামাল হোসেন আবার বি. চৌধুরীর সঙ্গে বসে ঘোষণা দিলেন রাজনৈতিক ঐক্যের। কিন্তু এ যেন নতুন করে দুজনের আবার বিরোধের শুরু। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের শুরুতে বি. চৌধুরীর বাসায় হাজির হন ড. কামাল। ওই সময় বলেন, তিনি সাদা কাগজে লিখে দেন আমি স্বাক্ষর করতেও প্রস্তুত। কিন্তু এরপর আবার অনেক দিন নিরুদ্দেশ ড. কামাল হোসেন। বোঝাই যাচ্ছিল অন্যের নেতৃত্ব যেতে ড. কামাল শুচিবায়ু। এরপর হঠাৎ করেই কামাল হোসেনের বাড়িতে হাজির বি. চৌধুরী। ড. কামালকে বললেন, আপনিই ঐক্যের নেতা। অমনি উদ্যোগী হয়ে পড়লেন ড. কামাল। কিছুদিন না যেতে যেতেই নেতৃত্ব নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠলেন বি. চৌধুরীও। জোটে দল ভেড়ানোর জন্য নানা শর্ত দিলেন। বি. চৌধুরীর এমন শর্ত প্রদানকে যেন নিজের নেতৃত্বের ওপর খবরদারি হিসেবেই নিলেন ড. কামাল। মুখ ভার তাঁর। ড. কামালের এমন মনোভাবে হতাশ হলেন বি. চৌধুরী। তিনি যেন হঠাৎ করেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিলেন। সবখানেই ড. কামাল আর যুক্তফ্রন্টের অন্যান্যরা উপস্থিত। কোথাও নেই যুক্তফ্রন্টের মূল নেতা বি. চৌধুরী। জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন হলো যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায়। অথচ বি. চৌধুরী অর্ধেক রাস্তা এসেও সেদিন ফিরে গেলেন। যোগ দিলেন না সংবাদ সম্মেলনে। আবার ড. কামালের বাসায় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতাদের বৈঠক হলো কিন্তু অনুপস্থিত বি. চৌধুরী। বিএনপি ঐক্য প্রক্রিয়া যোগ দেওয়ার কথা জানাল। তখনও নেই ঐক্যের অন্যতম নেতা বি. চৌধুরী। বিএনপিকে নিয়ে মহানগর নাট্যমঞ্চে জনসভা আয়োজন হল। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে নাগরিক সভায় বিএনপি ও যুক্তফ্রন্ট নেতাদের অনুরোধে যেন যেন ঢেঁকি গিললেন বি. চৌধুরী। অবশ্য সভা শুরুতে দেড় ঘণ্টা পর সেখানে যান বি. চৌধুরী। এর পরপরই জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্বের সুতোটা আবার যেন বি. চৌধুরীর দিকে যেতে থাকে। বি. চৌধুরীও একের পর এক শর্ত দিয়েছেন বিএনপির ঐক্যে যোগদান নিয়ে। বি. চৌধুরীর এমন হস্তক্ষেপকে যেন খবরদারি হিসেবেই নিলেন ড. কামাল। মঙ্গলবার বিকেলে ড. কামালের বাড়িতে ঐক্য প্রক্রিয়ার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ড. কামালের বাসায় গিয়ে বৈঠকে অস্বীকৃতি জানান বি. চৌধুরী। পরে ওই বৈঠক আর হয়নি। অবশ্য ওই রাতেই বৈঠক বসে বি. চৌধুরীর বাড়িতে। তখন অসুস্থতার কথা বলে সেই বৈঠকে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন ড. কামাল। দুই নেতার দ্বৈরথের সর্বশেষ অবস্থা হলো বি. চৌধুরী দেশে। কিন্তু অসুস্থতার জন্য ড. কামাল চলে গেছেন সিঙ্গাপুর।

ঐক্য নিয়ে বিরোধের দুই নেতার বিরোধের বিষয়টি কৌতুহলউদ্দীপক বলেই মানছেন বিশ্লেষকরা। অবশ্য তাঁদের মধ্যে মিলও যে অনেক। দুজনই মূল ধারা থেকে ছিটকে পড়া রাজনীতিবিদ। আর মূল ধারা থেকে ছিটকে পড়ে দুজনই রাজনীতি অব্যাহত রাখলেও অর্জনের খাতা এখনো শূন্য।

এতদিন যাঁরা বলতেন দুই নেত্রীর জন্য রাজনীতিতে যত সমস্যা, ড. কামাল-বি. চৌধুরী নিয়ে এখন তারা নতুন করে শঙ্কা দেখতেই পারেন। কারণ দুই পুরুষের নেতৃত্ব যে কত ভয়াবহ হতে পারে ড. কামাল-বি. চৌধুরীর এরই মধ্যে দেশবাসীকে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপির লিফলেট বিতরণ: কাদের

প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতেই বিএনপি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করছে বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির উপজেলা নির্বাচনবিরোধী লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি। 

বিএনপিকে উপহাস করে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থান থেকে তারা লিটলেট বিতরণ কর্মসূচিতে নেমে এসেছে। এবার বুঝুন তাদের অবস্থা।

তিনি বলেন, সরকারের ধারাবাহিকতার কারণেই আজ দেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি হয়েছে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন, কিন্তু বিএনপি এবং মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমও লিখছে ভারত বিরোধিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে বিএনপি। ভারত প্রশ্নে এখন মধ্যপন্থা নিতে চায় বিএনপি।                     

সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই, সংসদ এবং সংসদের বাইরেও সরকারের বিরোধিতা জারি আছে। সরকার কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে না। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।


বিএনপি   লিফলেট   ওবায়দুল কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। 

বিএনপির একজন স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেছেন, দল এখন আন্দোলনে ব্যস্ত, তবে আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে সংগঠনের বিষয়টিও সম্পৃক্ত। আন্দোলন এবং সংগ্রাম একসাথেই চলবে। এই অংশ হিসেবেই আমরা দলের নেতৃত্বের পুনর্গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করছি। 

বিএনপির এই নেতা বলেন, তারেক জিয়া যখন বলবেন তখনই কাউন্সিল করার জন্য তাদের প্রস্তুতি আছে। তবে বিএনপির একাধিক নেতা আভাস দিয়েছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ তারা একটি সংক্ষিপ্ত কাউন্সিল করতে পারেন এবং সংক্ষিপ্ত কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব পুনর্গঠন করা হতে পারে। 

বিএনপিতে এখন নীতি নির্ধারণী সংস্থা স্থায়ী কমিটিতে পাঁচ সদস্য পদ শূন্য রয়েছে। আবার যারা স্থায়ী কমিটিতে আছেন এ রকম বেশ কয়েক জন এখন গুরুতর অসুস্থ এবং জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। অনেকে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলামের মতো নেতারা এখন এতই অসুস্থ যে তারা কোন রাজনৈতিক দায়িত্ব পালনের মতো অবস্থায় নেই। 

বিএনপির একজন নেতা স্বীকার করেছেন, তারা দলকে সার্ভিস দিতে পারছেন না। কিন্তু বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, অসুস্থ অবস্থায় তাদেরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে অমানবিক। তবে বিএনপির তরুণ নেতারা মনে করেন, এটি মোটেও অমানবিক নয়। একজন পদে থাকা ব্যক্তি যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে তাকে কোন আলঙ্কারিক পদ দিয়ে ওই শূন্যপদ পূরণ করা উচিত। বিএনপির মধ্যে একটি চাপ আছে যে, যারা মাঠের আন্দোলনে সক্রিয়, অপেক্ষাকৃত তরুণ তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে আনা হয়। কিন্তু এ ব্যাপারে তারেক জিয়া এবং বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। 

তারেক জিয়া বিএনপিতে তরুণদেরকে সামনে আনতে চান। তবে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন এ ধরনের ব্যক্তিদেরকে খালেদা জিয়া এখনই দল থেকে বাদ দিতে রাজি নন বলেই বিভিন্ন সূত্র দাবি করেছে। এ প্রসঙ্গে বলা যায় যে, রফিকুল ইসলাম মিয়া বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। বিভিন্ন সংকটে তিনি বেগম জিয়ার পাশে ছিলেন। এ কারণেই দীর্ঘদিন রোগশয্যা থাকার পরও তাকে স্থায়ী কমিটিতে রাখা হয়েছে। যদিও তারেক জিয়া তাকে স্থায়ী কমিটি থেকে সরিয়ে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদে দেওয়ার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার আপত্তির কারণে তিনি সেটি করতে পারেননি। 

একইভাবে ব্যারিস্টার জমির উদ্দীন সরকারকেও স্থায়ী কমিটিতে না রাখার ব্যাপারে তারেক জিয়ার আগ্রহ আছে। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ার কারণ তারেক জিয়ার সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আর এ কারণেই তারেক জিয়া কাউন্সিল করছেন না বলে অনেকে মনে করেন। কারণ এখন কাউন্সিল হলে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাকে সমঝোতা করতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার পছন্দের অনেক ব্যক্তিকে দলের নেতৃত্ব রাখতে হবে। সেটি তারেক জিয়া চান। খালেদা জিয়ার হাত থেকে বিএনপির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিলেও এখন তারেক বিএনপিকে খালেদা জিয়ার প্রভাব মুক্ত করতে পারেনি। তাই কাউন্সিলের জন্য তার অপেক্ষা। তবে একাধিক সূত্র বলছে, দলের নেতাকর্মী মধ্যে কাউন্সিল করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য একটি বড় ধরনের চাপ আছে।


কাউন্সিল   বিএনপি   তারেক জিয়া   মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর   বেগম খালেদা জিয়া  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামিনে কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা

প্রকাশ: ০৯:৩৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

এ সময় কারাফটকে তাকে স্বাগত জানাতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন, পুরো দেশটাকে কারাগারে পরিণত করেছে এই জালিম সরকার।

তারা শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, দেশের জনগণের অধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সবকিছুকে ধ্বংস করেছে। এই মাফিয়া আর পুতুল সরকার থেকে মুক্তি পেতে আন্দোলনের বিকল্প নাই। সেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানান হাবিব।

উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে হাবিবুর রশীদ হাবিবকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন আদালত। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাকে তিন মামলায় ৬ বছর নয় মাসের সাজা দেন আদালত।

এছাড়া দুটি মামলা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও ছিলো। সব মামলায় জামিন শেষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

হাবিবুর রশিদ হাবিব   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নির্বাচনের আগে ও পরে একই কথা বলেছে যুক্তরাষ্ট্র: মঈন খান

প্রকাশ: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও একই কথাই বলেছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

শুক্রবার (১৭ মে) কারামুক্ত বিএনপি নেতা নবী উল্লাহ নবীর বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মঈন খান বলেন, সরকার যদি ভাবে মার্কিন প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে এসে কথা বলেছে আর সব সমস্যার সমাধান হয়েছে, তাহলে সরকারের ধারণা ভুল। নির্বাচনে আগে যুক্তরাষ্ট্র যে কথা বলেছিল, নির্বাচনের পরেও সেই কথা বলেছে।

তিনি বলেন, বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও আটকের একমাত্র উদ্দেশ্য এ দেশের মানুষকে কথা বলতে দেবে না। মানুষকে ভিন্নমত পোষণ করতে দেওয়া হবে না। গণতন্ত্র দেওয়া হবে না। সরকার জানে সুষ্ঠু নির্বাচন দিলে দেশের মানুষ তাদের প্রত্যাখ্যান করবে।

এই সরকার সব অধিকার হরণ করেছে জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাদের (সরকার) কোনো ভিত্তি নেই। এদেশের ৯৭ শতাংশ জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এ জন্য সরকার ভীতু। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।

মঈন খান বলেন, সরকার এদেশের রাজনীতি অনেক আগেই ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে আর সুস্থ ধরার রাজনীতি নেই। এখন আছে পরহিংসার রাজনীতি। সংঘাতের রাজনীতি।

তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ বলে দেবে এ সরকারের পরিণতি কি হবে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, স্বৈরাচারী সরকারের কি পরিণতি হয়ে ছিল। এ দেশের সরকারের বেলায় যে ভিন্ন কিছু হবে এটা কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় না।

বিএনপি   ড. আব্দুল মঈন খান  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কেন জোট করতে চায় না বিএনপি

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না। 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠকে একটি বিষয় সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে। যারা বিএনপির সঙ্গে এতদিন ছিল এবং আন্দোলন করেছে, তারা এখন নতুন করে আন্দোলনের আগে একটি লিয়াজোঁ কমিটি করতে চায়। আর আন্দোলনের লক্ষ্য এবং পথ পরিক্রমা চূড়ান্ত করতে চায়। লিয়াঁজো কমিটির নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হোক, সেটিও তারা চায়। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়নি। নানা বাস্তবতার কারণে বিএনপির জোটবদ্ধ আন্দোলন করতে চায় না। লিয়াঁজো কমিটিও করতে চায় না। 

বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতার সাথে আলাপ করে দেখা গেছে, তারা যে সমস্ত শরিক দলগুলো এখন বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক ঐক্যে যেতে চায় না। এমনকি লিয়াঁজো কমিটির করতে চায় না। এর কারণ হিসেবে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলছেন, যে সমস্ত শরিক রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করতে চায়, আন্দোলনের মাধ্যমে তারা অনেকেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সরকারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করা বা রাজনৈতিক ডিগবাজি দেওয়ার মাধ্যমে তারা আন্দোলনকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি শুধু এই স্থায়ী কমিটির সদস্য নয়, বিএনপি অনেকের ধারণা।

গত বছরের আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যান বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আন্দোলন করার কারণে যারা পরিচিতি পেয়েছিল তারাই সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্যে এবং গোপনে যোগাযোগ করেছেন। এদের মধ্যে জেনারেল ইব্রাহিমের কথা বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন। তারা বলছেন, তিনি রাজনৈতিকভাবে একেবারে এতিম ছিলেন। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করার কারণেই তাঁর রাজনৈতিক পরিচিতি হয়েছিল। আর সেই পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করেছেন। 

এর আগেও অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে বিকল্পধারা প্রসঙ্গটিও বিএনপির অনেক নেতা বলে থাকেন। তাছাড়া ২৮ অক্টোবরের পর আকস্মিকভাবে মাহমুদুর রহমান মান্নার নীরবতাকেও বিএনপির নেতারা সন্দেহ করছেন। 

বিএনপির কাছে এরকম তথ্য আছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনেকগুলো দলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল এবং তাদেরকে নানা রকম টোপ দেওয়া হয়েছিল। ভবিষ্যতেও আন্দোলন যদি বেগবান হয় তাহলে আবার টোপ দেওয়া হবে। এই সমস্ত লোভ পরিত্যাগ করে শরিকরা কতটুকু আন্দোলনের ব্যাপারে অটল থাকতে পারবে এ নিয়ে বিএনপির মধ্যে সন্দেহ রয়েছে। আর কারণেই বিএনপি এখন আনুষ্ঠানিক ভাবে জোটে যেতে চায় না।

বিএনপি মনে করে তারা আন্দোলন করবে। তাদের কর্মসূচির সঙ্গে যদি কেউ একমত পোষণ করে তাহলে তারা যুগপৎ আন্দোলন করবে। তবে আন্দোলন তাদের নিজেদেরই করতে হবে এমনটি মনে করছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর এ কারণে বিএনপি কোন রকম জোট বা লিয়াঁজো কমিটির পক্ষে নয়।

বিএনপি   যুগপৎ আন্দোলন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন