ইনসাইড পলিটিক্স

শর্তসাপেক্ষে জনসভার অনুমতি পেল বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

শর্তসাপেক্ষে আগামীকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করার শর্তেই বিএনপিকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আইজিকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান যেকোনো রাজনৈতিক দল যেন জনসভা করার অনুমতি পায়। এখন পুলিশের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। সরকার দেখতে চায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে কিনা।

এর আগে আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে অনুমতি না পেয়ে আগামীকাল রোববার জনসভা করার জন্য অনুমতি চায় বিএনপি। তবে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দিতে দ্বিধান্বিত ছিল পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জনসভা বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করেছে এবং আশঙ্কা করছে, জনসভার নামে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি এবং জনগণের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সমাবেশ। বিশেষ করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা যে ধরনের মন্তব্য দিচ্ছেন তাতে পুলিশ মনে করছে, জনসভার নামে বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারণে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দিতে পুলিশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল পুলিশ।

জানা গেছে, আজ শনিবার এই বিষয়ে পুলিশ প্রধান আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ঢাকা মহানগর পুলিশ এই জনসভার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে পারছে না। কারণ তাদের কাছে খবর আছে, এই জনসভার মাধ্যমে বিএনপি ঢাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক লোকজন ঢাকায় নিয়ে এসে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালানো হতে পারে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজ আইজির সঙ্গে দেখা করে কোনো রাজনৈতিক দলের জনসভার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা বলেন। সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনুমতি দিয়ে দেখুন তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে কিনা। অরাজকতার চেষ্টা করা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

এরপরই ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে জনসভা অনুমতি দেওয়া বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। এর মাধ্যমে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে দলটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে কিনা।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলায় আরও বিভক্ত হল আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রথম ধাপে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগের লড়াই হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের মধ্যে লড়াই করে জিতেছে। এর ফলে উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি আরও তীব্র আকার ধারণ করলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচনে আত্মীয় স্বজনদের কারণে স্থানীয় পর্যায়ে অনেক ত্যাগী পরীক্ষিত নেতা পরাজিত হয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় ত্যাগী পরীক্ষিত নেতারা বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এই বিজয় বা পরাজয় আওয়ামী লীগের কোন্দল মেটাতে পারেনি। বরং অনেকেই মনে করছেন, এর ফলে আওয়ামী লীগের কোন্দল এবং বিভক্তি আরও বেড়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল নোয়াখালীর সুবর্ণচর। সেখানে আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত এবং জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সেলিম পরাজিত হয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরীর পুত্র সাবাব চৌধুরীর কাছে। এটি তৃণমূলের মধ্যে একটা বড় ধরনের নাড়া দিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে যে, আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এবং এমপিদের সমর্থিত প্রার্থীরা পরাজিত হয়েছেন। 

উপজেলা নির্বাচন গুলোর মধ্যে যেখানে যেখানে মন্ত্রী এবং এমপিদের স্বজনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে সেখানে নির্বাচন হচ্ছে উত্তেজনাপূর্ণ এবং এই উত্তেজনার কারণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ পুরোপুরিভাবে ভেঙে পড়েছে। এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মুখ দেখাদেখি রীতিমতো বন্ধ হয়ে গেছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য স্বীকার করেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী যে কৌশল গ্রহণ করেছিলেন, সেই কৌশল যদি বাস্তবায়িত হত তাহলে আওয়ামী লীগে বিভক্তি থাকত না। এসময় প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচন থেকে দূরে থাকবেন। তৃণমূলের নেতারা যে যার মতো করে নির্বাচন করবেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাকে ভোট দিবে তিনি বিজয়ী হবেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় মন্ত্রী-এমপিদের ভূমিকা। মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আত্মীয় স্বজন অথবা নিজস্ব লোককে জেতানোর জন্য শুরু থেকেই নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অনেক জায়গায় তারা এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যে আওয়ামী লীগের অন্য প্রার্থীরা নির্বাচনে প্রচারণার জন্য সুযোগ পাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই সমস্ত উপজেলাগুলোতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভোটার উপস্থিতি কম হয়। তারচেয়েও বড় কথা হলো এ ধরনের অবস্থান গ্রহণের ফলে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি পক্ষ হয়ে গেছে এবং তারা একে অন্যের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি আক্রমণের ঘটনাও ঘটিয়েছে কোথাও কোথাও। উপজেলা নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনাও খবর পাওয়া গেছে। এই বিভক্তি আওয়ামী লীগ কীভাবে মেটাবে সেটি হলো দেখার বিষয়।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   দলীয় কোন্দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলাতেও ভুল কৌশলে ব্যাকফুটে বিএনপি

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। 

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতোই অবস্থান গ্রহণ করেছিল। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বর্জন করবে এবং এই নির্বাচনে যারা অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। যেমন কথা তেমন কাজ। উপজেলা নির্বাচনে প্রথম দফায় ৭৩ জন বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ে নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ৬৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু বিএনপির এই বহিষ্কারাদেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা উপজেলা নির্বাচনে বহাল ছিলেন। 

প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর বিএনপির বহিষ্কৃত কোনো প্রার্থী নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আনেননি। নির্বাচনকে নিয়ে তাদের কোন প্রশ্ন ওঠেনি। স্থানীয় পর্যায়ের নির্বাচনে যে ধরনের সহিংসতা এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার কথা তেমন কিছু ঘটেনি। বরং উপজেলা নির্বাচন বা উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অন্যান্য স্থানীয় সরকার নির্বাচনের তুলনায় এবার উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। কিন্তু একেবারেই হতাশাজনক নয়। 

নির্বাচন কমিশন বলেছে, ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ ভোটার উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিচ্ছেন। প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচন বর্জনের পরও ৪০ শতাংশ ভোটার ভোট দেওয়াটা খুব একটা খারাপ দৃষ্টান্ত নয়। 

বিএনপি শুধু উপজেলা নির্বাচনে তাদের দলীয় প্রার্থীদেরকে নিরুৎসাহিত করেনি, ভোটারদেরকে ভোট বর্জনের জন্য  প্রচারণায় অংশ নিয়েছিল। বিএনপি বলেছিল যে, জনগণকে ভোট বর্জনের জন্য তারা উদ্বুদ্ধ করবে। কিন্তু বিএনপির এই ভোট বর্জনের প্রচারও না ফ্লপ করেছে। বিএনপির ভোট বর্জনের ডাকে সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি। কোনো কোনো উপজেলাতে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে দুই পক্ষের মধ্যে। সবকিছু মিলিয়ে নির্বাচন একেবারে নিষ্প্রাণ হয়েছে এমনটি বলা যাবে না। এই নির্বাচন আরও ভালো হতে পারতো যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতো। কিন্তু বিএনপির অংশগ্রহণ ছাড়াও যে ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে গেছেন এবং নির্বাচন সফল ভাবে সম্পন্ন হয়েছে এটা বিএনপির জন্য একটা বড় পরাজয়। তার চেয়ে বিএনপির বড় পরাজয় যে, দলের শৃঙ্খলা এখন ভেঙে পড়েছে। দলের নির্দেশনা মানছেন না বিদ্রোহীরা। এটি ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে যাবে বলেই অনেকে মনে করছেন। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে ভোট বর্জনের প্রচারণা সেই প্রচারণায় জনগণ সাড়া দেয়নি। তাহলে উপজেলা নির্বাচনের ভুল কৌশল কি বিএনপিকে আরও এক ধাপ নিচে নামিয়ে দিলো?


উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৫:১১ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাজ্যের ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মেরি ট্রেভেলিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

বুধবার (৮ মে) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের বাসভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুকও অংশ নেয়।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোয়া এক ঘণ্টার ওই বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন।


যুক্তরাজ্য   পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নোয়াখালীতে হেরে গেলেন কাদের

প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ  এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী। 

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে এক ধরনের অস্বস্তি এবং টানটান উত্তেজনা ছিল। নোয়াখালী রাজনীতিতে একরামুল করিম চৌধুরীকে মনে করা হয় ওবায়দুল কাদেরের প্রতিপক্ষ। একরামুল করিম চৌধুরী একবার ওবায়দুল কাদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং একরামুল প্রার্থী হওয়ার কারণেই ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। 

আওয়ামী লীগের অনেকে মনে করে, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয় স্বজনরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না- এই অবস্থানটি নেওয়ার পিছনে নোয়াখালীর রাজনীতি কাজ করেছে। এই নির্বাচনে যেন শেষ পর্যন্ত অধ্যক্ষ সেলিম বিজয়ী হন সেজন্য বিভিন্ন রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের চেয়েছিলেন নোয়াখালী জেলার সভাপতি যেন বিজয়ী হন। আর এই কারণেই শাবাব চৌধুরীকে নির্বাচন থেকে বসানোর জন্য চেষ্টা তদবির করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একরামুল করিম চৌধুরীর একগুঁয়েমির কারণে শাবাব চৌধুরী নির্বাচন থেকে বসেননি। বরং একরামুল করিম চৌধুরী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, সন্তান বড় হলে অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। 

একরামুল করিম চৌধুরী মুখে যাই বলুক না কেন, এই নির্বাচনে জেতানোর জন্য তিনি এবং তাঁর স্ত্রী মরিয়া চেষ্টা করেছেন। একরামুল করিম চৌধুরী যেমন নোয়াখালী- আসনের এমপি, তেমনই তাঁর স্ত্রী কবিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। স্বামী-স্ত্রী মিলে সন্তানকে রাজনীতিতে অভিষিক্ত করার এক মরণপণ লড়াই করেছিলেন এবং এই লড়াইয়ে অবশেষে গতকাল ৭০৩ ভোটের ব্যবধানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে পরাজিত করেছেন শাবাব। এটির ফলে নোয়াখালীতে একরামুল করিম চৌধুরীর কর্তৃত্ব আরও বেড়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যেহেতু কবিরহাট এবং সুবর্ণচর দুটি উপজেলার চেয়ারম্যানের পদ তাঁর দখলে এবং তিনি নিজে এমপি। নোয়াখালীর রাজনীতিতে তাঁর আগে থেকেই প্রভাব রয়েছে। আর এ কারণেই অনেকে মনে করছেন যে, এই নির্বাচনের মাধ্যমে আসলে ওবায়দুল কাদেরকে হারিয়ে দিলেন একরামুল করিম চৌধুরী।

তবে ওবায়দুল কাদেরের সমর্থকরা বলছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান কে হলো না হলো তাতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কিছু যায় আসে না। তিনি এই নির্বাচনে কারও পক্ষেও ছিলেন না আবার কারও বিপক্ষেও ছিলেন না। বরং তিনি চেয়েছিলেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে যেন জনগণ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলের এই বিজয় নোয়াখালীর রাজনীতিতে একটি বড় ধাক্কা বলেই নিরপেক্ষ বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

নোয়াখালী   ওবায়দুল কাদের   একরামুল করিম চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডিএমপিতে বিএনপির তিন নেতা

প্রকাশ: ০৩:২৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি ঘোষিত সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে আলোচনার জন্য ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়েছে দলটির প্রতিনিধি দল। এ নিয়ে বিকেলে সিদ্ধান্ত জানাতে পারে ডিএমপি।

আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, কর্মসূচির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত সমস্যা থাকবে না। তাই সেদিন সমাবেশ ও মিছিল করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। ডিএমপি এ বিষয়ে ইতিবাচক এবং সমাবেশে তারা সার্বিক সহযোগিতা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি বলেন, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে। সমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঈদের পর গত এপ্রিলে এই সমাবেশ করার কথা ছিল। কিন্তু তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে যায়।

ডিএমপি   বিএনপি   বিক্ষোভ মিছিল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন