নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০৬ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
শর্তসাপেক্ষে আগামীকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা করার শর্তেই বিএনপিকে এই অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আজ পুলিশের আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আইজিকে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চান যেকোনো রাজনৈতিক দল যেন জনসভা করার অনুমতি পায়। এখন পুলিশের পক্ষ থেকে শর্তসাপেক্ষে বিএনপিকে জনসভা করার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা হচ্ছে। সরকার দেখতে চায় বিএনপি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে কিনা।
এর আগে আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছ থেকে অনুমতি না পেয়ে আগামীকাল রোববার জনসভা করার জন্য অনুমতি চায় বিএনপি। তবে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দিতে দ্বিধান্বিত ছিল পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির জনসভা বিষয়ে পুলিশ অনুসন্ধান করেছে এবং আশঙ্কা করছে, জনসভার নামে বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি এবং জনগণের নিরাপত্তার হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সমাবেশ। বিশেষ করে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা যে ধরনের মন্তব্য দিচ্ছেন তাতে পুলিশ মনে করছে, জনসভার নামে বিএনপি রাজনৈতিক সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। এসব কারণে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দিতে পুলিশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিল পুলিশ।
জানা গেছে, আজ শনিবার এই বিষয়ে পুলিশ প্রধান আইজি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর সঙ্গে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, ঢাকা মহানগর পুলিশ এই জনসভার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাতে পারছে না। কারণ তাদের কাছে খবর আছে, এই জনসভার মাধ্যমে বিএনপি ঢাকার অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করতে পারে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক লোকজন ঢাকায় নিয়ে এসে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চালানো হতে পারে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আজ আইজির সঙ্গে দেখা করে কোনো রাজনৈতিক দলের জনসভার অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথা বলেন। সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনুমতি দিয়ে দেখুন তারা (বিএনপি) শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করে কিনা। অরাজকতার চেষ্টা করা হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
এরপরই ডিএমপির পক্ষ থেকে বিএনপিকে জনসভা অনুমতি দেওয়া বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখা গেছে। এর মাধ্যমে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে দলটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে পারে কিনা।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি
মন্তব্য করুন
নোয়াখালী ওবায়দুল কাদের একরামুল করিম চৌধুরী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের নোয়াখালীতে মর্যাদার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরীকে পরাজিত করে সেখানে গতকাল নির্বাচিত হয়েছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক ওরফে সাবাব চৌধুরী।