নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০০ পিএম, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
সরকার বিরোধী নবগঠিত রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যাপারে গত কয়েকদিনে দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপির ভালোই উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসাতেও বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদরা বৈঠক করেছেন। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, শুরুতে দলটি জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে আগ্রহী থাকলেও ধীরে ধীরে এই ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি।
বর্তমানে জাতীয় ঐক্যের চেয়ে নিজেদের দীর্ঘদিনের পুরনো রাজনৈতিক জোট ২০ দলীয় জোটকে আরও কার্যকরী করে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং আন্দোলনমুখী করার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছে তারা। কারণ বিএনপির নেতারা পর্যবেক্ষণ করে বুঝতে পেরেছেন, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যত গর্জে তত বর্ষে না। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বড় বড় বিবৃতি দেন, বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন কিন্তু জনগণের মধ্যে এদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির বর্তমান অবস্থা যাই হোক না কেন, ঢাকার বাইরে বিএনপি অত্যন্ত শক্তিশালী একটি দল। ২০১৪ সালের আন্দোলনে ঢাকার বাইরে উল্লেখ করার মতো একটি শো ডাউন করতে পেরেছিল দলটি। কিন্তু তৃণমূলের শক্তির দিক থেকে জাতীয় ঐক্য, যুক্তফ্রন্ট বিএনপির একেবারে বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। ঢাকার বাইরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছে এই দলগুলোর কোনো অস্তিত্বই নেই। তাই বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরা যখন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যাপারে আপত্তি করেছে তখন বিএনপি এই ব্যাপারে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপি উপলব্ধি করেছে, সুশীল সমাজ ও টেলিভিশনের টকশোতেই কেবল জাতীয় ঐক্য কিংবা যুক্তফ্রন্টের মতো দলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দলগুলো খুবই দুর্বল। ফলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে শুরুতে বিএনপির যে উচ্ছ্বাস ছিল তাতে এখন অনেকটাই ভাটা পড়েছে বলে জানিয়েছে বিএনপির একাধিক সূত্র।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
কাউন্সিল বিএনপি তারেক জিয়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেগম খালেদা জিয়া
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
চার ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত (তৃতীয় ধাপ) ২০৪ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করা হয়।
এরমধ্যে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৫৫ নেতাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। আর প্রথম ধাপে ভোটের জন্য ৮০ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৬৯ জনকে বহিষ্কার করে দলটি।
বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে উপজেলাসহ কোনো নির্বাচনে অংশ না নিচ্ছে না বিএনপি। গত ১৬ এপ্রিল দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ হাসিনার সরকার ও তার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ নেই। তাই উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না দল।
দেশে চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপে ১৩৯টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়। এই ধাপের নির্বাচনে বিএনপির বহিষ্কৃত ৭ জন চেয়ারম্যান পদে, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করে বলেও জানা যায়।
দ্বিতীয় ধাপের ১৬১টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে ২১ মে। তৃতীয় ধাপে ১১২টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুন।
মন্তব্য করুন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরে যেতে পারেন এমন গুঞ্জন রয়েছে। তিনি জেল থেকে বেরিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাসচিবের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। বেগম খালেদা জিয়া এই বিষয়টি নিয়ে তাকে লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে তারেক জিয়া এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দেননি বলে জানা গিয়েছে। বরং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদেরকে তারেক জিয়া জানিয়েছেন, কাউন্সিলের আগে বিএনপিতে নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়। তবে বিএনপির কাউন্সিল কবে, কীভাবে হবে- এ সম্পর্কে কোন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলন শুরু করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে দীর্ঘ দিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি। তারা সাম্প্রতিক সময়ে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে। তবে এসব বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলা হলেও বিএনপি এখন পর্যন্ত সরকার বিরোধী কোন জোট করতে রাজি নয়। ২০ দলীয় জোট আনুষ্ঠানিকভাবে ভেঙে যাওয়ার পর বিএনপি এখন পর্যন্ত জোটগত ভাবে কোন আন্দোলন করেনি। তবে বিভিন্ন সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা সম্পর্ক রেখেছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তারা যুগপৎ আন্দোলন করেছিল। এখন আবার নতুন করে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে এই সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো বিএনপির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে না।