ইনসাইড পলিটিক্স

মাঠ দখলের লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গতকাল রোববার সমাবেশ করল বিএনপি। ওই সমাবেশে দলটির শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন। সবাবেশ থেকেই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আজ পয়লা অক্টোবরও বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানিয়েছিলেন। কিন্তু আজ বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেই মাঠে পাওয়া যায়নি। দেখা মেলেনি দলটির সিনিয়র নেতাদেরও। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, আগের দিনের জনসভা করে নেতারা সবাই ক্লান্ত। পার্টি অফিসেও শীর্ষ নেতাদের তেমন একটা দেখা যায়নি। বক্তব্য ও সংবাদ সম্মেলন করে নিয়মিত মিডিয়ায় থাকেন- বিএনপির এমন নেতাদের মধ্যে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকেই শুধু পার্টি অফিসে পাওয়া গেছে। বিএনপি ঘোষণা দিয়ে মাঠে না থাকলেও আজ সকাল থেকেই মাঠে দেখা গেছে আওয়ামী লীগকে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আজ আওয়ামী লীগের নেতারা জনসংযোগ চালিয়েছেন। জনসংযোগ হয়েছে রাজধানীর বাইরেও। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের বিস্তারিত তুলে ধরে জনগণকে আবার এই সরকার আনার আহ্বান জানিয়েছেন দলের নেতারা। এসব জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে রাজধানীর রাজনীতির মাঠ মোটামুটি গরম রেখেছে আওয়ামী লীগ। আর ধারাবাহিক কর্মসূচির কারণে চাঙ্গা আছে নেতাকর্মীরাও।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, আমরা জনসংযোগ অব্যাহত রাখবো। এখন থেকে নিয়মিত ভাবেই রাজধানীজুড়ে জনসংযোগসহ আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশ অব্যাহত থাকবে।

আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী ১০ অক্টোবর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়। এই রায় নিয়ে বিএনপি জামাত দেশে একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। সেই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যই মাঠ দখলে রাখতে চান তারা। 

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়কে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এমন ধারণা থেকেই আগামী ১০ অক্টোবর রাজধানীতে বড় আকারের শো ডাউনের কথা ছিল বিএনপিরও। সর্বশেষ বড় পরিসরে বিএনপি শো-ডাউন করেছে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় হয়। মামলার আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে নেওয়ার মুহূর্তে শো-ডাউন করে বিএনপি। তবে এরপরও পুলিশি প্রহরায় বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতে নেওয়া হয়। আদালতের রায়ে দণ্ডিত হলে ওই দিন থেকেই কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। চলতি মাসের তাঁর কারাবাসের ৮ মাস পূরণ হচ্ছে। বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, ১০ অক্টোবরে ৮ ফেব্রুয়ারি চেয়েও বড় শো-ডাউন করতে চেয়েছিল বিএনপি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিএনপির নূন্যতম শো-ডাউন করতে পারবে কিনা তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিএনপির শো-ডাউন হওয়া নিয়ে সংশয় মূলতঃ জামাতের কারণে। পূর্বে বিএনপির শো-ডাউনগুলোতে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের একটি বড় অংশই ছিল জামাতের। অনেকের মতে, সরকারের না থাকলে বিএনপির কর্মীদের মাঠে পাওয়াই যায় না। কিন্তু সম্প্রতি কয়েকটি কারণে জামাত ও এর নেতাকর্মীদেরও পাশে পাচ্ছে না বিএনপি।

সম্প্রতি জামাতকে একপ্রকার ত্যাগ করেই ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেয় বিএনপি। বিএনপির নেতারা বলেছিলেন, বৃহত্তর স্বার্থেই তারা ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাচ্ছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করছেন। আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপি জামাত ত্যাগ না করলেও দলের নেতাদের মতিগতির কারণে জামাত-বিএনপির মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণেই সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতে জামাতের কর্মীদের তেমন একটা দেখা যায় না। গতকাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশেও জামাতের কর্মীদের তেমন চোখে পড়েনি। জামাতের নেতারা আক্ষেপ করে বলেন, আমরা জীবন দেই, আমরা রাস্তার আন্দোলন করি, আর আমাদেরই পাত্তা নাই।

জামাত ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, আগামী ১০ অক্টোবর বিএনপি পরিকল্পিত শো-ডাউন নিয়ে জামাত অনেকটাই নিঃস্পৃহ। সেখানে জামাতের কর্মীদের অংশগ্রহণের আপাতত কোনো সম্ভাবনা নেই।

অপরদিকে, বিএনপির মাঠ গরম করার কর্মীরা, যাঁদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মামলা আছে, সেই মামলাগুলো আবার সচল করছে সরকার। এর ফলে গ্রেপ্তার হচ্ছেন তাঁরা। এরই মধ্যে মামলার আসামি এমন অনেক বিএনপির নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। আর গ্রেপ্তারের ভয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন অনেকে। আগামী শো-ডাউনে তাঁদেরও মাঠে পাচ্ছে না বিএনপি।

এছাড়া, ৩০ তারিখ পর্যন্ত সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়েছিল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। বলেছিল, এরপর তারা কর্মসূচি দেবে। কিন্তু ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই প্রধান নেতাই ইতিমধ্যে পিছুটান দিয়েছেন। ১০ অক্টোবর যে ঐক্য প্রক্রিয়াকেও পাশে পাচ্ছে না, তাও ইতিমধ্যে বুঝে গেছেন বিএনপি নেতারা। 

আর এসব কারণে ১০ অক্টোবর বিএনপির শো-ডাউনের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসছে।

অপরদিকে, গত কয়েকদিন ধরে রাজধানী জুড়ে নানা সমাবেশ, ১৪ দলের সমাবেশ এবং সর্বশেষ আজ দিনব্যাপী রাজধানীর বিভিন্ন অংশে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে ঢাকার নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই নিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর রাজধানী ব্যাপী কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ঢাকায় বিএনপির কোনো কর্মসূচি করা কঠিন হয়ে পড়বে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, ১০ অক্টোবর রায় হয়ে গেলে, রাজনৈতিক গতিপথ স্পষ্ট হবে। ওই সময় বড় কিছু করতে না পারলে নির্বাচনের সড়কই ধরবে বিএনপি।

বাংলা ইনসাইডার/জেডএ



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ওবায়দুল কাদেরকে রিজভীর পাল্টা প্রশ্ন

প্রকাশ: ০৪:৩৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এবার পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ‘ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত ২ নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে রিজভী বলেন, এক মর্মান্তিক পরিস্থিতির মধ্যে দেশের মানুষ দিন অতিক্রম করছে। এখানে জীবন ও সম্পদের কোনো নিরাপত্তা নেই। জনগণের মনোভাব ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য সরকার একের পর এক পন্থা অবলম্বন করছে। মধুখালীতে শ্রমিকদের পিটিয়ে হত্যা এটি একটি পন্থা। এরা মানুষকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে না। এরা মানুষের লাশ ও রক্তপাতের ওপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভালোবাসেন।

আওয়ামী লীগ গোটা জাতিকে একটি গোরস্তান বানানোর প্রক্রিয়ায় লিপ্ত উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আজ লাশ হচ্ছে জীবন্ত মানুষ। তার একটি ঘটনা মধুখালীতে। সরকার তার বহুমুখী ব্যর্থতা ঢাকতেই একের পর নাটক করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, শুধু ব্যাংক থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গেছে। এটা আমার বক্তব্য না। এটা সিডিপির বক্তব্য। আমাদের জিডিপি ১২ শতাংশ নাই হয়ে গেছে। ৯২ হাজার কোটি টাকা শুধু ব্যাংক থেকে লোপাট হয়ে গেছে। লোপাটকারী সবাই ক্ষমতাসীন দলের লোক ও আত্মীয়-স্বজন।

রিজার্ভ থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলার উধাও করে দেওয়া হয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, এখন তলানিতে রিজার্ভ। সরকার বলছে, ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। অথচ যারা সচেতন মানুষ তারা বলছেন ৭ থেকে ৮ বিলিয়ন ডলার আছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতের ঋণ পরিশোধ করতে ৪ বিলিয়ন ডলার যাবে।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।

আওয়ামী লীগ   সাধারণ সম্পাদক   ওবায়দুল কাদের   রুহুল কবির রিজভী  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতা ইশরাক কারাগারে

প্রকাশ: ০৪:০৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (১৯ মে) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আস-সামছ জগলুল হোসেন আদেশ দেন।

মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন ইশরাক। আজ আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন বর্ধিত করার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তার জামিন বাড়ানোর আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।


নাশকতা   মামলা   বিএনপি   ইশরাক   কারাগা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

‘‌‌‌‍‍‍‍ব্যাংকে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?’

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে কেন’-আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেছেন, ব্যাংকে সাংবাদিক ঢুকবে না, তাহলে কী মাফিয়া, মাস্তান, ঋণ খেলাপিরা ঢুকবে?

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের কাছে তিনি প্রশ্ন রাখেন। এসময় গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় মধুখালী উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের কালী মন্দিরে আগুনের ঘটনায় হামলায় নিহত নির্মাণশ্রমিকের পরিবারকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়।

রিজভী আরও বলেন, যারা ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে সম্পদের মালিক হয়েছেন, দেশের বাইরে বাড়ি করেছেন তাদের কথা সাংবাদিকরা যেন না জানতে পারেন তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।


‘‌‌‌ব্যাংক   মাফিয়া   মাস্তান   ঋণখেলাপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ: জিএম কাদের

প্রকাশ: ০৩:৪৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। সামনের সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে। সে জন্যই সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটা সরকারের একটা গণবিরোধী সিদ্ধান্ত এবং যা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত। 

রোববার (১৯ মে) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউজে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে দুপুরে জিএম কাদের ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে যান। সেখান থেকে সরাসরি রংপুর সার্কিট হাউজে পৌঁছান। সেখানে জেলা প্রশাসক মোবাস্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলম চৌধুরী, মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মিয়াসহ প্রশাসনের পার্টির নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জিএম কাদের বলেন, সামনে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে। দেশের রিজার্ভ এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে, যা যাবৎ কালের সর্বনিম্ন।

তিনি আরও বলেন, সরকার যতই রির্জাভের কথা বলুক আসলে ১০ বিলিয়ন ডলারই আছে বলে আমার মনে হয় না। এসব আমাদের জন্য অশুভ সংকেত। দেশে টাকা নেই প্রতিদিন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। দেশে বিনিয়োগ আসছে না। যে অর্থ আসে তা বিদেশে চলে যাচ্ছে। ফলে ডলারের এবং দেশীয় টাকার চরম অবমূল্যায়ন হচ্ছে। দিন দিন টাকার ভ্যালু কমে যাচ্ছে।

জিএম কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অনেক বড় বড় কথা বলে। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে আমি রেসপেক্ট করি। কিন্তু তিনি যেসব কথা বলছেন এটা জনগণ আর বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ আগে জনগণকে ধারণ করলেও এখন তারা জনগণের ঘাড়ে চেপে বসেছে। আগে আওয়ামী লীগ একটা গাছের মতো ছিল। জনগণ যেখানে বিশ্রাম নিতো। এখন সেটা পরগাছা হয়ে গেছে। তারা দেশের জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।


দেশ   অর্থনৈতিক   জিএম কাদের  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল

প্রকাশ: ০৯:১৯ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল। সারা দেশেই বাড়ছে দলটির গৃহদাহ। দল পুনর্গঠন চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন ঘিরে দলীটির বিবাদ প্রকাশ্যে আসছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কেন্দ্রীয় নির্দেশ সবচেয়ে বেশি লঙ্ঘন করছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতারা। তাদের অনেকে এলাকায় গিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করতে গোপনে উসকে দিচ্ছেন স্থানীয় নেতাদের। ঢাকায় ফিরে তারাই আবার দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘনের দায়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে নিজেদের পথ প্রশস্ত করছেন। এতে পারস্পরিক সন্দেহ-অবিশ্বাস ঘনীভূত হচ্ছে।

দলের নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবরের দলীয় মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কারাগারে যাওয়া নেতাদের অনেকের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করছেন দলীয় অনেকে। নিয়ে দলের ভিতরে রয়েছে বিতর্ক। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের (অডিও-ভিডিও) ভিত্তিতে বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। অনেককে অঘোষিতভাবেওএসডিকরা হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রমের ক্ষেত্রে। নিয়ে ক্ষোভে কেউ কেউ রাজনীতি থেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ছেন। চলে যাচ্ছেন দেশ ছেড়ে।

এসব বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি মহাসাগরের মতো বিস্তৃত একটি বিশাল রাজনৈতিক দল। দলে নেতাদের মধ্যে কোনো বিষয়ে মতামত প্রদানের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে কোনো রকমের অভ্যন্তরীণ বিরোধ বা কোন্দল নেই।

জানা গেছে, সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি বিরোধ-কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে চলমান উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। এই নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বয়কটের পক্ষে নেতা-কর্মীদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সারা দেশে সাংগঠনিক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু বেশির ভাগ নেতাই তাদের নিজ নিজ এলাকায় সেই দায়িত্ব পালন করেননি। অনেকে এলাকাতেই যাননি। জেলা বিএনপির শীর্ষকর্তারাও তেমন কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং উল্লিখিত নেতাদের এলাকাতেই ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোটারের উপস্থিতি দেখা গেছে। নির্বাহী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত এসব নেতার দ্বৈত ভূমিকায় তৃণমূলের নেতারা ক্ষুব্ধ।


বিএনপি   অভ্যন্তরীণ   কোন্দল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন