নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২৯ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৮
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রোধে তথ্য অধিদপ্তর উপ-প্রধান তথ্য অফিসার রিফাত জাফরীনকে প্রধান করে ৯ সদস্যের ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’ গঠিত হয়েছে। চলতি মাস থেকেই এ সেল কার্যক্রম শুরু করবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’ এর কার্যক্রম নির্ধারণ ও সহযোগিতার কার্যকর বিষয়ক সভায় এসব কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা আশা করছি চলতি মাসেই ‘গুজব শনাক্তকরণ সেল’ এর কর্মকাণ্ড শুরু করে দেবে। প্রয়োজন হলে তথ্য অধিদপ্তরের এ সেলের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য আরও একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হবে।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ সেলের কাজ হচ্ছে কোনটি গুজব সেটা শনাক্ত করা। এ সেলটিকে কার্যকর করার জন্য প্রথমে নির্ধারণ করা হবে এ মহূর্তে অনলাইনে কোন গুজবগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছে সেটা নির্ধারণ করা। এগুলো আসলে গুজব কিনা সেটা নির্ধারণে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর লোকজন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে গিয়ে নিশ্চিত হবে।’
উক্ত সভায় এসময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
তিন দিনের সফর শেষে ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য
এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে তিনি ঢাকা ছাড়েন।
ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ
উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দেওয়া এক নৈশভোজে যোগ দেন।
তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন
বিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয়
বৈঠক করেন। ডোনাল্ড লু নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ টি টোয়েন্টি
জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের সঙ্গে ক্রিকেট প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন ডোনাল্ড লু।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মে তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসেন ডোনাল্ড লু।
মন্তব্য করুন
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর সদৃশ বস্তু বিস্ফোরণে ৩ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর বাজারে মোবাইল সার্ভিসিং’র দোকানে বিকট শব্দে বিস্ফোরনের ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় আহতরা হলেন, উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের তরং গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে মোবাইল মেকানিক আনোয়ার আলম এবং একই গ্রামের মৃত কফিল মিয়ার ছেলে নুরুল হুদা ও তার সহোদর আনিস মিয়া।
আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় আনোয়ার আলম ও নুরুল হুদাকে বুধবার (১৫ মে) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত আনিসকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত আনোয়ার আলমের ভাই মাহবুব আলম বাছির বলেন, ‘দোকানে শ্রীপুর গ্রামের মৃত ইসকন্দর আলীর ছেলে সাজু ছোট কলম আকৃতির দুটি বৈদ্যুতিক তার সংযুক্ত সিলভার রঙের একটি ইলেকট্রনিক্স সাদৃশ্য সামগ্রী নিয়ে আসে পাওয়ার চেক করার জন্য। প্রথমে আমার ভাই মাল্টিমিটারে বৈদুত্যিক তার দুটি পরীক্ষা করেন। এরপর এসি লোড টেষ্টারে ফের পাওয়ার চেক করার জন্য বৈদ্যুতিক তার দুটি সংযুক্ত করার সাথে সাথে বিকট শব্দে বিষ্ফোরন ঘটে আমার ভাই সহ সার্ভিসিং সেন্টার থাকা অপর দুই সহোদর গ্রাহক আহত হন।’
চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনের চুনাপাথর আমদানীকারকগণের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের চুনাপাথর খনিতে চুনাপাথর ভাঙ্গার জন্য সেখানকার রফতানীকারক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কোয়ারীতে এক ধরণের ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর (উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিষ্ফোরক) ব্যবহার করে থাকে। যেটি বুধবার সন্ধায় শ্রীপুর বাজারে বিস্ফোরিত হয়েছে সেটি ইলেকট্রনিক্স ডেটোনেটর হতে পারে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের নিকট বিষ্ফোরকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্যান্সিল ব্যাটারী জাতীয় কোন সামগ্রী যা পাওয়ার চেক করতে গিয়ে বিষ্ফোরণ ঘটে, এতে তিন জন আহত হয়েছেন।’
মন্তব্য করুন
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ‘এমভি
আবদুল্লাহ’ জাহাজটি নাবিকেরাসহ গত মঙ্গলবার (১৪ মে) দেশে ফিরেছেন। পরে বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা
সেরে জিম্মি হওয়া জাহাজটির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ জিম্মি দশার শেষ দিকের ঘটনা
ও বন্দিজীবনের কিছু তথ্য তুলে ধরেন।
ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘আমি আমার
এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে। জাহাজে ঈদের
নামাজের ধারণ করা ছবি বাইরে চলে যাওয়ায় দস্যুরা খেপে যায়। জাহাজের চিফ অফিসারের (আতিক
উল্লাহ খান) ক্যামেরায় ঈদের নামাজের ছবি ধারণ করা হয়েছিল। এ জন্য দস্যুরা অ্যাকশন নিতে
চেয়েছিল। বিষয়টি জানার পর দস্যুদের যে কমান্ডার ছিল, তাকে জড়িয়ে ধরে শান্ত করেছি। না
হলে ওদের কড়া নির্দেশ ছিল, চিফ অফিসারকে মারার জন্য। যে ক্যামেরা দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে,
সেটি দস্যুরা নিয়ে গেছে। ক্যামেরা আর ফেরত দেয়নি।’
জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে
আরব আমিরাতের বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের
কুতুবদিয়ায় নোঙর করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে
ফেরেন।
গত রোববার (১২ মার্চ) সোমালিয়ার দস্যুরা
ভারত মহাসাগর থেকে কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজটি জিম্মি করে। প্রায় এক মাস পর মুক্তিপণের
বিনিময়ে জাহাজটি ছেড়ে দেয় দস্যুরা। জাহাজটি মুক্ত হওয়ার পর সোমালিয়া থেকে আরব আমিরাতের
বন্দরে পণ্য খালাস ও নতুন পণ্য বোঝাই করে সোমবার জাহাজটি বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর
করে। সেখান থেকে আরেকটি ছোট জাহাজে করে মঙ্গলবার বিকেলে নাবিকেরা বন্দরে ফেরেন।
জিম্মি দশার শুরুর দিনগুলোর কথা তুলে ধরে ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘জিম্মি দশার
প্রথম দিন সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। ভীতসন্ত্রস্ত ছিলেন। যেহেতু আমরা কেউ আগে
এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হইনি। এ ধরনের অস্ত্রও দেখিনি। দস্যুদের হাতে ভারী অস্ত্রশস্ত্র
ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সব নাবিক ভীত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে
যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি।
এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এমন পরিস্থিতিতে দেখলাম, আমি যদি দুর্বল হয়ে
যাই তাহলে সব নাবিক মানসিকভাবে ভেঙে পড়বে। বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে। এটা হতে দিইনি।
এর ফলে আমরা অক্ষত অবস্থায় ফিরতে পেরেছি।
ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ
বন্দিজীবনের দিনগুলোর কথা তুলে ধরে
ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট বেশি ছিল না। পানির
মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের মানসিকভাবে দুর্বল করার
জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য করেছে।’
দস্যুদের হাতে বন্দী থাকার দিনগুলোয়
কীভাবে নাবিকেরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন,
‘আমাদের ইন্টারনেট চালু ছিল। স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম অন ছিল। ডিসপ্লে বন্ধ করে সব চালু
রেখেছিলাম। এটা দস্যুদের আমরা বুঝতে দিইনি। এভাবে আমরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম।’
সত্যিকার অর্থে জাহাজে খাবারের সংকট
বেশি ছিল না। পানির মজুত ছিল। তবু আমরা পানির সংকটের কথা বেশি করে বলেছি। দস্যুদের
মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য এটা কৌশল ছিল। আপনারাও প্রচার করেছেন। এটা আমাদের সাহায্য
করেছে।
খুব দ্রুত জিম্মি দশার অবসান হওয়ায়
কেএসআরএম গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ শাহজাহান, তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি নাবিকদের
পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানান ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদ। তিনি বলেন, বন্দিদশার সময় নানা পর্যায়ে
সরকার যেভাবে সহযোগিতা করেছে, তা ভোলার নয়।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে নতুন করে নাবিকদের
২৩ জনের দল যোগদান (সাইন ইন) করেছে। জাহাজের কর্ম থেকে অব্যাহতি (সাইন অফ) নিয়েছেন
দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে দেশে ফেরা ২৩ নাবিক। আবার সাগরে যাবেন কি না কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
কী—জানতে চাইলে ক্যাপ্টেন বলেন, ‘আমি আমার এ পেশাকে অত্যন্ত ভালোবাসি। পছন্দ করি। যদি
সুস্থ থাকি, আবার যাব সমুদ্রে।’
এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ান জলদস্যু
মন্তব্য করুন
যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৬জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার (১৫ মে) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫) ।
তাদেরকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। উল্লেখ্য আগামী ২১ মে যশোরের শার্শা উপজেলায় নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,প্রায় ৩/৪ মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমান সহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার (১৫ মে) ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান উক্ত দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহারাব হোসেনের পক্ষে নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়।
এসময় তিনি উক্ত দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষনা করেন।
এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয় টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলী সহ আরো ১০/১২ জনের একটি বাহিনী লাঠি ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিম এর দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সয্য করতে না পেরে তারা আমাদের উপর আতর্কিত হামলা চলিয়ে আমি সহ আমার ৫/৬ জন নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।’
নাভারন সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, ‘এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
উপজেলা নির্বাচন নির্বাচনী অফিস সংঘর্ষ
মন্তব্য করুন
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে সহযোগিতাকারীদের ‘পিটিয়ে লম্বা করে দেওয়ার নির্দেশ আছে’ বলে হুমকি দিয়েছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার।
মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে একটি নির্বাচনি সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন- “যারা তাদের সহযোগিতা করে আগে তাদের পিটাইয়া লম্বা করেন। একদম সোজা করে পিডান। এটা আমাদের বহু উপরের নির্দেশ, এটা অনেক উপরে আলোচনা হইছে।”
গোলাম সারওয়ার কুমিল্লা-১০ (কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, লালমাই ও নাঙ্গলকোট) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের ছোট ভাই। তিনবারের উপজেলা চেয়ারম্যান সারওয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর বাজারে নিজের কাপ-পিরিচ প্রতীকের পথসভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন তিনি। তার এই বক্তব্যের ভিডিও সোশাল মিডিয়াতেও ছড়িয়েছে। সেখানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তাকে বলতে শোনা যায়, “যার যা আছে তা নিয়ে আপনারা প্রস্তুত হন। সাড়ে তিন হাইত্যা লাডি, আড়াই হাইত্যা লাডির চেয়ে বড় কোনো অস্ত্র অইতে পারে না। এডা আরম্ভ করেন, দেখবেন সব দালালের দালালি বন্ধ হয়ে যাবে। সব সোজা হয়ে যাবে।”
এসব বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী গোলাম সারওয়ার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “হ্যাঁ আমি এসব বলেছি। সমস্যা কী? এতে কি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে? আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। প্রতিনিয়ত আমার নেতাদের হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আত্মরক্ষার্থে আমি এসব কথা বলেছি।”
২১ মে দ্বিতীয় ধাপে কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন।
হেলিকপ্টার প্রতীকের আবদুল হাই বাবলু কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের টানা তিনবারের ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বাবলু কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী। অপর চেয়াম্যান প্রার্থী হলেন- ব্যবসায়ী ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ আক্তারুজ্জামান রিপন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, “একটি অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি প্রার্থীরা এমন কোনো বক্তব্য দেবেন না- যাতে করে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নষ্ট হয়।”
মন্তব্য করুন