নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য যে জনগণকে কৃতিত্ব দেন সেটা সবারই জানা। তিনি তাঁর সব পুরস্কার, সব অর্জন জনগণের নামেই উৎসর্গ করেন বলা যায়। কারণ তাঁর কাছে মনে হয় এটা জনগণের অর্জন, জনগণের বিজয়। কারণ এই জনগণই তাকে দায়িত্ব দিয়েছে দেশ সেবার জন্য।
সম্প্রতি কিছু টেলিভিশন বিজ্ঞাপন আমাদের চোখে পড়ছে। সেখানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ যাবতীয় অর্জনকে নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, শর্টফিল্ম তৈরি হচ্ছে। সেখানে তাঁর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক সবার সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। আর শেষে বলা হচ্ছে ‘ধন্যবাদ প্রধানমন্ত্রী’ বা ‘থ্যাংক ইউ পিএম’। প্রশ্ন হলো, এই সব অর্জন কি প্রধানমন্ত্রীর একার? জনগণ কি তাঁর সঙ্গে নেই?
আমাদের সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের মালিক হলো জনগণ। এই জনগণের প্রতিনিধি হিসেবেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। সেই দায়িত্ব পালনের হাত ধরেই তাঁর এত অর্জন আর সাফল্য।
বাংলাদেশের এত উন্নতি-অগ্রগতির নেতা অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন। জনগণ তাঁকে সমর্থন জুগিয়েছে বলেই এগুলো সম্ভব হয়েছে। তাই একে তিনি জনগণের অর্জন বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই সাফল্য প্রধানমন্ত্রীর একার নয়, সবার।
তবে সব যুগে যুগে এমন কিছু স্তাবক বা তেলবাজের উদ্ভব হয়েছে যারা সবসময়েই জনগণের সামগ্রিক অর্জনকে ব্যক্তির অর্জন হিসেবে দেখে। বলা যায় এর ভাবমূর্তিটাকেই নষ্ট করে দেয়। সাম্প্রতিক সময়ের প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি দিয়ে করা বিজ্ঞানপনগুলো এমনই কিছু স্তাবক-তেলবাজদের মস্তিস্কপ্রসূত।
শেখ হাসিনার কাছে শান্তির দর্শন মানে হলো জনগণের ক্ষমতায়ন। এই ক্ষমতায়ন ২০১২ সালে জাতিসংঘেই সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে। এই দর্শনের ভিত্তিতেই তিনি দেশ পরিচালনা করছেন। যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী মনে করেন যে জনগণের ক্ষমতায়নের ফলেই জনগণ সবকিছুর মালিক, সেখানে এসব অতি চাটুকাররা কীভাবে সব অর্জনের ভাব একা প্রধানমন্ত্রীকে দেন সেটা আমাদের সাধারণের বোধগম্য নয়। তবে এটা সহজেই বোধগম্য এরা নিজেদের আখের গুছাতে প্রধানমন্ত্রীর স্তুতি গাইতে গিয়ে তাঁকেই অপমানিত করছেন দেশবাসীর কাছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।