ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ ও মার্কিন রাজনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ১৯ অক্টোবর, ২০১৮


Thumbnail

‘যে রাজনৈতিক দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে আমার সহকর্মী যাচ্ছিলেন, তা শেষ হতে চলেছে।’ ১৯৯৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর এমন মন্তব্যই করেছিলেন মার্কিন রাজনীতিবিদ মার্ক হ্যাটফিল্ড। যে সহকর্মীর বিষয়ে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন তিনি হলেন ওরেগনের সিনেটর বব প্যাকউড। আর হ্যাটফিল্ড যে বিষয়টিকে দুঃস্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তা হলো, সিনেটের এথিক্স কমিটির একটি তদন্ত প্রক্রিয়া। ১৯৬০ সাল থেকে প্যাকউড তার অধস্তন বেশ কয়েকজন নারীকে যৌন নিপীড়ন  করেছেন বলে ওই তদন্তে উঠে এসেছিল। এর জের ধরে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। তিন বছর ধরে এথিকস কমিটির সঙ্গে লড়াই চালিয়েছিলেন তিনি। অপকর্মের প্রমাণ নষ্টেরও অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে সিনেট কমিটির সামনে তাকে বিভ্রান্ত মনে হতো। স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কারণে সিনেটরদের প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাদের কেউই যৌন হয়রানির শিকার নারীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেননি।

প্যাকউড পদত্যাগের পর বহু বছর পেরিয়ে গেছে। অন্য সবকিছুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সামাজিক এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর অভিযোগের পর ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ ভাইরাল হয়ে গেছে। যৌন হয়রানির জের ধরে কংগ্রেসের নয়জন সদস্য পদত্যাগ করেছেন কিংবা নির্বাচনের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। স্ত্রীর ওপর নির্যাতনের অভিযোগে হোয়াইট হাউসের দুজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। নারী কেলেঙ্কারির জের ধরে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস নির্বাচনের তিনজন প্রার্থীর প্রচারনা বন্ধ হয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সর্বত্র পরিবর্তন আসলেও দেশটির রাজনীতিতে এর প্রভাব অসমভাবে পড়ছে বলেই দেখা যাচ্ছে। রিপাবলিকানরা এখনো প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুগত, যিনি বেশ কিছু যৌন কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। অন্তত ১৯ জন নারী তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধ যৌন সম্পর্কের অভিযোগ তুলেছেন। শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই নন, তাঁর মনোনীত বিচারপতি ব্রেট কাভানার বিরুদ্ধেও রয়েছে যৌন হয়রানির অভিযোগ। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এই বিচারপতি অন্তত চারজন নারীকে যৌন নিপীড়ন করেছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

হার্ভে ওয়েইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের ভয়ঙ্কর অভিযোগের মাধ্যমে #মিটু আন্দোলন শুরু হয়েছিলো। কিন্তু ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর ওই আন্দোলনের আগুনে পেট্রোল পড়ে বলে মনে করা হয়। গত বছরের ২১ জানুয়ারী ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশে লাখ লাখ মানুষ ‘উইমেন্স মার্চে’ অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসে। ওই পদযাত্রায় অংশ নেওয়া অনেকেই বলেন, নির্বাচনে বড় একটি দলের প্রথম নারী প্রার্থীর পরাজয় দেখাটা অবশ্যই দুঃখজনক ছিল। তবে এমন একজন প্রার্থীর কাছে তাঁর হেরে যাওয়াটা সত্যিই গ্লানিকর যিনি বহুবার বহু নারীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছেন।

আশার কথা এটাই যে, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। এবছর মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে ডেমোক্রেটসদের অর্ধেক প্রার্থীই নারী। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এমনটা ঘটল। এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের ২৭ শতাংশ প্রার্থী ছিলেন নারী। অন্যদিকে রিপাবলিকানদের এই হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ। ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়েও বেশ কয়েকজন নারী অংশ নেবেন এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ডেমোক্রেটিক দলে নারীদের ভীড় বাড়লেও রিপাবলিকানদের ক্ষেত্রে ঘটছে উল্টোটা। দলটি থেকে বেশকিছু নারী সদস্যের প্রস্থানের ঘটনা ঘটেছে। এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচন ইতিমধ্যেই রিপাবলিকানদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ২০১৬’তে বেশকিছু অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ট্রাম্প জয় পেয়েছিলেন। কিন্তু নভেম্বরের কংগ্রেস নির্বাচন এবং ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেতে হলে রিপাবলিকানদের অবশ্যই সমর্থক বাড়ানোর দিকে জোর দিতে হবে। যদিও আগামী দুই নির্বাচনে রিপাবলিকানরা নারী ভোটার বিশেষ করে শিক্ষিত ও অশেতাঙ্গ নারীদের ভোট হারাতে যাচ্ছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।

বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ ভোটারই মিটু ইস্যু নিয়ে দলগুলোর অবস্থানের বিষয়টি বিবেচনা করে। রিপাবলিকানরা এক্ষেত্রে বেশকিছু সুযোগ হারিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। গতবছর মি টু আন্দোলন জোরদার হওয়ার পরে ডেমোক্রেটরা যৌন হয়রানি ইস্যুতে তাদের দলীয় সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেনকে পদত্যাগ করতে চাপ দিয়েছিল। কিন্তু রিপাবলিকানরা ঠিক উল্টো কাজই করেছে। অ্যালবামার সিনেটর প্রার্থী রয় মুরের বিরুদ্ধে কিশোরীদের যৌন নির্যাতনের একাধিক অভিযোগ থাকার পরও দল তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। 

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বরাবরই যৌনতার দায়ে অভিযুক্তদের পক্ষে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন বলে দেখা গেছে। এই তালিকায় রয় মুর ছাড়াও রয়েছে রব পোর্টার এবং বিল ও’রিলি। রব পোর্টারের বিরুদ্ধে স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে বিল ও’রিলি যৌন হয়রানির অভিযোগে ফক্স নিউজ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। বিল শাইনও বেশকিছু অবৈধ কাজের জের ধরে ফক্স নিউজ ছেড়েছিলেন। পরবর্তীতে ট্রাম্প তাকে হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেন।

বিচারপতি ব্রেট কাভানার বিষয়েও ট্রাম্প তাঁর নীতিতে অটল ছিলেন। কাভানার পক্ষ নেওয়ার পাশাপাশি অভিযোগকারীদের নিয়েও ঠাট্টা- বিদ্রুপ করেছেন তিনি। দুঃখজনকভাবে তাঁর দলও অনেকটা একই নীতি গ্রহণ করে। রিপাবলিকান সিনেটররা কাভানিকে ভোট দিয়ে তাঁর নিয়োগ চুড়ান্ত করে।  

অনেকেই যৌন হয়রানিকে অপরাধ বলে মনে করেননা। নর্থ ডাকোটার সিনেটর পদপ্রার্থী কেভিন ক্রামার একে শুধুমাত্র একটি প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন, যেটা বাস্তবে ঘটেনি। ফ্লোরিডার কংগ্রেস প্রার্থী গিনা সোসা আবার বিষয়টিকে খুবই হালকাভাবে নিচ্ছেন। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘হাই স্কুলের এমন কোন ছেলে আছে যে এসব করেনি?’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে রিপাবলিকান রাজনীতি আদর্শচ্যুত হয়ে ক্রমেই ক্ষমতাকেন্দ্রিক হয়ে পড়ছে। তিনি বারবার কেন অভিযুক্তদের পক্ষ নিচ্ছেন এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন অনেকেই। তারা জানতে চাচ্ছেন, প্রেসিডেন্ট কেন বিচারপতি হিসেবে কাভানার প্রার্থীতা বাতিল করে রক্ষণশীল অ্যামি কনি ব্যারেটকে মনোনয়ন দিলেন না। এর উত্তরও অবশ্য রয়েছে। ট্রাম্প কাভানার প্রার্থীতা বাতিল করলে সেটা একটি আদর্শকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করত যে, যৌন হয়রানির অভিযোগে কোন প্রার্থীকে নির্বাচনে অযোগ্য করা যেতে পারে। আর এ বিষয়টি বুমেরাং হয়ে ট্রাম্পের দিকেই ফিরে আসত। কেননা অবৈধ যৌনতার বহু অভিযোগ থাকার পরও তিনি এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড তাঁর সাম্প্রতিক বইয়ে ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস সম্পর্কে অনেক তথ্যই ফাঁস করেছেন। বইটিতে তিনি প্রেসিডেন্টের একটি বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। ট্রাম্প যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত এক বন্ধুকে পরামর্শ দিয়েছেন, ‘অবৈধ যৌনতার অভিযোগ উঠলে সবসময় তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং ওই নারীদের আক্রমণ করে যাবে। যদি কখনো অভিযোগ স্বীকার করে নাও, তার মানে হচ্ছে, তুমি শেষ।’ একজন প্রেসিডেন্টের এমন মানসিকতা সত্যিই লজ্জাজনক।  এই মানসিকতার কারণে মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পরাজয় ঘটলে তা দলটি থেকে ট্রাম্পিজমের বিদায়ের পথও তৈরি করতে পারে। শক্তিধর ট্রাম্প এ বিষয়টি ভুলে যাচ্ছেন বলেই মনে হচ্ছে।

সূত্র: দি ইকোনমিস্ট

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি/জেডএ



মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

ভয়ংকর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এলেন পুতিন

প্রকাশ: ০৮:৫৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ রাশিয়া কেএইচ-১০১ নামে একটি দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে আধুনিকায়ন করেছে। এতদিন এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটি ওয়ারহেড থাকলেও এখন থেকে দুটি থাকবে। ফলে এই অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বেড়েছে। এখন থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুঘাঁটি ও সেনার ওপর ভয়ংকর ও কার্যকরভাবে আঘাত হানতে পারবে পুতিন বাহিনী। 

বুধবার (৮ মে) যুক্তরাজ্যের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাতে এসব তত্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম নিউজউইক।

ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাশিয়ান অ্যারোস্পেস ফোর্সেস ভিকেএস-এর লং রেঞ্জ এভিয়েশন কমান্ড (এলআরএ) তাদের প্রধান দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরও বাড়িয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রে একটির বদলে দুটি ওয়ারহেড যুক্ত করেছে তারা।

এর আগে কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রকে রাশিয়ার প্রধান নির্ভুল গাইডেড যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে উল্লেখ করেছিল যুক্তরাজ্য। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪ হাজার কিলোমিটার উড়ে গিয়ে শত্রুশিবিরে আঘাত হানতে পারে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুরো ইউক্রেন যুদ্ধে কিয়েভের জ্বালানি অবকাঠামোতে বড় আকারের হামলা চালাতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে পুতিন বাহিনী। এ ছাড়া কম উঁচু দিয়ে উড়ায় এসব ক্ষেপণাস্ত্র সহজে শত্রু দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছিল স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ সেন্টার।

পুতিনের নতুন অস্ত্রের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই ক্ষেপণাস্ত্রের একটি দুর্বল দিকও উঠে এসেছে। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিশ্লেষণে দাবি করা হয়েছে, আধুনিকায়ন করায় কেএইচ-১০১ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত হানার পরিসীমা অর্ধেকে নেমে গেছে। তবে দূরত্ব সীমা কমলেও ইউক্রেনে হামলা নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই রুশ বাহিনীর। কেননা ইউক্রেন ও রাশিয়া প্রতিবেশী দেশ হওয়ায় খুব সহজে কিয়েভের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারবে রাশিয়ার সেনারা।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য নিউজউইকের পক্ষ থেকে ইমেলের মাধ্যমে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে রুশ মন্ত্রণালয় কোনো জবাব দিয়েছে কিনা, তা জানায়নি সংবাদমাধ্যমটি।


ক্ষেপণাস্ত্র   ভ্লাদিমির পুতিন   রাশিয়া   প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

এবার রেমিট্যান্স প্রাপ্তিতে শীর্ষ দেশ ভারত

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০২২ সালে ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে ১০০ বিলিয়ন ও ১১১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে ভারত। যার ফলে রেমিট্যান্সপ্রাপ্তির দিক থেকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে দেশটি। 

মঙ্গলবার ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম)। এই প্রতিবেদন থেকেই এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে শীর্ষ রেমিট্যান্স আয়কারী দেশ ছিল ভারত।  শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য দেশগুলো হচ্ছে- যথাক্রমে মেক্সিকো, চীন, ফিলিপাইন ও ফ্রান্স। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ভারতের রেমিট্যান্স আয় বছর বছর বেড়েই চলছে। ২০১০ সালে ভারতের রেমিট্যান্স আয় ছিল ৫৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার। ২০১৫ সালে এই আয় দাঁড়ায় ৬৮.৯১ বিলিয়ন ডলারে।

২০২০ সালে আয় আরও বেড়ে হয় ৮৩.১৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২২ সালে দেশটির রেমিট্যান্স আয় ছিল ১১১.২২ বিলিয়ন ডলার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স গ্রহণে ২০২২ সালে বিশ্বে অষ্টম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ এবং ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ২০২২ সালে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ছিল ২১.৫০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ছিল ২৯.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে আরও বলা হয়, ভারতের এক কোটি ৮০ লাখ মানুষ অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ১.৩ শতাংশ প্রবাসী।

এর ফলে দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রবাসী শ্রমিক সরবরাহকারী দেশ। দেশটির সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবে। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় ভারত সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে।

দেশটির মোট রেমিট্যান্সের ২৩.৪ শতাংশ আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ১৮ শতাংশ আসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৬.৮ শতাংশ আসে যুক্তরাজ্য থেকে, চতুর্থ সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.৭ শতাংশ আসে সিঙ্গাপুর থেকে এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স ৫.১ শতাংশ আসে সৌদি আরব থেকে। 


রেমিট্যান্স   ভারত   আইওএম  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

আরও তিন দেশে সৌদির ই-ভিসা পদ্ধতি চালু

প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছরের ডিসেম্বরে ই-ভিসা পদ্ধতি চালু করে সৌদি আরব। এরপর ধাপে ধাপে বিভিন্ন দেশকে ই-ভিসার অন্তর্ভুক্ত করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশিদের জন্য সৌদির এই ডিজিটাল ভিসা চালু হয় চলতি মাসের শুরুতে। এবার আরও ৩টি দেশকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশ। 

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, ক্যারিবীয় অঞ্চলের তিন দেশ বার্বাডোজ, বাহামাস ও গ্রেনাডাকে ই-ভিসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। 

এর আগে ৬৩ টি দেশকে ই-ভিসা সুবিধার আওতায় এনেছিল সৌদি আরব। ই-ভিসা সুবিধার আওতায় থাকা দেশগুলোর নাগরিকরা অনলাইনে সহজেই সৌদি আরবের ভিসার জন্য আবেদন করতে এবং সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দর বা সমুদ্রবন্দরের মতো প্রবেশপথগুলো থেকেই এই ভিসাসংক্রান্ত সব সুবিধা নিতে পারেন।

নতুন এই সুবিধা চালুর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর বাসিন্দাদের জন্য সৌদি আরবের পর্যটক ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া, উপসাগরীয় জোট গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলভুক্ত দেশগুলোর নাগরিকরাও এই ই-ভিসা সেবা নিতে পারবেন। এই ভিসার আওতায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর বাসিন্দারা সৌদি আরবে পর্যটন, ওমরাহ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎসহ বিভিন্ন সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুবিধা পেয়ে আসছেন।

এর বাইরে, সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিবহন সংস্থা সৌদিয়া এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনসের যাত্রীদের জন্য ট্রানজিট ভিসাও চালু করেছে সৌদি আরব সরকার। এই ক্ষণকালীন ভিসার সাহায্যে এই সংস্থা দুটির যাত্রীরা চাইলে সৌদি আরবে ৯৬ ঘণ্টার যাত্রাবিরতি করতে পারবেন।


ই-ভিসা   সৌদি আরব   মধ্যপ্রাচ্য  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বেলজিয়ামে শিশুদের সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার আরেক শিশু

প্রকাশ: ০৮:০২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেলজিয়ামে ১৪ বছরের এক মেয়ে শিশুকে সংঘবদ্ধ করেছে কয়েকজন ছেলে শিশু। যাদের মধ্যে একজনের বয়স মাত্র ১১ বছর।

বেলজিয়াম সংবাদমাধ্যম ব্রাসেলস টাইমস জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনে জড়িত ছিল মোট ১০ শিশু। যাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১১ বছরের মধ্যে। তারা মেয়েটিকে লোভ দেখিয়ে বনের মধ্যে নিয়ে যায়। এরপর তার ওপর ২ এপ্রিল থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত অন্তত তিনবার নির্যাতন চালায়।

এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

নিরাপত্তার জন্য মেয়ে শিশুটির নাম প্রকাশ করা হয়নি। সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, ইস্টারের ছুটি চলার সময় শিশুটির এক ছেলে বন্ধুর বন্ধুরা তাকে লোভ দেখিয়ে বনের ভেতর নিয়ে যায়। ওই সময় তার একাধিক বন্ধু তাকে নির্যাতন করে। মেয়েটির ছেলে বন্ধুটি এতে জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম।

কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, মেয়ে শিশুটিকে দুইদিন সেখানে আটকে রাখা হয়। নির্যাতনকারী শিশুরা নিজেদের স্মার্টফোনে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র ধারণ করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেগুলো প্রকাশ করে।

বেলজিয়ামের অপর সংবাদমাধ্যম নিউজব্লাড জানিয়েছে, ছেলে শিশুদের দলটির সবাই কম বা বেশি এই নির্যাতনে অংশ নিয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে কেউই এই নির্যাতন থামানোর কথা বলেনি।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে অভিযুক্ত শিশুরা অভিবাসীদের সন্তান। তাদের মধ্যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে শিশু কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অপর চারজনকে গৃহবন্দি করা হয়েছে।  

ওয়েস্ট ফ্লেমিসের পাবলিক প্রসিকিউটর বলেছেন, সবচেয়ে কম বয়সী অভিযুক্তের বয়স ১১ বছর। যেহেতু অভিযুক্তরা খুবই কম বয়সী। তাই আমরা খুব বেশি তথ্য প্রকাশ করছি না। তবে তাদের সবার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এখন তদন্ত করা হবে অভিযুক্ত শিশুরা কতটা নির্যাতন চালিয়েছে। এছাড়া আশপাশের কেউ এতে অংশ নিয়েছিল কিনা সে বিষয়টিও দেখা হবে।


বেলজিয়াম   শিশু   সংঘবদ্ধ ধর্ষণ   শিকার  


মন্তব্য করুন


ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

চিকিৎসার অভাবে গাজাবাসীর যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু

প্রকাশ: ০৭:৪৪ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় চিকিৎসার অভাবে সাধারণ মানুষের ধীর ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

দখলদার ইসরায়েলের সেনারা সীমান্তগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় আহতরা উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। পর্যাপ্ত সরঞ্জাম না থাকায় গাজার ভেতরও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা।

এ ব্যাপারে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, 'আহত এবং অসুস্থরা ধীরে ধীরে মৃত্যুবরণ করছেন। কারণ এখানে চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই এবং তাদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করার সুযোগও নেই। গাজার একমাত্র ডায়ালাইসিস কেন্দ্রটিও বন্ধ হয়ে গেছে।'

মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, 'ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগ এবং আহত ও অসুস্থদের বাঁচানোর জন্য, সীমান্ত খুলে দেওয়ার জন্য এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পৌঁছতে দেওয়ার জন্য আমরা একটি দ্রুত ও মানবিক আবেদন জানাচ্ছি।'

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ বাধে। সাত মাস ধরে চলা এ যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ মানুষ।


চিকিৎসা   গাজা   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন