নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:১৪ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
আইয়ুব বাচ্চু ও কুমার বিশ্বজিৎ, দুজনেই চট্টগ্রামের মানুষ এবং সংগীতেরও। তাই তাদের সখ্যতার শিকড় ছিলো অনেক গভীরে। কিন্তু, আচমকা সেই বন্ধু-বিরহের সংবাদে ভীষণ বিমর্ষ জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ। শেয়ার করলেন আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে স্মৃতি। সেই কথাগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য…
বাচ্চুকে নিয়ে আমার স্মৃতির ‘ভার’ এতো বেশি- সেটা এখন আর বইতে পারছি না। কারণ, এতদিন আমরা ভাগাভাগি করে স্মৃতিগুলোকে বয়ে বেড়াতাম। আর আজ থেকে সব স্মৃতি ও আমার কাছে রেখে উড়াল দিলো। এই ভার কতটা ভয়ংকর, সেটা বলে প্রকাশ করা যাবে না।
‘ব্যান্ড ৭৭’ দিয়ে ও আমার সহযাত্রী। সে হিসেবে ৪১ বছরের পথচলা আমাদের। তারপর ৭৮ সালে ওকে আমি নতুন ব্যান্ড ‘ফিলিংস’-এ নিয়ে আসি। ৮২ সালে আমি ওকে ফেলে ঢাকায় চলে আছি। সলো ক্যারিয়ার শুরু করি। একই বছর ও জয়েন করে ‘সোলস’-এ। এরপর সেও ঢাকায় চলে আসে। এখানে এসে আবার আমরা একসঙ্গে। একই বাসায়, একই খাটে আমাদের সহস্র রাত-দিন কাটে।
দিন-রাত আমরা একসঙ্গে প্র্যাকটিস করছি। মিউজিক নিয়ে নানা স্বপ্ন নানা পরিকল্পনা আমাদের। আসলে ঢাকা-চট্টগ্রামের এমন কোনও জায়গা নাই অলি-গলি নাই যেখানে সুন্নতে খৎনা থেকে গায়ে হলুদের শো করিনি।
শুরু থেকেই বাচ্চুর মধ্যে যেটা প্রকট ছিল- খুব সহজে মানুষদের আপন করে নেওয়া। মিউজিক দিয়ে মানুষদের নিজের গ্রিপে নিয়ে আসা। একজন সিঙ্গারের জন্য এটা সবচেয়ে বড় গুণ। ও খুব তাড়াতাড়ি শ্রোতাদের আত্মীয় বানিয়ে ফেলতো। পারফরমেন্স দিয়ে। আমরা অনেকে মঞ্চে উঠে বলি না- কই হাততালি দেন। কিন্তু ওর বেলায় হচ্ছে অটোম্যাটিক। বলতে হতো না। মানুষ হাত তালি দিত তার কথায়-গানে-মিউজিকে মুগ্ধ হয়ে। মিউজিক দিয়ে মানুষকে সম্মোহন করার প্রচণ্ড পাওয়ার ছিল। মিউজিকের জন্য তার ডেডিকেশন, পরিশ্রম ও গান শোনা- সেটা আর কজন মিউজিশিয়ানের ছিল এবং আছে, আমার সন্দেহ হয়। সে যে পরিমাণ দেশি-বিদেশি গান শুনতো- সেটা ভাবাই যায় না।
আমরা শুরুর দিকে মূলত ইন্সট্রুমেন্টাল বাজাতাম। আমি কিবোর্ড, বাচ্চু গিটার। তখন তার হাতটা পিওর ওয়েস্টার্ন শেখে। তার মধ্যে দুটো ভার্সনই ছিল। সে কিন্তু দেশ ও ওয়েস্টার্ন ব্ল্যান্ডিংটা করতে পারতো। এটার প্রবর্তক বাংলাদেশে কিন্তু সে-ই। আমরা কেউ না। এই ফিউশনটাকে তখন বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য করা- এটা কিন্তু যেন-তেন ব্যাপার না। এটা খুবই কষ্টের। আমরা যে ইমোশনের জাতি- সেখানে এসব কাজ করা খুবই রিস্কি। সেই রিস্ক সে একাই পার করে দিয়েছে চোখের সামনে। এই কথাগুলো আমাদের সবার জানা দরকার। প্রজন্মকে জানানো দরকার।
আমাদের পরিচয় ৭৫ সালের দিকে। একই এলাকায় থাকতাম, জুবলি রোডে। ওর বাসা আমাদের বাসা ওয়াকিং ডিসটেন্স। আমাদের দুই পরিবারের কেউই চাইতো না গানবাজনা করি। কারণ, কেউ কখনও তার সন্তানকে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিতে চায় না। আমরা দুজনেই বাবা-মায়ের বড় ছেলে। তো কে চাইবে মিউজিক করে অনিশ্চিত ভাবিষ্যতে ঠেলে দিতে তার সন্তানকে? কিন্তু খালাম্মা আবার আমাকে খুব ট্রাস্ট করতো। আমি ওর বাসায় গেলে বলতেন, ঠিক আছে যাও। তুমি আবার ফেরত দিয়ে যাইবা। একইভাবে আমার মাও বাচ্চুকে ছেলের মতোই জানতো। সত্যি বলতে দুই পরিবারের দুজন মায়ের মমতার কারণে আমাদের দুজনের আজকের এই অবস্থান।
সেই সময়ে, আমরা যখন রাত্রি বেলায় শো করে ফিরতাম তখন বাসায় ঢোকা ছিল বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ। তখন মাগরিবের আগেই ঢোকার নিয়ম, অথচ আমরা রাতের দুইটা তিনটা বাজে ফিরতাম। তখন আমার মা রান্না করে বেড়ে আমাদের খাওয়াতেন। তখন থেকেই আমার মায়ের প্রতি বাচ্চুর আলাদা একটা টান ছিল। আমার মা বলতো, আমার দুইটা ছেলে। আর বাচ্চু বলতো তার দুইটা মা।
কয়েকদিন আগেও মা আমাকে বলেছেন, বাচ্চুকে একটু আসতে বলিস।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে টেলিভিশনের স্ক্রল দেখে আমি প্রথমে ভাবলাম এটা অন্য কোনও আইয়ুব বাচ্চু। পরে যখন খেয়াল করে পড়লাম সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চু- তখন চিৎকার করে বাচ্চাদের মতো কেঁদে উঠলাম। আমার স্ত্রী দৌড়ে এসে বললেন, কী হইছে কী হইছে...।
যাইহোক এভাবে তার মৃত্যুর খবর ঘুম ভেঙে শুনবো এত তাড়াতাড়ি- সেটা কল্পনাও করিনি। তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা ও শান্তি কামনা করি। পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা। সারাজীবন এত মানুষকে আনন্দ দিয়েছে, নিশ্চয়ই পরজনমে ও আনন্দেই থাকবে। বার বার আমার আজ এই কথাটাই মনে হচ্ছে।
সুখ এটুকুই, একটা সাকসেসফুল মিউজিক্যাল লাইফ পার করে গেছে আমার বন্ধু।
ভেবে দেখলাম, আমার চেয়ে ওর আপন শুরু থেকে এ পর্যন্ত আর একজনও নাই। আমরা পারলে এক বালিশে ঘুমিয়েছি। এক থালাতে খাইছি।
খুব মনে পড়ে। আমরা দুজন প্রথম ঢাকায় আসলাম ৭৮-৭৯ এর দিকে। ইন্টারকন্টিনেন্টাল (শেরাটন) হোটেলের পাশে সাকুরা বারে আমরা অডিশন দিতে আসলাম। মানে পরীক্ষায় পাশ করলে এই বারে নিয়মিত বাজানোর সুযোগ হবে। ঢাকায় এসে উঠলাম বাসাবোর একটা হোটেলে। দুই দিন গেল, তারপরও অডিশনে ডাকে না। দুজনের পকেট ফাঁকা। পরিবার থেকে তো ‘না’ বলে আসছি। এরপর এক রাতে হোটেলে বসে বাচ্চুকে বললাম, তোর পকেটে কত আছে? বললো- ৫ টাকা। আমার পকেটে হাত দিয়ে পেলাম ১০ টাকা। বললাম, তাইলে আমরা চট্টগ্রাম ফিরে যাবো ক্যামনে? বাচ্চু তো আবার বেশ মজার লোক। সে আমার এই টেনশনের কোনও পাত্তাই দিলো না। সে আবার বেশ ভোজন রসিক ছিল। বলে, ‘আগে খাইয়া নিই বেটা। পরে অন্য হিসাব।’
আমি পরে ডাক দিলাম বেয়ারাকে। বললাম, আচ্ছা কমের মধ্যে কী আছে নাস্তা (ডিনার)। বললো, পরটা আর ভাজি আছে। বললাম, দুইটা পরোটা আর একটা ভাজি নিয়ে আসো। বেয়ারা আনলো। তখন আবার এগুলা খবরের কাগজে মোড়ায়ে দিতো। দুই পরটা একটা পেপারে। আরেকটা পেপারের টুকরায় ভাজি। বেয়ারা আমাদের রুমে আনার সঙ্গে সঙ্গে ভাজির পেপার ভিজে ধপাস করে হোটেল রুমের ফ্লোরে পড়ে গেল!
আমি তখন বললাম, বাচ্চু রুটি-ভাজিও তোর কপালে নাই। কী আর করা। পানি খেয়ে শুয়ে পড়।
বাচ্চু বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে বললো, আরে রাখ তোর কপাল। এই বলে সে ফ্লোর থেকে ভাজিটা তুলে নিলো আরেকটা কাগজে। এরপর দুজনে সেটা তৃপ্তি নিয়ে খেলাম।
আহারে বাচ্চু... তোর এইসব স্মৃতির ভার আমি আর বইতে পারছি না।
বাচ্চুর নিথর দেহ হাসপাতালে ফেলে এসে বাসায় ফিরে এসব ভাবি আর মনে হয়, আজকের ছেলেরা যে মসৃণ একটা পথ পেয়েছে সেটা এই বাচ্চুদের ঘামের বিনিময়ে তৈরি হয়েছে। এই কথাটা আমরা যেন ভুলে না যাই। এমন হাজার হাজার কষ্টের ঘটনা আছে আমার আর বাচ্চুর। যা বলে শেষ করা যাবে না।
সংগীতের জন্য আমাদের দুই বন্ধুর দু’একটা কষ্টের ঘটনা না বলেও পারছি না। এসব বলতে চাইনি কখনও। না ও, না আমি। তবে এখন বোধহয় বলার সময় এসেছে। কারণ, আমি এসব বলে হালকা হতে চাই। এত এত স্মৃতির ভার আমি একা একা আর বইতে পারছি না।
মনে পড়ে, তখন আমাদের একমাত্র মিউজিক করার ক্ষেত্র ছিল বিয়ে বাড়ি। ২০/৩০টা বাস ভরে মেহমান আসতো বিয়ে বাড়িতে। তাদের তো ঘুমানোর জায়গা দিতে পারতো না। তাই আমাদের গান দিয়ে অতিথিদের জাগিয়ে রাখতে হতো। আমরা টানা গাইতাম আগের দিন সন্ধ্যা ৮টা থেকে পরেরদিন সকাল ৮টা পর্যন্ত! এরমধ্যে হয়তো যার বিয়ে তার শ্বশুর বলেছে মোহাম্মদ রফির গান করার জন্য। আবার কেউ হয়তো আবদার করলো ‘মান্না দে’ গাইবার জন্য। যা বলছে যেমনে বলছে তাই আমাদের গাইতে হতো। একবার এমন একটা অনুরোধ রাখিনি আমরা। ভুলে গিয়েছি হয় তো। সকালে আমাদের ইনস্ট্রুমেন্টস গুছাতে গুছাতে বললাম- ভাই আমাদের পারিশ্রমিক? জামাই বললো, আপনারা তো আমার আব্বার অনুরোধের গানটা পরিবেশন করেন নাই। সরি ভাই, আপনাদের জিনিস-পত্র (গিটার-কিবোর্ড-ড্রামস) দিতে পারবো না। আপনারা চলে যান।
পরে ওসব ফেলে রিক্সা ভাড়া করে গ্রাম থেকে শহরে ফিরে আসি খালি হাতে। এই যে কষ্টগুলো। এই করুণ কাহিনি আমাদের জীবনে এসেছে।
আরেকটা বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে শেষ করি। দুই বন্ধু মঞ্চে উঠে অনুষ্ঠান শুরু করে দিলাম। বেশ ফুরফুরে মেজাজ আমাদের। হঠাৎ দেখলাম একজন দা হাতে নিয়ে আমাদের দিকে ছুটে আসছে! আমরা সব ফেলে দৌড় দিলাম। দৌড়াতে দৌড়াতে তাকেই বললাম, ভাই কী হয়েছে? পেছন থেকে ঐ লোক বললো, আব্বা নামাজি মানুষ। উনি বলছে গান বাজনা হারাম। তোদেরকে আনছে কে। আজকে তোদের জবাই করে ফেলবো। ইত্যাদি। সঙ্গে গালাগালি তো আছেই।
এই কথা শুনে বাচ্চু একদিকে দৌড়াচ্ছে আমি আরেক দিকে। পায়ে একজনেরও স্যান্ডেল নাই। এরমধ্যে এই দৌড়ের সঙ্গে পেছনে যুক্ত হয়েছে বাড়ির দুই তিনটা কুকুরও। শেষ সম্বল ইন্সট্রুমেন্টও ফেলে এসেছি।
মিউজিকের জন্য এই যে কষ্ট, এই যে বাঁচার দৌড়- সেই দৌড় প্রতিযোগিতায় আমার বন্ধুটি ফার্স্ট হয়ে গেল আজ। বাচ্চু ছাড়া আমি একা, বন্ধুহীন, পরাজিত একজন। থেমে গেল আমাদের দৌড় প্রতিযোগিতা।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
গত ১২ মে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তেলেগু অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবা নগরের কাছে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। হিট তেলেগু টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’তে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পবিত্রা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর আহত হয় স্বামী অভিনেতা চন্দ্রকান্ত।
দুর্ঘটনায় গাড়িতে তিনিও ছিলেন। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েন অভিনেতা। এবার নিজেও পাড়ি জমালেন পরপারে। গত শুক্রবার তেলেঙ্গনার অলকাপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
অভিনেত্রী মৃত্যুশোক স্বামী আত্মহত্যা
মন্তব্য করুন
ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’তে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি।
মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।
ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৬.৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, এ সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।
কোটি টাকা অভিনেত্রী শারমিন শ্বশুর
মন্তব্য করুন
বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিশা পাটানি। যদিও অভিনয়ের থেকে নিজের সাহসী ও খোলামেলা রূপের জন্যই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।
নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই পারদ চড়ান দিশা। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন এই তারকা। সেখানে গিয়েই উষ্ণতা ছড়ালেন ভক্তদের মাঝে।
ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন দিশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ সমুদ্রে আলো ছায়ার খেলায় মেতেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই ওয়াইন রঙের একটি বিকিনি পড়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার হাজির হয়েছেন সাদা বিকিনিতে। একটুকরো পোশাকেই যেন শরীর ঢাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রামে দিশাকে প্রায় ৬ কোটি মানুষ অনুসরণ করেন। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি, মুহূর্তগুলোর চিত্র দেখতেই যেন তারা সবসময় মুখিয়ে থাকেন।
মন্তব্য করুন
সম্প্রতি নিজের অবসর জীবনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি।
আর এদিকে আনুশকা খুব শিগগিরই হয়তো অভিনয় জীবন থেকে মুখ ফেরাবেন। তবে বিরাট-আনুশকা খুশি সংসার, সন্তান নিয়ে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট ছেলে অকায় ও মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।
গত পাঁচ বছর ধরে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি আনুশকার। মেয়ের জন্মের পর শুধু ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ ছবিটি করেছেন তিনি। অবশ্য সেটি আজও মুক্তি পায়নি।
অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার জীবনে অগ্রাধিকার পায় তার সন্তানরা। এবার বিরাটের অবসরের জল্পনা উঠতেই শোনা যাচ্ছে, দুই ছেলেমেয়ে ও স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে লন্ডনেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবেন কোহলি-দম্পতি।
তবে, ছেলে অকায় বেশ ছটফটে হয়েছে বলে জানালেন বাবা বিরাট। আর মেয়ে ভামিকা নাকি তিন বছর বয়সেই ব্যাট ঘোরাতে শিখে গেছে! বিরাট অবশ্য এখন থেকেই কিছু অনুমান করতে চান না। তার কথায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওদের যা খুশি, বড় হয়ে সেটাই হবে।
মন্তব্য করুন
কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪-এ রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা আদবানি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে তিনি যেন ঝলমলে প্রজাপতি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ভিডিও।
বলিউড অভিনেত্রী ও ফ্যাশন আইকন কিয়ারা ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটি অফ-হোয়াইট পোশাকে যেন পরী। ১৭ মে চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তার প্রথম লুকের আভাস দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছেন তিনি।
প্লাঞ্জ নেকলাইন ও হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে কিয়ারা পরেছিলেন হিরের দুল এবং হাই-হিল। তার পোশাক ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর ও প্রবাল গুরুং ছিলেন স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে।
গালা ইভেন্টে কিয়ারা আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর জোর দেবেন বলে জানা
গেছে। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা ।
মন্তব্য করুন
গত ১২ মে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তেলেগু অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবা নগরের কাছে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। হিট তেলেগু টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘ত্রিনয়নী’তে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন পবিত্রা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর আহত হয় স্বামী অভিনেতা চন্দ্রকান্ত।