নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৫৬ পিএম, ০১ নভেম্বর, ২০১৮
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বিএনপিতে তারেকপন্থী হিসেবে পরিচিত। সব সময় তিনি ঐক্যফ্রন্ট এবং সংলাপের বিপক্ষে অবস্থান করেছিলেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রাথমিক ভাবে বিএনপির যে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল সেখানেও ছিল না গয়েশ্বরের নাম। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পাশাপাশি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার ও মির্জা আব্বাসের নাম আগের তালিকাতেই জানানো হয়েছিল।
তবে তাঁর একজনকেও তারেক জিয়া বিশ্বাস করতে পারছেন না। তারা বৈঠকের আসল খবর দিবে কিনা কিংবা প্রথম দফাটাকে আড়ালে রেখে কোন সমঝোতায় আসবেন কিনা। সেই শঙ্কা আছে তারেকের। এইজন্যই গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে এই বৈঠকে বিশেষভাবে পাঠানো হয়েছে। যেন ওখানে গিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর- মওদুদ গংরা কোন সমঝোতা না করতে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ আরও পাঁচজন।
আগের ১৬ জনকে মিলিয়ে নির্বাচন সামনে রেখে এই সংলাপে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়াল। বিএনপির মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়াও গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ও ম শফিক উল্লাহর নাম রয়েছে নতুন তালিকায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এই আলোচনা শুরু হবে। ফলে সারা দেশের দৃষ্টি এখন গণভবনের দিকে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
রাজনীতিতে প্রায় পরিত্যক্ত আবর্জনার ডাস্টবিনে পড়ে থাকা মাহমুদুর রহমান মান্না নিজের ওজন বাড়াতে এবং রাজনীতিতে নিজের অবস্থান জানান দেওয়ার জন্য নতুন স্টান্টবাজি গ্রহণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, নির্বাচনের আগে মাহমুদুর রহমান মান্নাকে মন্ত্রী হওয়ার অফার দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কী স্বেচ্ছা নির্বাসনে গেলেন? গতকাল তিনি ওমরা পালন শেষে দেশে ফিরেছেন। দেশে ফেরার পরেও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে তাঁর কোন উৎসাহ লক্ষ্য করা যায়নি। তিনি ছিলেন প্রচন্ড বিরক্ত এবং অনুৎসাহী। বারবার সাংবাদিকদের তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়েছেন এবং সেখানে রীতিমতো নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। আজ সারাদিন দলের নেতাকর্মীরা তাঁর সঙ্গে কোন যোগাযোগ করতে পারেননি। এমনকি ফোন করা হলেও তিনি ঘুমিয়ে আছেন, বিশ্রামে আছেন কিংবা পরে ফোন করুন- এরকম বক্তব্য পাওয়া গেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এই নীরবতা বিএনপির মধ্যে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
একের পর এক ভুল কৌশল বিএনপির রাজনীতির অস্তিত্ব সংকটে ফেলেছে। এবার উপজেলা নির্বাচনেও বিএনপি যে কৌশল গ্রহণ করেছিল, প্রথম দফা ভোটগ্রহণের পর সেই কৌশল ভুল প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির ভোট বর্জন যেমন সাধারণ মানুষ সাড়া দেয়নি ঠিক তেমনি ভাবে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও নির্বাচনে একেবারে সর্বস্বান্ত হয়ে যাননি। সাত জন বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর ফলে আগামী ধাপগুলোতে যারা বিএনপির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং যারা দল থেকে বহিষ্কার হয়েছিলেন তারা আবার নতুন করে উৎসাহ পাবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাবেন। এর ফলে বিএনপির বহিষ্কার কৌশল ব্যর্থ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।