ইনসাইড বাংলাদেশ

নতুন হিসাব-নিকাশ আলাপে সংলাপে এবং অন্যান্য সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:০৭ এএম, ০২ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

 

অবশেষে খুলল সংলাপের বন্ধ দুয়ার। শুরু হলো বহুল প্রতীক্ষিত সংলাপ। বিপরীত মেরুতে অবস্থান নেওয়া প্রধান দুই জোটের শীর্ষ ৪৩ নেতা এক টেবিলে। গণভবনে এক অন্যরকম পরিবেশ। হাস্যোজ্জ্বল সালাম ও কুশল বিনিময়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত সংলাপ। শেষ হয় রাত সাড়ে ১০টার দিকে। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। দুই জোটের মিলনমেলা বসে গণভবনে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন)

অন্যান্য সংবাদ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে আ. লীগ-বিএনপির

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সাতক্ষীরা জেলায় রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি, এর বাইরে জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা কর্মিসভা, শোডাউনসহ নির্বাচনী সভা-সমাবেশে মাতিয়ে তুলেছে পুরো জেলা। তবে নির্বাচনী মাঠ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দখলে। সাতক্ষীরা জেলার চারটি আসনের বর্তমান সংসদ সদস্যরা আবারও তাঁদের মনোনয়ন প্রায় নিশ্চিত বলে প্রচারণা চালালেও তৃণমূলের কর্মীদের কাছে এখনো তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে গেছে। তবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন যে নেতাই পান এবং বিএনপি যদি নির্বাচনে আসে তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে বলে মনে করছে সাধারণ ভোটাররা। (কালের কন্ঠ)

নির্বাচনের তফসিলের সিদ্ধান্ত ৪ নভেম্বর

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলের বিষয়ে আগামী ৪ নভেম্বর রোববার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা। নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশ নেবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বিকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা বলেন। এর আগে সাক্ষাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি ইসিকে যে কোনো বিতর্ক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন- এ তথ্য জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন। (যুগান্তর)

আসুন সবাই মিলে দেশ গড়ি :প্রধানমন্ত্রী

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-জোটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সংলাপ শুরু হলো। প্রথমদিনে গতকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে পর্দা উঠলো সংলাপের। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত গণভবনে এই সংলাপ চলবে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণভবনে সংলাপে অংশ নেবে বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্ট। এরপর আগামী রবিবার রাত আটটায় প্রধানমন্ত্রী আলোচনা করবেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। আর এখন পর্যন্ত নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আগামী সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গণভবনে সংলাপ হবে জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোট-ইউএনএন’র সঙ্গে। গতকালের সংলাপ শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সংলাপের সিডিউল রয়েছে। আর ঐক্যফ্রন্ট নেতাদেরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এরপরেও তারা যখন আলোচনার প্রয়োজন মনে করবেন সেজন্য তার দরজা সবসময় উন্মুক্ত। (ইত্তেফাক)

বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে স্বাস্থ্যকর খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ফারগো প্রাইভেট লিমিটেড। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাজধানীর গুলশান এলাকার নিকেতনে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফার্গো প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হামিদুল এইচ খান এবং নেদারল্যান্ডসের কৃষি, খাদ্য ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এলে ইয়ান সাফ এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে জানান, নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে এ যৌথ-উদ্যোগ খাদ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের প্রযুক্তি উন্নয়ন, ট্রেসেবিলিটি এবং কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশে মানসম্মত স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করবে। এই যৌথ-উদ্যোগ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে খাদ্য ও কৃষিপণ্য রফতানি কার্যক্রমকেও সমৃদ্ধ করবে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রিয়াজ হামিদুল্লাহ এক ভিডিও শুভেচ্ছা বার্তায় ফারগো প্রাইভেট লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

এছাড়া উদ্যোক্তারা জানান, বিশ্বেরর চল্লিশাধিক দেশে নিরাপদ, প্রাকৃতিক এবং শতভাগ কেমিকেল ও বিষমুক্ত চাষাবাদ নিয়ে কাজ করা নেদারল্যান্ডসের ‘সলিদারিদাদ’ ও সুইজারল্যান্ডের ‘সিনজেনটা ফাউন্ডেশন’ দ্বারা প্রশিক্ষিত বাংলাদেশি কৃষকদের কাছ থেকে ফারগো ফল ও শাক-সবজি সংগ্রহ করে। এছাড়াও, পিকেএসএফ, ইফাদ, ইউএসএইড, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা পরিচালিত পরিবেশবান্ধব কৃষি বিষয়ে প্রশিক্ষিত প্রান্তিক কৃষক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্বাস্থ্যকর শুটকি, মশলা এবং অন্যান্য নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করে। তারা জানান, ফারগো একটি বিশেষায়িত ও জ্ঞানভিত্তিক স্বাস্থ্যকর খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে হামিদুল হক বলেন, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগ জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে ও চিকিৎসা ব্যয় বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। ক্যান্সার, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ওভারওয়েট ও অবেসিটি ইত্যাদি অসংক্রামক রোগের ব্যাপক বিস্তার রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্যকর খাবারের পাঁচটি উপাদান, যথা, হোল গ্রেইন, কোয়ালিটি প্রোটিন, প্ল্যান্ট- বেজড ওয়েল, ফল ও শাকসব্জি এবং নিরাপদ পানির কথা বলেছে। উক্ত সপারিশকৃত খাদ্যপণ্য নিশ্চিত করতে ফারগো স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করছে। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মাধ্যমে মানসম্মত জীবন নিশ্চিত করতে চায় ফারগো।

তিনি বলেন, আমরা ধ্বংস থেকে উন্নয়নের দিকে যাবো। ফারগো আজ থেকে সেই প্রচেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করলো। অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা এবং অনিরাপদ খাদ্য খাওয়ায় রোগব্যাধি এবং অকাল মৃত্যুর বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু হয়। ১৩৬টিরও বেশি খাদ্যপণ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করছে বলে জানান হামিদুল হক।


নেদারল্যান্ডস   বাংলাদেশ   খাদ্য  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ফুলবাড়িতে সীমান্তে ঢুকে বিএসএফের গুলিবর্ষণ


Thumbnail

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী সীমান্তে দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঢুকে নারীদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সেই গুলিতে সীমান্ত নিকটবর্তী এক বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে গেছে।  

 

রোববার (১২ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের ধুলারকুটি সীমান্তের ৯৩১ নম্বর আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

 

এ বিষয়ে সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কেটে নেওয়া ধান গাছের অবশিষ্ট খড় সংগ্রহের জন্য রোববার (১২ মে) বিকালে কয়েকজন সীমান্তের পাশে বসবাস করা নারী ভারতীয় নোম্যান্সল্যান্ডে যান। এ সময় ভারতীয় নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের টহলরত এক বিএসএফ সদস্য তাদের ধাওয়া করে। খড় সংগ্রহে যাওয়া নারীরা দৌড়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করলে ওই বিএসএফ সদস্যরাও তাদের পিছু নিয়ে প্রায় ৩০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করে। এক পর্যায়ে বিএসএফ সদস্যরা রাইফেল উঁচিয়ে ওই নারীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে দ্রুত ভারতের ভেতর চলে যায়।

 

সেই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সীমান্ত ঘেষা নুর আলম বাচ্চুর বাড়ির রান্নাঘরের চাল ফুটো হয়ে বুলেট মেঝেতে পড়ে। নুর আলম বাচ্চুর পুত্রবধূ শাকিলা আক্তার ইতি রান্নাঘরের মেঝে থেকে এক রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করেন।

 

পরে খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে পার্শ্ববর্তী গোরকমন্ডল ক্যাম্পের বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যান। 

 

নুর আলম বাচ্চু বলেন, ‘ওই সময় আমার পুত্রবধূ রান্না ঘরেই ছিল। ভাগ্যিস গুলিটা তার লাগেনি। মাঝে মধ্যেই ভারতীয় বিএসএফ এভাবে বাংলাদেশে ঢুকে গ্রামবাসীর ওপর অত্যাচার চালায়। আমরা সব সময় বিএসএফের আতঙ্কে থাকি। এ রকম অনাকাঙ্ক্ষিত গুলিবর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া উচিত।’

 

এ প্রসঙ্গে লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর আসিফ বলেন, ‘এ ঘটনায় সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৬টায় ওই সীমান্তে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে বিনা উস্কানিতে গুলিবর্ষণের কারণ জানতে চেয়ে বিজিবি কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ সীমান্তের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা পূর্বক মঙ্গলবার (১৪ মে) আবারও পতাকা বৈঠকের কথা জানিয়েছে।

বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন শিমুলবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার নরেশ চন্দ্র এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৯০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নারায়ণগঞ্জ কোম্পানি কমান্ডার ইন্সপেক্টর রমন সিং।


বিএসএফ   গুলিবর্ষণ   সীমান্ত   পতাকা বৈঠক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলে বিয়ে না দেয়ায় তরুণের আত্মহত্যা!

প্রকাশ: ০৩:১২ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ধুবড়িয়া ইউনিয়নে বিয়ে না দেওয়ায় অভিমান করে এক তরুণ ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

 

সোমবার (১৩ মে) সকালে ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড পাকার মাথা এলাকায় গাছের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে নাগরপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

 

নিহত তরুণ মোঃ শিপন (২১) ধুবড়িয়া ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ মালেক এর ছেলে।

 

মা ওমেলা বেগম বলেন, ‘ছেলের মানসিক সমস্যা ছিলো। আত্মহত্যা নিয়ে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

 

তবে বিয়ে না দেওয়ায় ছেলে আত্মহত্যা করেছে এলাকাবাসী এমন কথা প্রচার করছে।

 

ধুবড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুর রহমান খান শাকিল মুঠোফোনে জানায়, ‘প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে। পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। পরিবারের দাবি ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী ছিলো। পুলিশ লাশ হস্তান্তর করলে আমরা সামাজিক ভাবে দাফন কার্য সম্পন্ন করবো।’ 

এ ঘটনায় নাগরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এলাকাবাসী সূত্রে আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। আমরা লাশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মর্গে প্রেরণ করেছি। পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। লাশ ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে লাশ হস্তান্তর সহ প্রয়োজনীয় আইনুনাগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


বিয়ে   আত্মহত্যা   তরুণ  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর প্রস্তুতি

প্রকাশ: ১২:৪৯ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

দেশের প্রথম বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির গণপরিবহন মেট্রোরেল। বর্তমানে শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ৬ দিন নিরবচ্ছিনভাবে সেবা এই দিয়ে যাচ্ছে এটি। তবে যাত্রীদের চাহিদার কারনে শুক্রবারও এটি চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড।

ডিএমটিসিএলের সূত্রে জানা যায়, ‘আগামী জুলাই মাস থেকে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জুন মাসের মধ্যে পিক আওয়ারের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী অপেক্ষমাণ সময়) মিনিট থেকে কমিয়ে মিনিট করা হতে পারে।’

এনিয়ে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আব্দর রউফ বলেন, ‘এবিষয়ে আমার কোন ধারণা নেই। হয়তো কয়েকদিন পরে আমাদের এমডি এম.এ.এন. ছিদ্দিক স্যার সংবাদ সম্মেলন করে জানাবেন, যদি এরকম কোন সিদ্ধান্ত হয়।’

বর্তমান সময়সূচি অনুযায়ী, দিনের প্রথম ট্রেন উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল স্টেশনে উদ্দেশ্যে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সকাল সাড়ে ৭টায় উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

এছাড়া দিনের শেষ ট্রেন রাত ৮টায় উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।


মেট্রোরেল   শুক্রবার   ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

ঘর না পেয়ে এলাকা ছাড়ল শিশুশিল্পীর পরিবার


Thumbnail তীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের দুর্গম এক গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের শিশু কন্যা ফারজিনা আক্তার () তাদের জমি নেই, নেই ঘর। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার পর ফারজিনা স্বপ্ন দেখে পুরস্কারের টাকায় হাওরপাড়ে একটি নতুন ঘর তৈরীর। ওই শিশুকন্যার স্বপ্নপূরণে সরকারের পক্ষ্য থেকে কয়েক শতক জমিও বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই জমিতে ঘর তৈরীর জন্য অর্থও বরাদ্দ হয়। কিন্তু ছয় মাস হতে চললেও মাথা গোঁজার জন্য ঘর তৈরী  হয়নি। ঘরের জন্য সংশ্লিষ্টদের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে ঘুরতে অতিষ্ঠ ফারজিনার বাবা মোঃ সায়েম। ক্ষোভ-অভিমানে শেষ পর্যন্ত পুরো পরিবার নিয়ে সোমবার  (১৩ মে) সকালে নিজের এলাকা ছাড়লেন তিনি।

সোমবার (১৩ মে) সকালে নিজ এলাকা ছাড়ার পূর্বে মোঃ সায়েম নিজের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সায়েম বলেন, ‘আমরা কৃতজ্ঞ, তিনি অনেক কিছু করেছেন আমাদের পরিবারের জন্য। কিন্তু ঘরই যদি না থাকে তাহলে কই থাকমু? একটি ঘরের জন্য ঘুরতে ঘুরতে আমি হয়রান হয়ে গেছি, আর কত ঘুরব, শেষ অবধি কোন উপায় না পেয়ে এলাকা ছাড়তে হল পুরো পরিবার নিয়ে।

ফারজিনা তাহিরপুরের  টাঙ্গুয়ার হাওর পাড়ে ছিলানী তাহিরপুর গ্রামে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করত।
২০২২ সালে মুক্তি পাওয়াকুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়াসিনেমায় অভিনয় করে শিশু শিল্পী শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়ে আলোচনায় আসে ফারজিনা। ২০২৩ সালের  ১৪ নভেম্বর ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে ফারজিনা পুরস্কার গ্রহণ করে।

শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ফারজিনার বাবা সায়েম হতদরিদ্র মানুষ। তাঁদের থাকার একমাত্র বসত বাড়িটি অভাবের কারণে বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। পুরস্কারের টাকা দিয়ে গ্রামে একটি নতুন বাড়ি করার স্বপ্ন ছিল শিশু কন্যা ফারজিনার।

পুরস্কার নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পর সুনামগঞ্জের তৎকালীন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সঙ্গে ফারজিনাসহ তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করেন। জেলা প্রশাসক পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ নেন। ফারজিনার লেখাপড়ার জন্য ২০ হাজার টাকা দেন।

পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাদের জায়গা সহ একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। সেই সঙ্গে সব সময় তার পরিবারের খোঁজখবর রাখার জন্য তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।

ফারজিনার বাবা সায়েম এরপর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ২০২৩ সালের  ডিসেম্বর মাসে আশ্রয়ণ প্রকল্প--এর মাধ্যমে ফারজিনার পরিবারকে একটি জায়গা সহ ঘর দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সময়ে ফারজিনার বাবা মায়ের নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় ১০ লাখ টাকার একটি পারিবারিক সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।

তাহিরপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী সময়ে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ছড়া মৌজায় ফারজিনার পরিবারকে ১৭ শতক জমি দেওয়া হয়।

ওই জমিতে একটি ঘর করে দেওয়ার জন্য সমাজসেবা কার্যালয়ের অনুকূলে লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু সমাজসেবা কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেও ঘর তৈরীর ব্যাপারে কোন সুরাহা হয়নি।  মাস পার হয়ে গেলেও ঘর আর হয়নি। ফলে জমিটিও বেদখল অবস্থায় আছে।

জন্য উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক  বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন সায়েম। কিন্তু কোনো সহযোগিতা পাননি তিনি।

অবশেষে নিরুপায় হয়ে তল্পি-তল্পা নিয়ে সোমবার (১৩ মে) সকালে এলাকা ছেড়ে গেছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া শিশুশিল্পী ফারজিনা তার পরিবারের সদস্যরা।

বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুচিত্রা সরকার বলেন, ‘আমরা উপজেলা কমিটির কাছে টাকা দিয়ে দিয়েছি। তিন দিন আগেও তাদের তাগাদা দিয়েছি দ্রুত ঘরটি করে দেওয়া জন্য।

সোমবার রাতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশে ইকবাল চৌধুরীর নিকট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি বন্দোবস্ত দেয়া হয়েছে। তাহিরপুর উপেজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)’ মাধ্যমে তাদের ঘর তৈরীর করে দেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’


আশ্রয়ন প্রকল্প   ঘর   শিশু শিল্পী   জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন