নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:০০ পিএম, ০৫ নভেম্বর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রীর সাবেক স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীকে চেয়ারম্যান করে গত অক্টোবরেই কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইনের বিধান মোতাবেক আগামী ৩ বছরের জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোদাচ্ছের আলী বাংলা ইনসাইডারের মুখোমুখি হয়েছেন। কথা বলেছেন কমিউনিটি ক্লিনিক সংক্রান্ত তাঁর স্বপ্ন ও পরিকল্পনা বিষয়ে।
বাংলা ইনসাইডার: এই দায়িত্বটা পেয়ে আপনার অনুভূতি কী?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমার সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত দায়িত্বটি আমি পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর একটি আমানত আমাদের ওপর দিয়েছেন, যার প্রধান হচ্ছি আমি। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একটি আমানত তিনি আমাকে বিশ্বাস করে দিয়েছেন এরপর আমার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কেউ হতে পারে না। এর সমমানের হয়তো আছে, কিন্তু বাংলাদেশে এর চেয়ে বড় কোনো দায়িত্ব, সম্মানিত দায়িত্ব আর নেই।
বাংলা ইনসাইডার: কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন সভাপতি হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আপনার পরিকল্পনা কী?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: কমিউনিটি ক্লিনিকের অ্যাডভাইজরি কমিটির সভাপতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আমি। কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১৮-এর ধারা ৯(১) এর বিধান মোতাবেক ১৫ সদস্যের সমন্বয়ে আমাকে চেয়ারম্যান করে ৩ বছরের জন্য ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সাল থেকেই কমিউনিটি ক্লিনিক করার জন্যই একদমই ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ নিয়ে কীভাবে বিল্ডিং হবে, কীভাবে কোথায় কী কাজ হবে সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন আর তখন থেকেই আমি তাঁর সঙ্গে কাজ করেছি। সে সময় সচিব ছিলেন মোহাম্মদ আলী। তখন থেকে শুরু করে আমি পরবর্তীতে আমি যখন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ছিলাম তখনও কমিউনিটি ক্লিনিকে আমি কাজ করতাম। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, আমার সম্পূর্ণ জিনিসটি জানা আছে। আমার মূল দায়িত্ব হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে চাইছেন সেভাবে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার প্রকল্প এই কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্প বাস্তবায়িত করা।
আমি মনে করি, সভাপতি হিসেবে আমার দায়িত্ব পালনের জন্য দুটি বিষয় রয়েছে।
প্রথমত, সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রয়োগ করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করা হয়েছে এই মেসেজ সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া। অনেকে মনে করেন উপজেলায় একটি বড় হাসপাতাল থাকবে আর কমিউনিটি ক্লিনিকে একটি ছোট হাসপাতাল। কিন্তু বিষয়টি এত সহজ না। এখানে একটি ছোট ক্লিনিক থাকবে যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে ডিজাইন করেছেন। কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে। আমাদের কর্মীরা প্রয়োজনে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছে দেবে। প্রসূতি স্বাস্থ্যসেবা, পোস্ট প্রেগন্যান্সি স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা হচ্ছে যে এখানে যতদূর সম্ভব নারীদের প্রাধান্য দিতে হবে।
আমার দ্বিতীয় দায়িত্ব হচ্ছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিককে ঠিকমতো উপস্থাপন করা। পৃথিবীর সবাইকে জানানো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমনকি মাইক্রো লেভেলে ম্যানেজমেন্ট করে কীভাবে সবার জন্য সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে কমিউনিটি ক্লিনিক দেখেই আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। আমার বিশ্বাস, যদি আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বে একজন অনন্য স্বাস্থ্য দানকারী হিসেবে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবেন। আমি মনে করি, এই মডেলকে গ্রহণ করে অন্যান্য দেশও উপকৃত হবে এবং এই মডেল দেখতে সবাই বাংলাদেশে আসবে। এক্ষেত্রে আমার রুটিন কাজ যেটা থাকবে সেগুলো আমি চেয়ারম্যান হিসেবে সকলে মিলে পালন করবো।
আমার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হবে টিম বিল্ডিং করা। কারণ আমি একক ব্যক্তি হিসেবে কিছু করতে পারবো না। আমার এই সম্পূর্ণ কমিউনিটি ক্লিনিক টিমকে যেন আমি এক রাখতে পারি আমি সেই চেষ্টা করবো এবং আমার খুব দৃঢ় বিশ্বাস সেটা আমি পারবো। এছাড়া আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবসময়ই যাওয়া যায়। তাঁর নির্দেশনা নিয়ে আমি কাজ করবো।
বাংলা ইনসাইডার: বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক মডেলটি কীভাবে কার্যকরী হতে পারে?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: কমিউনিটি ক্লিনিকের ডিজাইন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব সরলভাবে করেছেন। আমাদের যেহেতু ইতিমধ্যে ডিজাইন করা আছে, কেউ চাইলে সেই ডিজাইন আমরা সাপ্লাই দিতে পারবো। আমরা কমিউনিটি ক্লিনিক নিয়ে বাস্তবে কাজ করছি। গত ১০ বছর ধরে এ ব্যাপারে আমরা ধারাবাহিকভাবে সফল। সুতরাং যে কোনো দেশ এসে দেখে বুঝতে পারবে কীভাবে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা যায়। তাদের যা যা প্রয়োজন হবে, ট্রেনিংয়ের প্রয়োজনও যদি হয় সেটি আমরা সরবরাহ করবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহাখালীতে তিন বিঘা জমি কমিউনিটি ক্লিনিকের হেড অফিসের জন্য বরাদ্দ করেছেন। সেখানে ভবন নির্মাণ সম্পন্ন হলে ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত রাখবো যাতে দেশ ও বিদেশের সবাই এসে ট্রেনিং করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার: এর মধ্যে কোনো দেশ কি কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: যারাই কমিউনিটি ক্লিনিক ভিজিট করেছে তারা সকলেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এ ব্যাপারে আমরা বেসিক্যালি অ্যাপ্রোচ শুরু করতে পারিনি। আমাদের ভবন করতে কিছু সময় লাগবে। তবে এর আগ পর্যন্ত সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করছি, কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কী বিকল্প ব্যবস্থা করা সম্ভব। আমার বিশ্বাস, যেভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবার ক্ষমতায় আসবেন। তখন আমরা আবার কাজ শুরু করতে পারবো। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্য দেশে-বিদেশে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারবো বলে আশা করি। টিমের সকলের মতামত নিয়ে আমরা কাজ করবো। এটা শুধু প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রজেক্টই না, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন। যেমন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প উনি করে দিয়েছেন কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরাসরি সম্পৃক্ত। আমরা যারা টিমে আছি এটা আমার বা আমাদের জন্য বড় এডভান্টেজ। যিনি ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন প্রফেসর ডা. মাখদুমা নার্গিস, তিনি আমার বড় বোনের মতো। আমাদের খুব ভালো টিম। এছাড়া যারা যারা আসছেন প্রত্যেকের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে।
বাংলা ইনসাইডার: কমিউনিটি ক্লিনিক প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের জায়গা। এই স্বপ্ন সফল করতে কী বাধা আসতে পারে এবং এ থেকে উত্তরণের উপায় কী?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০ বেডের হাসপাতালের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে তাঁকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর কন্যা মনে করলেন, পিতার পরিকল্পনার হাসপাতাল থাকবেই, তবে একই সঙ্গে তিনি ছয় হাজার বা এর কাছাকাছি লোকের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করার স্বপ্ন দেখলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীই এই স্বপ্ন দেখেছেন, স্বপ্ন বাস্তবায়িত করেছেন এবং সেই স্বপ্নকে স্পর্শ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি আমাদেরকেও তাঁর স্বপ্ন স্পর্শ করানোর সুযোগ দিয়েছেন। এই স্বপ্ন সফল করার পথে আমাদের বাধা হচ্ছে আমাদের অদক্ষতা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর একটি আমানত আমাদের কাছে দিলেন, আমাদের কর্মীরা অদক্ষতা দেখালেই কেবল এটি ব্যর্থ হবে। আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী এ আমানত রক্ষা করতে ব্যর্থ হই তা হবে আমাদের সামগ্রিক ব্যর্থতা। তবে আমি এবং আমাদের টিমে যারা আছেন তাঁদের জীবনে ব্যর্থতার চেয়ে সফলতা বেশি। তাই আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কাজে কোনো বাধা বড় হয়ে দাঁড়াবে না। এক্ষেত্রে আমাদের বড় সুবিধা হচ্ছে আমরা একে অন্যকে চিনি।
বাংলা ইনসাইডার: কমিউনিটি ক্লিনিকের লোকবল, গঠন পদ্ধতি, পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে যদি সংক্ষেপে কিছু বলেন।
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: এখন যে নিয়ম আছে, আমি মনে করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে পড়ে কিছুটা পরিবর্তন আনতে পারবো। এখন কমিউনিটি ক্লিনিকের সব সেন্ট্রালি পরিচালিত হয়। আমরা চেষ্টা করবো এটা ডিসেন্ট্রালাইজ করতে পারি কি না। আসল কথা হলো লোকবল নিয়োগে, জিনিসপত্র কেনাকাটায় ট্রান্সপারেন্সি কীভাবে আনা যায় সে ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
বাংলা ইনসাইডার: ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮- কমিউনিটি ক্লিনিকের সূচনা পর্ব থেকেই আপনি এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের কী অগ্রগতি দেখেছেন?
ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী: প্রথম যখন আমরা শুরু করেছিলাম, ক্লিনিকের শুধু মাত্র দুটো রুম ছিল। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নতুন ভবনের ডিজাইন একে দিয়েছেন যেখানে রুম থাকবে ৩টি। তাছাড়া বিল্ডিংগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হচ্ছে যা উপরের দিকে সম্প্রসারণ করা যাবে। আর ক্লিনিকের সার্ভিসও আগের থেকে ইম্প্রুভ করেছে কিন্তু আরও অনেক ইম্প্রুভমেন্টের সুযোগ আছে। এছাড়া দিনে দিনে আমরা কাজের মাধ্যমে ট্রেইন্ড হওয়া হচ্ছি। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, স্থানীয় জনগণ যারা এই কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করেন তারা খুব এক্সাইটেড এই বিষয়টি নিয়ে। জনগণের এই সম্পৃক্ততা আমাদের জন্য একটি বিরাট রকমের সাফল্যের চাবিকাঠি। আমরা যদি এই জনগণকে নিজেদের সঙ্গে ধরে রাখতে পারি তাহলে আমাদের সফলতা আসবেই। তবে এই সফলতা দিন দিন বাড়ছে কারণ জনগণ বুঝতে পারছে কমিউনিটি ক্লিনিক তাদের নিজেদেরই সম্পত্তি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জাতীয় প্রেস ক্লাব
মন্তব্য করুন
বিএনপি ভারত বিরোধী মার্কিন বিরোধী মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন
শেখ হাসিনা বাহাউদ্দিন নাছিম আওয়ামী লীগ ঢাকা-৮
মন্তব্য করুন
নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান
বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ভোটার ও প্রার্থীদের ধারণা পাল্টিয়েছে, বিশ্বাস জন্মেছে।
তার কারণেই প্রার্থীরা আবারও ভোটাদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। প্রার্থীরা ভোটাদের দ্বারে
যাওয়ার যে সংস্কৃতি সেটা আবারও ফিরে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) যশোর শিল্পকলা
একাডেমির মিলনায়তনে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে
অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে যশোর, নড়াইল ও মাগুরার জেলার প্রার্থী নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে
মতবিনিময় শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এ কথা বলেন।
একদিন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন বিশ্বের
রোল মডেল হবে মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৩৬ শতাংশ
এ সময়ে অনেক। দেশের কয়েকটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ না নেয়াতে ভোটার উপস্থিতি কম।
আগামীতে দেশের যত ভোট আসছে, ততই আমাদের ভোটের পরিবেশ, ভোট গ্রহণ পরিবর্তন ঘটছে। বিগত
সময়ে নির্বাচন নিয়ে কি ঘটেছে সেটা ফিরে তাকানোর আর কোন সুযোগ নেই। বাংলাদেশের নির্বাচন
কমিশন সকল বির্তক, সমালোচনা পিছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়ে দিন দিন উন্নতির দিকে যাচ্ছে।
ইসি আহসান হাবিব বলেন, নির্বাচনে ভোটারের
উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা কাজ করবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম
ধাপে মোট ভোট গ্রহণের শতাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা এবার থেকে ভোট গ্রহণে উপজেলা ভিত্তিক
তালিকা প্রকাশ করা হবে। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীরা আলাদাভাবে
প্রচারণা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যারা ভোটাদের বাঁধা দিবে তাদের প্রতিহত করবে প্রশাসন।
আমরা প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়েছি আইনের হাত ও ক্ষমতা অনেক বেশি। নির্বাচন বানচাল করতে
সেই ক্ষমতা কঠোরভাবে প্রয়োগ করবে প্রশাসন।
ইসি আরও বলেন, বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমান
কমিশন সততার সঙ্গে কাজ করছে। শুধু কমিশন নয়, নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা সততার
সঙ্গে কাজ করছে। নির্বাচনে সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আইন পাস করেছে এ কমিশন। কেউ সাংবাদিকদের
কাজে বাধাগ্রস্ত করলে জেল জরিমানার বিধান করা হয়েছে। মিডিয়াকে এ অবস্থানে নেয়ার ক্ষেত্রে
এ কমিশন ও সরকার ভূমিকা রাখছে।
যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল
হাছান মজুমদারের সভাপতিত্বে সভায় যশোর, নড়াইল ও মাগুরা জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপাররা
বক্তব্য রাখে। সভায় যশোর, মাগুরা ও নড়াইল জেলার সকল প্রার্থী, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট উপজেলাসমূহের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাবৃন্দ, আচরণবিধি ও আইনশৃঙ্খলা
রক্ষায় দায়িত্বপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাবৃন্দ
এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ অংশ
নেয়।
অনুষ্ঠান শেষে বিকেলে শার্শা উপজেলা
পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেন ইসি আহসান
হাবিব খান।
মন্তব্য করুন
১৯৮১ সালের ১৭ মে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন এক বৃষ্টিমুখর দিনে। সেই দিনে লাখো মানুষ মানিক মিয়া এভিনিউতে জড়ো হয়েছিল জাতির পিতার কন্যাকে দেখার জন্য। তাদের শোক এবং আবেগ ছিল হৃদয়স্পর্শী। সারা বাংলাদেশ উত্তাল হয়েছিল। জাগরণের এক গান গেয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এই সরকার পুরোপুরিভাবে নতজানু সরকারে পরিণত হয়েছে। শুধু ফারাক্কা নয়, গঙ্গার পানি নয়, বাংলাদেশের ১৫৪টি নদীতে পানি দিতে তারা গড়িমসি করে যাচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি বণ্টন, এ করছি, এ হচ্ছে এমন করে সময় শেষ করছে সরকার। এ যে ব্যর্থতা এর মূল কারণ হচ্ছে, সরকারে যারা আছে তারা পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু সরকার।