ইনসাইড গ্রাউন্ড

টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের ১৮ বছর পূর্ণ হলো আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২:১৫ পিএম, ১০ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

আজ ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য স্মরণীয় এক দিন। ২০০০ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আজকের দিনেই ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের ১৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। আইসিসির কাছ থেকে বাংলাদেশ টেস্ট মর্যাদা লাভ করে  ২০০০ সালের ২৬ জুন।

গত ১৮ বছরে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ খেলেছে ১০৯ টি টেস্ট ম্যাচ যেখানে মাত্র ১০ টি ম্যাচে জয়ের দেখা পায় টাইগাররা। ১৬ ম্যাচে ড্রর বিপরীতে হেরেছে ৮৩ টেস্ট ম্যাচ। ১৮ বছরে টেস্ট খেলুড়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে জয়ের শতকরা হিসেবে সবচেয়ে নিচে বাংলাদেশ দল। ১৮ বছরে মাত্র ১৬.৫ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা।

টাইগারদের টেস্টে প্রথম জয় আসে ৫ বছর পর। এনামুল হক জুনিয়রের অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে ২০০৫ সালে চট্টগ্রামের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জিতে বাংলাদেশ। সবশেষ জয় আসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২০১৭ সালে মিরপুরে।

টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের এখন পর্যন্ত দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ৬৩৮ রান। ২০১৩ সালে গল টেস্টে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে এই স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। এই ইনিংসে ১৯৬ ওভার ব্যাট করে টাইগাররা। টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের সবচেয়ে বড় লজ্জার রেকর্ডটি হয় এ বছরই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত জুলাইতে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৮ বছরের টেস্ট ইতিহাসে এটাই নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।

এখন পর্যন্ত টেস্টে সবচেয়ে বেশি রান ওপেনার তামিম ইকবালের।  ৫৬ ম্যাচে ৮ সেঞ্চুরি ও ২৫ হাফ সেঞ্চুরিতে ৪০৪৯ রান তাঁর। সবচেয়ে বেশি উইকেট সাকিব আল হাসানের ৫৩ ম্যাচে ১৯৬ উইকেট তাঁর।

টেস্টে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি আসে বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ওয়েলিংটন টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে ২১৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। টেস্টে টাইগারদের রয়েছে আরও দুটি ডাবল হান্ড্রেড। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের ২০৬ ও ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মুশফিকুর রহিমের ২০০ রানের ইনিংস।

বাংলা ইনসাইডার/এজেএস /জেডএ 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

টটেনহ্যাম জুজু কাটিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে ম্যানসিটি

প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

বর্তমানে ইউরোপিয়ান ফুটবলে কোন ক্লাব ফর্মের তুঙ্গে রয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে যে কোন ফুটবল ভক্তই নির্দিধায় বলবে ম্যানচেস্টার সিটি। কেননা গত কয়েক সিজনে এ দলটি নিজেদের সেরাটা দেখিয়েছে মাঠে। ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ প্রিমিয়ার লীগের তিনটি আসরেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হলেও সিটি যেন টটেনহাম হটস্পারের মাঠে গেলে বাচ্চা শিশু। কেননা, ২০১৯ সাল থেকে হটস্পারদের মাঠে কখনোই জিততে পারেনি সিটি।

ম্যাচ জিতলেই ম্যান সিটি শিরোপার কাছে আর পয়েন্ট হারালেই আর্সেনাল এমন সমীকরণে গতকাল হটস্পারদের মাঠে আতিথেয়তা নিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আশা আর উদ্বেগ নিয়ে ম্যাচের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলো আর্সেনাল ফুটবলার থেকে শুরু করে কোচ, সমর্থক সবাই। এর আগেও ২০২২-২৩ মৌসুমে শেষ মুহুর্তে সিটির কাছে শিরোপা হারায় তারা।

আর অন্যদিকে সিটি সমর্থকদের মধ্যে ছিল উৎকন্ঠা। ‘হটস্পার জুজু’ যেন আবার চেপে না ধরে সেই আশায় করছিল সবাই। কারণ ২০১৯ থেকেই হটস্পারদের মাঠে কোন গোল পায়নি দলটি।

তবে সিটিজেনদের রুখে দিবে এমন সাধ্য কার! দল তথা ইপিএলের গোল মেশিন খ্যাত হলান্ডের জোড়া গোলে শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলে মাঠ ছাড়ে পেপ গার্দিওরার শিষ্যরা। আর এ জয়ে টানা চতুর্থ লীগ শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় তারা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমন, পাল্টা আক্রমন চলতে থাকে। ফোডেন, ডি ব্রুইনারা ভালোই পরীক্ষায় ফেলেন হটস্পার গোলরক্ষককে। কিন্তু প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোন দলই।

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের ৫০ তম মিনিটে ডি ব্রুইনার দেয়া পাস থেকে টোকা মেরে বল জালে পাঠান হলান্ড। এরপর ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে আরেকটি গোল করেন হলান্ড।

সিটির এই জয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে আবারও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে সিটিজেনরা। আগামী ১৯ নভেম্বর ওয়েস্ট হামের বিপক্ষে জয় পেলেই শিরোপা উৎসবে মাতবে তারা।

আর সেই ম্যাচে পয়েন্ট হারালে আর্সেনালের কাছে সুযোগ থাকবে এভারটনকে হারিয়ে শিরোপা জিতার।

উল্লেখ্য, লীগে সমান সংখ্যক ৩৭ ম্যাচ খেলে ম্যান সিটির পয়েন্ট ৮৮ পয়েন্ট। আর ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে আর্সেনাল।


ইপিএল   শিরোপা   আর্সেনাল   ম্যান সিটি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

চ্যাম্পিয়নস লিগে মেসি–নেইমার–এমবাপ্পেরা পারেননি, কখনো কি জিততে পারবে পিএসজি!

প্রকাশ: ১০:৩৯ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে শেষ ষোলোতে হেরে বিদায় নেয় পিএসজি। এরপর আরও পাঁচটি মৌসুম কেটে গেল, পিএসজির আর চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জেতা হয়নি এখনো! কিন্তু হাল ছাড়েনি পিএসজি। প্যারিস থেকে তারকা গেছে, এসেছে নতুন তারকা; কিন্তু নেইমার-এমবাপ্পেকে সারথি বানিয়ে স্বপ্ন দেখে গেছে তারা।

২০২১ সালে তো বার্সেলোনার দুর্বলতাকে পুঁজি করে লিওনেল মেসিকে দলে ভেড়ান নাসের আল খেলাইফি। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে; তর্কসাপেক্ষে সেই সময় ফুটবল বিশ্বের সেরা আক্রমণত্রয়ী গড়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন তিনি।

মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ী যুগে প্রবেশের আগে পিএসজিতে খেলাইফি-যুগ আর চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের স্বপ্নের সূচনা-পর্বটা একটু ঘুরে আসা যাক। প্যারিসের ক্লাবটিতে খেলাইফি-যুগের শুরু ২০১১ সালে। কাতারিদের বিশাল বিনিয়োগের ফল ফ্রান্সের ঘরোয়া ফুটবলে পিএসজি পেতে শুরু করে বছর তিনেক পর থেকে। ২০১৪-১৫ থেকে টানা জিততে শুরু করে ঘরোয়া লিগ আর কাপের ট্রফি।

পিএসজির সমর্থকদের তখন হয়তো মনে হচ্ছিল, গোলাপের পাপড়ি ছিটানো প্যারিসের সড়ক দিয়ে তো অনেক হাঁটা হলো, এবার ফরাসি সৌরভ ইউরোপের বন্দরে-অন্দরে ছড়িয়ে দেওয়া যাক! দামি, কিন্তু সুরভিত সব খেলোয়াড় কেনার জন্য কাতারি অর্থ তো আছেই। তাহলে আর দেরি কেন! প্যারিসের স্বপ্নাতুর আর ইউরোপসেরার ট্রফি জয়ের জন্য বিভোর চোখগুলো নজর এড়ায়নি খেলাফিরও। তাঁর অবস্থাও তো তখন পুর্ণেন্দুপত্রীর সেই কবিতার লাইনের মতো—সমস্ত পাওয়ার পরও মানুষের তবু বাকি থাকে/কোনোখানে একটি চুম্বন।

খেলাইফির সেই একটি চুম্বন যে চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা, সেটা কারই বা আর অজানা আছে! তাই তো তিনি ২০১৭ সালে বার্সেলোনা থেকে নেইমার আর পরের বছর মোনাকো থেকে এমবাপ্পেকে দলে ভেড়ান। ফরাসি ফুটবলে তাঁরা দুজন তো তখন শাঁচ আর লা বেলে পারফিউমের মতোই সুরভিত আর বিখ্যাত। কিন্তু শাঁচ আর লা বেলের মতো নেইমার ও এমবাপ্পে শুধুই ফরাসি সৌরভ হয়েই রইলেন, গুচি বা ক্যালভিন ক্লেইনের মতো বৈশ্বিক হতে পারলেন কই! তাঁরাও পিএসজিকে শুধু ঘরের রাজা করেই রাখতে পারছিলেন, ইউরোপের নয়।

খেলাইফি এবার আরও মরিয়া হয়ে উঠলেন। বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের নেশায় উন্মত্ত আর চ্যাম্পিয়নস লিগের মাদকতায় আসক্ত ঘোলা চোখ খেলাইফি তখন হাত বাড়ালেন মেসির দিকে, পেয়েও গেলেন। ২০২১ সালে প্যারিসে গড়লেন এমএনএম ত্রয়ী। প্রথম মৌসুমে অতটা আশা হয়তো করেননি, ত্রয়ীটাকে জমে ওঠার সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর? ২০১৯ সালে কাভানি যেমন লিখে রেখেছিলেন ঘরে, ২০২৩ নেইমার ও এমবাপ্পের সঙ্গে মেসিকেও পেয়ে খেলাইফি নিজে লিখে রাখলেন পার্ক দ্য প্রিন্সেসের আনাচকানাচে—এবার আমরা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতব! ফুটবল দেবতা হয়তো তখন আড়ালে মুচকি হাসছিলেন। আর চুপে চুপে বলছিলেন—ওরে নির্বোধ, টাকা দিয়ে ভাগ্য কিনতে চাইছিস। দাঁড়া দেখাচ্ছি মজা!

পিএসজি সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে কী, শুরু হয়ে যায় গৃহদাহ! নেইমার-এমবাপ্পের বিরোধ, মেসির ঠিক ছন্দ খুঁজে না পাওয়ার আক্ষেপ মিলিয়ে পিএসজিতে সে এক তুমুল বিশৃঙ্খল পরিবেশ! শেষে তো মেসি বিদায় বলে মার্কিন মুলুকে পাড়ি জমালেন। সমর্থকদের জ্বালা সইতে না পেরে নেইমারও পাড়ি জমালেন মরুর দেশ সৌদি আরবে। প্যারিসের রাজা হয়ে পড়ে রইলেন শুধু এমবাপ্পে। কিন্তু কী জানি কী ভেবে—এমবাপ্পেও একটা সময় ঘোষণা দেন, তিনিও আর থাকবেন না প্যারিসে। পাড়ি জমাবেন স্বপ্নের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদে।

তা, এমবাপ্পে যাক, কিন্তু যাওয়ার বেলায় রাঙিয়ে দিয়ে যাক—পিএসজির সমর্থকদের মনোভাবটা ছিল এ রকম। এমবাপ্পেও মনে মনে চাইছিলেন, প্যারিস তিনি ছাড়বেন রাজার বেশেই। এ কারণেই কবে কখন পিএসজি ছাড়বেন, সেই ঘোষণা দেননি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার আগে। ইউরোপে পিএসজির আরেকটা মৌসুম গেল, অধরা রইল চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি।

ফুটবলবিশ্বে এখন প্রশ্ন—দি মারিয়া চলে গেছেন, কাভানিও তো আগেই কেটে পড়েছেন—তারার হাট সেই কবেই তো ভেঙেছে। এখন তো নক্ষত্রেরও পতন ঘটেছে। পিএসজি কি আর কখনো চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতবে?

প্যারিসের ক্লাবটির সমর্থকদেরও হয়তো হৃদয় বিদীর্ণ—আর পাওয়া হলো না শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের স্বাদ! কখনো কখনো বড় কোনো ব্যর্থতায় মনে হতে পারে—পৃথিবী রং হারিয়ে একমুঠো ছাই হয়ে গেছে। মনে হতে পারে সব শেষ, সবকিছু থমকে গেছে।

কিন্তু না, হঠাৎ সেই ছাইয়ের মাঝ থেকে উঁকি মারে এক জোড়া সবুজ পাতা! মানে, সব হারানো মানুষের মনেও স্বপ্ন ঠিকই উঁকি দেয়, দোল দিয়ে যায় মন। সেই দোল কি দিচ্ছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে পিএসজি ছিটকে যাওয়ার পর কোচ লুইস এনরিকের আশ্বাসবাণীতে! স্প্যানিশ কোচ যে বলেছেন, ‘পিএসজি গ্রেট দলই থেকে যাবে। এমনকি এর চেয়ে ভালো দল হবে।’

কিন্তু মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মতো মহাতারকা কি আর আসবে পিএসজিতে! তাঁরাই যখন পারেননি পিএসজিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতাতে, আর কে পারবেন? এর উত্তরে পিএসজির কোনো পাঁড় সমর্থক জীবনানন্দ দাশের কবিতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বলতেই পারেন—যদিও প্রত্যাশা সব সর্বস্বান্ত ব’লে মনে হয়—/আশার আস্থার আধার তবু নিজেই মানুষ/মহাকাশ কিংবা মহাসাগরের চিহ্নগুলো নয়। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা যদি মহাকাশ আর মহাসাগর হন, তাঁদের চিহ্ন দিয়ে নয়; পিএসজি এগিয়ে যাবে নিজেদের আস্থা দিয়ে।

কিন্তু সেই আস্থা প্যারিসের দলটি পাবে কোথা থেকে? এই যে খেলাইফিসহ পিএসজির অন্য কর্মকর্তারা যে পিএসজির ভবিষ্যৎ প্রকল্প বা মহাপরিকল্পনার কথা বলেন, সেটা আসলেই কতটা দৃঢ়, তা–ও একটা বিষয়। অতীতে বারবারই ক্লাবটির ওপরের মহলের মধ্যে একটি চিন্তাধারার মধ্যে ‘স্টেজে মেরে দেব’ একটা ভাব দেখা গেছে। মানে লম্বা সময় ধরে কিছু গড়ে তোলার বদলে তারা সব সময়ই চেয়েছে তাৎক্ষণিক ফল।

তাই তো যখনই তাদের মনে হয়েছে, একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা খুব দরকার, তখনই এমন কোনো বড় তারকাকে দলে ভিড়িয়েছে, যাঁকে দেখে তাদের মনে হয়েছে—এ-ই তো আমাদের কাঙ্ক্ষিত সেই ‘সাত রাজার ধন’ এনে দিতে পারে। কে জানে ধনকুবেরদের ভাবনা বুঝি এ রকমই হয়!

কখনো নেইমার-এমবাপ্পে, কখনো মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেতে সওয়ার হয়ে তারা কাতারি ধনকুবেররা পিএসজিতে চূড়ান্ত সাফল্য আনতে চেয়েছে। এর জন্য যখন, যত প্রয়োজন অর্থ ব্যয় করেছে। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জয়ের ব্যাপারটা তো আর ‘যখন ইচ্ছা হলো মই বেয়ে আকাশে উঠে মদ পেরে’ খাওয়ার মতো নয়! তাই এমন স্বপ্ন পূরণ হয়নি পিএসজি-কর্তাদের। যেটা আসল জিনিস, সত্যিকারের ‘ক্লাব কালচার’, যে কালচার চর্চা করলে সাফল্য পাওয়া যায়, সেটা কি আসলেই তৈরি হয়েছে পিএসজিতে?

যদি সেটা হতোই, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পের মধ্যে দারুণ সমন্বয় আর সখ্য গড়ে না উঠে অহমের বৈরিতা তৈরি হবে কেন প্যারিসে। কই, রিয়াল মাদ্রিদের নক্ষত্রপুঞ্জের দিনগুলোতে রোনালদো নাজারিও, ডেভিড বেকহাম, জিনেদিন জিদান, রবার্তো কার্লোসদের মধ্যে অহমের ছিটেফোঁটাও তো দেখা যায়নি। কিংবা বার্সেলোনায় রোনালদিনিও, মেসি, ইতোরাও তো দলের জন্য লড়েছেন একযোগে। এর ফসলও তাঁরা ঘরে তুলেছেন।

শুধু এটাই কি পিএসজির ‘ক্লাব কালচার’ গড়ে না ওঠার একমাত্র কারণ? যদি অমন ‘কালচার’ থাকতই, তাহলে ক্রীড়া পরিচালক লুইস কাম্পোস ম্যাচ চলাকালে ডাগআউটে দাঁড়িয়ে খেলোয়াড়দের উদ্দেশে চিল্লাতে পারেন না। যদি সেটাই থাকত, তাহলে কি আর ফি বছর কোচ বদল হতো পার্ক দ্য প্রিন্সেসে! গত তিন বছরের কথাই ধরুন না, ২০২১ সালে দলটির কোচ ছিলেন মরিসিও পচেত্তিনো, পরের বছর ক্রিস্টফ গালতিয়ের আর ২০২৩ সালে প্যারিসের ডাগআউটে লুইস এনরিকে।

পরিষ্কার করে এটা বলে দেওয়া মুশকিল যে আর মেসি-নেইমার-এমবাপ্পেরা যখন পারেননি, পিএসজিও আর পারবে না চ্যাম্পিয়নস লিগ জিততে। ১৯৯১ সালে রেড স্টার বেলগ্রেড বা ২০০৪ সালে পোর্তো কি দলীয় প্রচেষ্টায় চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতেনি! পিএসজিও হয়তো একদিন পারবে। কিন্তু তার আগে যে ওই ‘ক্লাব কালচার’টা গড়ে উঠতে হবে সেখানে।


চ্যাম্পিয়নস লিগ   মেসি   নেইমার   এমবাপ্পে   পিএসজি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

ব্যর্থতার পরও দলে লিটন, পারফরম্যান্সে এগিয়ে থেকেও কেন বাদ মিরাজ?

প্রকাশ: ০৯:০৩ এএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

সারাবিশ্বের ক্রীড়াঙ্গনে যেন সাজ সাজ রব। এশিয়া থেকে ইউরোপ, ইংল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সবখানেই যেন জমে উঠেছে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আমেজ। আগামী জুন মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হতে যাওয়া এই বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে ইতোমধ্যেই অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল বেশ শক্ত-পোক্তভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

শুধু তাই নয়, দল গোছানোতেও নিজেদের সেরাটাই দিচ্ছে প্রতিটি দেশ। তবে এই টুর্নামেন্ট উপলক্ষ্যে যেখানে একসময়ের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা নিজেদের দল ঘোষণা করেছিল সেই শুরুর দিকে, সেখানে দ্বিতীয় রাউন্ড খেলা নিয়ে সংশয় থাকা দল বাংলাদেশ করেছে গড়িমসি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশ পাকিস্তান এখনও দল ঘোষণা করেনি।

বড় কোনো টুর্নামেন্টের আগে দল ঘোষণা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নাটকের ঘটনা পুরোনো। যার ব্যক্তিক্রম হলোনা এবারের টি-২০ বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপের প্রাথমিক স্কোয়াড আইসিসির কাছে জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গত ১ মে। নিউজিল্যান্ড সবার আগে দল ঘোষণা করলে শুরু হয় বাকিদের দল ঘোষণার অপেক্ষা। একে একে সবাই দল ঘোষণা করলেও বাকি ছিল শুধু বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনা শেষে মঙ্গলবার (১৪ মে) বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে বিসিবি। জিম্বাবুয়ে সিরিজের শেষ ম্যাচের আগে ইনজুরিতে পড়া তাসকিন আহমেদের দলে থাকা নিয়ে শঙ্কা ছাড়া তেমন কোনো উত্তাপ ছিল না এবারের দল ঘোষণা নিয়ে।

তবে বিসিবি গড়িমসি করে শেষ পর্যন্ত দল ঘোষণা করলেও, সমালোচনার বৃত্ত থেকে বেরোতে পারেনি এখানেও। কারণ হিসেবে অবশ্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকও রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম একটি হল, অফ ফর্মে থাকার পরও লিটনকে দলে ভেড়ানো এবং স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী মিরাজকে বাদ দেওয়া। 

বিসিবি দল ঘোষণার আগ পর্যন্ত মেহেদী মিরাজকে নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছিল। যার কারণ ছিলেন লিটন দাস। সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে রান নেই। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে বিকল্প ওপেনার হিসেবে মিরাজকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে সেটি গুঞ্জন পর্যন্তই রয়ে গেছে। কারণ, যার জন্য তাকে বিবেচনায় রাখা হয়েছিল শেষ পর্যন্ত সেই লিটনের ওপরই আস্থা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট।

কিন্তু দল ঘোষণার পর থেকে অফফর্মে থাকা লিটনকে নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। কারণ, চলতি বছরে ৬টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন লিটন। যেখানে মাত্র ১৩ গড়ে ৭৯ রান করেছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে লিটনের এমন ফর্ম নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

আর মিরাজ গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন। ব্যাটিংয়ে সাতে নামেন বলে এমনিতেও সুযোগ খুব একটা পান না। বিস্ময়করভাবে ১৬ জুলাইয়ের ম্যাচে বলও করেননি তিনি। এরপর বাংলাদেশ তিনটি টি-২০ সিরিজ খেললেও, কোনো সিরিজেই ছিলেন না তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেননি। শ্রীলংকার বিপক্ষে ছিলেন না। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে দুই দফায় ঘোষিত ২০ জন ক্রিকেটারের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি তার।

কিন্তু মিরাজ এবার বিপিএলে ছিলেন দারুণ ছন্দে। ব্যাটে বলে ছড়িয়েছেন দ্যুতি। ছিলেন বিজয়ী দলের সদস্যও। এমনকি সম্প্রতি পারফরম্যান্স বিবেচনায় লিটনের তুলনায় বেশ এগিয়ে রয়েছেন মিরাজ। বিপিএলে ২১৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করার রেকর্ডও রয়েছে তার। তবে এত সবকিছুর পরও বাদ পড়তে হয়েছে মিরাজকে। আর টানা অফ ফর্মে থেকেও ভরসা রাখা হয়েছে লিটন দাসের উপর।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে বিসিবি। ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্টরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দ্বারা নানা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে। অনেকে বলছেন, মিরাজ রাজনীতির স্বীকার হচ্ছেন। আবার অনেকে জানাচ্ছেন বৈষম্যের কথা। আর লিটনকে এত কিছুর পরও সুযোগ দেওয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। 

তবে এ বিষয়টি নিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

আর মিরাজ নয়, লিটনের বিকল্প হিসেবে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা।’

তবে বিসিবির প্রধান নির্বাচকের এমন বক্তব্যের পরও সমালোচনা করে চলেছেন ভক্ত সমর্থকরা। তাদের দাবি মিরাজকে নিয়েই বিশ্বকাপে উড়াল দেক বাংলাদেশ। 

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের পর প্রায় দীর্ঘ চার বছর টি-২০তে দেখা যায়নি মেহেদী মিরাজকে। তবে ৪ বছর পর সেই মিরাজ ঠিকই ২০২২ টি-২০ বিশ্বকাপের দলে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে এবার মিরাজের ঠাই হয়নি আসন্ন বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে। 

বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, তানভীর ইসলাম, শেখ মাহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ (সহ-অধিনায়ক), মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। রিজার্ভ: হাসান মাহমুদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।



ক্রিকেট   লিটন দাস   মিরাজ   বিসিবি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

অফফর্মের পরও বিশ্বকাপ দলে লিটন, কারণে যা বললেন লিপু

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নিয়মিত ওপেনার লিটন কুমার দাস। অভিষেকের পর থেকে ব্যাট হাতে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন তিনি। তবে ইদানিং যেন দুঃসময়ের ঘোর থেকে কিছুতেই বের হতে পারছেন না তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলংকা ও জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোটাদাগে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য মাঝে অবশ্য দল থেকে বাদও পড়েছিলেন। অনেকেরেই ধারণা ছিল, আসন্ন টি-২০ বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়বেন লিটন। তবে সবাইকে অবাক করে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছেন লিটন দাস। সেটিও আবার ১৫ সদস্যের দলে।

চলতি বছর টি-২০ ফরম্যাটে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি লিটন। ৬ ম্যাচ খেলে করেছেন ৭৯ রান, গড় ১৩! আর লিটনের অফফর্মের পরও তিনি বিশ্বকাপের দলে কীভাবে ঠাই পেলেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। যদিও দল ঘোষণার সময় লিটনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন বিসিবির প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।

তিনি বলেন, ‘লিটনকে তৃতীয় (মূলত চতুর্থ) ম্যাচে বাদ দেওয়ার কারণ সেটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচ। সেজন্য ঐ বিশেষ ম্যাচের জন্য আমাদের এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল। লিটন কেবল ওপেনারই নয়, তার বিষয়টা তুললে উইকেটকিপিং সামর্থ্যের কথাও চলে আসে। আমাদের দুটো উইকেটকিপার নিয়ে যেতেই হবে। ওপেনিংয়ে হয়তো তার পরিবর্তে রিপ্লেস করতে পারছি।’

লিটনকে ফর্মে ফেরাতে কাজ চলছে বলেও জানান লিপু। তবে তার বিকল্প হিসেবে আলোচনায় এসেছিল এনামুল হক বিজয়ের নামও, ‘এক্ষেত্রে আবার আমরা এনামুল হক বিজয়কে নিয়েও আলোচনা করেছিলাম। তবে ফর্মহীন থাকার পরও আমাদের লিটনের ওপর আস্থা রাখতে হয়েছে। কারণ তাকে নিয়ে কাজ করা হচ্ছে এবং দুটো ম্যাচ যে তিনি খেলেননি সে সময়ও তার আস্থার জায়গা কিভাবে পুনরুদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা করে যাচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কতটুকু উন্নতি হয়েছে সেটা তো বলা যায় না। তবে বল বাছাই ও শট খেলার দিক থেকে তাকে আরও দৃঢ় করার জন্য কোচরা কাজ করছেন।’

এদিকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের শুরু থেকেই লিটন দলে থাকলেও, উইকেটকিপিংয়ে তার বিকল্প খুঁজতে চেয়েছিল বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। সে কারণে পুরো সিরিজে উইকেটের পেছনে দায়িত্ব সামলেছেন জাকের আলী অনিক।

তবে এই ভূমিকায় জাকেরের পারফরম্যান্স হয়তো আশা জাগাতে পারেনি বিসিবিকে। বেশ কয়েকটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়েছে তার হাত থেকে, এমনকি বল ক্যারি করতেও জাকেরকে নড়বড়ে দেখা গেছে। মনে হচ্ছিল বল ঠিক গ্লাভসে থাকছে না। আর এ কারণেই লিটনের হাতেই কিপিংয়ের দায়িত্ব ছাড়তে হচ্ছে জাকেরকে!


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু   লিটন দাস  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড গ্রাউন্ড

‘বাংলাদেশ সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনালে খেলবে’

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ১৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

সেই ২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আগমুহুর্তে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছিলেন, ‘এবার নয় বরং আগামী ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের ভাবনা।’ বিসিবি সভাপতির সেই ভাবনার বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে। আর কিছুদিন পরই মাঠে গড়াবে খেলা। যেখানে যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যেই টাইগাররা সবধরনের প্রস্তুতি গ্রহণও করেছে।

তবে যখন দলের প্রতি আশা-প্রত্যাশা নিয়ে বসে আসে ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে পুরো দেশ, তখন প্রধান নির্বাচকের কথায় ভিন্ন সুর। তিনি বলছেন, বাংলাদেশ টি-২০তে সেই পর্যায়ে এখনও যায়নি যে সেমিফাইনাল নিশ্চিতভাবে খেলতে পারবে। আর দলের প্রধান নির্বাচক যখন এমন কথা বলছেন তখন এটা ধরে নেওয়াই যায় যে দল কতদূর যেতে পারবে।

যদিও প্রধান নির্বাচক আরও বলেছেন যে, ‘আমরা আশা করি প্রথম রাউন্ড পার হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেন খেলতে পারি। তখন আবার প্রচেষ্টা থাকবে পরের ধাপে যাওয়ার।’

তবে প্রধান নির্বাচকের এই ধরনের কথার সুরে ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমানে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। শুধু তাই নয়, কিছুদিন আগে দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘আমার একটা অনুরোধ, প্রত্যাশা খুব বেশি রাখার দরকার নেই।’ অর্থাৎ বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে আশার বেলুন চুপসে দিতে চেয়েছিলেন টাইগার দলপতিও।

আর প্রধান নির্বাচক ও অধিনায়কের এমন কথার পর টাইগারদের পারফরম্যান্সসহ নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা। অনেকেই মনে করেন যে, আবারও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার আভাস পূর্বেই দিয়ে যাচ্ছেন তারা।


বাংলাদেশ   টি-২০ ক্রিকেট   বিসিবি   প্রধান নির্বাচক   গাজী আশরাফ হোসেন লিপু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন