ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি কি শেষ পর্যন্ত থাকবে নির্বাচনে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

অনেক অনিশ্চয়তা ও সংশয়ের পর শেষ পর্যন্ত বিএনপি আজ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন মিটিংয়ে নির্বাচনে ৭ দফা দাবি অর্জিত না হওয়ায় নির্বাচনে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এরপরও লন্ডন থেকে তারেক জিয়া নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে অনড় অবস্থানসহ নানা সমীকরণের কারণে বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে যাচ্ছে।

কিন্তু এরই মধ্যে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, বিএনপি কি সত্যিই নির্বাচনে যাবে? নাকি এটি একটি কৌশল। শেষ মুহূর্তে তারা মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার পর তা প্রত্যাহার করে নেবে নাতো বিএনপি? কারণ রাজনৈতিক অঙ্গনে মনে করা হচ্ছে, বিএনপি যতটা না নির্বাচনে যেয়ে জয়ী হতে চায়, তার চেয়ে বেশি দেশে নির্বাচন কেন্দ্রিক অচলাবস্থা বা সংকট সৃষ্টি করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বেকায়দায় ফেলতে চায়।

বিএনপির একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত তাদের আন্দোলনেরই একটি কৌশল। গতকাল শনিবার দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপি ৩ দফা বৈঠক করেছে। প্রথমে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক, পরে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক ও সর্বশেষ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। তিনটি বৈঠকেই আলোচনা করা হয়েছে, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কেউ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। কাজেই, সেটি প্রমাণ করার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই।

বিএনপি মনে করছে, তারা যে দাবিগুলো দিয়েছে তাঁর একটি বড় অংশ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। যেমন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড, সব দলকে সমান সুযোগ সুবিধা দেওয়া, বিরোধী দলের ওপর হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়া, বিরোধী দলের ওপর দমন, পীড়ন, নিপীড়ন, নির্যাতন না করা ইত্যাদি দাবিগুলো। যেহেতু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে, কাজেই এ সময়টাতে এসব কাজের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন সেই দায়িত্ব কতটা সুষ্ঠুভাবে পালন করবে, সেটাই এখন দেখতে চায় বিএনপি।

বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নীতিগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার জন্য ৫টি বিষয় পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি।

১. বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র কিনবে ও জমা দেবে বিএনপি। যদিও নির্বাচনের আইনে রয়েছে, একজন প্রার্থী ৩টির বেশি আসন থেকে দাঁড়াতে পারবে না। তবুও ৫ আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়ন জমা দেওয়ার চেষ্টা করবে বিএনপি।

২. নির্বাচনের তফসিল এক মাস পেছানোর দাবি করেছে বিএনপি। একমাস না হলেও, যদি ৭-১০ দিন পেছানো যায় বিএনপি সেটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখবে।

৩. বিএনপি দেখতে চায়, নির্বাচন কমিশন কতটা স্বাধীন বা নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে। বিশেষ করে, প্রশাসনের বিষয়টি বিএনপি সবসময় গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। বিএনপির দাবি, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ব্যাপকভাবে মাঠ পর্যায়ে ও উচ্চ পর্যায়ে প্রশাসন নিজেদের মতো করে সাজিয়েছে। অনেককে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে, তাঁরা দুটি উদাহরণ দিয়েছে। এদের মধ্যে একজন হলো মন্ত্রিপরিষদের সচিব জনাব শফিউল আলম, তথ্য সচিব জনাব আবদুল মালেক।

বিএনপির বক্তব্য, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে যারা থাকবে, তাঁরা নির্বাচনের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারবে না। কাজেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের স্বার্থে খুব শিগগিরই সচিব-আমলাদের বদলের জন্য দাবি উত্থাপন করবে বিএনপি।

৪. বিএনপি মনে করছে, তফসিল ঘোষণার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যেহেতু নির্বাচন কমিশনের আওতাভুক্ত প্রতিষ্ঠান। কাজেই, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে যারা আওয়ামী লীগের দলীয় বলে পরিচিত, তাদের পরিবর্তনের ব্যাপারেও বিএনপি নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে।

৫. নির্বাচন কমিশন সকল দলের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে কি না, সে বিষয়টিও দেখছে বিএনপি। যে সব মন্ত্রী, এমপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তাঁরা যদি রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে তাহলে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে না। সেজন্য নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করা পর্যন্ত বিএনপি পর্যবেক্ষণ করবে, নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছে কি না। সরকার আসলেই অর্থবহ ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চাইছে কিনা।

বিএনপি যদি দেখে, তাদের দাবিগুলোর দিকে নির্বাচন কমিশন মনোযোগী নয়। সরকার আসলে জোরপূর্বক নির্বাচন করতে চায়, সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারে।

বাংলাদেশে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা নতুন নয়। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি নির্বাচনে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিল করেছিল। কিন্তু তৎকালীন সরকার পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং একগুঁয়েমির কারণে আওয়ামী লীগ নির্বাচন থেকে সরে আসে। দলের সব কর্মীরা নির্বাচন থেকে তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর ২২ জানুয়ারির নির্বাচন আর অনুষ্ঠিত হয়নি। সে রকমই একটি পরিস্থিতি এবার তৈরি করতে চাইছে বিএনপি। বিএনপির নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর যদি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা না থাকে, সেক্ষেত্রে তারা স্ব-উদ্যোগে আন্দোলন করবে। সেই আন্দোলন সরকারের পক্ষে মোকাবেলা করা কঠিন হবে।’

একইভাবে বিএনপির আরেক শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সরকারের জন্য এটি একটি অগ্নি পরীক্ষা। সরকার যদি একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, তাহলে সরকারকে অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীনভাবে কাজ না করে, তবে তাঁর পরিণতি হবে ভয়াবহ।’

মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর বিএনপির নির্বাচন বর্জনের ঘটনা নতুন নয়। ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময়, ভোট গ্রহণের দিন বিএনপি দুই সিটি করপোরেশন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়। যদিও নির্বাচনের দিন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। সাম্প্রতিক সময়ে অনুষ্ঠিত, বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিনও তাঁরা একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়। বরিশাল সিটি নির্বাচনের দিন বিএনপির প্রার্থী মজিবুর রহমান সরোয়ার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেয়।

বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিএনপি হয়তো এতদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে না। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই তারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিতে পারে। এতে দেশে একটা আন্দোলনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে এবং সরকারের পক্ষে সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।

বাংলা ইনসাইডার/জেডআই/জেডএ

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ডোনাল্ড লু’র ঢাকা সফর: যা বললেন আওয়ামী লীগ-বিএনপির শীর্ষ নেতারা

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় আসছেন। এ সফরে তিনি ব্যবসা-বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারসহ দুই দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা করবেন বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। 

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গত বছর ডোনাল্ড লু’র সফর ছিল বেশ আলোচনায়। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন করা বিএনপি বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। ভোট হয়ে যাওয়ার চার মাস পর যুক্তরাষ্ট্রের এই সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবার ঢাকায় আসছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে বেশ আলোচনা হলেও ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে লু’র সফর নিয়ে যেভাবে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন বা আতঙ্কের কথা শোনা গিয়েছিল এবার সেটি হচ্ছে না। কিন্তু তারপরও তাঁর ঢাকা সফর নিয়ে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কথা বাহাস লক্ষ্য করা গেছে।


লু’র ঢাকা সফর নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। যদিও নির্বাচনের আগে লু’র ঢাকা সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত ছিল বিএনপির নেতারা। তবে এবার দলটির মহাসচিব সুর পাল্টে বলছেন, ‘কে আসলো আর কে গেলো তা নিয়ে মাথাঘামানোর সময় নেই। তিনি বলছেন তার দলের প্রধান শক্তি হলো জনগণ।’

লু’র ঢাকায় আসাটা গুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আসা-না আসায় কিছু যায়-আসে না। লু তো অনেক দূরের কথা। আমরা শঙ্কিত দেশের অবস্থা নিয়ে। 


এদিকে লু’র এবারের সফর দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন। দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে তিনি আসবেন। বিএনপি মনে করেছে, আবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেবে কি না। এই ধরনের উদ্ভট চিন্তা করছে। এ রকম উদ্ভট চিন্তা তারা আগেও করেছিল।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশিদের কাছে বারবার ধরর্না দিয়ে কোনো কিছুই করতে পারেনি বিএনপি। এজন্য লু’র ঢাকা সফর নিয়ে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছেনা বিএনপি। দেশে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হওয়া এবং বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করার ঘোষণা দেওয়ায় বিএনপির মোহভঙ্গ হয়েছে। তাই প্রকাশ্যে লু’র সফর নিয়ে উচ্ছ্বাস দেখাচ্ছে না বিএনপির নেতারা।



ডোনাল্ড লু   আওয়ামী লীগ   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কারামুক্ত হলেন বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী সোহেল

প্রকাশ: ০৯:৩৩ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জামিনে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল।

সোমবার (১৩ মে) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জ থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি। এ সময় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মুক্তি পাওয়ার পর তিনি নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। 
এর আগে গত ৩১ মার্চ আদালতে জামিন নিতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয় সোহেলকে।

বিএনপি   হাবিব উন নবী সোহেল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

ইইউ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি নেতারা। সোমবার (১৩ মে) দুপুরে ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সঙ্গে তার গুলশানস্থ বাসভবনে এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ এবং ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

তবে বৈঠকের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

ইইউ রাষ্ট্রদূত   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

চীন সফরে ৯ বাম নেতা

প্রকাশ: ০৮:৫২ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চীন সফরে গেছেন ক্ষমতাসীন ১৪ দলের শরিক দল জাসদ, ওর্য়ার্কাস পার্টি ও সাম্যবাদী দলের নয় সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল।

সোমবার (১৩ মে) বিকেল ৩টায় রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না ইস্টার্নের একটি বিমানে চীনের কুংমিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা। বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত প্রতিনিধি দলকে বিদায় জানান। এ সময় জাসদের দফতর সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
 
সফরে যাওয়া বাম নেতারা হলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, জাসদের কার্যকারী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, ওয়ার্কার্স পার্টির নারী নেত্রী লুৎফুন্নেছা খান, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, সাম্যবাদী দলের অধ্যাপক তৃপ্তি বড়ুয়া ও হ মোশাহিদ প্রমুখ।
 
জানা গেছে, সফরকালে বাম নেতারা কুনমিংয়ে ইউনান একাডেমি অব এগ্রিকালচার সাইন্স একাডেমি, কেপিসি ফার্মাসিউটিক্যালস পরিদর্শন করবেন। নেতারা রুট (ওয়েলিন কমিউনিটি) লেভেলে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি কার্যক্রম সম্পর্কে জানবেন। এছাড়া প্রতিনিধি দলটি চীনা কমিউনিস্ট পার্টি, ইউনান প্রদেশের সরকারের বৈদেশিক শাখার প্রধানসহ অন্যদের সঙ্গে পরিবর্তিত বিশ্বপরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন। সফর শেষে আগামী ১৮ মে দেশে ফেরার কথা প্রতিনিধি দলটির।

চীন সফর   বাম দল   জাসদ   ওর্য়ার্কাস পার্টি   সাম্যবাদী দল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

অবশেষে আর ছাড় নয়, আওয়ামী লীগ তাঁর দলের শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্রগুলো বলছে, দলের ভেতর যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে এবং দলের ভেতরের কোন্দল করছে তাদেরকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে এবং এই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে কোন্দলরত এলাকাগুলোতে কমিটি বাতিল করে দেওয়া হবে। যারা কোন্দলের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে আহ্বায়ক কমিটিতে রাখা হবে না। 

একই সাথে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে আত্মীয় স্বজনদেরকে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী করেছেন তাদের প্রার্থিতা পর্যালোচনা করা হবে এবং তারা এলাকায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেছেন কি না সেটি যাচাই বাছাই করা হবে। যাচাই বাছাই শেষে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদেরকে স্থানীয় পর্যায়ের কমিটিগুলো থেকে বাদ দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আপাতত আওয়ামী লীগ কোন্দল কমানোর জন্য যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা হল কমিটি বিলুপ্ত করা এবং কমিটি থেকে বাদ দেওয়া। 

এ বছরের ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে আসছিলেন যে দলের ভেতর যারা নির্বাচন কেন্দ্রিক করেছেন সেই কোন্দল যেন অবিলম্বে বন্ধ করা হয় এবং যা হয়েছে সেটা ভুলে গিয়ে মিলে মিশে সকলে মিলে যেন কাজ করে। কিন্তু বাস্তবে আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা মান্য করেনি অধিকাংশ নেতা কর্মীরা। বরং নির্বাচনের পর কর্তৃত্ব দখলের লড়াই আরও জাঁকিয়ে বসে। বিশেষ করে যে সমস্ত নির্বাচনী এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্রদের সাথে আওয়ামী লীগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল, সে সমস্ত এলাকাগুলোতে সংঘাত সহিংসতার ঘটনা আরও বেড়ে যায়। এরকম পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি সবাইকে সতর্কবার্তা দেন। কিন্তু তারপরও এই বিরোধ মিটছে না। এখন আওয়ামী লীগ অ্যাকশনে যাচ্ছে। 

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, বিবদমান এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য এবং সেই সমস্ত এলাকায় কারা দায়ী তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সাংগঠনিক সম্পাদকদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এই বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখছে। 

আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলছেন, আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ অনেক জামজমকপূর্ণ ভাবে ঘটা করে করতে চায়। এ জন্য প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এরপপর যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন, দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উপজেলা নির্বাচনগুলোতেও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, দলের ভেতর যেন স্বজনরা প্রার্থী না হন। কিন্তু তারপরও যারা এই সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের কমিটি থেকে বাদ দেওয়া বলে আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।


শৃঙ্খলা   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন